প্রকৃতির নিয়মে সন্তান জন্ম দেন মা। কিন্তু কয়েকটি প্রাণী আছে যারা এই নিয়মটাই উল্টে দিয়েছে। তাদের ক্ষেত্রে পুরুষই গর্ভবতী হয়, নিজের শরীরে সন্তান রাখে, আর জন্মও দেয়। শুনতে অবিশ্বাস্য লাগলেও সত্যি, সমুদ্রে এমন প্রাণী আছে যেখানে ‘বাবাই’হয়ে ওঠে ‘মা’।
মাহমুদ নেওয়াজ জয়
সমুদ্রের নিচে লুকিয়ে আছে অসংখ্য রহস্য, অসংখ্য বিস্ময়। আর সেই বিস্ময়ের ভেতরেও এমন প্রাণী আছে, যারা প্রকৃতির নিয়মকানুনই উল্টে দিয়েছে। সি হর্সের কথাই ধরা যাক। এই সামুদ্রিক ঘোড়া আসলে সিংনাথিডি পরিবারভুক্ত এক প্রজাতির বোনি ফিশ, অর্থাৎ হাড়যুক্ত মাছ।
যারা পশ্চিমবাংলার বিখ্যাত ব্যান্ড ‘মহীনের ঘোড়াগুলি’র গান শোনেন, তাঁরা সিহর্সকে অ্যালবামগুলোর কভারে দেখে থাকবেন। কিন্তু সিহর্স প্রকৃতির কোন নিয়ম উল্টে দিয়েছে? আসলে সি-হর্সের পুরুষ প্রজাতি গর্ভধারণ করে থাকে।
তবে শুধু সিহর্সই হয়, সিংনাথিডি পরিবারভুক্ত পাইপফিশ আর সিড্রাগন মাছেদের মধ্যেও এমন দেখা যায়।
পুরুষ ও স্ত্রী সিহর্স একে অপরের চারপাশে ভেসে বেড়ায়, রঙ বদলায়, আর নিজস্ব ছন্দে ছন্দে ভালোবাসার সংকেত পাঠায়। সম্পর্ক যখন দৃঢ় হয়, স্ত্রী সিহর্স তার ডিমগুলো পুরুষ সিহর্সের পেটের নিচে থাকা বিশেষ এক থলির (যাকে বলা হয় ব্রুড পাউচ) ভেতরে স্থানান্তর করে।
এই প্রক্রিয়াটি কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই সম্পন্ন হয়। থলির ভেতরে থাকে সমুদ্রের মতোই জল, আর সেই জলেই পুরুষ সিহর্স ছেড়ে দেয় তার শুক্রাণু। ডিম্বাণু ও শুক্রাণুর সংযোগে জন্ম নেয় ছোট ছোট সিহর্স ভ্রূণ।
পুরুষ সিহর্সের ব্রুড পাউচ থলিটি একেবারে জরায়ুর মতো কাজ করে। ভেতরে থাকে সূক্ষ্ম রক্তনালীর জাল, যা ভ্রূণকে অক্সিজেন ও পুষ্টি সরবরাহ করে। একই সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ করে ভেতরের তাপমাত্রা ও লবণাক্ততা, যাতে বাচ্চাগুলোর বৃদ্ধি বাধাহীনভাবে হয়।
প্রজাতি অনুযায়ী, পুরুষ সিহর্স সাধারণত দুই থেকে চার সপ্তাহ পর্যন্ত গর্ভবতী থাকে। এরপর সময় এলে তারা তীব্র পেশি-সংকোচনের মাধ্যমে একবারে থেকে ১,০০০ পর্যন্ত বাচ্চা প্রসব করে।
পুরুষ সিহর্স গর্ভাবস্থায় নিজের শরীরে থাকা প্রতিটি ভ্রূণের নিখুঁতভাবে যত্ন নেয়। এই গর্ভকালীন যত্নের কারণেই সিহর্সের বাচ্চাদের বেঁচে থাকার হার অন্যান্য মাছের তুলনায় অনেক বেশি।
তবে আশঙ্কার বিষয় হলো, এই বিস্ময়কর প্রাণীগুলোর সবচেয়ে বড় শত্রু হয়ে উঠেছে মানুষ নিজেই। বিশ্বজুড়ে সিহর্সের সংখ্যা দ্রুত কমে যাচ্ছে। এর পেছনে রয়েছে তিনটি প্রধান কারণ। প্রথমত, বৈধ ও অবৈধ বাণিজ্যে সিহর্সকে ব্যবহার করা হয় ঔষধ ও স্যুভেনির তৈরিতে। দ্বিতীয়ত, অ্যাকুয়ারিয়ামের প্রদর্শনের জন্য সিহর্স ধরা হয় ব্যাপকভাবে, যা তাদের প্রজনন প্রক্রিয়ায় সরাসরি আঘাত হানে। আর তৃতীয়ত, চিংড়ি ধরার জালে দুর্ঘটনাজনিতভাবে অসংখ্য সিহর্স আটকা পড়ে মারা যায়।
পুরুষ সিহর্স যেখানে থলির ভেতর ডিম রাখে, পাইপফিশ ও সিড্রাগনরা তাদের শরীরের নিচের অংশে ডিমগুলো বহন করে। একটি সূক্ষ্ম প্লাসেন্টার মতো সংযোগের মাধ্যমে তারাও সন্তানদের অক্সিজেন ও পুষ্টি সরবরাহ করে।
উইডি সিড্রাগনের ক্ষেত্রে ডিমগুলো শুরুতে গোলাপি থাকে। পরে ধীরে ধীরে গাঢ় লালচে হয়ে ওঠে। বিজ্ঞানীরা মনে করেন, এই আলাদা প্রজনন পদ্ধতি বিবর্তনেরই ফল। যখন পুরুষ সন্তান বহন করে, স্ত্রী ততদিনে নতুন ডিম প্রস্তুত করে। যা প্রজাতির টিকে থাকার সম্ভাবনা বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়।
সিহর্স খুবই লাজুক ও লুকানো স্বভাবের প্রাণী। তাদের দেখা পাওয়া যেন অনেকটা ভাগ্যের ব্যাপার। পৃথিবীর কিছু জায়গা আছে যেখানে প্রায়ই এই রহস্যময় মাছদের দেখা পাওয়া যায়।
বে আইল্যান্ডস, হন্ডুরাস
হন্ডুরাসের উপকূলের কাছে তিনটি ছোট দ্বীপ—রোয়াটান, ইউটিলা ও গুয়ানাজা। এখানকার উষ্ণ, স্বচ্ছ ক্যারিবীয় সাগরে আপনি যদি মনোযোগ দিয়ে খোঁজেন, তবে দেখতে পাবেন লাজুক সিহর্সের। বিশেষ করে ইউটিলার অগভীর ডকের আশেপাশে তাদেরকে প্রায়ই দেখা দেয়।
ইন্দোনেশিয়া
ইন্দোনেশিয়ার সমুদ্রজগৎ যেন সিহর্সদের আসল রাজ্য। বিশ্বের ক্ষুদ্রতম প্রজাতিগুলোর একটি ‘পিগমি সিহর্স’ এখানেই বাস করে। লেম্বেহ স্ট্রেইট, ওয়াকাতোবি ও রাজা আমপাট সিহর্সপ্রেমীদের কাছে স্বপ্নের নাম।
অস্ট্রেলিয়া
দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার ঠান্ডা পানিতে বাস করে লিফি সিড্রাগন। শরীরে পাতার মতো পাখনা, রঙিন ছায়া, আর চলাফেরায় এমন ছলনা যে শত্রুর চোখে পড়ে না কখনো। সিডনি হারবার, পোর্ট ফিলিপ বে ও ক্যাঙ্গারু আইল্যান্ডে সিহর্সদেরও প্রায়ই দেখা মেলে, বিশেষ করে গ্রীষ্মে যখন জলের স্রোত শান্ত থাকে।
বায়াহিবে, ডোমিনিকান রিপাবলিক
ডোমিনিকান রিপাবলিকের দক্ষিণ উপকূলে ছোট্ট শহর বায়াহিবে, যেখানে অ্যাকোয়ারিয়াম নামে পরিচিত একটি বিখ্যাত ডাইভসাইটে সিহর্স দেখা প্রায় নিশ্চিত। রঙিন প্রবাল আর স্রোতে ভাসমান সিহর্সদের দেখে মনে হয় যেন তারা নিজস্ব রাজ্যে নির্বাসিত কোনো রাজকীয় প্রাণী।
মিশর
লোহিত সাগর মানেই রঙিন মাছ, প্রবাল, আর নানা বিস্ময়। রাস মুহাম্মদ ন্যাশনাল পার্ক, তিরান দ্বীপ এবং গুবাল প্রণালী—এই তিন জায়গা সিহর্স দেখার আদর্শ স্থান। লালচে-বাদামি বালুর নিচে তারা লুকিয়ে থাকে, ঠিক যেন মরুভূমির ছায়া সাগরে ভেসে বেড়াচ্ছে।
ফিলিপাইন
আনিলাও, পুয়ের্তো গালেরা ও আপো আইল্যান্ডের সিহর্সরা ছোট। তবু রঙে-রূপে অতুলনীয়। সূর্যের আলো যখন প্রবালের ফাঁক গলে পড়ে, তখন তাদের দেখা পাওয়া যায়।
সেন্ট থমাস, ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জ
ক্যারিবীয় সাগরের মাঝখানে সেন্ট থমাসের দক্ষিণ প্রান্তের সাবায় প্রায়ই সিহর্সের দেখা মেলে।
থাইল্যান্ড
সিহর্স প্রেমীদের জন্য থাইল্যান্ড এক স্বপ্নের গন্তব্য। সেখানকার সিমিলান দ্বীপপুঞ্জ, কোহ ফি ফি ও কোহ টাও-তে দেখা যায় টাইগার টেইল ও কমন সিহর্স। স্বচ্ছ সমুদ্র, প্রবালের ছায়া আর স্রোতে তারা ভাসে।
তবে শুধু এই জায়গাগুলিতেই নয়, বিশ্বের যেকোনো উষ্ণ বা উপ-উষ্ণ সমুদ্রজলে ভাগ্য ভালো থাকলে আপনি হঠাৎই দেখা পেতে পারেন সিহর্সের।
সমুদ্রের নিচে লুকিয়ে আছে অসংখ্য রহস্য, অসংখ্য বিস্ময়। আর সেই বিস্ময়ের ভেতরেও এমন প্রাণী আছে, যারা প্রকৃতির নিয়মকানুনই উল্টে দিয়েছে। সি হর্সের কথাই ধরা যাক। এই সামুদ্রিক ঘোড়া আসলে সিংনাথিডি পরিবারভুক্ত এক প্রজাতির বোনি ফিশ, অর্থাৎ হাড়যুক্ত মাছ।
যারা পশ্চিমবাংলার বিখ্যাত ব্যান্ড ‘মহীনের ঘোড়াগুলি’র গান শোনেন, তাঁরা সিহর্সকে অ্যালবামগুলোর কভারে দেখে থাকবেন। কিন্তু সিহর্স প্রকৃতির কোন নিয়ম উল্টে দিয়েছে? আসলে সি-হর্সের পুরুষ প্রজাতি গর্ভধারণ করে থাকে।
তবে শুধু সিহর্সই হয়, সিংনাথিডি পরিবারভুক্ত পাইপফিশ আর সিড্রাগন মাছেদের মধ্যেও এমন দেখা যায়।
পুরুষ ও স্ত্রী সিহর্স একে অপরের চারপাশে ভেসে বেড়ায়, রঙ বদলায়, আর নিজস্ব ছন্দে ছন্দে ভালোবাসার সংকেত পাঠায়। সম্পর্ক যখন দৃঢ় হয়, স্ত্রী সিহর্স তার ডিমগুলো পুরুষ সিহর্সের পেটের নিচে থাকা বিশেষ এক থলির (যাকে বলা হয় ব্রুড পাউচ) ভেতরে স্থানান্তর করে।
এই প্রক্রিয়াটি কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই সম্পন্ন হয়। থলির ভেতরে থাকে সমুদ্রের মতোই জল, আর সেই জলেই পুরুষ সিহর্স ছেড়ে দেয় তার শুক্রাণু। ডিম্বাণু ও শুক্রাণুর সংযোগে জন্ম নেয় ছোট ছোট সিহর্স ভ্রূণ।
পুরুষ সিহর্সের ব্রুড পাউচ থলিটি একেবারে জরায়ুর মতো কাজ করে। ভেতরে থাকে সূক্ষ্ম রক্তনালীর জাল, যা ভ্রূণকে অক্সিজেন ও পুষ্টি সরবরাহ করে। একই সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ করে ভেতরের তাপমাত্রা ও লবণাক্ততা, যাতে বাচ্চাগুলোর বৃদ্ধি বাধাহীনভাবে হয়।
প্রজাতি অনুযায়ী, পুরুষ সিহর্স সাধারণত দুই থেকে চার সপ্তাহ পর্যন্ত গর্ভবতী থাকে। এরপর সময় এলে তারা তীব্র পেশি-সংকোচনের মাধ্যমে একবারে থেকে ১,০০০ পর্যন্ত বাচ্চা প্রসব করে।
পুরুষ সিহর্স গর্ভাবস্থায় নিজের শরীরে থাকা প্রতিটি ভ্রূণের নিখুঁতভাবে যত্ন নেয়। এই গর্ভকালীন যত্নের কারণেই সিহর্সের বাচ্চাদের বেঁচে থাকার হার অন্যান্য মাছের তুলনায় অনেক বেশি।
তবে আশঙ্কার বিষয় হলো, এই বিস্ময়কর প্রাণীগুলোর সবচেয়ে বড় শত্রু হয়ে উঠেছে মানুষ নিজেই। বিশ্বজুড়ে সিহর্সের সংখ্যা দ্রুত কমে যাচ্ছে। এর পেছনে রয়েছে তিনটি প্রধান কারণ। প্রথমত, বৈধ ও অবৈধ বাণিজ্যে সিহর্সকে ব্যবহার করা হয় ঔষধ ও স্যুভেনির তৈরিতে। দ্বিতীয়ত, অ্যাকুয়ারিয়ামের প্রদর্শনের জন্য সিহর্স ধরা হয় ব্যাপকভাবে, যা তাদের প্রজনন প্রক্রিয়ায় সরাসরি আঘাত হানে। আর তৃতীয়ত, চিংড়ি ধরার জালে দুর্ঘটনাজনিতভাবে অসংখ্য সিহর্স আটকা পড়ে মারা যায়।
পুরুষ সিহর্স যেখানে থলির ভেতর ডিম রাখে, পাইপফিশ ও সিড্রাগনরা তাদের শরীরের নিচের অংশে ডিমগুলো বহন করে। একটি সূক্ষ্ম প্লাসেন্টার মতো সংযোগের মাধ্যমে তারাও সন্তানদের অক্সিজেন ও পুষ্টি সরবরাহ করে।
উইডি সিড্রাগনের ক্ষেত্রে ডিমগুলো শুরুতে গোলাপি থাকে। পরে ধীরে ধীরে গাঢ় লালচে হয়ে ওঠে। বিজ্ঞানীরা মনে করেন, এই আলাদা প্রজনন পদ্ধতি বিবর্তনেরই ফল। যখন পুরুষ সন্তান বহন করে, স্ত্রী ততদিনে নতুন ডিম প্রস্তুত করে। যা প্রজাতির টিকে থাকার সম্ভাবনা বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়।
সিহর্স খুবই লাজুক ও লুকানো স্বভাবের প্রাণী। তাদের দেখা পাওয়া যেন অনেকটা ভাগ্যের ব্যাপার। পৃথিবীর কিছু জায়গা আছে যেখানে প্রায়ই এই রহস্যময় মাছদের দেখা পাওয়া যায়।
বে আইল্যান্ডস, হন্ডুরাস
হন্ডুরাসের উপকূলের কাছে তিনটি ছোট দ্বীপ—রোয়াটান, ইউটিলা ও গুয়ানাজা। এখানকার উষ্ণ, স্বচ্ছ ক্যারিবীয় সাগরে আপনি যদি মনোযোগ দিয়ে খোঁজেন, তবে দেখতে পাবেন লাজুক সিহর্সের। বিশেষ করে ইউটিলার অগভীর ডকের আশেপাশে তাদেরকে প্রায়ই দেখা দেয়।
ইন্দোনেশিয়া
ইন্দোনেশিয়ার সমুদ্রজগৎ যেন সিহর্সদের আসল রাজ্য। বিশ্বের ক্ষুদ্রতম প্রজাতিগুলোর একটি ‘পিগমি সিহর্স’ এখানেই বাস করে। লেম্বেহ স্ট্রেইট, ওয়াকাতোবি ও রাজা আমপাট সিহর্সপ্রেমীদের কাছে স্বপ্নের নাম।
অস্ট্রেলিয়া
দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার ঠান্ডা পানিতে বাস করে লিফি সিড্রাগন। শরীরে পাতার মতো পাখনা, রঙিন ছায়া, আর চলাফেরায় এমন ছলনা যে শত্রুর চোখে পড়ে না কখনো। সিডনি হারবার, পোর্ট ফিলিপ বে ও ক্যাঙ্গারু আইল্যান্ডে সিহর্সদেরও প্রায়ই দেখা মেলে, বিশেষ করে গ্রীষ্মে যখন জলের স্রোত শান্ত থাকে।
বায়াহিবে, ডোমিনিকান রিপাবলিক
ডোমিনিকান রিপাবলিকের দক্ষিণ উপকূলে ছোট্ট শহর বায়াহিবে, যেখানে অ্যাকোয়ারিয়াম নামে পরিচিত একটি বিখ্যাত ডাইভসাইটে সিহর্স দেখা প্রায় নিশ্চিত। রঙিন প্রবাল আর স্রোতে ভাসমান সিহর্সদের দেখে মনে হয় যেন তারা নিজস্ব রাজ্যে নির্বাসিত কোনো রাজকীয় প্রাণী।
মিশর
লোহিত সাগর মানেই রঙিন মাছ, প্রবাল, আর নানা বিস্ময়। রাস মুহাম্মদ ন্যাশনাল পার্ক, তিরান দ্বীপ এবং গুবাল প্রণালী—এই তিন জায়গা সিহর্স দেখার আদর্শ স্থান। লালচে-বাদামি বালুর নিচে তারা লুকিয়ে থাকে, ঠিক যেন মরুভূমির ছায়া সাগরে ভেসে বেড়াচ্ছে।
ফিলিপাইন
আনিলাও, পুয়ের্তো গালেরা ও আপো আইল্যান্ডের সিহর্সরা ছোট। তবু রঙে-রূপে অতুলনীয়। সূর্যের আলো যখন প্রবালের ফাঁক গলে পড়ে, তখন তাদের দেখা পাওয়া যায়।
সেন্ট থমাস, ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জ
ক্যারিবীয় সাগরের মাঝখানে সেন্ট থমাসের দক্ষিণ প্রান্তের সাবায় প্রায়ই সিহর্সের দেখা মেলে।
থাইল্যান্ড
সিহর্স প্রেমীদের জন্য থাইল্যান্ড এক স্বপ্নের গন্তব্য। সেখানকার সিমিলান দ্বীপপুঞ্জ, কোহ ফি ফি ও কোহ টাও-তে দেখা যায় টাইগার টেইল ও কমন সিহর্স। স্বচ্ছ সমুদ্র, প্রবালের ছায়া আর স্রোতে তারা ভাসে।
তবে শুধু এই জায়গাগুলিতেই নয়, বিশ্বের যেকোনো উষ্ণ বা উপ-উষ্ণ সমুদ্রজলে ভাগ্য ভালো থাকলে আপনি হঠাৎই দেখা পেতে পারেন সিহর্সের।
গতকাল মঙ্গলবার চ্যাটজিপিটি অ্যাটলাস নামে নতুন ব্রাউজার উন্মুক্ত করেছে এআই নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআই।
৪ ঘণ্টা আগেআজ কবি জীবনানন্দ দাশের মৃত্যুদিন। তাঁর অগণিত কবিতায় অজস্রবার ব্যবহৃত আকাশ নক্ষত্র নিহারীকা উল্কা ইত্যদি শব্দকল্প পড়তে পড়তে আপনার মনে কী গোপনে এই ভাবনার উদয় হয়না যে, তিনি খানিকটা সৌরজগৎপ্রেমীও ছিলেন?
৭ ঘণ্টা আগেচলতি বছরের ৪১তম পুরুষ ও ১৮তম মহিলা জাতীয় ভারোত্তোলন প্রতিযোগিতায় স্বর্ণপদক জিতেছেন টঙ্গীর এরশাদনগরের সুমাইয়া আক্তার। তাঁর গল্প উঠে এসেছে এই লেখায়।
১ দিন আগেফোন বেজে উঠলেই বুক ধড়ফড় করে, মাথায় চলে আসে নানান চিন্তা? পরিচিত নাম দেখেও আঙুল যায় না ‘রিসিভ’-এ? এমন ভয় বা অস্বস্তি কেন হয়, টেলিফোবিয়া কি রোগ? আর এই সমস্যা কীভাবে সামলানো যায়? এসব জানা যাবে এ লেখায়।
২ দিন আগে