স্ট্রিম প্রতিবেদক

প্রথম আলো, ডেইলি স্টার ও ছায়ানট ভবনে হামলা-আগুনের ঘটনার প্রতিবাদে সংহতি সমাবেশ করেছে নাগরিক সমাজ। শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি হয়।
সমাবেশে বিশিষ্টজন এই অরাজকতাকে রাষ্ট্রের চরম ব্যর্থতা অভিহিত করেছেন। তারা শরিফ ওসমান হাদির ঘাতকদের বিচারের পাশাপাশি গণমাধ্যমে হামলাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
সমাবেশে মানবাধিকারকর্মী ও আইনজীবী মানজুর আল মাতিন বলেন, চব্বিশের অভ্যুত্থানে অসংখ্য মানুষ এ জন্য নিশ্চয় জীবন দেননি। বৃহস্পতিবার রাতে আমার বোন বা ভাইয়েরা একটি ভবনের ছাদে উঠে শ্বাস নিতে পারবেন না; ভাববেন হয়তো পরিবারের সঙ্গে আর দেখা হবে না– ওসমান হাদি এমন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেননি। যারা আগুন দিয়েছে, উসকানি দিয়েছে, তাদের বিচার সরকারকেই নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের সবাই, বিশেষ করে গণমাধ্যমকর্মীদের এগিয়ে আসতে হবে। আমাদের দায় শুধু পর্যবেক্ষণ নয়। আমরা আইনের শাসন চাই। হাদি হত্যার বিচার চাই।
আইনজীবী ও মানবাধিকারকর্মী সারা হোসেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, ডেইলি স্টার, প্রথম আলো বা ছায়ানট এগুলো কোনো অজপাড়াগাঁয়ে নয়, রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রে। অথচ এখানে পুলিশ বা সেনাবাহিনী আসতে এত সময় নিল কেন? ফায়ার সার্ভিস এসে সবাইকে রক্ষা করেছে। কিন্তু যাদের নিরাপত্তা দেওয়ার কথা, তারা কোথায় ছিল?
তিনি বলেন, গত ১৫ বছরে ডেইলি স্টার ও প্রথম আলোর মাধ্যমেই আমরা অনেক অন্যায়ের কথা জানতে পেরেছি। আজ যারা হামলা করছে, তাদের উদ্দেশ্য কী? আজ কোনো মিডিয়া হাউজকে বাদ দেওয়া যাবে না। সব মিডিয়া হাউজকে আহ্বান জানাই, এখনই সংহতি জানান।
সংসদ নির্বাচনের আগে এমন অরাজক পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন সমাজকর্মী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সামিনা লুৎফা নেত্রা। তিনি বলেন, নির্বাচন কয়েক দিন পরেই। এই মুহূর্তে দেশে জননিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার দায়িত্ব সরকারের। আমরা নাগরিক সমাজ প্রতিটি আক্রান্ত স্থানে যাব। রাজনৈতিক দলগুলোর কাছেও দাবি জানাই– আপনারা কর্মীদের শান্ত থাকতে বলুন।
তিনি বলেন, হাদি হত্যার তদন্ত ও বিচার আমরা দেখতে চাই। কিন্তু ব্যক্তিগত বা প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে এমন হামলা বরদাস্ত করা হবে না।
সমাবেশে সরকারের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করে গণসংহতি আন্দোলনের নেতা ফিরোজ আহমেদ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করেন। তিনি বলেন, শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলা এবং পরে গণমাধ্যমের ওপর যে তাণ্ডব চলেছে, তা রাষ্ট্রের ব্যর্থতা। হামলার রাতে প্রেস সচিব বা কোনো উপদেষ্টাকে কথা বলতে দেখা যায়নি। সরকার কি চায় গণমাধ্যম আতঙ্কে থাকুক?
তিনি বলেন, নূরুল কবিরের মতো মানুষ, যিনি সাড়ে ১৫ বছর ধরে দুঃশাসনের বিরুদ্ধে লড়েছেন, তাঁকেও দঙ্গলবাজদের মুখোমুখি হতে হয়েছে। ভিডিও ফুটেজে যাদের দেখা গেছে, তাদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে।

প্রথম আলো, ডেইলি স্টার ও ছায়ানট ভবনে হামলা-আগুনের ঘটনার প্রতিবাদে সংহতি সমাবেশ করেছে নাগরিক সমাজ। শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি হয়।
সমাবেশে বিশিষ্টজন এই অরাজকতাকে রাষ্ট্রের চরম ব্যর্থতা অভিহিত করেছেন। তারা শরিফ ওসমান হাদির ঘাতকদের বিচারের পাশাপাশি গণমাধ্যমে হামলাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
সমাবেশে মানবাধিকারকর্মী ও আইনজীবী মানজুর আল মাতিন বলেন, চব্বিশের অভ্যুত্থানে অসংখ্য মানুষ এ জন্য নিশ্চয় জীবন দেননি। বৃহস্পতিবার রাতে আমার বোন বা ভাইয়েরা একটি ভবনের ছাদে উঠে শ্বাস নিতে পারবেন না; ভাববেন হয়তো পরিবারের সঙ্গে আর দেখা হবে না– ওসমান হাদি এমন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেননি। যারা আগুন দিয়েছে, উসকানি দিয়েছে, তাদের বিচার সরকারকেই নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের সবাই, বিশেষ করে গণমাধ্যমকর্মীদের এগিয়ে আসতে হবে। আমাদের দায় শুধু পর্যবেক্ষণ নয়। আমরা আইনের শাসন চাই। হাদি হত্যার বিচার চাই।
আইনজীবী ও মানবাধিকারকর্মী সারা হোসেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, ডেইলি স্টার, প্রথম আলো বা ছায়ানট এগুলো কোনো অজপাড়াগাঁয়ে নয়, রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রে। অথচ এখানে পুলিশ বা সেনাবাহিনী আসতে এত সময় নিল কেন? ফায়ার সার্ভিস এসে সবাইকে রক্ষা করেছে। কিন্তু যাদের নিরাপত্তা দেওয়ার কথা, তারা কোথায় ছিল?
তিনি বলেন, গত ১৫ বছরে ডেইলি স্টার ও প্রথম আলোর মাধ্যমেই আমরা অনেক অন্যায়ের কথা জানতে পেরেছি। আজ যারা হামলা করছে, তাদের উদ্দেশ্য কী? আজ কোনো মিডিয়া হাউজকে বাদ দেওয়া যাবে না। সব মিডিয়া হাউজকে আহ্বান জানাই, এখনই সংহতি জানান।
সংসদ নির্বাচনের আগে এমন অরাজক পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন সমাজকর্মী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সামিনা লুৎফা নেত্রা। তিনি বলেন, নির্বাচন কয়েক দিন পরেই। এই মুহূর্তে দেশে জননিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার দায়িত্ব সরকারের। আমরা নাগরিক সমাজ প্রতিটি আক্রান্ত স্থানে যাব। রাজনৈতিক দলগুলোর কাছেও দাবি জানাই– আপনারা কর্মীদের শান্ত থাকতে বলুন।
তিনি বলেন, হাদি হত্যার তদন্ত ও বিচার আমরা দেখতে চাই। কিন্তু ব্যক্তিগত বা প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে এমন হামলা বরদাস্ত করা হবে না।
সমাবেশে সরকারের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করে গণসংহতি আন্দোলনের নেতা ফিরোজ আহমেদ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করেন। তিনি বলেন, শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলা এবং পরে গণমাধ্যমের ওপর যে তাণ্ডব চলেছে, তা রাষ্ট্রের ব্যর্থতা। হামলার রাতে প্রেস সচিব বা কোনো উপদেষ্টাকে কথা বলতে দেখা যায়নি। সরকার কি চায় গণমাধ্যম আতঙ্কে থাকুক?
তিনি বলেন, নূরুল কবিরের মতো মানুষ, যিনি সাড়ে ১৫ বছর ধরে দুঃশাসনের বিরুদ্ধে লড়েছেন, তাঁকেও দঙ্গলবাজদের মুখোমুখি হতে হয়েছে। ভিডিও ফুটেজে যাদের দেখা গেছে, তাদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে।

পরিবারের দাবির ভিত্তিতে ওসমান হাদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় কবি নজরুল ইসলামের কবরের পাশে সমাহিত করা হবে বলেও জানানো হয়েছে। পোস্টে আরও বলা হয়, আগামীকাল বাদ জোহর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে হাদির জানাজার নামাজ হবে।
৫ মিনিট আগে
প্রথম আলো ভবনে হামলার ঘটনাটি পরিকল্পিত এবং স্বার্থান্বেষী মহল সংগঠিত হয়ে এ আক্রমণ চালিয়েছে। আগামী জাতীয় নির্বাচন পথভ্রষ্ট করা ও আন্তর্জাতিকভাবে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত করতে বৃহস্পতিবার রাতে এ হামলা করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন প্রথম আলোর নির্বাহী সম্পাদক সাজ্জাদ শরিফ।
১ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের জন্য সতর্কতা জারি করেছে ঢাকার মার্কিন দূতাবাস। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে দূতাবাসের ওয়েবসাইট ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে থাকা পেজে এ সতর্কবার্তা জারি করা হয়।
২ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মরদেহ নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইট (বিজি-৫৮৫) ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছে। শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে স্থানীয় সময় বেলা ৪টা ৩ মিনিটে ফ্লাইটটি উড্ডয়ন করে।
২ ঘণ্টা আগে