স্ট্রিম প্রতিবেদক
রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে জুলাই জাতীয় সনদ-২০২৫ এর চূড়ান্ত ভাষ্য পাঠানো হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) রাতে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে জুলাই জাতীয় সনদ পাঠানো হয়। এর ভিত্তিতে আগামী ১৭ অক্টোবর সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ‘সব দলের কাছে জুলাই জাতীয় সনদ পাঠানো হয়েছে। আগামী শুক্রবার ঐতিহাসিক মুহূর্তে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান হবে। আমরা আশা করছি, সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে পরবর্তী ধাপে উপনীত হতে পারব।’
গত ১১ সেপ্টেম্বর রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে জুলাই জাতীয় সনদের চূড়ান্ত ভাষ্য পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু আজ পাঠানো জাতীয় সনদের পটভূমিতে ভাষাগত পরিবর্তন করা হয়। ঐকমত্য হওয়া বিষয়গুলোর আগে ঐকমত্যের ঘোষণা নামে একটি নতুন অনুচ্ছেদ যুক্ত করা হয়। তবে সেখানকার বাক্যগুলো আগের চূড়ান্ত ভাষ্য ছিল।
চূড়ান্ত ভাষ্যে জুলাই জাতীয় সনদ তৈরির পটভূমিতে ঔপনিবেশিক শাসন ও শোষণ, পাকিস্তানি শাসনামলের শোষণ, বঞ্চনার পাশাপাশি আন্দোলন-সংগ্রাম, স্বাধীনতা যুদ্ধ, পঁচাত্তরে বাকশাল গঠন, পটপরিবর্তনসহ বাংলাদেশের ইতিহাসের নানান বিষয় উল্লেখ আছে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের অংশে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
চূড়ান্ত ভাষ্যের পটভূমিতে ১৯৭৬ বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয় বলা হয়। নতুন করে ১৯৭৬ সাল বাদ দিয়ে লেখা হয়, ১৯৭৮ সালে বহুদলীয় রাজনীতির পুনঃপ্রবর্তনের উদ্যোগ গ্রহণের ফলে ১৯৭৯ সালে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়।
পটভূমির আরেক অংশে ২০০৬ সালে কয়েকটি রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড ও তৎ প্রেক্ষিতে ২০০৭ সালে দেশে জরুরি অবস্থা জারি ও একটি অস্বাভাবিক তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠিত হয় এবং নির্বাচন স্থগিত হয়ে যায়। সংশোধিত করে সেখানে লেখা হয়েছে ‘২০০৬ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে লগি-বৈঠা তাণ্ডবে দেশে কয়েকটি নৃশংস রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। ২০০৭ সালে দেশে জরুরি অবস্থা জারি ও একটি অস্বাভাবিক তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়, যা ১/১১ সরকার নামে পরিচিত। ফলে নির্বাচন স্থগিত হয়।’
সন্নিবেশিত নতুন বাক্যে বলা হয়, রাষ্ট্রকাঠামোতে একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের অবারিত সুযোগ নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে বিগত ১৬ বছরে দলীয় প্রভাবকে প্রতিষ্ঠানিকীকরণের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে অকার্যকর, জবাবদিহিতাবিহীন ও বিচারহীনতার সহায়ক হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছিল।
আগের চূড়ান্ত ভাষ্যে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বিষয়ে বলা হয়েছিল, শাসকগোষ্ঠীর প্রতিহিংসার শিকার হয়ে শিশু ও নারীসহ প্রায় এক হাজার নাগরিক নিহত হয়। সংশোধিত চূড়ান্ত ভাষ্যে এক হাজারের জায়গায় ‘সহস্রাধিক’ বলা আছে। এছাড়া, জনগণের সম্মিলিত শক্তি ও প্রতিরোধের মুখে স্বৈরাচারী শাসক ও তার দোসরেরা পরাজিত হয়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। সংশোধিত সনদে স্বৈরাচারী শাসকের স্থলে ‘ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা’ এবং পালিয়ে যেতে বাধ্য হওয়ার আগে ‘অনেকেই’ শব্দটি যোগ করা হয়েছে।
সংস্কার কমিশন গঠন অংশে আগের ভাষ্যে বলা হয়েছিল বিদ্যমান সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক প্রেরিত প্রশ্নে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের মতামতের ভিত্তিতে ২০২৪ সালের ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করে রাষ্ট্র সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করে। সংশোধিত ভাষ্যে বলা হয়, গণ-অভ্যুত্থানের পর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ২০২৪ সালের ৮ আগস্ট গঠিত সরকার প্রথমে ৩ অক্টোবর পৃথক প্রজ্ঞাপনে পাঁচটি কমিশন গঠন করে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপে পুলিশি সেবাকে জনবান্ধব করতে স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠনে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হয়। রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো চূড়ান্ত ভাষ্যে কমিশন গঠনের প্রক্রিয়া উল্লেখ ছিলো না। সংশোধিত ভাষ্যে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত বলা হয়েছে।
রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে জুলাই জাতীয় সনদ-২০২৫ এর চূড়ান্ত ভাষ্য পাঠানো হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) রাতে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে জুলাই জাতীয় সনদ পাঠানো হয়। এর ভিত্তিতে আগামী ১৭ অক্টোবর সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ‘সব দলের কাছে জুলাই জাতীয় সনদ পাঠানো হয়েছে। আগামী শুক্রবার ঐতিহাসিক মুহূর্তে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান হবে। আমরা আশা করছি, সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে পরবর্তী ধাপে উপনীত হতে পারব।’
গত ১১ সেপ্টেম্বর রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে জুলাই জাতীয় সনদের চূড়ান্ত ভাষ্য পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু আজ পাঠানো জাতীয় সনদের পটভূমিতে ভাষাগত পরিবর্তন করা হয়। ঐকমত্য হওয়া বিষয়গুলোর আগে ঐকমত্যের ঘোষণা নামে একটি নতুন অনুচ্ছেদ যুক্ত করা হয়। তবে সেখানকার বাক্যগুলো আগের চূড়ান্ত ভাষ্য ছিল।
চূড়ান্ত ভাষ্যে জুলাই জাতীয় সনদ তৈরির পটভূমিতে ঔপনিবেশিক শাসন ও শোষণ, পাকিস্তানি শাসনামলের শোষণ, বঞ্চনার পাশাপাশি আন্দোলন-সংগ্রাম, স্বাধীনতা যুদ্ধ, পঁচাত্তরে বাকশাল গঠন, পটপরিবর্তনসহ বাংলাদেশের ইতিহাসের নানান বিষয় উল্লেখ আছে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের অংশে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
চূড়ান্ত ভাষ্যের পটভূমিতে ১৯৭৬ বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয় বলা হয়। নতুন করে ১৯৭৬ সাল বাদ দিয়ে লেখা হয়, ১৯৭৮ সালে বহুদলীয় রাজনীতির পুনঃপ্রবর্তনের উদ্যোগ গ্রহণের ফলে ১৯৭৯ সালে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়।
পটভূমির আরেক অংশে ২০০৬ সালে কয়েকটি রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড ও তৎ প্রেক্ষিতে ২০০৭ সালে দেশে জরুরি অবস্থা জারি ও একটি অস্বাভাবিক তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠিত হয় এবং নির্বাচন স্থগিত হয়ে যায়। সংশোধিত করে সেখানে লেখা হয়েছে ‘২০০৬ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে লগি-বৈঠা তাণ্ডবে দেশে কয়েকটি নৃশংস রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। ২০০৭ সালে দেশে জরুরি অবস্থা জারি ও একটি অস্বাভাবিক তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়, যা ১/১১ সরকার নামে পরিচিত। ফলে নির্বাচন স্থগিত হয়।’
সন্নিবেশিত নতুন বাক্যে বলা হয়, রাষ্ট্রকাঠামোতে একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের অবারিত সুযোগ নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে বিগত ১৬ বছরে দলীয় প্রভাবকে প্রতিষ্ঠানিকীকরণের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে অকার্যকর, জবাবদিহিতাবিহীন ও বিচারহীনতার সহায়ক হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছিল।
আগের চূড়ান্ত ভাষ্যে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বিষয়ে বলা হয়েছিল, শাসকগোষ্ঠীর প্রতিহিংসার শিকার হয়ে শিশু ও নারীসহ প্রায় এক হাজার নাগরিক নিহত হয়। সংশোধিত চূড়ান্ত ভাষ্যে এক হাজারের জায়গায় ‘সহস্রাধিক’ বলা আছে। এছাড়া, জনগণের সম্মিলিত শক্তি ও প্রতিরোধের মুখে স্বৈরাচারী শাসক ও তার দোসরেরা পরাজিত হয়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। সংশোধিত সনদে স্বৈরাচারী শাসকের স্থলে ‘ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা’ এবং পালিয়ে যেতে বাধ্য হওয়ার আগে ‘অনেকেই’ শব্দটি যোগ করা হয়েছে।
সংস্কার কমিশন গঠন অংশে আগের ভাষ্যে বলা হয়েছিল বিদ্যমান সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক প্রেরিত প্রশ্নে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের মতামতের ভিত্তিতে ২০২৪ সালের ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করে রাষ্ট্র সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করে। সংশোধিত ভাষ্যে বলা হয়, গণ-অভ্যুত্থানের পর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ২০২৪ সালের ৮ আগস্ট গঠিত সরকার প্রথমে ৩ অক্টোবর পৃথক প্রজ্ঞাপনে পাঁচটি কমিশন গঠন করে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপে পুলিশি সেবাকে জনবান্ধব করতে স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠনে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হয়। রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো চূড়ান্ত ভাষ্যে কমিশন গঠনের প্রক্রিয়া উল্লেখ ছিলো না। সংশোধিত ভাষ্যে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত বলা হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে আলোচনায় বসেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
২৮ মিনিট আগেমিরপুরের আগুনের ঘটনায় ১৬ মৃতদেহের মধ্যে ৬ জনের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জে ই-বেইলবন্ড (অনলাইনে জামিননামা) চালু করা হয়েছে। এর মাধ্যমে এক ক্লিকে ১২ ধাপের অবসান ঘটবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
১ ঘণ্টা আগেজুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের সময় গুলি করে হত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আটক চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের সাবেক কমিশনার মো. সাইফুল ইসলামকে ৩০ অক্টোবর হাজির করার নির্দেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
১ ঘণ্টা আগে