ইরানে একতরফা আকস্মিক হামলা চালানোর পর নানাভাবে সেই হামলার সম্মতি তৈরি করার চেষ্টা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কাজে লাগিয়েছিলেন শক্তিশালী পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলোকেও। তবু শেষ পর্যন্ত সফল হতে পারেননি। কিন্তু কেন?
তুফায়েল আহমদ
চলতি মাসের ১৩ জুন কোনো কারণ ছাড়াই ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালায় ইসরায়েল। ইরানের আরাক হেভি ওয়াটার রিঅ্যাক্টর ও নাতাঞ্জ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রে হামলার উদ্দেশ্যে ছিল, মধ্যপ্রাচ্যের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী শক্তিকে পরমাণু অস্ত্র তৈরির কাছাকাছি পৌঁছাতে না দেওয়া। এই হামলার জবাবে ইরানের ব্যালিস্টিক মিসাইল পাল্টা আঘাত হানে ইসরায়েলে। সূত্রপাত হয় ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধের।
পাল্টাপাল্টি হামলার এক পর্যায়ে এই যুদ্ধে সরাসরি নাক গলায় যুক্তরাষ্ট্র। গত রোববার (২২ জুন) গভীর রাতে ইরানের তিনটি পরমাণু স্থাপনায় বাংকার বাস্টার বোমা ফেলে যুক্তরাষ্ট্র। ইরানের তরফ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি কোনো প্রকার উসকানি না থাকা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্র তার স্বভাবসুলভ আধিপত্য বজায়ের নেশায় এই হামলা চালায় বলে মন্তব্য করেন যুক্তরাষ্ট্র অধিবাসী ফিলিস্তিনি রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ আহমেদ ইবসাইস। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বরাবরের মতোই কূটনৈতিক শব্দের মারপ্যাঁচে বোমা হামলাকে জায়েজ করতে চায়। ধ্বংসের মাধ্যমে তারা শান্তি ও স্থিতিশীল অবস্থান সৃষ্টি করতে চায়। আর পশ্চিমাদের কাছে এই শান্তির অর্থ নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ।’
বিশেষজ্ঞদের দাবি, প্রায় সব মার্কিন সংবাদমাধ্যম বিধ্বস্ত ইরান এবং অসহায় শিশুদের ছবি না ছেপে পুরোটা সময়জুড়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বয়ান প্রচার করে গেছে। এই হামলা কীভাবে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা ধ্বংস করে মধ্যপ্রাচ্য তথা বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা করছে, সেই বয়ানই ঘুরে ফিরে প্রচারিত হয়েছে।
‘যুক্তরাষ্ট্র বরাবরের মতোই কূটনৈতিক শব্দের মারপ্যাঁচে বোমা হামলাকে জায়েজ করতে চায়। ধ্বংসের মাধ্যমে তারা শান্তি ও স্থিতিশীল অবস্থান সৃষ্টি করতে চায়। আর পশ্চিমাদের কাছে এই শান্তির অর্থ নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ।’ ফিলিস্তিনি রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ আহমেদ ইবসাইস
ইরানের কাছে পারমাণবিক অস্ত্র নেই, আছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের কাছে। ইরানকে একঘরে করে রাখার প্রকল্পও সব ব্যর্থ। তাই ইরানে হামলার সম্মতি অর্জনের জন্য প্রয়োজন প্রতিনিয়ত ‘হামলার ভয়’। প্রয়োজন, ইরান মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই পারমাণবিক বোমা বানিয়ে ফেলবে এমন মিথ। পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমে সেই মিথের অংশ হিসেবে তাই ইরান কোনো দেশ নয়, বরং একটি ‘রেজিম’। ইরানে সরকার নেই, আছে শুধু হুমকি। আর ‘ইসলামি প্রজাতন্ত্র’ শব্দটি এমনভাবে ব্যবহৃত হয় যেন কোনো গালি। এত প্রচেষ্টার পরেও ইরানের সঙ্গে এই যুদ্ধে জনসম্মতি উৎপাদন করতে পারেনি ট্রাম্প সরকার। যুক্তরাষ্ট্র কেন এই সম্মতি অর্জনে ব্যর্থ হলো, তার উত্তর লুকিয়ে আছে অতীতের বিভিন্ন ঘটনায়।
মার্কিন ভাষাবিদ ও রাজনীতি বিশেষজ্ঞ নোম চমস্কির ‘মেনুফ্যাকচারিং কনসেন্ট’ বা সম্মতি উৎপাদন তত্ত্বমতে, সংবাদমাধ্যম সত্য নয় বরং সরকারের সুবিধামতো ন্যারেটিভ প্রচারের মাধ্যমে জনসম্মতি তৈরি করে। সংবাদ এখন পণ্য আর পাঠক ক্রেতা নয় বরং লক্ষ্যবস্তু। শাসকের ভাষাকে মানুষের বিশ্বাসে পরিণত করাই যার মূল উদ্দেশ্য। তাই ইরানে যখন বোমা পড়ে তখন মিডিয়া বলে ‘নির্ভুল আঘাত’। ইরান তার পাল্টা জবাব দিলে তা হয়ে যায় ‘সন্ত্রাসবাদ’। ইরান হয় ‘রেজিম’ আর পশ্চিমা আগ্রাসন হয় ‘শান্তি স্থাপন’।
তবে এখন সময় কিছুটা হলেও পাল্টেছে। মূলধারার সংবাদমাধ্যমের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হরহামেশাই যুদ্ধের ভয়াবহতার সম্মুখীন হচ্ছে সবাই। যুদ্ধ দিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার পুরনো যুক্তি এখন আর আগের মতো কাজ করে না। দশকের পর দশক ধরে যুদ্ধ, মিথ্যা ও সম্প্রচারিত গণহত্যা দেখে অধিকাংশ মার্কিনি এখন আর সেই পুরনো স্লোগান ও ন্যারেটিভে বিশ্বাস করে না। ইরানে ইসরায়েলের হামলার পর এক জরিপে দেখা গেছে, মাত্র ১৬ শতাংশ মার্কিন নাগরিক এই যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি জড়িয়ে পড়াকে সমর্থন করে। ট্রাম্প বোমা হামলার নির্দেশ দেওয়ার পর আরেকটি জরিপে উঠে আসে মার্কিনিদের একটি বড় অংশ এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে না।
এই অসমর্থনের কারণ খুঁজতে গেলে মুখোমুখি হতে হয় ইতিহাসের। আমেরিকানদের স্মৃতিতে ইরাক ও আফগানিস্তান যুদ্ধের নাম করে বিক্রি করা প্রতারণাগুলো এখনো সতেজ। শান্তি প্রতিষ্ঠার যুদ্ধের নামে তাদের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে হাজারো সৈন্যের মৃত্যু, কোটি কোটি ডলার অপচয়। অথচ শেষ পর্যন্ত সেই ইরাক আর আফগানিস্তান থেকে পালিয়ে আসতে হয় যুক্তরাষ্ট্রকে।
মার্কিন ডেটা এনালিসিস্ট এমিলি একিনস ও হান্টার জনসনের সাম্প্রতিক এক বিশ্লেষণে উঠে এসেছে, যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামরিক বাজেট বহন করে অথচ নিজ দেশে ৭ লাখের বেশি মানুষ গৃহহীন। কোটি কোটি মানুষ স্বাস্থ্যবিমা থেকে বঞ্চিত। তাদের বলা হয় শিক্ষাব্যবস্থা ঠিক করার মতো বাজেট নেই, কিন্তু বোমা কিনতে, যুদ্ধ চালাতে কিংবা অন্য দেশে সেনা পাঠাতে সব সময় অর্থ আছে।
আমেরিকানরা শুধু নিজেদের অর্থনৈতিক বাস্তবতাই নয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কল্যাণে সরাসরি দেখতে পাচ্ছে গণহত্যার রূপ। ডিজিটাল যুগে মোবাইল স্ক্রিন ভেঙে দিয়েছে একচেটিয়া প্রচারের দেয়াল। এখন যুদ্ধ আর দূরের বিমূর্ত কোনো ব্যাপার নয়। যুদ্ধের রক্তাক্ত দৃশ্য কিংবা ধ্বংসস্তূপ থেকে টেনে তোলা শিশুর ছবি এড়িয়ে গিয়ে মিডিয়ার যুদ্ধের বৈধতা তৈরির চেষ্টা দেখতে দেখতে তারা ক্লান্ত।
‘আত্মরক্ষা’ শব্দটি দিয়ে হত্যাকে বৈধতা দেওয়ার পুরনো কৌশল এখন আর বিশ্বাসযোগ্য নয়। মানুষ বুঝে গেছে দখলবাজরা নৃশংসতা চালাতে চায় কিন্তু সম্মতি চায় আমাদের। মানুষ এখন জানে শান্তি কখনো যুদ্ধের বিমানের ছায়ায় আসে না। শান্তি আসে স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচারের মোড়কে।
চলতি মাসের ১৩ জুন কোনো কারণ ছাড়াই ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালায় ইসরায়েল। ইরানের আরাক হেভি ওয়াটার রিঅ্যাক্টর ও নাতাঞ্জ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রে হামলার উদ্দেশ্যে ছিল, মধ্যপ্রাচ্যের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী শক্তিকে পরমাণু অস্ত্র তৈরির কাছাকাছি পৌঁছাতে না দেওয়া। এই হামলার জবাবে ইরানের ব্যালিস্টিক মিসাইল পাল্টা আঘাত হানে ইসরায়েলে। সূত্রপাত হয় ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধের।
পাল্টাপাল্টি হামলার এক পর্যায়ে এই যুদ্ধে সরাসরি নাক গলায় যুক্তরাষ্ট্র। গত রোববার (২২ জুন) গভীর রাতে ইরানের তিনটি পরমাণু স্থাপনায় বাংকার বাস্টার বোমা ফেলে যুক্তরাষ্ট্র। ইরানের তরফ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি কোনো প্রকার উসকানি না থাকা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্র তার স্বভাবসুলভ আধিপত্য বজায়ের নেশায় এই হামলা চালায় বলে মন্তব্য করেন যুক্তরাষ্ট্র অধিবাসী ফিলিস্তিনি রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ আহমেদ ইবসাইস। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বরাবরের মতোই কূটনৈতিক শব্দের মারপ্যাঁচে বোমা হামলাকে জায়েজ করতে চায়। ধ্বংসের মাধ্যমে তারা শান্তি ও স্থিতিশীল অবস্থান সৃষ্টি করতে চায়। আর পশ্চিমাদের কাছে এই শান্তির অর্থ নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ।’
বিশেষজ্ঞদের দাবি, প্রায় সব মার্কিন সংবাদমাধ্যম বিধ্বস্ত ইরান এবং অসহায় শিশুদের ছবি না ছেপে পুরোটা সময়জুড়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বয়ান প্রচার করে গেছে। এই হামলা কীভাবে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা ধ্বংস করে মধ্যপ্রাচ্য তথা বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা করছে, সেই বয়ানই ঘুরে ফিরে প্রচারিত হয়েছে।
‘যুক্তরাষ্ট্র বরাবরের মতোই কূটনৈতিক শব্দের মারপ্যাঁচে বোমা হামলাকে জায়েজ করতে চায়। ধ্বংসের মাধ্যমে তারা শান্তি ও স্থিতিশীল অবস্থান সৃষ্টি করতে চায়। আর পশ্চিমাদের কাছে এই শান্তির অর্থ নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ।’ ফিলিস্তিনি রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ আহমেদ ইবসাইস
ইরানের কাছে পারমাণবিক অস্ত্র নেই, আছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের কাছে। ইরানকে একঘরে করে রাখার প্রকল্পও সব ব্যর্থ। তাই ইরানে হামলার সম্মতি অর্জনের জন্য প্রয়োজন প্রতিনিয়ত ‘হামলার ভয়’। প্রয়োজন, ইরান মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই পারমাণবিক বোমা বানিয়ে ফেলবে এমন মিথ। পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমে সেই মিথের অংশ হিসেবে তাই ইরান কোনো দেশ নয়, বরং একটি ‘রেজিম’। ইরানে সরকার নেই, আছে শুধু হুমকি। আর ‘ইসলামি প্রজাতন্ত্র’ শব্দটি এমনভাবে ব্যবহৃত হয় যেন কোনো গালি। এত প্রচেষ্টার পরেও ইরানের সঙ্গে এই যুদ্ধে জনসম্মতি উৎপাদন করতে পারেনি ট্রাম্প সরকার। যুক্তরাষ্ট্র কেন এই সম্মতি অর্জনে ব্যর্থ হলো, তার উত্তর লুকিয়ে আছে অতীতের বিভিন্ন ঘটনায়।
মার্কিন ভাষাবিদ ও রাজনীতি বিশেষজ্ঞ নোম চমস্কির ‘মেনুফ্যাকচারিং কনসেন্ট’ বা সম্মতি উৎপাদন তত্ত্বমতে, সংবাদমাধ্যম সত্য নয় বরং সরকারের সুবিধামতো ন্যারেটিভ প্রচারের মাধ্যমে জনসম্মতি তৈরি করে। সংবাদ এখন পণ্য আর পাঠক ক্রেতা নয় বরং লক্ষ্যবস্তু। শাসকের ভাষাকে মানুষের বিশ্বাসে পরিণত করাই যার মূল উদ্দেশ্য। তাই ইরানে যখন বোমা পড়ে তখন মিডিয়া বলে ‘নির্ভুল আঘাত’। ইরান তার পাল্টা জবাব দিলে তা হয়ে যায় ‘সন্ত্রাসবাদ’। ইরান হয় ‘রেজিম’ আর পশ্চিমা আগ্রাসন হয় ‘শান্তি স্থাপন’।
তবে এখন সময় কিছুটা হলেও পাল্টেছে। মূলধারার সংবাদমাধ্যমের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হরহামেশাই যুদ্ধের ভয়াবহতার সম্মুখীন হচ্ছে সবাই। যুদ্ধ দিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার পুরনো যুক্তি এখন আর আগের মতো কাজ করে না। দশকের পর দশক ধরে যুদ্ধ, মিথ্যা ও সম্প্রচারিত গণহত্যা দেখে অধিকাংশ মার্কিনি এখন আর সেই পুরনো স্লোগান ও ন্যারেটিভে বিশ্বাস করে না। ইরানে ইসরায়েলের হামলার পর এক জরিপে দেখা গেছে, মাত্র ১৬ শতাংশ মার্কিন নাগরিক এই যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি জড়িয়ে পড়াকে সমর্থন করে। ট্রাম্প বোমা হামলার নির্দেশ দেওয়ার পর আরেকটি জরিপে উঠে আসে মার্কিনিদের একটি বড় অংশ এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে না।
এই অসমর্থনের কারণ খুঁজতে গেলে মুখোমুখি হতে হয় ইতিহাসের। আমেরিকানদের স্মৃতিতে ইরাক ও আফগানিস্তান যুদ্ধের নাম করে বিক্রি করা প্রতারণাগুলো এখনো সতেজ। শান্তি প্রতিষ্ঠার যুদ্ধের নামে তাদের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে হাজারো সৈন্যের মৃত্যু, কোটি কোটি ডলার অপচয়। অথচ শেষ পর্যন্ত সেই ইরাক আর আফগানিস্তান থেকে পালিয়ে আসতে হয় যুক্তরাষ্ট্রকে।
মার্কিন ডেটা এনালিসিস্ট এমিলি একিনস ও হান্টার জনসনের সাম্প্রতিক এক বিশ্লেষণে উঠে এসেছে, যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামরিক বাজেট বহন করে অথচ নিজ দেশে ৭ লাখের বেশি মানুষ গৃহহীন। কোটি কোটি মানুষ স্বাস্থ্যবিমা থেকে বঞ্চিত। তাদের বলা হয় শিক্ষাব্যবস্থা ঠিক করার মতো বাজেট নেই, কিন্তু বোমা কিনতে, যুদ্ধ চালাতে কিংবা অন্য দেশে সেনা পাঠাতে সব সময় অর্থ আছে।
আমেরিকানরা শুধু নিজেদের অর্থনৈতিক বাস্তবতাই নয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কল্যাণে সরাসরি দেখতে পাচ্ছে গণহত্যার রূপ। ডিজিটাল যুগে মোবাইল স্ক্রিন ভেঙে দিয়েছে একচেটিয়া প্রচারের দেয়াল। এখন যুদ্ধ আর দূরের বিমূর্ত কোনো ব্যাপার নয়। যুদ্ধের রক্তাক্ত দৃশ্য কিংবা ধ্বংসস্তূপ থেকে টেনে তোলা শিশুর ছবি এড়িয়ে গিয়ে মিডিয়ার যুদ্ধের বৈধতা তৈরির চেষ্টা দেখতে দেখতে তারা ক্লান্ত।
‘আত্মরক্ষা’ শব্দটি দিয়ে হত্যাকে বৈধতা দেওয়ার পুরনো কৌশল এখন আর বিশ্বাসযোগ্য নয়। মানুষ বুঝে গেছে দখলবাজরা নৃশংসতা চালাতে চায় কিন্তু সম্মতি চায় আমাদের। মানুষ এখন জানে শান্তি কখনো যুদ্ধের বিমানের ছায়ায় আসে না। শান্তি আসে স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচারের মোড়কে।
ভোট পায়, তবু সংসদে ঠাঁই পায় না—এটাই ছোট দলগুলোর বাস্তবতা। ‘সংখ্যানুপাতিক ব্যবস্থা’ তাই শুধু একটি বিকল্প নয়, রাজনৈতিক বেঁচে থাকার লড়াই।
১ ঘণ্টা আগেএসসিওর যৌথ বিবৃতি থেকে সরে দাঁড়িয়ে ভারত স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে—জোটের অভ্যন্তরে চীন-পাকিস্তান বলয়ের প্রভাব মেনে নিতে তারা প্রস্তুত নয়। তবে এতে আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতের বিশ্বাসযোগ্যতা ও নেতৃত্ব প্রশ্নের মুখে পড়ছে।
২ দিন আগেইসরায়েলের ১২ দিনের বোমাবর্ষণের পর ধীরে ধীরে রাজধানী তেহরানে ফিরছে ঘরছাড়া ইরানিরা। শঙ্কা আর আতংকের মধ্যে তেহরানের বাসিন্দারা কি আবার ঘুরে দাঁড়াতে চাচ্ছে? আল-জাজিরার প্রতিবেদন অবলম্বনে তেহরানের মানুষজনের হালচাল।
৩ দিন আগেশিয়া মুসলিম ও ফিলিস্তিনপন্থী প্রার্থী জোহরান মামদানি নিউইয়র্কে ডেমোক্র্যাট পার্টির মেয়র টিকিট জিতে ইতিহাস গড়েছেন। কুয়োমোর মতো প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বীকে তিনি যেমন হারিয়েছেন, তেমনই ইহুদি ভোটারদের আস্থা অর্জন করেছেন। ডায়াসপোরার ভালোবাসা নিয়ে তিনি কি হয়ে উঠছেন ভবিষ্যতের মার্কিন রাজনীতির নতুন মুখ?
৪ দিন আগে