leadT1ad

সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা পাচারে এস আলমসহ ৬৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা

প্রকাশ : ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ২০: ২৯
এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম। সংগৃহীত ছবি

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড (আইবিপিএল) থেকে জালিয়াতি, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং ব্যাংকিং সফটওয়্যার ম্যানিপুলেশনের মাধ্যমে ঋণের নামে প্রায় সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও সিঙ্গাপুরে পাচারের অভিযোগে এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলমসহ ৬৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সুদ-আসলে এই বিপুল পরিমাণ অর্থের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৪৭৯ কোটি ৬২ লাখ টাকা।

আজ রোববার (৯ নভেম্বর) দুদকের সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান বাদী হয়ে সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১-এ এই মামলা দায়ের করেন।

এই মামলাটি দুদকের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ মামলা বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মো. তানজির আহমেদ। আজ দুপুরে দুদক প্রধান কার্যালয়ে এক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ২০০৭ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ইসলামী ব্যাংক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সব বিধি, পলিসি ও সার্কুলারকে উপেক্ষা করেছেন। এস আলম গ্রুপের প্রতিষ্ঠান এস আলম রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, এস আলম স্টিলস লিমিটেড ও এস আলম ট্রেডিং কোম্পানি লিমিটেডের নামে এই বিপুল পরিমাণ ঋণ নেওয়া হয়।

দুদক বলছে, আসামিরা ‘অপ্রতুল জামানত’ রেখে, ‘সিআইবি রিপোর্টে বিদ্যমান উচ্চ ঋণের পরিমাণ’ বিবেচনা না করে এবং ‘গ্রাহকের ব্যবসায়িক টার্নওভার ঋণসীমার সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ’ থাকা সত্ত্বেও ব্যাংকের ঝুঁকির কথা আমলে নেননি। এই অর্থ আত্মসাতের জন্য আসামিরা ক্ষমতার অপব্যবহার, অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ, প্রতারণা এবং জাল-জালিয়াতির আশ্রয় নেন।

দুদকের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, ২০১৭ সালে এস আলম গ্রুপ ইসলামী ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণের পর এই অনিয়ম ও জালিয়াতি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পায়।

মামলার এজাহারে বলা হয়ছে, এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলমের তত্ত্বাবধানে ব্যাংকের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শাখায়, বিশেষ করে বিনিয়োগ প্রশাসন বিভাগে, আইটি বিভাগে ও পরিচালনা পর্ষদে নিজের আত্মীয় এবং সুবিধাভোগী ব্যক্তিদের বসানো হয়। দুদকের মতে, এটি ছিল ‘জনগণের আমানত আত্মসাৎ করে বিদেশে টাকা পাচারের বৃহৎ ষড়যন্ত্রমূলক পরিকল্পনার অংশ’।

মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম, তাঁর স্ত্রী ফারজানা পারভীন, ভাই সহিদুল আলম ও রাশেদুল আলম। এছাড়া ইসলামী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মাহবুব উল আলম ও মোহাম্মদ মনিরুল মাওলা, সাবেক অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ কায়সার আলী, সাবেক উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও আইসিটি প্রধান তাহের আহমেদ চৌধুরী, সাবেক পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ড. মোঃ নাজমুল হাসান, সাবেক এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অবঃ) আবদুল মতিনসহ ব্যাংকের সাবেক ও বর্তমান পরিচালক এবং বিনিয়োগ কমিটির সদস্যরা।

দুদক জানিয়েছে, তদন্তকালে এই অপরাধের সঙ্গে অন্য কারও সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে তাঁকেও আইনের আওতায় আনা হবে।

Ad 300x250
সর্বাধিক পঠিত

সম্পর্কিত