leadT1ad

প্লট দুর্নীতি মামলা: শেখ রেহানার কন্যা রূপন্তীসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য ৫ জানুয়ারি

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা

ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক, ছোট মেয়ে আজমিনা সিদ্দিক রূপন্তী (মাঝে) ও বড় মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিকের সঙ্গে শেখ রেহানা। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে অবৈধভাবে প্লট বরাদ্দের অভিযোগে করা মামলায় শেখ রেহানার মেয়ে আজমিনা সিদ্দিক রূপন্তীসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৫ জানুয়ারি দিন ঠিক করেছেন আদালত।

রোববার (৩০ নভেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক রবিউল আলম নতুন এ দিন ধার্য করেন।

আজ আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়ার সাক্ষ্য দেওয়ার কথা ছিল। তিনি আদালতে উপস্থিতও ছিলেন। তবে আদালত অন্য একটি মামলায় ব্যস্ত থাকায় আজ এ মামলার সাক্ষ্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। পরে বিচারক সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য নতুন দিন ঠিক করেন। দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) খান মো. মাইনুল হাসান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আদালত সূত্র জানায়, পূর্বাচল প্রকল্পে প্লট বরাদ্দ নিয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে এই আদালতে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে আগামীকাল সোমবার একটি মামলার রায় ঘোষণার কথা রয়েছে। অপর মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য রয়েছে মঙ্গলবার। এর আগে গত ৩১ জুলাই এসব মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।

মামলায় শেখ পরিবারের সদস্য ছাড়াও অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন—জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) কাজী ওয়াছি উদ্দিন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরকার, জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আনিছুর রহমান মিঞা, সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, সদস্য (প্রশাসন ও অর্থ) কবির আল আসাদ, সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) তন্ময় দাস, সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মো. নুরুল ইসলাম, সাবেক সদস্য (পরিকল্পনা) মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, সাবেক সদস্য মেজর (ইঞ্জিনিয়ার) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী (অব.), পরিচালক (এস্টেট ও ভূমি-২) শেখ শাহিনুল ইসলাম, উপপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান ও হাবিবুর রহমান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব সালাউদ্দিন।

প্লট বরাদ্দের দুর্নীতির অভিযোগে গত জানুয়ারিতে পৃথক ছয়টি মামলা করে দুদক। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ (পুতুল), বোন শেখ রেহানা, রেহানার মেয়ে ও ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক, ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ও অপর মেয়ে আজমিনা সিদ্দিকসহ আরও অনেককে আসামি করা হয়। তদন্ত শেষে সব কটি মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। আসামিরা পলাতক থাকায় তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করা হয়।

এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৭ নভেম্বর তিনটি মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। রায়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ২১ বছর এবং তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে ৫ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়া ১৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও একজনকে খালাস দেওয়া হয়।

মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, সরকারের সর্বোচ্চ পদে থাকাকালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজের ও পরিবারের সদস্যদের নামে পূর্বাচলে প্লট বরাদ্দ নেন। নীতিমালার তোয়াক্কা না করে ‘অসৎ উদ্দেশ্যে’ পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরের ২০৩ নম্বর রাস্তার ৬টি প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল, যদিও তাঁরা কেউই এসব প্লট পাওয়ার যোগ্য ছিলেন না।

Ad 300x250

সম্পর্কিত