স্ট্রিম ডেস্ক

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফেন্টানিলকে ‘গণবিধ্বংসী অস্ত্র’ হিসেবে চিহ্নিত করতে একটি নির্বাহী আদেশে সই করার ঘোষণা দিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি ফেন্টানিল তৈরির মূল উপাদানগুলোকেও এই শ্রেণিভুক্ত করার কথা বলেছেন।
সোমবার এই ঘোষণা দেন ট্রাম্প। মাদক চোরাচালান ও কার্টেলবিরোধী অভিযানের পক্ষে যুক্তি দেখাতে তার প্রশাসন ক্রমেই সামরিক ধাঁচের ভাষা ব্যবহার করছে। এই সিদ্ধান্ত সেই ধারাবাহিকতারই অংশ।
ভেনেজুয়েলার সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যে গণবিধ্বংসী অস্ত্রের এই প্রসঙ্গ ইরাকে মার্কিন আগ্রাসনের স্মৃতি মনে করিয়ে দিচ্ছে। ইরাকে গণবিধ্বংসী অস্ত্র থাকার অভিযোগেই হামলা চালানো হয়েছিল।
এর আগে ট্রাম্প প্রশাসন মাদক চোরাচালানকারীদের ‘মাদক-সন্ত্রাসী’ বলে আখ্যা দেয়। লাতিন আমেরিকার বিভিন্ন কার্টেলকে ‘বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবেও ঘোষণা করা হয়।
ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি, আন্তর্জাতিক মাদক চোরাচালান গোষ্ঠীগুলো কেবল লাভের জন্য কাজ করে না। তারা যুক্তরাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যেও সক্রিয়।
সোমবার হোয়াইট হাউসে এক অনুষ্ঠানে ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের শত্রুরা ইচ্ছাকৃতভাবে ফেন্টানিল আমেরিকায় পাচার করছে। তার মতে, এর একটি উদ্দেশ্য হলো মার্কিন নাগরিকদের হত্যা করা।
তিনি বলেন, প্রাণঘাতী ফেন্টানিলের ভয়াবহ আগ্রাসন থেকে আমেরিকানদের রক্ষা করতে তিনি আরও একটি পদক্ষেপ নিচ্ছেন। এ জন্যই তিনি এই নির্বাহী আদেশে সই করছেন।
ট্রাম্প জানান, এই ঐতিহাসিক আদেশের মাধ্যমে ফেন্টানিলকে আনুষ্ঠানিকভাবে গণবিধ্বংসী অস্ত্র হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করা হবে।
তবে এই ঘোষণার বাস্তব প্রভাব কী হবে, তাৎক্ষণিকভাবে তা স্পষ্ট নয়। চিকিৎসার প্রয়োজনে বৈধভাবে ব্যবহৃত ফেন্টানিলের ক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্ত কী প্রভাব ফেলবে, সেটিও পরিষ্কার করা হয়নি।
নির্বাহী আদেশে মূলত সরকারি বিভিন্ন সংস্থার প্রধানদের কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উদ্দেশ্য হলো অবৈধ ফেন্টানিল ও এর মূল রাসায়নিক উপাদানগুলোর হুমকি দূর করা।
বর্তমান মার্কিন আইনে গণবিধ্বংসী অস্ত্রের একটি নির্দিষ্ট সংজ্ঞা রয়েছে। প্রেসিডেন্ট এককভাবে সেই আইন পরিবর্তন করতে পারেন না।
আইন অনুযায়ী, এমন অস্ত্রকে গণবিধ্বংসী বলা হয়, যা বিষাক্ত বা ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান ছড়িয়ে মানুষকে হত্যা বা গুরুতর ক্ষতি করার জন্য তৈরি। এর মধ্যে জীবাণু, বিষ বা জৈব উপাদানভিত্তিক অস্ত্রও অন্তর্ভুক্ত।
এ ছাড়া মানবজীবনের জন্য বিপজ্জনক মাত্রায় বিকিরণ বা তেজস্ক্রিয়তা ছড়াতে সক্ষম অস্ত্রও এই সংজ্ঞার আওতায় পড়ে। বোমা, ক্ষেপণাস্ত্র, গ্রেনেডসহ ধ্বংসাত্মক যন্ত্রকেও গণবিধ্বংসী অস্ত্র হিসেবে ধরা হয়।
ফেন্টানিল ইস্যুকে সামনে রেখে ট্রাম্প প্রশাসন মেক্সিকো ও চীনের ওপর শুল্ক বাড়িয়েছে। মাদক দমনের যুক্তিতে আরও কঠোর অর্থনৈতিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এই অভিযানের অংশ হিসেবে ক্যারিবীয় অঞ্চল ও পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরে সন্দেহভাজন মাদক বহনকারী নৌযানে হামলার ঘটনাও ঘটেছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলোর মতে, এসব হামলা বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শামিল হতে পারে।
ভেনেজুয়েলার উপকূলে সামরিক উপস্থিতিও জোরদার করা হয়েছে। ট্রাম্প একাধিকবার ভেনেজুয়েলার ভূখণ্ডে স্থল হামলার হুমকি দিয়েছেন।
সোমবারও তিনি সেই হুমকি পুনরাবৃত্তি করেন। তিনি বলেন, স্থলভাগে হামলা চালানো তুলনামূলকভাবে সহজ।
ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই চাপ সৃষ্টির লক্ষ্য তার সরকারকে উৎখাত করা।
তবে আঞ্চলিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভেনেজুয়েলা বা দক্ষিণ আমেরিকা ফেন্টানিল উৎপাদন বা রপ্তানির জন্য পরিচিত অঞ্চল নয়।
ওয়াশিংটন অফিস অন লাতিন আমেরিকার মাদকনীতি বিষয়ক পরিচালক জন ওয়ালশ বলেন, দক্ষিণ আমেরিকা থেকে ফেন্টানিল আসার কোনো প্রমাণ নেই। তার মতে, ভেনেজুয়েলা থেকেও ফেন্টানিল আসে না।
সমালোচকদের কেউ কেউ ট্রাম্পের ভেনেজুয়েলাবিরোধী প্রচারণার সঙ্গে ২০০৩ সালের ইরাক যুদ্ধের তুলনা করছেন। সে সময় সাদ্দাম হোসেনের সরকারের কাছে গণবিধ্বংসী অস্ত্র আছে—এই মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতেই যুক্তরাষ্ট্র ইরাক আক্রমণ করেছিল।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফেন্টানিলকে ‘গণবিধ্বংসী অস্ত্র’ হিসেবে চিহ্নিত করতে একটি নির্বাহী আদেশে সই করার ঘোষণা দিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি ফেন্টানিল তৈরির মূল উপাদানগুলোকেও এই শ্রেণিভুক্ত করার কথা বলেছেন।
সোমবার এই ঘোষণা দেন ট্রাম্প। মাদক চোরাচালান ও কার্টেলবিরোধী অভিযানের পক্ষে যুক্তি দেখাতে তার প্রশাসন ক্রমেই সামরিক ধাঁচের ভাষা ব্যবহার করছে। এই সিদ্ধান্ত সেই ধারাবাহিকতারই অংশ।
ভেনেজুয়েলার সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যে গণবিধ্বংসী অস্ত্রের এই প্রসঙ্গ ইরাকে মার্কিন আগ্রাসনের স্মৃতি মনে করিয়ে দিচ্ছে। ইরাকে গণবিধ্বংসী অস্ত্র থাকার অভিযোগেই হামলা চালানো হয়েছিল।
এর আগে ট্রাম্প প্রশাসন মাদক চোরাচালানকারীদের ‘মাদক-সন্ত্রাসী’ বলে আখ্যা দেয়। লাতিন আমেরিকার বিভিন্ন কার্টেলকে ‘বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবেও ঘোষণা করা হয়।
ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি, আন্তর্জাতিক মাদক চোরাচালান গোষ্ঠীগুলো কেবল লাভের জন্য কাজ করে না। তারা যুক্তরাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যেও সক্রিয়।
সোমবার হোয়াইট হাউসে এক অনুষ্ঠানে ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের শত্রুরা ইচ্ছাকৃতভাবে ফেন্টানিল আমেরিকায় পাচার করছে। তার মতে, এর একটি উদ্দেশ্য হলো মার্কিন নাগরিকদের হত্যা করা।
তিনি বলেন, প্রাণঘাতী ফেন্টানিলের ভয়াবহ আগ্রাসন থেকে আমেরিকানদের রক্ষা করতে তিনি আরও একটি পদক্ষেপ নিচ্ছেন। এ জন্যই তিনি এই নির্বাহী আদেশে সই করছেন।
ট্রাম্প জানান, এই ঐতিহাসিক আদেশের মাধ্যমে ফেন্টানিলকে আনুষ্ঠানিকভাবে গণবিধ্বংসী অস্ত্র হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করা হবে।
তবে এই ঘোষণার বাস্তব প্রভাব কী হবে, তাৎক্ষণিকভাবে তা স্পষ্ট নয়। চিকিৎসার প্রয়োজনে বৈধভাবে ব্যবহৃত ফেন্টানিলের ক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্ত কী প্রভাব ফেলবে, সেটিও পরিষ্কার করা হয়নি।
নির্বাহী আদেশে মূলত সরকারি বিভিন্ন সংস্থার প্রধানদের কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উদ্দেশ্য হলো অবৈধ ফেন্টানিল ও এর মূল রাসায়নিক উপাদানগুলোর হুমকি দূর করা।
বর্তমান মার্কিন আইনে গণবিধ্বংসী অস্ত্রের একটি নির্দিষ্ট সংজ্ঞা রয়েছে। প্রেসিডেন্ট এককভাবে সেই আইন পরিবর্তন করতে পারেন না।
আইন অনুযায়ী, এমন অস্ত্রকে গণবিধ্বংসী বলা হয়, যা বিষাক্ত বা ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান ছড়িয়ে মানুষকে হত্যা বা গুরুতর ক্ষতি করার জন্য তৈরি। এর মধ্যে জীবাণু, বিষ বা জৈব উপাদানভিত্তিক অস্ত্রও অন্তর্ভুক্ত।
এ ছাড়া মানবজীবনের জন্য বিপজ্জনক মাত্রায় বিকিরণ বা তেজস্ক্রিয়তা ছড়াতে সক্ষম অস্ত্রও এই সংজ্ঞার আওতায় পড়ে। বোমা, ক্ষেপণাস্ত্র, গ্রেনেডসহ ধ্বংসাত্মক যন্ত্রকেও গণবিধ্বংসী অস্ত্র হিসেবে ধরা হয়।
ফেন্টানিল ইস্যুকে সামনে রেখে ট্রাম্প প্রশাসন মেক্সিকো ও চীনের ওপর শুল্ক বাড়িয়েছে। মাদক দমনের যুক্তিতে আরও কঠোর অর্থনৈতিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এই অভিযানের অংশ হিসেবে ক্যারিবীয় অঞ্চল ও পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরে সন্দেহভাজন মাদক বহনকারী নৌযানে হামলার ঘটনাও ঘটেছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলোর মতে, এসব হামলা বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শামিল হতে পারে।
ভেনেজুয়েলার উপকূলে সামরিক উপস্থিতিও জোরদার করা হয়েছে। ট্রাম্প একাধিকবার ভেনেজুয়েলার ভূখণ্ডে স্থল হামলার হুমকি দিয়েছেন।
সোমবারও তিনি সেই হুমকি পুনরাবৃত্তি করেন। তিনি বলেন, স্থলভাগে হামলা চালানো তুলনামূলকভাবে সহজ।
ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই চাপ সৃষ্টির লক্ষ্য তার সরকারকে উৎখাত করা।
তবে আঞ্চলিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভেনেজুয়েলা বা দক্ষিণ আমেরিকা ফেন্টানিল উৎপাদন বা রপ্তানির জন্য পরিচিত অঞ্চল নয়।
ওয়াশিংটন অফিস অন লাতিন আমেরিকার মাদকনীতি বিষয়ক পরিচালক জন ওয়ালশ বলেন, দক্ষিণ আমেরিকা থেকে ফেন্টানিল আসার কোনো প্রমাণ নেই। তার মতে, ভেনেজুয়েলা থেকেও ফেন্টানিল আসে না।
সমালোচকদের কেউ কেউ ট্রাম্পের ভেনেজুয়েলাবিরোধী প্রচারণার সঙ্গে ২০০৩ সালের ইরাক যুদ্ধের তুলনা করছেন। সে সময় সাদ্দাম হোসেনের সরকারের কাছে গণবিধ্বংসী অস্ত্র আছে—এই মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতেই যুক্তরাষ্ট্র ইরাক আক্রমণ করেছিল।

অবশেষে ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং করপোরেশনের (বিবিসি) বিরুদ্ধে মামলা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মামলায় ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ লাখ ২২ হাজার ১৭৪ কোটি ৯০ লাখ টাকা) ক্ষতিপূরণ চেয়েছেন ট্রাম্প।
৮ ঘণ্টা আগে
ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরের নূর শামস শরণার্থী শিবিরে ২৫টি আবাসিক ভবন ভেঙে ফেলতে যাচ্ছে ইসরায়েল। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহেই এই ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হবে।
১৬ ঘণ্টা আগে
স্বাস্থ্যের অবনতি এবং তথ্যের শূন্যতার কারণে মিয়ানমারের কারাবন্দি নেত্রী অং সাং সু চির বেঁচে থাকা সংশয় তৈরি হয়েছে। এমনকি সু চির ছেলের দাবি, সূ চি হয়তো ইতোমধ্যে মারা গিয়ে থাকতে পারেন।
১ দিন আগে
২০১১ সালে সিরিয়ার একটি স্কুল প্রাঙ্গণের দেয়ালে কয়েকজন কিশোর একটি বার্তা লিখেছিল। সেখানে লেখা ছিল, ‘এবার তোমার পালা, ডাক্তার।’ এই লেখাটি ছিল একটি পরোক্ষ হুমকি। এতে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল যে, লন্ডনে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চক্ষু চিকিৎসক এবং তৎকালীন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদও আরব বসন্তে
২ দিন আগে