রাতুল আল আহমেদ
ইরান ইসলামিক প্রজাতন্ত্র হিসেবে শিয়া ফিকহ বা আইন মেনে চলে। ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি ২০০৩ সালে পারমাণবিক অস্ত্রের বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি করেছিলেন। যেখানে পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহারকে ‘হারাম’ ঘোষণা করা হয়।
তবে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক হামলার পর অনেক ইরানি এই ফতোয়ার প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। খামেনির উপদেষ্টা আলি লারিজানি গত মার্চে বলেন, ‘যদি যুক্তরাষ্ট্র বা তার মিত্ররা ইরানকে আক্রমণ করে, তবে পারমাণবিক অস্ত্র ছাড়া আমাদের আর কোনো বিকল্প থাকবে না।’
২৩ জুন ফার্স নিউজ এজেন্সির এক বিশ্লেষণে বলা হয়, ‘আমাদের বৈধ পারমাণবিক স্থাপনা ধ্বংস করার সময়ে আত্মরক্ষার উপায় কি কেবল বুলি হয়ে থাকবে?’
ইরানি রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন চ্যানেল থ্রি-তে উপস্থাপক মেহেদি খানালিজাদেহ ২২ জুন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র এখন আমাদের প্রত্যেক নাগরিক ও সামরিক স্থাপনাকে বৈধ লক্ষ্য বানিয়েছে। আমরা আর পিছিয়ে থাকব না।’ এই ধরনের প্রচারণা সরকার সমর্থিত কট্টরপন্থীদের দ্বারা জনমত প্রভাবিত করার একটি কৌশল হতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন।
একই দিনে কেয়াহান পত্রিকায় সম্পাদক হোসেইন শারিয়তমাদারি লেখেন, ‘এখন সময় এসেছে বাহরাইনে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর ওপর সরাসরি আঘাত হানার।’
যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী ইরানি প্রবাসীদের একটি অংশ পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের সম্ভাবনাকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন। লস অ্যাঞ্জেলেসভিত্তিক সমাজকর্মী নাসরিন বাখশি বিবিসি ফারসিকে বলেন, ‘যদি রাষ্ট্র নাগরিকদের রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়, তবে শক্তির মাধ্যমেই তাকে বেঁচে থাকতে হবে।’ তবে প্রবাসী বুদ্ধিজীবীদের আরেকটি অংশ এই প্রবণতার বিরুদ্ধে।
ইউনিভার্সিটি অব টরন্টোর অধ্যাপক রেজা আসলান আল জাজিরাকে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘পারমাণবিক অস্ত্র আমাদের জাতিকে রক্ষা করবে না, বরং এক ধ্বংসাত্মক দৃষ্টান্ত তৈরি করবে।’ প্রখ্যাত ইরানি চলচ্চিত্র পরিচালক আসগর ফারহাদি তাঁর ইনস্টাগ্রামে লেখেন, ‘ইরান শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত লড়াই করে নিজেকে রক্ষা করবে।’
রাশিয়া ও চীন দুই দেশই ইরানের বিরুদ্ধে মার্কিন হামলার নিন্দা জানালেও পরমাণু অস্ত্র অর্জনে সরাসরি সমর্থন দেয়নি। ২৩ জুন মস্কোতে ক্রেমলিনে এক বৈঠকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, ‘সংঘাত আরও বাড়লে বিশ্বের জন্য তা বিপজ্জনক হবে।’
চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই একই দিনে বেইজিংয়ে অভিমত ব্যক্ত করেন যে ভবিষ্যতের সম্ভাব্য হুমকির অজুহাতে হামলা আন্তর্জাতিক নীতির জন্য ‘ভয়ানক দৃষ্টান্ত’ স্থাপন করবে।
পাকিস্তানভিত্তিক পত্রিকা ডনের ২৪ জুনের একটি কলামে বিশ্লেষক মুজাহিদ ইউসুফ লেখেন, ‘ইরান যদি নিজেকে আত্মরক্ষার অবস্থানে না দেখে, তবে সে আর নিজের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে পারবে না।’
পাকিস্তানে পারমাণবিক অস্ত্র একটি জাতীয় গর্বের প্রতীক। তবে ইরানের ক্ষেত্রে এর প্রেক্ষাপট ভিন্ন। অনেক ইসলামপন্থী গোষ্ঠী মনে করে ইরানের উচিত ধর্মীয় ঐতিহ্য অক্ষুণ্ন রাখা।
ফ্রান্সের পত্রিকা ল্যু মুন্দের সম্পাদকীয়তে বলা হয়, ‘ইরানি সমাজে নৈতিক দ্বন্দ্ব স্পষ্ট হয়ে উঠছে। একদিকে রয়েছে জাতীয় নিরাপত্তা, অন্যদিকে ধর্মীয় মূল্যবোধ।’ দেশটির আরেকটি সংবাদমাধ্যম ফ্রান্স২৪ এর এক আলোচনায় ইরানি বংশোদ্ভূত সমাজতাত্ত্বিক সারা মেহরান বলেন, ‘ইরানি জনগণ দুই ভাগে বিভক্ত। একটি অংশ চায় অস্ত্র, অন্য অংশ ধর্মীয় ফতোয়ার প্রতি আনুগত্য রাখতে চায়।’
ইরান-ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র সংঘাতের জেরে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের প্রশ্নে ইরানি জনমতের মধ্যে একটি স্পষ্ট পরিবর্তন লক্ষ করা যাচ্ছে। ধর্মীয় ফতোয়ার চেয়েও বর্তমানে জাতীয় নিরাপত্তা ও আত্মমর্যাদার প্রশ্ন বেশি প্রাধান্য পাচ্ছে। যদিও সরকার বলছে তাদের পরমাণু কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ। তবে সংঘাত পরিস্থিতিতে জন মনে অস্ত্র অর্জনের একটি ‘নৈতিক অবস্থান’ তৈরি হচ্ছে।
ইরান ইসলামিক প্রজাতন্ত্র হিসেবে শিয়া ফিকহ বা আইন মেনে চলে। ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি ২০০৩ সালে পারমাণবিক অস্ত্রের বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি করেছিলেন। যেখানে পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহারকে ‘হারাম’ ঘোষণা করা হয়।
তবে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক হামলার পর অনেক ইরানি এই ফতোয়ার প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। খামেনির উপদেষ্টা আলি লারিজানি গত মার্চে বলেন, ‘যদি যুক্তরাষ্ট্র বা তার মিত্ররা ইরানকে আক্রমণ করে, তবে পারমাণবিক অস্ত্র ছাড়া আমাদের আর কোনো বিকল্প থাকবে না।’
২৩ জুন ফার্স নিউজ এজেন্সির এক বিশ্লেষণে বলা হয়, ‘আমাদের বৈধ পারমাণবিক স্থাপনা ধ্বংস করার সময়ে আত্মরক্ষার উপায় কি কেবল বুলি হয়ে থাকবে?’
ইরানি রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন চ্যানেল থ্রি-তে উপস্থাপক মেহেদি খানালিজাদেহ ২২ জুন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র এখন আমাদের প্রত্যেক নাগরিক ও সামরিক স্থাপনাকে বৈধ লক্ষ্য বানিয়েছে। আমরা আর পিছিয়ে থাকব না।’ এই ধরনের প্রচারণা সরকার সমর্থিত কট্টরপন্থীদের দ্বারা জনমত প্রভাবিত করার একটি কৌশল হতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন।
একই দিনে কেয়াহান পত্রিকায় সম্পাদক হোসেইন শারিয়তমাদারি লেখেন, ‘এখন সময় এসেছে বাহরাইনে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর ওপর সরাসরি আঘাত হানার।’
যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী ইরানি প্রবাসীদের একটি অংশ পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের সম্ভাবনাকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন। লস অ্যাঞ্জেলেসভিত্তিক সমাজকর্মী নাসরিন বাখশি বিবিসি ফারসিকে বলেন, ‘যদি রাষ্ট্র নাগরিকদের রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়, তবে শক্তির মাধ্যমেই তাকে বেঁচে থাকতে হবে।’ তবে প্রবাসী বুদ্ধিজীবীদের আরেকটি অংশ এই প্রবণতার বিরুদ্ধে।
ইউনিভার্সিটি অব টরন্টোর অধ্যাপক রেজা আসলান আল জাজিরাকে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘পারমাণবিক অস্ত্র আমাদের জাতিকে রক্ষা করবে না, বরং এক ধ্বংসাত্মক দৃষ্টান্ত তৈরি করবে।’ প্রখ্যাত ইরানি চলচ্চিত্র পরিচালক আসগর ফারহাদি তাঁর ইনস্টাগ্রামে লেখেন, ‘ইরান শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত লড়াই করে নিজেকে রক্ষা করবে।’
রাশিয়া ও চীন দুই দেশই ইরানের বিরুদ্ধে মার্কিন হামলার নিন্দা জানালেও পরমাণু অস্ত্র অর্জনে সরাসরি সমর্থন দেয়নি। ২৩ জুন মস্কোতে ক্রেমলিনে এক বৈঠকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, ‘সংঘাত আরও বাড়লে বিশ্বের জন্য তা বিপজ্জনক হবে।’
চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই একই দিনে বেইজিংয়ে অভিমত ব্যক্ত করেন যে ভবিষ্যতের সম্ভাব্য হুমকির অজুহাতে হামলা আন্তর্জাতিক নীতির জন্য ‘ভয়ানক দৃষ্টান্ত’ স্থাপন করবে।
পাকিস্তানভিত্তিক পত্রিকা ডনের ২৪ জুনের একটি কলামে বিশ্লেষক মুজাহিদ ইউসুফ লেখেন, ‘ইরান যদি নিজেকে আত্মরক্ষার অবস্থানে না দেখে, তবে সে আর নিজের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে পারবে না।’
পাকিস্তানে পারমাণবিক অস্ত্র একটি জাতীয় গর্বের প্রতীক। তবে ইরানের ক্ষেত্রে এর প্রেক্ষাপট ভিন্ন। অনেক ইসলামপন্থী গোষ্ঠী মনে করে ইরানের উচিত ধর্মীয় ঐতিহ্য অক্ষুণ্ন রাখা।
ফ্রান্সের পত্রিকা ল্যু মুন্দের সম্পাদকীয়তে বলা হয়, ‘ইরানি সমাজে নৈতিক দ্বন্দ্ব স্পষ্ট হয়ে উঠছে। একদিকে রয়েছে জাতীয় নিরাপত্তা, অন্যদিকে ধর্মীয় মূল্যবোধ।’ দেশটির আরেকটি সংবাদমাধ্যম ফ্রান্স২৪ এর এক আলোচনায় ইরানি বংশোদ্ভূত সমাজতাত্ত্বিক সারা মেহরান বলেন, ‘ইরানি জনগণ দুই ভাগে বিভক্ত। একটি অংশ চায় অস্ত্র, অন্য অংশ ধর্মীয় ফতোয়ার প্রতি আনুগত্য রাখতে চায়।’
ইরান-ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র সংঘাতের জেরে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের প্রশ্নে ইরানি জনমতের মধ্যে একটি স্পষ্ট পরিবর্তন লক্ষ করা যাচ্ছে। ধর্মীয় ফতোয়ার চেয়েও বর্তমানে জাতীয় নিরাপত্তা ও আত্মমর্যাদার প্রশ্ন বেশি প্রাধান্য পাচ্ছে। যদিও সরকার বলছে তাদের পরমাণু কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ। তবে সংঘাত পরিস্থিতিতে জন মনে অস্ত্র অর্জনের একটি ‘নৈতিক অবস্থান’ তৈরি হচ্ছে।
ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধের উদ্যোগ না নিলে রাশিয়ার জ্বালানির ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমনকি রাশিয়ার সঙ্গে যেসব দেশ বাণিজ্য করবে, তাদের ওপরেও দ্বিতীয় ধাপে নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিয়েছেন তিনি।
৯ ঘণ্টা আগেপ্রতিবেশী দেশ চীনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক খুব বেশি মধুর নয়। ২০২০ সালে হিমালয় সীমান্তে চীন ও ভারতের সেনাদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর দুই দেশের সম্পর্কের ব্যাপক অবনতি হয়। তবে গত মাসে রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত ব্রিকস সম্মেলনের ফাঁকে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে মোদির বৈঠকের পর দুই দেশের কূটনৈতিক সম্প
১৪ ঘণ্টা আগেঅতিবৃষ্টিতে ভারতের সেবক-রংপো রেল প্রকল্পের টানেলের 'স্লোপিং প্রোটেকশন ওয়াল' ধসে পড়েছে।
১ দিন আগেএই নতুন শুল্ক কার্যকর হওয়ার ফলে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের পণ্যের আমদানির ওপর মোট শুল্ক দাঁড়াল ৫০ শতাংশে। যা চীনের ওপর আরোপিত শুল্কের তুলনায় ২০ শতাংশ বেশি এবং পাকিস্তানের তুলনায় ২১ শতাংশ বেশি।
১ দিন আগে