leadT1ad

আট দফার বাস্তবায়ন চেয়ে আন্দোলন প্রত্যাহার করল ‘জুম্ম ছাত্র-জনতা’

স্ট্রিম সংবাদদাতা
স্ট্রিম সংবাদদাতা
খাগড়াছড়ি
প্রকাশ : ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ১১: ১৩
খাগড়াছড়িতে দিনের বেলায় সড়কে যানবাহন চলতে দেখা গেছে। ছবি: সংগৃহীত

খাগড়াছড়ি ও গুইমারায় সাম্প্রতিক সহিংস ঘটনায় ৫ অক্টোবর পর্যন্ত ঘোষিত অবরোধ কর্মসূচি স্থগিতের পর এবার প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে জুম্ম ছাত্র-জনতা। শনিবার (৪ অক্টোবর) সকালে সংগঠনটির ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এমন ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। পোস্টে বলা হয়েছে, ‘আহত ও ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি মানবিক সহায়তা প্রদান এবং প্রশাসনের আশ্বাসকে আংশিক বিবেচনায় রেখে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত ঘোষিত স্থগিত অবরোধ কর্মসূচি আপাতত প্রত্যাহার করা হলো।’

এমন ঘোষণার পর আজ সকালে খাগড়াছড়িতে জনজীবনে স্বস্তি ফিরেছে, স্বাভাবিক হয়ে গেছে জনজীবন। সর্বত্রই বেড়েছে মানুষের চাপ আর ব্যস্ততা।

এদিকে, সাম্প্রতিক সহিংসতার পরিস্থিতি ঠেকাতে ও জনজীবনের নিরাপত্তার নিশ্চিতে জেলা সদর এবং গুইমারা উপজেলায় প্রশাসনের জারি করা ১৪৪ ধারা এখনও জারি রয়েছে। দিনের বেলায় ১৪৪ ধারা কিছুটা শিথিল থাকলেও রাতে পুরোপুরি কার্যকর থাকছে। এছাড়াও এখনো নিরাপত্তা বাহিনীর টহল ও কার্যক্রম অব্যাহত আছে। পরিস্থিতির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে ধীরে ধীরে কমছে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর তল্লাশি কার্যক্রমও।

এর আগে গতকাল শুক্রবার দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জুম্ম ছাত্র-জনতা নিহত, আহত ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণসহ আট দফা দাবির কথা জানায়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১ অক্টোবর খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ কার্যালয়ে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, এনএসআই ও ডিজিএফআই–এর প্রতিনিধিদের সঙ্গে দ্বিতীয় দফা আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সংগঠনের পক্ষ থেকে আট দফা দাবি তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে—‘১৪৪ ধারা প্রত্যাহার’, ‘সেনা ও সেটলার কর্তৃক সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি’, ‘ধর্ষণ মামলার আসামিদের দ্রুত বিচার’, ‘নিহত-আহত পরিবারের জন্য আর্থিক ক্ষতিপূরণ’ ও ‘স্বাধীন তদন্ত’।

সংগঠনটির অভিযোগ, ‘ধর্ষণ মামলার রিপোর্ট আদালতের অনুমতি ছাড়া পরিকল্পিতভাবে গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে। এতে ভুক্তভোগীর মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়েছে এবং আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার নোংরা চক্রান্ত করা হয়েছে।’ বিজ্ঞপ্তিতে এই ঘটনার বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলা হয়, ‘এটি ন্যায়বিচারকে বাধাগ্রস্ত করার রাষ্ট্রীয় ষড়যন্ত্র।’

এছাড়া তরুণ ছাত্রনেতা উক্যনু মারমা ও সংগঠনের ছয়জন প্রতিনিধিকে নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমার বিরূপ মন্তব্যেরও প্রতিবাদ জানানো হয়। তবে তিনি পরবর্তী সময়ে নিজের ভুল স্বীকার করায় সংগঠনের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়েছে।

দাবিগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন না হলে আরও কঠোর ও অপ্রতিরোধ্য আন্দোলনের ঘোষণা দেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।

Ad 300x250

সম্পর্কিত