তালেবান সরকারকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিল রাশিয়া। এই প্রথম কোনো দেশ এমন পদক্ষেপ নিল। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে আদর্শগত কোনো জায়গা নয় বরং রাজনৈতিক কৌশল এটি। উগ্রবাদের ঝুঁকি কমিয়ে ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থ রক্ষা রাশিয়ার লক্ষ্য। ফলে তালেবানের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলায় সুবিধা দেখছে মস্কো। বিশ্ব রাজনীতিতে এই সিদ্ধান্ত কি নতুন সমীকরণ তৈরি করছে?
রাতুল আল আহমেদ
বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে আফগানিস্তানের তালেবান সরকারকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিল রাশিয়া। ২০২১ সালের ১৫ আগস্ট দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় আসে তালেবান। ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থ ও নিরাপত্তা বিবেচনায় রাশিয়ার এই সিদ্ধান্ত বিশ্ব রাজনীতিতে নতুন মোড় তৈরি করল, এমনটাই বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।
সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকা থেকে তালেবানের নাম প্রত্যাহার করেছে রাশিয়া সরকার। পাশাপাশি, তালেবান সরকারের প্রতিনিধিকে স্বাগত জানিয়েছে রাশিয়া। এর ফলে রাশিয়া-আফগানিস্তান সম্পর্কের আনুষ্ঠানিক পথ খুলেছে।
আফগানিস্তান থেকে মার্কিনসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক বাহিনী প্রত্যাহারের পর থেকেই দেশটির অভ্যন্তরে অস্থিরতা চলমান। যা শুধু রাশিয়ার জন্য নয় বরং কমনওয়েলথ অব ইনডিপেনডেন্ট স্টেটসভুক্ত (সিআইএস) দেশগুলোর জন্যও বড় নিরাপত্তা হুমকি, এমনটাই উঠে এসেছিল রাশিয়ার ২০২১ সালের জাতীয় নিরাপত্তা কৌশলে। একইসঙ্গে, আফগানিস্তানকে সন্ত্রাসবাদ ও উগ্রবাদের সম্ভাব্য ঘাঁটি হিসেবে উল্লেখ করে মধ্য এশিয়া ও রাশিয়ার জন্য ঝুঁকি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
২০২৪ সালের মার্চে মস্কোর ক্রোকাস সিটি হলে কনসার্টে সন্ত্রাসী হামলায় ১৫০ জনের বেশি মানুষ নিহত হন। রাশিয়া এই হামলার জন্য আইএসআইএস-কে (আফগানিস্তান-ভিত্তিক ইসলামিক স্টেটের শাখা) দায়ী করে।
একই শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সুবিধাজনক অবস্থান পেতেই রাশিয়া তালেবানের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আফগানিস্তান উগ্রবাদের ঘাঁটি হয়ে উঠলে মধ্য এশিয়া ও রুশ ভূখণ্ড হুমকিতে পড়তে পারে। নিজেদের সুরক্ষিত করতেই রাশিয়া এখন তালেবান সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলতে চাইছে, এমনটাই মনে করছেন তাঁরা।
নিরাপত্তা নিয়ে জন্ম নেওয়া উদ্বেগ ছাড়াও, আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা বাহিনীর প্রত্যাহারের পর এ অঞ্চলে পুনরায় নিজেদের প্রভাব বিস্তার করতে চায় রাশিয়া। ২০২১ সাল থেকেই মস্কো তালেবানের সঙ্গে ব্যবসায়িক ও অনেকটাই গোপনে কূটনৈতিক বৈঠকের মাধ্যমে সম্পর্ক মজবুত করে চলেছে। ফলে দুই সরকারের মধ্যে বাণিজ্য, অবকাঠামো ও আর্থিক প্রকল্পের পথ খুলেছে ।
বিশ্ব রাজনীতির আরেক গুরুত্বপূর্ণ দেশ চীন এখনো তালেবানকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি না দিলেও সব ধরনের যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে। তালেবানকে স্বীকৃতি দিয়ে রাশিয়া এই ক্ষেত্রে চীনের চেয়েও এগিয়ে গেল বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এখন পর্যন্ত তালেবান সরকার কাতারের সাহায্যে পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখছে। তবে রাশিয়ার মতো পরাশক্তির এই পদক্ষেপ তালেবান সরকারের জন্য পশ্চিমের প্রয়োজন একেবারে মুছে না দিলেও চাপ অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছে।
উনিশ শতকে ব্রিটিশ ও রুশ সাম্রাজ্যের মধ্যকার ‘গ্রেট গেম’-এর কেন্দ্রে ছিল আফগানিস্তান। ভৌগোলিক কারণেই আফগানিস্তান বহুদিন ধরে বিশ্ব রাজনীতির এক তপ্ত ময়দান।
ইতিহাসবিদ স্টিভ কোলের মতে, ১৯৭৯ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন আফগানিস্তানে একটি কমিউনিস্ট সরকার প্রতিষ্ঠা করতে সেখানে আগ্রাসন চালায় এবং দশকব্যাপী যুদ্ধের সূচনা করে। এই যুদ্ধ ব্যাপক বেসামরিক ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি খোদ সোভিয়েত ইউনিয়নকেই দুর্বল করে তোলে।
সোভিয়েত ইউনিয়ন তথা কমিউনিস্টদের থামানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (সিআইএ) ওই সময় অপারেশন সাইক্লোনের মাধ্যমে আফগান মুজাহিদিনদের হাতে স্টিঙ্গার ক্ষেপণাস্ত্রসহ বিভিন্ন অস্ত্র তুলে দেয়। প্রশিক্ষণের জন্য বিলিয়ন ডলারের সহায়তাও দেয় তারা। মূলত পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র এই অপারেশন চালায়।
পাকিস্তানি লেখক ও সাংবাদিক আহমদ রশিদের মতে, মূলত ১৯৮৯ সালে সোভিয়েত বাহিনী আফগানিস্তান ছেড়ে যাওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র এই অঞ্চলে নিজেদের আগ্রহ হারায়। ফলে আফগানিস্তানে সৃষ্টি হয় তীব্র বিশৃঙ্খলা।
এই ডামাডোলের মধ্যেই ৯০ দশকের মাঝামাঝি সময়ে তালেবান গড়ে ওঠে। মার্কিন-সমর্থিত কিছু মুজাহিদিন পরে আল-কায়েদার মতো উগ্র সংগঠনেও যোগ দেয়। ১৯৯৬ সালে আফগানিস্তানের সোভিয়েত-সমর্থিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাজিবুল্লাহ নিহত হওয়ার পর তালেবান প্রথমবারের মতো ক্ষমতায় আসে।
যদিও যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি তালেবানকে অস্ত্র দেয়নি, তবে মুজাহিদিনদের সহায়তার মধ্য দিয়েই তালেবান ও আল-কায়েদার জন্মের পথ তৈরি হয়েছিল।
২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর আল-কায়েদার আত্মঘাতী বোমা হামলার (নাইন ইলেভেন) পরপরই যুক্তরাষ্ট্র তালেবান-শাসিত আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করে। ২০০২ সালের ডিসেম্বর মাসে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসনে তালেবান সরকারের পতন ঘটে।
দীর্ঘ ১৯ বছর পর ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দেশ আফগানিস্তান থেকে নিজেদের সৈন্য প্রত্যাহার শুরু করে। ২০২১ সালের আগস্ট মাসে তালেবান আবার আফগানিস্তানে ক্ষমতায় আসে।
ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের (আইসিজি) মতে, রাশিয়ার এই স্বীকৃতি কোনো আদর্শের জায়গা থেকে নয়। রাজনৈতিক ও কৌশলগত প্রয়োজনেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর অনুপস্থিতিতে রাশিয়া নিজেদের দক্ষিণ সীমান্ত রক্ষা, সন্ত্রাসবাদ নির্মূল ও আফগানিস্তানে গুরুত্বপূর্ণ শক্তি হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করতে চায়।
যেখানে চীন ও পাকিস্তান সরকার এখনো তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি শুধু যোগাযোগ রাখছে, সেখানে রাশিয়ার এই সাহসী পদক্ষেপ অন্যদেরও নতুন করে ভাবতে বাধ্য করতে পারে।
তবে এ অঞ্চলে প্রভাব বিস্তার ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চিরাচরিত প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে রাশিয়ার এই কৌশলগত সিদ্ধান্ত হয়তো খানিকটা ঝুঁকিরও। নতুন এ পদক্ষেপ শান্তি আনবে, নাকি আরও বিশৃঙ্খলা, সময়ই বলে দেবে!
বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে আফগানিস্তানের তালেবান সরকারকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিল রাশিয়া। ২০২১ সালের ১৫ আগস্ট দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় আসে তালেবান। ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থ ও নিরাপত্তা বিবেচনায় রাশিয়ার এই সিদ্ধান্ত বিশ্ব রাজনীতিতে নতুন মোড় তৈরি করল, এমনটাই বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।
সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকা থেকে তালেবানের নাম প্রত্যাহার করেছে রাশিয়া সরকার। পাশাপাশি, তালেবান সরকারের প্রতিনিধিকে স্বাগত জানিয়েছে রাশিয়া। এর ফলে রাশিয়া-আফগানিস্তান সম্পর্কের আনুষ্ঠানিক পথ খুলেছে।
আফগানিস্তান থেকে মার্কিনসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক বাহিনী প্রত্যাহারের পর থেকেই দেশটির অভ্যন্তরে অস্থিরতা চলমান। যা শুধু রাশিয়ার জন্য নয় বরং কমনওয়েলথ অব ইনডিপেনডেন্ট স্টেটসভুক্ত (সিআইএস) দেশগুলোর জন্যও বড় নিরাপত্তা হুমকি, এমনটাই উঠে এসেছিল রাশিয়ার ২০২১ সালের জাতীয় নিরাপত্তা কৌশলে। একইসঙ্গে, আফগানিস্তানকে সন্ত্রাসবাদ ও উগ্রবাদের সম্ভাব্য ঘাঁটি হিসেবে উল্লেখ করে মধ্য এশিয়া ও রাশিয়ার জন্য ঝুঁকি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
২০২৪ সালের মার্চে মস্কোর ক্রোকাস সিটি হলে কনসার্টে সন্ত্রাসী হামলায় ১৫০ জনের বেশি মানুষ নিহত হন। রাশিয়া এই হামলার জন্য আইএসআইএস-কে (আফগানিস্তান-ভিত্তিক ইসলামিক স্টেটের শাখা) দায়ী করে।
একই শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সুবিধাজনক অবস্থান পেতেই রাশিয়া তালেবানের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আফগানিস্তান উগ্রবাদের ঘাঁটি হয়ে উঠলে মধ্য এশিয়া ও রুশ ভূখণ্ড হুমকিতে পড়তে পারে। নিজেদের সুরক্ষিত করতেই রাশিয়া এখন তালেবান সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলতে চাইছে, এমনটাই মনে করছেন তাঁরা।
নিরাপত্তা নিয়ে জন্ম নেওয়া উদ্বেগ ছাড়াও, আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা বাহিনীর প্রত্যাহারের পর এ অঞ্চলে পুনরায় নিজেদের প্রভাব বিস্তার করতে চায় রাশিয়া। ২০২১ সাল থেকেই মস্কো তালেবানের সঙ্গে ব্যবসায়িক ও অনেকটাই গোপনে কূটনৈতিক বৈঠকের মাধ্যমে সম্পর্ক মজবুত করে চলেছে। ফলে দুই সরকারের মধ্যে বাণিজ্য, অবকাঠামো ও আর্থিক প্রকল্পের পথ খুলেছে ।
বিশ্ব রাজনীতির আরেক গুরুত্বপূর্ণ দেশ চীন এখনো তালেবানকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি না দিলেও সব ধরনের যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে। তালেবানকে স্বীকৃতি দিয়ে রাশিয়া এই ক্ষেত্রে চীনের চেয়েও এগিয়ে গেল বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এখন পর্যন্ত তালেবান সরকার কাতারের সাহায্যে পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখছে। তবে রাশিয়ার মতো পরাশক্তির এই পদক্ষেপ তালেবান সরকারের জন্য পশ্চিমের প্রয়োজন একেবারে মুছে না দিলেও চাপ অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছে।
উনিশ শতকে ব্রিটিশ ও রুশ সাম্রাজ্যের মধ্যকার ‘গ্রেট গেম’-এর কেন্দ্রে ছিল আফগানিস্তান। ভৌগোলিক কারণেই আফগানিস্তান বহুদিন ধরে বিশ্ব রাজনীতির এক তপ্ত ময়দান।
ইতিহাসবিদ স্টিভ কোলের মতে, ১৯৭৯ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন আফগানিস্তানে একটি কমিউনিস্ট সরকার প্রতিষ্ঠা করতে সেখানে আগ্রাসন চালায় এবং দশকব্যাপী যুদ্ধের সূচনা করে। এই যুদ্ধ ব্যাপক বেসামরিক ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি খোদ সোভিয়েত ইউনিয়নকেই দুর্বল করে তোলে।
সোভিয়েত ইউনিয়ন তথা কমিউনিস্টদের থামানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (সিআইএ) ওই সময় অপারেশন সাইক্লোনের মাধ্যমে আফগান মুজাহিদিনদের হাতে স্টিঙ্গার ক্ষেপণাস্ত্রসহ বিভিন্ন অস্ত্র তুলে দেয়। প্রশিক্ষণের জন্য বিলিয়ন ডলারের সহায়তাও দেয় তারা। মূলত পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র এই অপারেশন চালায়।
পাকিস্তানি লেখক ও সাংবাদিক আহমদ রশিদের মতে, মূলত ১৯৮৯ সালে সোভিয়েত বাহিনী আফগানিস্তান ছেড়ে যাওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র এই অঞ্চলে নিজেদের আগ্রহ হারায়। ফলে আফগানিস্তানে সৃষ্টি হয় তীব্র বিশৃঙ্খলা।
এই ডামাডোলের মধ্যেই ৯০ দশকের মাঝামাঝি সময়ে তালেবান গড়ে ওঠে। মার্কিন-সমর্থিত কিছু মুজাহিদিন পরে আল-কায়েদার মতো উগ্র সংগঠনেও যোগ দেয়। ১৯৯৬ সালে আফগানিস্তানের সোভিয়েত-সমর্থিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাজিবুল্লাহ নিহত হওয়ার পর তালেবান প্রথমবারের মতো ক্ষমতায় আসে।
যদিও যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি তালেবানকে অস্ত্র দেয়নি, তবে মুজাহিদিনদের সহায়তার মধ্য দিয়েই তালেবান ও আল-কায়েদার জন্মের পথ তৈরি হয়েছিল।
২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর আল-কায়েদার আত্মঘাতী বোমা হামলার (নাইন ইলেভেন) পরপরই যুক্তরাষ্ট্র তালেবান-শাসিত আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করে। ২০০২ সালের ডিসেম্বর মাসে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসনে তালেবান সরকারের পতন ঘটে।
দীর্ঘ ১৯ বছর পর ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দেশ আফগানিস্তান থেকে নিজেদের সৈন্য প্রত্যাহার শুরু করে। ২০২১ সালের আগস্ট মাসে তালেবান আবার আফগানিস্তানে ক্ষমতায় আসে।
ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের (আইসিজি) মতে, রাশিয়ার এই স্বীকৃতি কোনো আদর্শের জায়গা থেকে নয়। রাজনৈতিক ও কৌশলগত প্রয়োজনেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর অনুপস্থিতিতে রাশিয়া নিজেদের দক্ষিণ সীমান্ত রক্ষা, সন্ত্রাসবাদ নির্মূল ও আফগানিস্তানে গুরুত্বপূর্ণ শক্তি হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করতে চায়।
যেখানে চীন ও পাকিস্তান সরকার এখনো তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি শুধু যোগাযোগ রাখছে, সেখানে রাশিয়ার এই সাহসী পদক্ষেপ অন্যদেরও নতুন করে ভাবতে বাধ্য করতে পারে।
তবে এ অঞ্চলে প্রভাব বিস্তার ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চিরাচরিত প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে রাশিয়ার এই কৌশলগত সিদ্ধান্ত হয়তো খানিকটা ঝুঁকিরও। নতুন এ পদক্ষেপ শান্তি আনবে, নাকি আরও বিশৃঙ্খলা, সময়ই বলে দেবে!
তিব্বতের বৌদ্ধধর্ম শুধু ধর্ম নয়, এটি তিব্বতের জাতিসত্তা, সংস্কৃতি ও স্বাধীনতার প্রতীক। এই সাংস্কৃতিক আত্মপরিচয় নিয়ন্ত্রণ করতেই তিব্বতের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও নেতাদের ওপর কঠোর নজরদারি চালাচ্ছে কমিউনিস্ট চীন।
৯ ঘণ্টা আগেটুলকু প্রথা অনুসারে দালাই লামা বারবার জন্ম নেন পৃথিবীতে। কিন্তু এই ধর্মীয় বিশ্বাস আজ রাজনৈতিক টানাপোড়েনে। কে ঠিক করবেন পরবর্তী দালাই লামা—চীন, না বৌদ্ধ সম্প্রদায়? জানুন এর আধ্যাত্মিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট।
২ দিন আগেএখন হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বিলে স্বাক্ষর করলে বিলটি আইনে পরিণত হবে। এর আগে দলীয় সদস্যদের প্রতি ট্রাম্প আহ্বান জানিয়েছিলেন, ৪ জুলাই আমেরিকার স্বাধীনতা দিবসের আগেই যেন বিলটি পাস হয়।
২ দিন আগেইউরোপ এখন জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলগুলোর একটি। বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় ইউরোপ দ্বিগুণ গতিতে উষ্ণ হয়ে উঠছে। সমাধান হিসেবে একদিকে রয়েছে এসি ব্যবহারের স্বল্পকালীন স্বস্তি, অন্যদিকে আছে এসি ব্যবহারের দীর্ঘমেয়াদি পরিবেশগত ক্ষতি।
৩ দিন আগে