‘প্রিয় আননোন থার্টি ওয়াই’
সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে জুলাই আন্দোলনে শহীদ সাংবাদিক তাহির জামান প্রিয়র স্মরণে নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র ‘প্রিয় আননোন থার্টি ওয়াই’। গত শনিবার (২৬ জুলাই) সন্ধ্যায় জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে হয়ে গেল সিনেমাটির প্রিমিয়ার শো। কী দেখিয়েছে সিনেমাটি?
মাহমুদ নেওয়াজ জয়
‘গভীর সমুদ্রের দিকভ্রান্ত নাবিকের কথা বলব বলে আমি এলাম হেথা’—প্রথমেই পর্দায় ভেসে উঠল এই লাইনটি। তারপর শুরু হলো প্রামাণ্যচিত্র ‘প্রিয় আননোন থার্টি ওয়াই’। সিনেমার বিষয় একজন সাংবাদিক, একজন ফটোগ্রাফার, একজন বাবা, সর্বোপরি বাংলাদেশের একজন নাগরিক—তাহির জামান প্রিয়।
২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনে তিনি শহীদ হন। দিনটি ছিল ১৯ জুলাই। তাঁর মরদেহ বেওয়ারিশ হিসেবে পড়ে থাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে। সেখান থেকে আরো নানা ঘটনার পর উদ্ধার হয় তাঁর মরদেহ। এসব তখন আমরা জানতে পারিনি। কারণ, সারা দেশে তখন ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট। এরপর একসময় আরো অনেক শহীদের ব্যাপারে জানতে পারি আমরা। যেভাবে জেনেছিলাম শহীদ তাহির জামান প্রিয়র কথা।
ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে সেদিন প্রিয়র মরদেহের গায়ে সাঁটানো কাগজে লেখা ছিল, ‘আননোন-থার্টি ওয়াই’। অর্থাৎ, মরদেহটি অজ্ঞাতনামা; বয়স আনুমানিক ৩০ বছর। নাম-পরিচয়হীন মরদেহের কাগজে লেখা সেই ‘পরিচয়’-কেই সিনেমার নাম হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। প্রামাণ্যচিত্রটি নির্মাণ করেছেন রজত তন্ময়। যৌথভাবে প্রযোজনা করেছেন বরকত হোসেন পলাশ ও সৈয়দা নীলিমা দোলা। চিত্রগ্রহণে ছিলেন ইমরুল হাসান মিয়া ও রাহুল রায়। সম্পাদনা করেছেন ইমামুল বাকের অ্যাপোলো।
সিনেমায় প্রতিটি বিভাগের কাজই টেকনিক্যাল দিক দিয়ে বেশ ভালো হয়েছে। তবে এইসব ছাপিয়ে ডকুমেন্টারিটা তার চেয়েও অনেক বড় কিছু। কারণ, এখানে পর্দায় আমাদের সামনে তুলে ধরা হয়েছে এক শহীদের জীবনের গল্প।
এই সিনেমা শুরু হয়েছে তাহির জামান প্রিয়র বোহেমিয়ান জীবনের সূত্র ধরে। আমিরুল রাজীব, মুনতাসির মান্নানসহ আরও অনেকে কথা বলেছেন তাঁকে নিয়ে। ছোটবেলা থেকেই প্রিয়র জীবন কেটেছে ঘরবন্দী নিয়মের বাইরে। ঢাকায় এসে ২০১৪ থেকে অন্তত ২০২০ পর্যন্ত, তাঁর নিজের কোনও স্থায়ী ঠিকানা ছিল না।
প্রিয়র জীবনে ছিল পারিবারিক সংকট, প্রেম, বিয়ে, বিচ্ছেদ। আর ছিল তাঁর ছোট মেয়ে পদ্মপ্রিয় পারমিতা। ছাত্র হিসেবে খুব আলাদা ছিলেন না। তবে তাঁর শখ ছিল ফটোগ্রাফিতে। ছিল সিনেমা বানানোর স্বপ্নও। পেশাগত জীবনে যুক্ত ছিলেন সাংবাদিকতায়।
২০২৪ সালের ১৯ জুলাই। ঢাকার মানিক মিয়া এভিনিউ থেকে একটি প্রতিবাদ কর্মসূচি নিয়ে প্রিয় ও তাঁর পরিচিতরা গিয়েছিলেন সায়েন্স ল্যাব এলাকায়। হঠাৎই সেখানে ঘটে ভয়াবহ এক ঘটনা। তাঁরা পড়ে যান অতর্কিত গুলির মুখে।
সিনেমায় দেখানো হয়েছে প্রিয়কে গুলি করার এবং মাটিতে লুটিয়ে পড়ার সিসিটিভি ফুটেজ। এরপর দেখা যায়, তাঁর বন্ধুরা অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাকে খুঁজে পাচ্ছিলেন না। পরে উপস্থিত সাধারণ মানুষ তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় ল্যাবএইড হাসপাতালে।
মরদেহ কীভাবে শনাক্ত হলো তা নিয়ে নানান পক্ষের বক্তব্য ও প্রক্রিয়া উঠে এসেছে এই প্রামাণ্যচিত্রে। আরো দেখানো হয়েছে, সেই সময়ের প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিজ্ঞতা। কথা বলেছেন ফারিয়া উলফাত সায়েদ ও অনয় চৌধুরীর মতো প্রত্যক্ষদর্শীরা। তাঁদের বর্ণনায় উঠে এসেছে সেদিনের ভয়াবহতার চিত্র।
প্রিয়র মা সামসি আরা জামান, বাবা আবু হেনা মোস্তফা জামানের বক্তব্যও উঠে এসেছে সিনেমাতে। তাঁরা কথা বলেছেন ছেলের জীবন নিয়ে, স্বপ্ন নিয়ে, তাঁদের সঙ্গে প্রিয়র দূরত্ব নিয়ে। এ ছাড়াও প্রিয়কে নিয়ে সৈয়দা নীলিমা দোলা, মেঘমল্লার বসুর কথাও উঠে এসেছে ডকুমেন্টারির নানান অংশে। তাঁর মরদেহ শনাক্ত করার বর্ণনা দিয়েছেন অনিক রায়, আল হাসিব খান আনন্দ ও আবদুল্লাহ আল নোমান। মর্গে পড়ে থাকা বেশ কয়েকটি বেওয়ারিশ মরদেহের ভেতর থেকে কীভাবে প্রিয়র মরদেহ শনাক্ত হলো, সেই হৃদয়বিদারক ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন তাঁরা। মরদেহ শনাক্তের ব্যাপারে প্রিয়র প্রাক্তন স্ত্রীও কথা বলেছেন সিনেমাতে। তাঁর বর্ণনাতেও আমরা পাই সেসব দিনের অনিশ্চয়তা আর তীব্র মানসিক চাপ নিয়ে অপেক্ষা করতে থাকার কথা।
সিনেমাটিতে উঠে এসেছে সে সময়ে পুলিশের গুলিবর্ষণের প্রামাণ্য বর্ণনা। পরবর্তীতে মামলা করতে গেলে কীভাবে পুলিশি বাধার মুখে পড়তে হয়েছে, কীভাবে রাত ১টার পর পুলিশ মামলা নিতে বাধ্য হলো—সে সবের বিস্তারিতই আছে এখানে।
এখানে শুধুই আবেগের দিক নয়, উঠে এসেছে প্রিয়র মৃত্যু পরবর্তী বাস্তবতাও। এই মামলার তেমন কোনো অগ্রগতি নেই, বিচার কাজেও কোনোরকম গতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। জুলাইয়ে এই যে এত মানুষ তৎকালীন সরকারের মদদে খুনের শিকার হলেন, তাঁরা কেউ ন্যায়বিচার পাবেন কিনা—এ প্রশ্নও উঠেছে সিনেমাতে।
ডকুমেন্টারিটা শুধুই তথ্যভিত্তিক হয়ে থাকেনি। বরং এর নির্মাণশৈলী, কাঠামো আর আবেগময় উপস্থাপনা যেন অনেকটা পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা দেখার অভিজ্ঞতা এনে দেয়। তবে সিনেমাতে আকিল আশরাফের গানটি কথার দিক থেকে প্রাসঙ্গিক হলেও, ডকুমেন্টারির গভীর বিষাদের আবহে তা কিছুটা বিচ্ছিন্ন মনে হতে পারে।
তবে সবদিক মিলিয়ে এই প্রামাণ্যচিত্রটি খুবই সুনির্মিত ও প্রাসঙ্গিক। এটি শুধু একটি ঘটনার দলিল হিসেবেই সীমাবন্ধ থাকেনি। কারণ, এখানে দেখানো হয়েছে কীভাবে বিগত ফ্যাসিবাদী শাসনামলে মানুষ তাঁর নাগরিক পরিচয় হারিয়ে শুধুই ‘সংখ্যা’ হয়ে গিয়েছিল। পাশাপাশি অভ্যুত্থানের পরবর্তী সময়ে সেই হত্যাকাণ্ডগুলোর বিচার কতটা নিশ্চিত হয়েছে, সেই প্রশ্নটিও স্পষ্টভাবে উঠে এসেছে। তাই, ‘প্রিয় আননোন থার্টি ওয়াই’ সিনেমাটি যেন হয়ে উঠেছে স্বজন হারানো সব মায়ের ভাষা, সব বন্ধুদের বেদনা আর সব শহীদের স্বর।
‘গভীর সমুদ্রের দিকভ্রান্ত নাবিকের কথা বলব বলে আমি এলাম হেথা’—প্রথমেই পর্দায় ভেসে উঠল এই লাইনটি। তারপর শুরু হলো প্রামাণ্যচিত্র ‘প্রিয় আননোন থার্টি ওয়াই’। সিনেমার বিষয় একজন সাংবাদিক, একজন ফটোগ্রাফার, একজন বাবা, সর্বোপরি বাংলাদেশের একজন নাগরিক—তাহির জামান প্রিয়।
২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনে তিনি শহীদ হন। দিনটি ছিল ১৯ জুলাই। তাঁর মরদেহ বেওয়ারিশ হিসেবে পড়ে থাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে। সেখান থেকে আরো নানা ঘটনার পর উদ্ধার হয় তাঁর মরদেহ। এসব তখন আমরা জানতে পারিনি। কারণ, সারা দেশে তখন ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট। এরপর একসময় আরো অনেক শহীদের ব্যাপারে জানতে পারি আমরা। যেভাবে জেনেছিলাম শহীদ তাহির জামান প্রিয়র কথা।
ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে সেদিন প্রিয়র মরদেহের গায়ে সাঁটানো কাগজে লেখা ছিল, ‘আননোন-থার্টি ওয়াই’। অর্থাৎ, মরদেহটি অজ্ঞাতনামা; বয়স আনুমানিক ৩০ বছর। নাম-পরিচয়হীন মরদেহের কাগজে লেখা সেই ‘পরিচয়’-কেই সিনেমার নাম হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। প্রামাণ্যচিত্রটি নির্মাণ করেছেন রজত তন্ময়। যৌথভাবে প্রযোজনা করেছেন বরকত হোসেন পলাশ ও সৈয়দা নীলিমা দোলা। চিত্রগ্রহণে ছিলেন ইমরুল হাসান মিয়া ও রাহুল রায়। সম্পাদনা করেছেন ইমামুল বাকের অ্যাপোলো।
সিনেমায় প্রতিটি বিভাগের কাজই টেকনিক্যাল দিক দিয়ে বেশ ভালো হয়েছে। তবে এইসব ছাপিয়ে ডকুমেন্টারিটা তার চেয়েও অনেক বড় কিছু। কারণ, এখানে পর্দায় আমাদের সামনে তুলে ধরা হয়েছে এক শহীদের জীবনের গল্প।
এই সিনেমা শুরু হয়েছে তাহির জামান প্রিয়র বোহেমিয়ান জীবনের সূত্র ধরে। আমিরুল রাজীব, মুনতাসির মান্নানসহ আরও অনেকে কথা বলেছেন তাঁকে নিয়ে। ছোটবেলা থেকেই প্রিয়র জীবন কেটেছে ঘরবন্দী নিয়মের বাইরে। ঢাকায় এসে ২০১৪ থেকে অন্তত ২০২০ পর্যন্ত, তাঁর নিজের কোনও স্থায়ী ঠিকানা ছিল না।
প্রিয়র জীবনে ছিল পারিবারিক সংকট, প্রেম, বিয়ে, বিচ্ছেদ। আর ছিল তাঁর ছোট মেয়ে পদ্মপ্রিয় পারমিতা। ছাত্র হিসেবে খুব আলাদা ছিলেন না। তবে তাঁর শখ ছিল ফটোগ্রাফিতে। ছিল সিনেমা বানানোর স্বপ্নও। পেশাগত জীবনে যুক্ত ছিলেন সাংবাদিকতায়।
২০২৪ সালের ১৯ জুলাই। ঢাকার মানিক মিয়া এভিনিউ থেকে একটি প্রতিবাদ কর্মসূচি নিয়ে প্রিয় ও তাঁর পরিচিতরা গিয়েছিলেন সায়েন্স ল্যাব এলাকায়। হঠাৎই সেখানে ঘটে ভয়াবহ এক ঘটনা। তাঁরা পড়ে যান অতর্কিত গুলির মুখে।
সিনেমায় দেখানো হয়েছে প্রিয়কে গুলি করার এবং মাটিতে লুটিয়ে পড়ার সিসিটিভি ফুটেজ। এরপর দেখা যায়, তাঁর বন্ধুরা অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাকে খুঁজে পাচ্ছিলেন না। পরে উপস্থিত সাধারণ মানুষ তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় ল্যাবএইড হাসপাতালে।
মরদেহ কীভাবে শনাক্ত হলো তা নিয়ে নানান পক্ষের বক্তব্য ও প্রক্রিয়া উঠে এসেছে এই প্রামাণ্যচিত্রে। আরো দেখানো হয়েছে, সেই সময়ের প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিজ্ঞতা। কথা বলেছেন ফারিয়া উলফাত সায়েদ ও অনয় চৌধুরীর মতো প্রত্যক্ষদর্শীরা। তাঁদের বর্ণনায় উঠে এসেছে সেদিনের ভয়াবহতার চিত্র।
প্রিয়র মা সামসি আরা জামান, বাবা আবু হেনা মোস্তফা জামানের বক্তব্যও উঠে এসেছে সিনেমাতে। তাঁরা কথা বলেছেন ছেলের জীবন নিয়ে, স্বপ্ন নিয়ে, তাঁদের সঙ্গে প্রিয়র দূরত্ব নিয়ে। এ ছাড়াও প্রিয়কে নিয়ে সৈয়দা নীলিমা দোলা, মেঘমল্লার বসুর কথাও উঠে এসেছে ডকুমেন্টারির নানান অংশে। তাঁর মরদেহ শনাক্ত করার বর্ণনা দিয়েছেন অনিক রায়, আল হাসিব খান আনন্দ ও আবদুল্লাহ আল নোমান। মর্গে পড়ে থাকা বেশ কয়েকটি বেওয়ারিশ মরদেহের ভেতর থেকে কীভাবে প্রিয়র মরদেহ শনাক্ত হলো, সেই হৃদয়বিদারক ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন তাঁরা। মরদেহ শনাক্তের ব্যাপারে প্রিয়র প্রাক্তন স্ত্রীও কথা বলেছেন সিনেমাতে। তাঁর বর্ণনাতেও আমরা পাই সেসব দিনের অনিশ্চয়তা আর তীব্র মানসিক চাপ নিয়ে অপেক্ষা করতে থাকার কথা।
সিনেমাটিতে উঠে এসেছে সে সময়ে পুলিশের গুলিবর্ষণের প্রামাণ্য বর্ণনা। পরবর্তীতে মামলা করতে গেলে কীভাবে পুলিশি বাধার মুখে পড়তে হয়েছে, কীভাবে রাত ১টার পর পুলিশ মামলা নিতে বাধ্য হলো—সে সবের বিস্তারিতই আছে এখানে।
এখানে শুধুই আবেগের দিক নয়, উঠে এসেছে প্রিয়র মৃত্যু পরবর্তী বাস্তবতাও। এই মামলার তেমন কোনো অগ্রগতি নেই, বিচার কাজেও কোনোরকম গতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। জুলাইয়ে এই যে এত মানুষ তৎকালীন সরকারের মদদে খুনের শিকার হলেন, তাঁরা কেউ ন্যায়বিচার পাবেন কিনা—এ প্রশ্নও উঠেছে সিনেমাতে।
ডকুমেন্টারিটা শুধুই তথ্যভিত্তিক হয়ে থাকেনি। বরং এর নির্মাণশৈলী, কাঠামো আর আবেগময় উপস্থাপনা যেন অনেকটা পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা দেখার অভিজ্ঞতা এনে দেয়। তবে সিনেমাতে আকিল আশরাফের গানটি কথার দিক থেকে প্রাসঙ্গিক হলেও, ডকুমেন্টারির গভীর বিষাদের আবহে তা কিছুটা বিচ্ছিন্ন মনে হতে পারে।
তবে সবদিক মিলিয়ে এই প্রামাণ্যচিত্রটি খুবই সুনির্মিত ও প্রাসঙ্গিক। এটি শুধু একটি ঘটনার দলিল হিসেবেই সীমাবন্ধ থাকেনি। কারণ, এখানে দেখানো হয়েছে কীভাবে বিগত ফ্যাসিবাদী শাসনামলে মানুষ তাঁর নাগরিক পরিচয় হারিয়ে শুধুই ‘সংখ্যা’ হয়ে গিয়েছিল। পাশাপাশি অভ্যুত্থানের পরবর্তী সময়ে সেই হত্যাকাণ্ডগুলোর বিচার কতটা নিশ্চিত হয়েছে, সেই প্রশ্নটিও স্পষ্টভাবে উঠে এসেছে। তাই, ‘প্রিয় আননোন থার্টি ওয়াই’ সিনেমাটি যেন হয়ে উঠেছে স্বজন হারানো সব মায়ের ভাষা, সব বন্ধুদের বেদনা আর সব শহীদের স্বর।
শাফিন আহমেদের মৃত্যুর এক বছর পেরিয়ে গেছে। কিন্তু বাংলা গান এখনো তাঁকে হারানোর ব্যথা ভুলতে পারেনি। সংগীতপ্রেমীরা টের পাচ্ছেন তাঁর শূন্যতা। আজ আমরা ফিরে তাকাতে চাই ১৮ বছরের এক তরুণ শাফিন আহমেদের দিকে। কীভাবে তিনি ‘মাইলস’ব্যান্ডে যোগ দিয়েছিলেন—শুরুর সেই ঘটনা আজ মনে করতে চাই।
১ দিন আগেএকটি দেশের পোশাকের সঙ্গে রয়েছে সে দেশের পরিবেশ ও আবহাওয়ার সম্পর্ক। কেননা, পোশাকেরও রয়েছে সংস্কৃতি ও ইতিহাস। আছে রাজনীতি। তা ছাড়া বলা দরকার, কোনো দেশের পোশাক কেমন হবে, তা ওই দেশের আবহাওয়ার ওপর অনেকাংশেই নির্ভরশীল।
২ দিন আগে‘তুমি যে আমার’, ‘নিশি রাত বাঁকা চাঁদ আকাশ’, ‘এই সুন্দর স্বর্ণালি সন্ধ্যায়’, ‘বাবুজি ধীরে চল না’—এমন অসংখ্য জনপ্রিয় গানের গায়িকা গীতা দত্ত ছিলেন ভারতের নারী ‘সিংগিং-সুপারস্টার’। তবে অনেকেই জানেন না, এই কালজয়ী শিল্পী জন্মেছিলেন বাংলাদেশের ফরিদপুরে।
৩ দিন আগেশাফিন ভাই একদিন আমি ও আমার প্রেমিকাকে ‘মাইলস’-এর প্র্যাক্টিসেও নিয়ে গিয়েছিলেন। ‘মাইলস’-এর প্র্যাকটিস করার ধরন দেখে আমি সেদিন মুগ্ধ হয়েছিলাম। একটানা তিন ঘণ্টায় ২৫টির বেশি গান তারা প্র্যাকটিস করল। তা-ও কোনো বিরতি ছাড়াই! ভাবছিলাম, এটা কীভাবে সম্ভব!
৪ দিন আগে