leadT1ad

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত সর্বজনীনভাবে গ্রহণযোগ্য: শফিকুল আলম

স্ট্রিম ডেস্ক
প্রকাশ : ০৫ জুন ২০২৫, ১৩: ৩১

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত সর্বজনীনভাবে গ্রহণযোগ্য হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি জানান, এ সিদ্ধান্ত সব দলের সঙ্গে আলোচনার পর নেওয়া হয়েছে এবং এটি ‘ইউনিভার্সালি অ্যাকসেপ্টেড’। 

১২ মে সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এই অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিআরইউ সভাপতি আবু সালেহ আকন ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল।

শফিকুল আলম বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় দুর্নীতি, খুন-গুমের মহোৎসব চলেছিল। তাঁদের আমলে সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি মানুষ গুম হয়েছেন, আয়নাঘরে নির্মম নির্যাতন চালানো হয়েছে, এমনকি শিশুরাও রেহাই পায়নি। গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্যই দলটিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এসসিপি) দাবির প্রেক্ষিতে হঠাৎ করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে প্রেস সচিব জানান, সিদ্ধান্তটি হঠাৎ আসেনি। বরং আওয়ামী লীগ আমলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিস্তারিত চিত্র ইতিমধ্যে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক কমিশনের প্রতিবেদনে এসেছে। এছাড়া দেশে-বিদেশে এ নিষেধাজ্ঞার জন্য ব্যাপক সমর্থন ছিল।   

তিনি আরও বলেন, দেশের মানুষ এ সিদ্ধান্তে স্বস্তি প্রকাশ করেছে। গণআন্দোলন দমনের নামে খুন-গুমের যে চিত্র জুলাই-আগস্টে দেখা গিয়েছিল, তা বিশ্বমঞ্চেও নিন্দিত হয়েছে। তাই এই সিদ্ধান্ত প্রয়োজনীয় ও যৌক্তিক।

১৪ দল বা জাতীয় পার্টির মতো অন্য দলগুলোর বিষয়ে কোনো নিষেধাজ্ঞার পরিকল্পনা আছে কি না জানতে চাইলে শফিকুল আলম জানান, জাতিসংঘের প্রতিবেদনে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের সুস্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে। অন্য দলগুলোর বিরুদ্ধে তেমন গুরুতর অভিযোগ পাওয়া যায়নি।

আওয়ামী লীগের দুর্নীতির চিত্র প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘একটি কোম্পানি প্রায় ৭৫ হাজার কোটি টাকা নিয়ে গেছে। দলের একজন সদস্য, যিনি কবিতা আবৃত্তি করেন, তিনিও ফারমার্স ব্যাংক থেকে কয়েক কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এভাবে দেশের বিপুল সম্পদ লুটপাট করা হয়েছে।’   

সংবাদ কর্মীদের অধিকার ও সুযোগ-সুবিধা প্রসঙ্গে শফিকুল আলম বলেন, ‘সংবাদ কর্মীদের সুবিধার বিষয়ে ইউনিয়নগুলোর কথা বলা উচিত। তাঁরা মালিকদের সঙ্গে কথা বলবে। কিন্তু আমাদের ইউনিয়নগুলো গত ১৫ বছর পূর্বাচলের প্লট নিয়ে ব্যস্ত ছিল। আমাদের সাংবাদিকদের তারা ভয়াবহ ভাবে ঠকিয়েছে। ডিএফপির বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলা উচিত। তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকদের বেতন ৩০ হাজার টাকার নিচে হতে পারে না। বেতন দিতে না পারলে পত্রিকা বন্ধ করে দিন।’ 

Ad 300x250

সম্পর্কিত