জুলাই মাসকে যুক্তরাজ্যে বলা হয় ‘জাতীয় পিকনিক মাস’। ব্রিটিশেরা কেন এক মাস ধরে পিকনিক করে? আর জুলাই মাসকেই কেন তারা পিকনিকের মাস হিসেবে বেছে নিল?
অনন্ত রায়হান

‘পিকনিক’ শব্দটা শুনলেই মনটা যেন সেই ছোটবেলায় ফিরে যেতে চায়। চোখের সামনে ভেসে ওঠে ফাঁকা মাঠ কিংবা বাড়ির পাশের মেহগনি বাগানের ছবি। সেখানে মাদুর পেতে বসে কেউ ফল কাটছে, কেউ আবার গল্পের আসরে মজেছে।
পিকনিককে বাংলায় আমরা বনভোজন বা চড়ুইভাতি বলি। পিকনিক আর ‘ট্যুর’ এক নয়। অনেকে মিলে কাছাকাছি বা আশেপাশে কোথাও গিয়ে খাওয়া-দাওয়া আর আড্ডাই পিকনিক। কিন্তু আমরা বাংলাদেশিরা ট্যুর আর পিকনিককে খানিকটা এক করে ফেলেছি। শীত এলেই একটু বনভোজন-বনভোজন ভাব আসে আমাদের। অফিসের পিকনিক, স্কুলের বার্ষিক বনভোজন, বন্ধুবান্ধবদের দলবেঁধে হইহুল্লোড়। আর বিশেষ বিশেষ উপলক্ষে তো সারা বছর পিকনিক লেগেই থাকে। সেটা হোক প্রিয় ফুটবল ক্লাবের জিতে যাওয়া, সেমিস্টার পরীক্ষা শেষ হওয়া কিংবা বন্ধুর নতুন মোটরসাইকেল কেনা।
জানেন কি, যুক্তরাজ্যে পিকনিকের জন্য আলাদা করে এক মাস বরাদ্দ আছে? পুরো জুলাই মাসজুড়েই চলে তাদের ‘ন্যাশনাল পিকনিক মান্থ’। আমরা ছুটির সুযোগে দেশ বা দেশের বাইরে ঘুরতে যাই। কিংবা এক দিনের সাপ্তাহিক ছুটিতেই ঢাকার আশেপাশের কোনো রিসোর্টে গিয়ে বন্ধু বা পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাই।
আর ওরা, মানে ইংল্যান্ড-স্কটল্যান্ড-ওয়েলসের মানুষজন, জুলাই মাসটা একেবারে পিকনিকের জন্যেই রেখে দিয়েছে। কিন্তু কেন?

কারণটা আসলে আবহাওয়ার। ইংল্যান্ডে তো সারাবছরই গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি আর মেঘলা আকাশ থাকে। রোদ ওঠে খুব কম। কিন্তু জুলাই মাসটা একটু আলাদা। এই সময়টাতে সবচেয়ে বেশি রোদ পাওয়া যায়। স্কুল-কলেজ ছুটি থাকে আর তাপমাত্রাও থাকে আরামদায়ক।
এই সময় বাইরে সময় কাটানো মানে—গায়ে রোদ মাখা, ঘাসে গড়াগড়ি খাওয়া, খোলা আকাশের নিচে বসে পছন্দের খাবার খাওয়া।
তাই ‘জাতীয় পিকনিক মাস’ বলেই ডাকা হয় পুরো জুলাই মাসকে। এমনকি ১ জুলাই থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত তাদের বিভিন্ন শহরের পার্ক, বোটানিক্যাল গার্ডেন, সমুদ্রতীর—সব জায়গায় দেখা যায় রঙিন চাদর পেতে বসা মানুষ। আর সবার মুখে একটুখানি হাসি।
যুক্তরাজ্যে এখন পিকনিক মানে শুধু খোলা জায়গায় বসে খাওয়া-দাওয়া নয়। এটা এখন একরকম আয়োজন, একরকম স্টাইল। পিকনিক হয় থিম ধরে ধরে। ‘পটলাক পিকনিক’ আজকাল বেশ জনপ্রিয়। মানে সবাই নিজের বাড়ি থেকে রান্না করে আনে, তারপর সব খাবার একসঙ্গে মিলে খায়।
অনেকে আবার পিকনিকে যায় একদম প্রকৃতির কাছে। কেউ নদীর ধারে বসে, কেউ বনের ভেতর গিয়ে, কেউ আবার পাহাড়ি ঝর্ণার পাশে জায়গা খুঁজে নেয়। যুক্তরাজ্যে এমন জায়গারও কমতি নেই। টেমস নদীর পাড় থেকে শুরু করে লেক ডিস্ট্রিক্ট, স্কটল্যান্ডের ঝর্ণা কিংবা ওয়েলসের সবুজ উপত্যকা। সবই যেন পিকনিক স্পট। সেখানে কেউ গিটার বাজায়, কেউ ছবি আঁকে, কেউ আবার চুপচাপ বসে রোদের নিচে চোখ বুজে থাকে।
নতুন এক ধারা চালু হয়েছে, ‘স্টাডি পিকনিক’ বা ‘ওয়ার্ক পিকনিক’। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়ারা এখন ল্যাপটপ, খাতা নিয়ে চলে যায় মাঠে। সেখানে বসেই চলে ক্লাসের এসাইনমেন্টের কাজ।
তবে পরিবেশ নিয়ে তাদের সচেতনতা চোখে পড়ার মতো। এখন আর কেউ প্লাস্টিক ব্যবহার করে না। কাঠের চামচ, কাগজের থালা, কাপড়ের ব্যাগ—পিকনিকে এখন এসবেরই চল। আর খাওয়া-দাওয়া শেষে সবাই জায়গাটা পরিষ্কার করে তবেই বাড়ি ফেরে।

শুধু একদিন নয়, পুরো একটা মাস পিকনিক করে যুক্তরাজ্যের মানুষজন। যেন একটু আরাম পেতে চায়। তাদের কাছে পিকনিক মানে শুধু খোলা আকাশের নিচে বসে খাওয়া-দাওয়া নয়, এটা পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর একটা সুন্দর সুযোগ। বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা মেরে সম্পর্ক আরও গাঢ় করার মাধ্যমও পিকনিক। হালকা একটা আয়োজনেই সবাই মিলে মজা করে, নতুন স্মৃতি তৈরি হয়। এতে মানসিক চাপ কমে যায়, কারণ বাইরে গিয়েই আমাদের শরীর আর মন একটু শান্ত হয়। রোদ, হাওয়া আর সবুজ ঘাস মন ভালো করার শক্তি রাখে।
পিকনিকের আরেকটা ভালো দিক হলো, শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন-ডি পাওয়া। যারা বেশি সময় ঘরের ভেতরে থাকে, তাঁদের অনেক সময় এই ভিটামিনের অভাব হয়। আর সুস্থ খাবার খাওয়া, একটু হাঁটা বা গিটার বাজানো, বই পড়ার মতো কাজগুলো আমাদের মন আর শরীর দুটোই ভালো রাখে।
আর এখন শহরের জীবন যাদের জন্য একটু কঠিন, তাঁরা পিকনিক স্পটগুলোকে মুক্তির জায়গা হিসেবে দেখে। সেখানে সবাই একসঙ্গে হাসে, গান গায়, আর ভালো সময় কাটায়। তাই সারা বছর মানুষের মধ্যে পিকনিক করার ইচ্ছা জাগানোর জন্য ব্রিটেনে পুরো জুলাই মাসকে পিকনিক মাস হিসেবে পালন করা হয়। এটা মানুষকে স্বস্তি দেওয়ার, নিঃশ্বাস নেওয়ার আর জীবনের আনন্দ নিতে শেখানোর একটা চেষ্টা।

‘পিকনিক’ শব্দটা শুনলেই মনটা যেন সেই ছোটবেলায় ফিরে যেতে চায়। চোখের সামনে ভেসে ওঠে ফাঁকা মাঠ কিংবা বাড়ির পাশের মেহগনি বাগানের ছবি। সেখানে মাদুর পেতে বসে কেউ ফল কাটছে, কেউ আবার গল্পের আসরে মজেছে।
পিকনিককে বাংলায় আমরা বনভোজন বা চড়ুইভাতি বলি। পিকনিক আর ‘ট্যুর’ এক নয়। অনেকে মিলে কাছাকাছি বা আশেপাশে কোথাও গিয়ে খাওয়া-দাওয়া আর আড্ডাই পিকনিক। কিন্তু আমরা বাংলাদেশিরা ট্যুর আর পিকনিককে খানিকটা এক করে ফেলেছি। শীত এলেই একটু বনভোজন-বনভোজন ভাব আসে আমাদের। অফিসের পিকনিক, স্কুলের বার্ষিক বনভোজন, বন্ধুবান্ধবদের দলবেঁধে হইহুল্লোড়। আর বিশেষ বিশেষ উপলক্ষে তো সারা বছর পিকনিক লেগেই থাকে। সেটা হোক প্রিয় ফুটবল ক্লাবের জিতে যাওয়া, সেমিস্টার পরীক্ষা শেষ হওয়া কিংবা বন্ধুর নতুন মোটরসাইকেল কেনা।
জানেন কি, যুক্তরাজ্যে পিকনিকের জন্য আলাদা করে এক মাস বরাদ্দ আছে? পুরো জুলাই মাসজুড়েই চলে তাদের ‘ন্যাশনাল পিকনিক মান্থ’। আমরা ছুটির সুযোগে দেশ বা দেশের বাইরে ঘুরতে যাই। কিংবা এক দিনের সাপ্তাহিক ছুটিতেই ঢাকার আশেপাশের কোনো রিসোর্টে গিয়ে বন্ধু বা পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাই।
আর ওরা, মানে ইংল্যান্ড-স্কটল্যান্ড-ওয়েলসের মানুষজন, জুলাই মাসটা একেবারে পিকনিকের জন্যেই রেখে দিয়েছে। কিন্তু কেন?

কারণটা আসলে আবহাওয়ার। ইংল্যান্ডে তো সারাবছরই গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি আর মেঘলা আকাশ থাকে। রোদ ওঠে খুব কম। কিন্তু জুলাই মাসটা একটু আলাদা। এই সময়টাতে সবচেয়ে বেশি রোদ পাওয়া যায়। স্কুল-কলেজ ছুটি থাকে আর তাপমাত্রাও থাকে আরামদায়ক।
এই সময় বাইরে সময় কাটানো মানে—গায়ে রোদ মাখা, ঘাসে গড়াগড়ি খাওয়া, খোলা আকাশের নিচে বসে পছন্দের খাবার খাওয়া।
তাই ‘জাতীয় পিকনিক মাস’ বলেই ডাকা হয় পুরো জুলাই মাসকে। এমনকি ১ জুলাই থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত তাদের বিভিন্ন শহরের পার্ক, বোটানিক্যাল গার্ডেন, সমুদ্রতীর—সব জায়গায় দেখা যায় রঙিন চাদর পেতে বসা মানুষ। আর সবার মুখে একটুখানি হাসি।
যুক্তরাজ্যে এখন পিকনিক মানে শুধু খোলা জায়গায় বসে খাওয়া-দাওয়া নয়। এটা এখন একরকম আয়োজন, একরকম স্টাইল। পিকনিক হয় থিম ধরে ধরে। ‘পটলাক পিকনিক’ আজকাল বেশ জনপ্রিয়। মানে সবাই নিজের বাড়ি থেকে রান্না করে আনে, তারপর সব খাবার একসঙ্গে মিলে খায়।
অনেকে আবার পিকনিকে যায় একদম প্রকৃতির কাছে। কেউ নদীর ধারে বসে, কেউ বনের ভেতর গিয়ে, কেউ আবার পাহাড়ি ঝর্ণার পাশে জায়গা খুঁজে নেয়। যুক্তরাজ্যে এমন জায়গারও কমতি নেই। টেমস নদীর পাড় থেকে শুরু করে লেক ডিস্ট্রিক্ট, স্কটল্যান্ডের ঝর্ণা কিংবা ওয়েলসের সবুজ উপত্যকা। সবই যেন পিকনিক স্পট। সেখানে কেউ গিটার বাজায়, কেউ ছবি আঁকে, কেউ আবার চুপচাপ বসে রোদের নিচে চোখ বুজে থাকে।
নতুন এক ধারা চালু হয়েছে, ‘স্টাডি পিকনিক’ বা ‘ওয়ার্ক পিকনিক’। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়ারা এখন ল্যাপটপ, খাতা নিয়ে চলে যায় মাঠে। সেখানে বসেই চলে ক্লাসের এসাইনমেন্টের কাজ।
তবে পরিবেশ নিয়ে তাদের সচেতনতা চোখে পড়ার মতো। এখন আর কেউ প্লাস্টিক ব্যবহার করে না। কাঠের চামচ, কাগজের থালা, কাপড়ের ব্যাগ—পিকনিকে এখন এসবেরই চল। আর খাওয়া-দাওয়া শেষে সবাই জায়গাটা পরিষ্কার করে তবেই বাড়ি ফেরে।

শুধু একদিন নয়, পুরো একটা মাস পিকনিক করে যুক্তরাজ্যের মানুষজন। যেন একটু আরাম পেতে চায়। তাদের কাছে পিকনিক মানে শুধু খোলা আকাশের নিচে বসে খাওয়া-দাওয়া নয়, এটা পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর একটা সুন্দর সুযোগ। বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা মেরে সম্পর্ক আরও গাঢ় করার মাধ্যমও পিকনিক। হালকা একটা আয়োজনেই সবাই মিলে মজা করে, নতুন স্মৃতি তৈরি হয়। এতে মানসিক চাপ কমে যায়, কারণ বাইরে গিয়েই আমাদের শরীর আর মন একটু শান্ত হয়। রোদ, হাওয়া আর সবুজ ঘাস মন ভালো করার শক্তি রাখে।
পিকনিকের আরেকটা ভালো দিক হলো, শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন-ডি পাওয়া। যারা বেশি সময় ঘরের ভেতরে থাকে, তাঁদের অনেক সময় এই ভিটামিনের অভাব হয়। আর সুস্থ খাবার খাওয়া, একটু হাঁটা বা গিটার বাজানো, বই পড়ার মতো কাজগুলো আমাদের মন আর শরীর দুটোই ভালো রাখে।
আর এখন শহরের জীবন যাদের জন্য একটু কঠিন, তাঁরা পিকনিক স্পটগুলোকে মুক্তির জায়গা হিসেবে দেখে। সেখানে সবাই একসঙ্গে হাসে, গান গায়, আর ভালো সময় কাটায়। তাই সারা বছর মানুষের মধ্যে পিকনিক করার ইচ্ছা জাগানোর জন্য ব্রিটেনে পুরো জুলাই মাসকে পিকনিক মাস হিসেবে পালন করা হয়। এটা মানুষকে স্বস্তি দেওয়ার, নিঃশ্বাস নেওয়ার আর জীবনের আনন্দ নিতে শেখানোর একটা চেষ্টা।

আজ ৮ ডিসেম্বর জন লেননের মৃত্যুদিন। দুনিয়া কাঁপানো ব্যান্ড বিটলস-এর প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য লেনন ছিলেন একাধারে গায়ক, গীতিকার, সুরকার, চিত্রশিল্পী, লেখক ও শান্তিকর্মী। ‘ইমাজিন’ তাঁর বিখ্যাত গান। এই গানে তিনি কোন পৃথিবীর স্বপ্ন দেখিয়েছেন? কেন গানটি আজও এত প্রাসঙ্গিক?
৭ ঘণ্টা আগে
বর্তমান বিশ্বে সাহসী বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে যাঁর নাম সবার আগে আসে, তিনি নোম চমস্কি। ৭ ডিসেম্বর তাঁর জন্মদিন। একদিকে তিনি আধুনিক ভাষাবিজ্ঞানের স্থপতি, অন্যদিকে শোষিতের পক্ষে দাঁড়ানো এক অকুতোভয় যোদ্ধা। খুঁজে দেখা যাক আধুনিক সময়ের অন্যতম প্রধান চিন্তক ও জনবুদ্ধিজীবী নোম চমস্কির বর্ণাঢ্য জীবন ও কর্ম।
৯ ঘণ্টা আগে
শুনতে অবাক লাগলেও এমন ঘটনাই ঘটেছে মুক্তিযুদ্ধের সময়। যদিও ইতিহাসের পাতায় কচুরিপানা নিয়ে খুব কমই লেখা হয়েছে, কিন্তু কচুরিপানার অবদান অস্বীকার কোনো উপায় নেই। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস কেবল বারুদ আর রক্তের ইতিহাস নয়। এটি ছিল বাংলার মাটি, জল ও প্রকৃতির এক সম্মিলিত সংগ্রাম।
৯ ঘণ্টা আগে
‘আমরা বর্ষার অপেক্ষায় আছি… তাঁরা পানিকে ভয় পায়, আর আমরা হচ্ছি জলের রাজা। প্রকৃতি হবে আমাদের দ্বিতীয় বাহিনী।’ নিউইয়র্ক টাইমসের খ্যাতিমান সাংবাদিক সিডনি শনবার্গের ‘ডেটলাইন বাংলাদেশ’ প্রতিবেদনে এসব কথা বলেছিলেন এক বাঙালি অফিসার।
৯ ঘণ্টা আগে