আজ জাতীয় জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধন দিবস। প্রতি বছর ৬ অক্টোবরকে ‘জাতীয় জন্মনিবন্ধন দিবস’ এর পরিবর্তে ‘জাতীয় জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধন দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করা হয় ২০২১ সালে। নাগরিক অধিকার সুরক্ষায় জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধন করা জরুরি। এই আবেদন ঘরে বসে অনলাইনেই করা যায়। কিন্তু কীভাবে করবেন, কী কী কাগজপত্র প্রয়োজন হয়?
স্ট্রিম ডেস্ক
জন্মনিবন্ধন সনদ নাগরিকত্বের প্রথম রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি। একজন নাগরিকের তথ্য আইনগতভাবে সরকারি খাতায় লিপিবদ্ধ করাকে বলা হয় জন্মনিবন্ধন। ২০২৪ সালের জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধন আইন অনুসারে, প্রত্যেক বাংলাদেশি নাগরিকের অনলাইন জন্ম নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক।
অনলাইন জন্মনিবন্ধনের আবেদন করতে হলে প্রথমে যেতে হবে সরকারি ওয়েবসাইটে— bdris.gov.bd/br/application
প্রথম ধাপে জানতে চাওয়া হবে, আপনি জন্মনিবন্ধন সনদটি কোন ঠিকানায় গ্রহণ করবেন। যদি আপনি বিদেশে অবস্থান করেন এবং বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে জন্মনিবন্ধন করতে চান, তবে সেই অপশনটি নির্বাচন করতে হবে। এরপর ‘পরবর্তী’ বাটনে ক্লিক করলে আসবে মূল আবেদন ফরম।
এই ফরমে প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো খুব সতর্কতার সঙ্গে সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। সেখানে দিতে হবে শিশুর নাম বাংলায় (প্রথম অংশ ও শেষ অংশ) এবং ইংরেজিতে (প্রথম অংশ ও শেষ অংশ)। এরপর জন্মতারিখ, কততম সন্তান, লিঙ্গ, দেশ ও বিভাগ উল্লেখ করতে হবে। পাশাপাশি ডাকঘর, গ্রাম বা মহল্লা, বাড়ি ও রাস্তার নাম লিখতে হবে।
সব তথ্য পূরণ করে পরবর্তী বাটনে গেলে দিতে হবে মা-বাবার তথ্য, বাংলা ও ইংরেজি নাম, তাঁদের জন্মনিবন্ধন নম্বর বা জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর এবং জাতীয়তা। এরপর ‘পরবর্তী’ বাটনে ক্লিক করতে হবে। তারপর প্রয়োজনীয় তথ্য সংযুক্ত করে ‘সাবমিট’ করলে আবেদন সম্পন্ন হবে। আবেদনের পরপরই আপনি জানতে পারবেন জন্মনিবন্ধন কার্ডটি কবে সংগ্রহ করা যাবে।
২০০১ সালের আগে জন্ম হলে শুধুমাত্র মা-বাবার নাম দিলেই হবে। ২০০১ সালের পর জন্ম হলে মা-বাবার জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর দেওয়া বাধ্যতামূলক। এছাড়া আবেদনকারীর ফোন নম্বর দিতে হবে, যে নম্বরে আবেদন সংক্রান্ত সব বার্তা পাঠানো হবে।
অনলাইন আবেদন শেষ হলে প্রাপ্ত আবেদনপত্রটি ডাউনলোড করে প্রিন্ট নিতে হবে। এরপর সেটির সঙ্গে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংযুক্ত করে নিকটস্থ স্থানীয় সরকার কার্যালয়ে সর্বোচ্চ ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে জমা দিতে হবে নির্ধারিত ফিসহ।
জমা দেওয়ার সময় দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অফিস কপি রেখে একটি গ্রাহক কপি দেবেন। এরপর মোবাইলে জন্ম সনদ প্রস্তুত হওয়ার বার্তা এলে গ্রাহক কপিটি সঙ্গে নিয়ে নির্ধারিত তারিখে অফিস থেকে সনদ সংগ্রহ করতে হবে।
আর অনলাইন আবেদন জমা দেওয়ার পর একটি অ্যাপ্লিকেশন আইডি পাওয়া যায়। এই আইডি ও আবেদনকারীর জন্মতারিখ ব্যবহার করে সহজেই অনলাইনে জন্মনিবন্ধন আবেদনের বর্তমান অবস্থা জানা যায়।
শিশুর জন্মের পর প্রথম ৪৫ দিনের মধ্যে জন্মনিবন্ধনের আবেদন করতে হলে কিছু নির্দিষ্ট কাগজপত্র সঙ্গে রাখতে হবে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে অনলাইনে আবেদন করা ফর্মের প্রিন্ট কপি, শিশুর এক কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি এবং শিশুর ইপিআই টিকা কার্ড বা ইপিআই কর্মীর দেওয়া প্রত্যয়নপত্র।
এ ছাড়া জন্মস্থান ও জন্ম তারিখের প্রমাণ হিসেবে হাসপাতাল বা ক্লিনিক থেকে পাওয়া শিশুর জন্ম সনদের সত্যায়িত অনুলিপি অথবা বার্থ এটেনডেন্টের প্রত্যয়নপত্র বা শিশুর জন্ম সংক্রান্ত অন্য কোনো প্রমাণপত্র দিতে হবে। বাবা-মায়ের বাংলা ও ইংরেজি দুই ভাষায় অনলাইনে নিবন্ধিত জন্ম সনদ, তাঁদের জাতীয় পরিচয়পত্র, এবং শিশুর যেকোনো এক অভিভাবকের কর পরিশোধের প্রমাণ।
অন্যদিকে, বয়স ৫ বছরের বেশি হলে জন্ম নিবন্ধন করতে চাইলে কিছু অতিরিক্ত নথি লাগবে। যার ক্ষেত্রে যেটা প্রয়োজন, সেটা প্রদান করতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী, জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট বা মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষার সনদ, পিতা-মাতার স্থানীয় ঠিকানার কর পরিশোধের রশিদ অথবা জমি বা বাড়ি ক্রয়ের দলিল বা খাজনা দেওয়ার রশিদ।
পাশাপাশি পিতা ও মাতার অনলাইন জন্মনিবন্ধন কপি (যদি থাকে), জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি (যদি থাকে) এবং বয়স প্রমাণের জন্য চিকিৎসকের প্রত্যয়নপত্র দিতে হবে। সব নথি সঠিকভাবে সংযুক্ত করে জমা দিলে জন্ম নিবন্ধনের আবেদনটি গ্রহণ ও প্রক্রিয়াকরণ সম্পন্ন হয়।
৪৫ দিন বয়সী শিশুর জন্মনিবন্ধন করা যাবে বিনামূল্যে। ৪৬ দিন থেকে পাঁচ বছর বয়সী শিশুদের জন্ম নিবন্ধনের জন্য সরকার নির্ধারিত ফি ২৫ টাকা। আর দেশের বাইরে থেকে জন্ম নিবন্ধনের করার ক্ষেত্রে ফি লাগবে ১ মার্কিন ডলার।
জন্ম সনদ সংশোধন করতে ফি লাগবে ১০০ টাকা। আর দেশের বাইরের জন্ম সনদ সংশোধন প্রার্থীদের জন্য ২ মার্কিন ডলার। বাংলা-ইংরেজি দুই ভাষাতেই মূল সনদ বা তথ্য সংশোধনের পর সনদের আসল কপি বিনামূল্যে পাওয়া যাবে। তবে বাংলা-ইংরেজি দুই ভাষাতেই জন্ম নিবন্ধন সনদের নকল পেতে ৫০ টাকা লাগবে। আর দেশের বাইরের প্রার্থীদের জন্য ফি দিতে হবে ১ ডলার।
রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা, পারিবারিক সম্পত্তির বণ্টন, পেনশন প্রাপ্তি, জমি বা সম্পত্তির নামজারিসহ নানা প্রয়োজনে মৃত্যুনিবন্ধন করা জরুরি হয়ে ওঠে। মৃত্যু নিবন্ধনের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে হলে যেতে হবে সরকারি ওয়েবসাইটে—bdris.gov.bd/dr/application
ওয়েবসাইটে প্রবেশের পর মৃত্যুনিবন্ধন করতে ছয়টি ধাপ সম্পন্ন করতে হবে। প্রথমে মৃত ব্যক্তির জন্মনিবন্ধন নম্বার ও জন্ম তারিখ দিয়ে অনুসন্ধান করতে হবে। এরপর ফরমে দেশ, বিভাগ, জেলা, সিটি কর্পোরেশন/উপজেলা, পৌরসভা/ইউনিয়ন, মৃত্যুর তারিখ এবং মৃত্যুর কারণ ড্রপডাউন থেকে সিলেক্ট করতে হবে।
পাশাপাশি স্বামী বা স্ত্রীর জন্মনিবন্ধন নম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর এবং নাম (বাংলা ও ইংরেজি) দিতে হবে। আবেদনের জন্য মৃত ব্যক্তির মৃত্যুর স্থান ও বসবাসের তথ্যও প্রদান করতে হবে। মৃত্যুস্থানের বিবরণ এবং মৃত্যুর সময় বসবাসের ঠিকানা অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে।
আবেদনপত্র জমা দিতে হবে স্থানীয় সরকার বিভাগের ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশনে। আবেদনপত্র জমা দেওয়ার পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মৃত্যুনিবন্ধন সনদ প্রস্তুত করে দ্রুত সরবরাহ করবে।
মৃত্যুনিবন্ধনের জন্য বেশকিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের প্রয়োজন হয়। যেমন মৃত ব্যক্তির জন্মনিবন্ধন সনদের ফটোকপি, স্থায়ী ঠিকানা ও বর্তমান ঠিকানার তথ্য, মৃত্যুর তারিখ ও স্থান, এবং লাশ দাফন বা সৎকার সংক্রান্ত প্রমাণপত্র। মৃত্যুর তারিখ ও স্থান সংক্রান্ত প্রমাণপত্র আবশ্যক, যেমন ব্যক্তি কত তারিখে, কীভাবে (স্বাভাবিক না অস্বাভাবিকভাবে) এবং কোন এলাকায় মৃত্যুবরণ করেছেন। মৃত ব্যক্তির লাশ যেখানে দাফন বা সৎকার করা হয়েছে, সেখানকার রসিদও জমা দিতে হবে।
যদি মৃত ব্যক্তি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বা দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেন, তবে হাসপাতালের ছাড়পত্র ও হাসপাতাল থেকে দেওয়া মৃত্যুসনদ আবশ্যক। অপঘাতে মৃত্যু হলে থানা থেকে প্রাপ্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং ময়নাতদন্ত হলে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের ফটোকপিও সংরক্ষণ করতে হবে।
মৃত ব্যক্তির পক্ষ থেকে যিনি আবেদন করবেন, তাঁর জন্মনিবন্ধন নম্বর বা জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য আবেদনের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে। যেহেতু মৃত্যুনিবন্ধন একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল, মৃত ব্যক্তির পরিচয় নিশ্চিত হওয়া জরুরি। এজন্য শুধুমাত্র মৃত ব্যক্তির পরিবারের সদস্য, অন্যান্য অভিভাবক বা সরকারিভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তিই আবেদন করতে পারবেন। আবেদনকারীর তথ্য হিসেবে জন্মনিবন্ধন নম্বর, ফোন নম্বর এবং ঠিকানা অবশ্যই দিতে হবে।
মৃত্যুনিবন্ধনের ফি সংক্রান্ত নিয়ম অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তির মৃত্যুর ৪৫ দিনের মধ্যে আবেদন করলে কোনো ফি দিতে হয় না। ৪৫ দিন পেরিয়ে গেলে এবং মৃত্যুর তারিখ থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে আবেদন করলে ফি ২৫ টাকা। এই ফি স্থানীয় কার্যালয়ে সরাসরি জমা দেওয়া যায় বা অনলাইনেও প্রদান করা সম্ভব।
জন্মনিবন্ধন সনদ নাগরিকত্বের প্রথম রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি। একজন নাগরিকের তথ্য আইনগতভাবে সরকারি খাতায় লিপিবদ্ধ করাকে বলা হয় জন্মনিবন্ধন। ২০২৪ সালের জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধন আইন অনুসারে, প্রত্যেক বাংলাদেশি নাগরিকের অনলাইন জন্ম নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক।
অনলাইন জন্মনিবন্ধনের আবেদন করতে হলে প্রথমে যেতে হবে সরকারি ওয়েবসাইটে— bdris.gov.bd/br/application
প্রথম ধাপে জানতে চাওয়া হবে, আপনি জন্মনিবন্ধন সনদটি কোন ঠিকানায় গ্রহণ করবেন। যদি আপনি বিদেশে অবস্থান করেন এবং বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে জন্মনিবন্ধন করতে চান, তবে সেই অপশনটি নির্বাচন করতে হবে। এরপর ‘পরবর্তী’ বাটনে ক্লিক করলে আসবে মূল আবেদন ফরম।
এই ফরমে প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো খুব সতর্কতার সঙ্গে সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। সেখানে দিতে হবে শিশুর নাম বাংলায় (প্রথম অংশ ও শেষ অংশ) এবং ইংরেজিতে (প্রথম অংশ ও শেষ অংশ)। এরপর জন্মতারিখ, কততম সন্তান, লিঙ্গ, দেশ ও বিভাগ উল্লেখ করতে হবে। পাশাপাশি ডাকঘর, গ্রাম বা মহল্লা, বাড়ি ও রাস্তার নাম লিখতে হবে।
সব তথ্য পূরণ করে পরবর্তী বাটনে গেলে দিতে হবে মা-বাবার তথ্য, বাংলা ও ইংরেজি নাম, তাঁদের জন্মনিবন্ধন নম্বর বা জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর এবং জাতীয়তা। এরপর ‘পরবর্তী’ বাটনে ক্লিক করতে হবে। তারপর প্রয়োজনীয় তথ্য সংযুক্ত করে ‘সাবমিট’ করলে আবেদন সম্পন্ন হবে। আবেদনের পরপরই আপনি জানতে পারবেন জন্মনিবন্ধন কার্ডটি কবে সংগ্রহ করা যাবে।
২০০১ সালের আগে জন্ম হলে শুধুমাত্র মা-বাবার নাম দিলেই হবে। ২০০১ সালের পর জন্ম হলে মা-বাবার জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর দেওয়া বাধ্যতামূলক। এছাড়া আবেদনকারীর ফোন নম্বর দিতে হবে, যে নম্বরে আবেদন সংক্রান্ত সব বার্তা পাঠানো হবে।
অনলাইন আবেদন শেষ হলে প্রাপ্ত আবেদনপত্রটি ডাউনলোড করে প্রিন্ট নিতে হবে। এরপর সেটির সঙ্গে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংযুক্ত করে নিকটস্থ স্থানীয় সরকার কার্যালয়ে সর্বোচ্চ ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে জমা দিতে হবে নির্ধারিত ফিসহ।
জমা দেওয়ার সময় দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অফিস কপি রেখে একটি গ্রাহক কপি দেবেন। এরপর মোবাইলে জন্ম সনদ প্রস্তুত হওয়ার বার্তা এলে গ্রাহক কপিটি সঙ্গে নিয়ে নির্ধারিত তারিখে অফিস থেকে সনদ সংগ্রহ করতে হবে।
আর অনলাইন আবেদন জমা দেওয়ার পর একটি অ্যাপ্লিকেশন আইডি পাওয়া যায়। এই আইডি ও আবেদনকারীর জন্মতারিখ ব্যবহার করে সহজেই অনলাইনে জন্মনিবন্ধন আবেদনের বর্তমান অবস্থা জানা যায়।
শিশুর জন্মের পর প্রথম ৪৫ দিনের মধ্যে জন্মনিবন্ধনের আবেদন করতে হলে কিছু নির্দিষ্ট কাগজপত্র সঙ্গে রাখতে হবে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে অনলাইনে আবেদন করা ফর্মের প্রিন্ট কপি, শিশুর এক কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি এবং শিশুর ইপিআই টিকা কার্ড বা ইপিআই কর্মীর দেওয়া প্রত্যয়নপত্র।
এ ছাড়া জন্মস্থান ও জন্ম তারিখের প্রমাণ হিসেবে হাসপাতাল বা ক্লিনিক থেকে পাওয়া শিশুর জন্ম সনদের সত্যায়িত অনুলিপি অথবা বার্থ এটেনডেন্টের প্রত্যয়নপত্র বা শিশুর জন্ম সংক্রান্ত অন্য কোনো প্রমাণপত্র দিতে হবে। বাবা-মায়ের বাংলা ও ইংরেজি দুই ভাষায় অনলাইনে নিবন্ধিত জন্ম সনদ, তাঁদের জাতীয় পরিচয়পত্র, এবং শিশুর যেকোনো এক অভিভাবকের কর পরিশোধের প্রমাণ।
অন্যদিকে, বয়স ৫ বছরের বেশি হলে জন্ম নিবন্ধন করতে চাইলে কিছু অতিরিক্ত নথি লাগবে। যার ক্ষেত্রে যেটা প্রয়োজন, সেটা প্রদান করতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী, জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট বা মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষার সনদ, পিতা-মাতার স্থানীয় ঠিকানার কর পরিশোধের রশিদ অথবা জমি বা বাড়ি ক্রয়ের দলিল বা খাজনা দেওয়ার রশিদ।
পাশাপাশি পিতা ও মাতার অনলাইন জন্মনিবন্ধন কপি (যদি থাকে), জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি (যদি থাকে) এবং বয়স প্রমাণের জন্য চিকিৎসকের প্রত্যয়নপত্র দিতে হবে। সব নথি সঠিকভাবে সংযুক্ত করে জমা দিলে জন্ম নিবন্ধনের আবেদনটি গ্রহণ ও প্রক্রিয়াকরণ সম্পন্ন হয়।
৪৫ দিন বয়সী শিশুর জন্মনিবন্ধন করা যাবে বিনামূল্যে। ৪৬ দিন থেকে পাঁচ বছর বয়সী শিশুদের জন্ম নিবন্ধনের জন্য সরকার নির্ধারিত ফি ২৫ টাকা। আর দেশের বাইরে থেকে জন্ম নিবন্ধনের করার ক্ষেত্রে ফি লাগবে ১ মার্কিন ডলার।
জন্ম সনদ সংশোধন করতে ফি লাগবে ১০০ টাকা। আর দেশের বাইরের জন্ম সনদ সংশোধন প্রার্থীদের জন্য ২ মার্কিন ডলার। বাংলা-ইংরেজি দুই ভাষাতেই মূল সনদ বা তথ্য সংশোধনের পর সনদের আসল কপি বিনামূল্যে পাওয়া যাবে। তবে বাংলা-ইংরেজি দুই ভাষাতেই জন্ম নিবন্ধন সনদের নকল পেতে ৫০ টাকা লাগবে। আর দেশের বাইরের প্রার্থীদের জন্য ফি দিতে হবে ১ ডলার।
রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা, পারিবারিক সম্পত্তির বণ্টন, পেনশন প্রাপ্তি, জমি বা সম্পত্তির নামজারিসহ নানা প্রয়োজনে মৃত্যুনিবন্ধন করা জরুরি হয়ে ওঠে। মৃত্যু নিবন্ধনের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে হলে যেতে হবে সরকারি ওয়েবসাইটে—bdris.gov.bd/dr/application
ওয়েবসাইটে প্রবেশের পর মৃত্যুনিবন্ধন করতে ছয়টি ধাপ সম্পন্ন করতে হবে। প্রথমে মৃত ব্যক্তির জন্মনিবন্ধন নম্বার ও জন্ম তারিখ দিয়ে অনুসন্ধান করতে হবে। এরপর ফরমে দেশ, বিভাগ, জেলা, সিটি কর্পোরেশন/উপজেলা, পৌরসভা/ইউনিয়ন, মৃত্যুর তারিখ এবং মৃত্যুর কারণ ড্রপডাউন থেকে সিলেক্ট করতে হবে।
পাশাপাশি স্বামী বা স্ত্রীর জন্মনিবন্ধন নম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর এবং নাম (বাংলা ও ইংরেজি) দিতে হবে। আবেদনের জন্য মৃত ব্যক্তির মৃত্যুর স্থান ও বসবাসের তথ্যও প্রদান করতে হবে। মৃত্যুস্থানের বিবরণ এবং মৃত্যুর সময় বসবাসের ঠিকানা অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে।
আবেদনপত্র জমা দিতে হবে স্থানীয় সরকার বিভাগের ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশনে। আবেদনপত্র জমা দেওয়ার পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মৃত্যুনিবন্ধন সনদ প্রস্তুত করে দ্রুত সরবরাহ করবে।
মৃত্যুনিবন্ধনের জন্য বেশকিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের প্রয়োজন হয়। যেমন মৃত ব্যক্তির জন্মনিবন্ধন সনদের ফটোকপি, স্থায়ী ঠিকানা ও বর্তমান ঠিকানার তথ্য, মৃত্যুর তারিখ ও স্থান, এবং লাশ দাফন বা সৎকার সংক্রান্ত প্রমাণপত্র। মৃত্যুর তারিখ ও স্থান সংক্রান্ত প্রমাণপত্র আবশ্যক, যেমন ব্যক্তি কত তারিখে, কীভাবে (স্বাভাবিক না অস্বাভাবিকভাবে) এবং কোন এলাকায় মৃত্যুবরণ করেছেন। মৃত ব্যক্তির লাশ যেখানে দাফন বা সৎকার করা হয়েছে, সেখানকার রসিদও জমা দিতে হবে।
যদি মৃত ব্যক্তি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বা দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেন, তবে হাসপাতালের ছাড়পত্র ও হাসপাতাল থেকে দেওয়া মৃত্যুসনদ আবশ্যক। অপঘাতে মৃত্যু হলে থানা থেকে প্রাপ্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং ময়নাতদন্ত হলে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের ফটোকপিও সংরক্ষণ করতে হবে।
মৃত ব্যক্তির পক্ষ থেকে যিনি আবেদন করবেন, তাঁর জন্মনিবন্ধন নম্বর বা জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য আবেদনের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে। যেহেতু মৃত্যুনিবন্ধন একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল, মৃত ব্যক্তির পরিচয় নিশ্চিত হওয়া জরুরি। এজন্য শুধুমাত্র মৃত ব্যক্তির পরিবারের সদস্য, অন্যান্য অভিভাবক বা সরকারিভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তিই আবেদন করতে পারবেন। আবেদনকারীর তথ্য হিসেবে জন্মনিবন্ধন নম্বর, ফোন নম্বর এবং ঠিকানা অবশ্যই দিতে হবে।
মৃত্যুনিবন্ধনের ফি সংক্রান্ত নিয়ম অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তির মৃত্যুর ৪৫ দিনের মধ্যে আবেদন করলে কোনো ফি দিতে হয় না। ৪৫ দিন পেরিয়ে গেলে এবং মৃত্যুর তারিখ থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে আবেদন করলে ফি ২৫ টাকা। এই ফি স্থানীয় কার্যালয়ে সরাসরি জমা দেওয়া যায় বা অনলাইনেও প্রদান করা সম্ভব।
টোল-মক্তব থেকে হালের অনলাইন টিচিং, এই দীর্ঘ যাত্রা সমাজ রূপান্তরের ইতিহাসও বটে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সম্পর্ক, নৈতিকতার চর্চা এবং সমাজে জ্ঞানের অবস্থানও এখানে আলোচ্য। বিশ্ব শিক্ষক দিবসে ফিরে তাকানো যাক ইতিহাসের দিকে। দেখা যাবে, প্রতিটি ধাপে শিক্ষক ছিলেন পরিবর্তনের কেন্দ্রে।
১ দিন আগেইতালির তুসকানি রাজ্যের ফ্লোরেন্সের কাছেই অবস্থিত এক অখ্যাত গ্রাম বারবিয়ানা। সেই গ্রামে এক স্কুল ছিল। সেই স্কুলের আটজন ছাত্র মিলে তাদের শিক্ষকদের লিখেছিল কিছু কথা। জীবন ঘষে পাওয়া সেই প্রতিটা শব্দ যেন ভাবায় আমাদের, জানায় অমিত সম্ভাবনার জীবনকে কীভাবে আমরা নষ্ট করে ফেলি অযোগ্য মানুষের ভুল দিকনির্দেশনায়।
১ দিন আগেবাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্বদ্যিালয়ের অধ্যাপক শোয়াইব জিবরান। শিক্ষা নিয়ে কাজ করছেন দীর্ঘদিন। আজ বিশ্ব শিক্ষক দিবসে ওই বই সম্পাদনার অভিজ্ঞতাসহ বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থার নানা অসঙ্গতি নিয়ে স্ট্রিম-এর মুখোমুখি হয়েছেন তিনি।
১ দিন আগেখেতে ভালোবাসেন? ঘুরে ঘুরে কিছু কিনতেও মন্দ লাগে না? শহরের ভেতরেই যদি এমন কোনো জায়গা পাওয়া যায়, যেখানে একসঙ্গে পাওয়া যায় খাবার, আড্ডা আর কেনাকাটার আনন্দ—তবে সেটি নিঃসন্দেহে অনেকের কাছেই সেটি প্রিয় গন্তব্য।
১ দিন আগে