leadT1ad

পাকিস্তানে আবাসিক ভবন ধসে ১৫ জনের মৃত্যু

স্ট্রিম ডেস্ক
প্রকাশ : ০৫ জুলাই ২০২৫, ১৬: ১৪
আপডেট : ০৫ জুলাই ২০২৫, ১৯: ৫১
ধসে পড়া ভবনের ধ্বংসাবশেষের মধ্যে উদ্ধার অভিযান চলছে। ছবি: এএফপি

করাচির লিয়া মার্কেট এলাকার পাঁচতলা ভবন ধসে পড়ার ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫-তে দাঁড়িয়েছে।

আজ শনিবার (৫ জুলাই) দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধার অভিযান চলছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো অন্তত ২৫ থেকে ৩০ জন আটকে পড়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

গতকাল শুক্রবার (৪ জুলাই) লিয়া মার্কেট এলাকার ফিদা হুসেইন শেখা রোডে অবস্থিত এই ভবনে প্রথমে ধসে পড়ে দুটি পিলার। এর কিছুক্ষণ পর গুঁড়িয়ে যায় পুরো বিল্ডিং।

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডনকে ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল (ডিআইজি) সাউথ সৈয়দ আসাদ রাজা জানান, কর্তৃপক্ষ আগেই এই ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছিল । সাম্প্রতিক বৃষ্টিপাতে ভবনটি আরও নাজুক হয়ে পড়ে ।

উদ্ধার অভিযানের নেতৃত্বে থাকা আবিদ জালালউদ্দিন শেখ বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘রাতভর অভিযান অব্যাহত ছিল। এ অভিযান শেষ হতে আরও ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা লাগতে পারে।’

জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা আরিফ আজিজ জানান, ভবনটিতে প্রায় ১০০ জন মানুষ বসবাস করতেন।

এই ঘটনার মাত্র কয়েক দিন আগেই করাচির খারাদার এলাকায় একটি ভবনের অংশবিশেষ ধসে পড়েছিল। তবে সেই ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।

এর আগে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে, সিন্ধু প্রাদেশিক অ্যাসেম্বলির ‘পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি’ প্রাদেশিক সরকারকে করাচি শহরের ঝুঁকিপূর্ণ ৫৭০টির বেশি ভবন থেকে দ্রুত লোকজন সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল।

পাকিস্তানের বিভিন্ন অঞ্চলে ভবন ও ছাদ ধসের ঘটনা প্রায়ই ঘটে। নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার ও নিরাপত্তা বিধিমালা না মানার কারণে এমন ঘটনা বাড়ছে।

দুই কোটির বেশি মানুষ বসবাস করছে করাচি শহরে। পুরোনো অবকাঠামো, অতিরিক্ত জনসংখ্যা ও ভবন নির্মাণ আইনের বাস্তবায়ন না হওয়ার কারণে এমন দুর্ঘটনা করাচিতে প্রায়ই ঘটে।

Ad 300x250

সম্পর্কিত