অবশেষে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদে পাস হলো মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অন্যতম নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি ‘ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল’। এরপরই বিভিন্ন মহল থেকে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। কার লাভ, কার ক্ষতি?
তুফায়েল আহমদ
প্রায় ২৯ ঘণ্টা টানা বিতর্কের পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনি প্রতিশ্রুতির অন্যতম স্তম্ভ ‘ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল’ পাস হয়েছে।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ ২১৮-২১৪ ভোটে বিলটির পক্ষে রায় দিয়েছে।
প্রতিনিধি পরিষদের সব (২১২ জন) ডেমোক্র্যাট সদস্যই বিলটির বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন। দলীয় সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে তাঁদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন খোদ ট্রাম্পের দলের (রিপাবলিকান) কংগ্রেসম্যান টমাস ম্যাসি ও পেনসিলভানিয়ার ব্রায়ান ফিটজপ্যাট্রিক।
বিল পাস হওয়ার পর প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ও রিপাবলিকান নেতা মাইক জনসন তাঁর দলের সহকর্মীদের প্রশংসা করে বলেন, ‘আমি এই দলকে বিশ্বাস করি। আমি আমেরিকায় বিশ্বাস করি। আমি এই স্বপ্নে বিশ্বাস করি।’ বলার সঙ্গে সঙ্গেই মুহুর্মুহু করতালিতে মুখর হয়ে ওঠে অধিবেশন কক্ষ।
এখন হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বিলে স্বাক্ষর করলে বিলটি আইনে পরিণত হবে। এর আগে দলীয় সদস্যদের প্রতি ট্রাম্প আহ্বান জানিয়েছিলেন, ৪ জুলাই আমেরিকার স্বাধীনতা দিবসের আগেই যেন বিলটি পাস হয়।
নতুন আইন অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকার ৫ ট্রিলিয়ন ডলার ঋণ বেশি নিতে পারবে। আগে এর পরিমাণ ছিল ৩৬ দশমিক ১ ট্রিলিয়ন ডলার। এই আইনের ফলে তা বেড়ে ৪১ দশমিক ১ ট্রিলিয়নে পৌঁছাল।
এ ছাড়া বিলের আওতায় ট্রাম্পের অন্যতম প্রতিশ্রুতি অভিবাসন (ইমিগ্রেশন) নিয়ন্ত্রণে বিপুল পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে ২০১৭ সালের ট্রাম্প-সমর্থিত কর ছাড়ও চূড়ান্তভাবে বহাল রাখা হয়েছে।
এই অতিরিক্ত ব্যয়ের অর্থ জোগাড় করতে মেডিকেইড (নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য সরকারি স্বাস্থ্য বীমা) এবং খাদ্য সহায়তা কর্মসূচি (এসএনএপি)-এর মতো সামাজিক উদ্যোগগুলো কমিয়ে আনা হবে।
এই বিলের মাধ্যমে ট্রাম্প তাঁর প্রথম মেয়াদে দেওয়া কর ছাড়ের মেয়াদ আরও বাড়াতে চান। যদিও ট্রাম্প বলছেন, এটি ‘সমস্ত আমেরিকানদের জন্য লাভজনক’। বাস্তবে এই সুবিধা সবার জন্য সমান নয়। মোট কর ছাড়ের এক-তৃতীয়াংশের বেশি যাবে যাদের বার্ষিক আয় ৪ লাখ ৬০ হাজার ডলার বা তার বেশি। আর প্রায় ৫৭ শতাংশ কর ছাড়ের সুবিধা পাবে যাদের বার্ষিক আয় ২ লাখ ১৭ হাজার ডলারের বেশি। অরাজনৈতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘ট্যাক্স পলিসি সেন্টার’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৬ সালে গড়পরতা প্রতি পরিবার কর ছাড় পাবে আনুমানিক ২ হাজার ৬০০ ডলার। তাদের মতে, উচ্চ আয়ের পরিবারগুলো অনেক বেশি কর সুবিধা পাবে।
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র প্রতি সন্তানের জন্য পরিবারকে ২ হাজার ডলার বার্ষিক কর ছাড় দেয়। এই আইন পাস না হলে ২০২৬ সালে যা নেমে আসত ১ হাজার ডলারে। তবে এই বিল পাস হওয়ায় এই ছাড় স্থায়ীভাবে বেড়ে দাঁড়াবে ২ হাজার ২০০ ডলারে।
যুক্তরাষ্ট্রে ইলেকট্রিক গাড়ি (ইভি) কেনায় ৭ হাজার ৫০০ ডলার পর্যন্ত ট্যাক্স ক্রেডিট পাওয়া যায়। এই বিলের আওতায় আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে এটি বাতিল করা হবে। এতে করে ইভি কেনার আগ্রহ কমে যেতে পারে এবং পেট্রোল-ডিজেলে চলা গাড়ির বাজার তুলনামূলকভাবে চাঙা হতে পারে।
এই আইনে টিপসের (বকশিশ) ওপর আর কর বসবে না। বর্তমানে যেসব কর্মী (ওয়েটার কিংবা অন্যান্য সেবা খাত) মাসে ২০ ডলারের বেশি টিপস পান, তাঁদের কর দিতে হয়। এই আইন তা বন্ধ করবে।
যুক্তরাষ্ট্র সরকার দরিদ্র পরিবারগুলোকে খাদ্য কেনার জন্য সহায়তা দেয়। যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ)- প্রতিবেদন মতে, ২০২৩ সালে প্রতি মাসে গড়ে ৪ কোটি ২১ লাখ মানুষ এই কর্মসূচির মাধ্যমে সুবিধা পেয়েছে। এই আইনের ফলে খাদ্য সহায়তা কর্মসূচি (এসএনএপি) থেকে আগামী ১০ বছরে ৬৮ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার বাজেট কমানো হবে।
এই আইন যুক্তরাষ্ট্রের নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্যসেবা কর্মসূচিতে (মেডিকেইড) ২০৩৪ সালের মধ্যে ৯৩০ বিলিয়ন ডলার বাজেট কমাবে। ২০২৪ সালের মার্চের সরকারি হিসাব মতে, ৭ কোটিরও বেশি নিম্ন আয়ের মানুষ এই মেডিকেইড কর্মসূচির সুবিধা ভোগ করে থাকেন।
ইলেকট্রিক গাড়ি (ইভি) কেনায় ট্যাক্স ক্রেডিট বাতিল হলে এই ধরনের গাড়ির বিক্রি কমে যেতে পারে। ইলেকট্রিক গাড়ি নির্মাতা টেসলার মালিক ধনকুবের এলন মাস্ক ইতিমধ্যেই এই বিলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। গত ৩ জুন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) পোস্ট করে মাস্ক বলেন, ‘আমি দুঃখিত, কিন্তু আর সহ্য করতে পারছি না। অশোভন, দুর্নীতিগ্রস্ত, ঘুষে-ভরা এই কংগ্রেসনাল বিলটি একটি ঘৃণ্য প্রচেষ্টা।’
গত বুধবার (১ জুলাই) যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এই বিলের বিরোধিতা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে বলেন, ‘এই বিল পাস হলে ১ কোটি ৬০ লাখের বেশি আমেরিকান তাঁদের স্বাস্থ্যসেবা হারানোর ঝুঁকিতে পড়বেন। এই বিলকে "না" বলুন।’
এ দিকে ভেরমন্টের সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স বলেছেন, স্বাস্থ্যখাতে তহবিল কাটছাঁট করে শীর্ষ ১ শতাংশ ধনীদের জন্য কর ছাড় দেওয়ায় এই আইন আমেরিকার জন্য ‘মৃত্যুদণ্ডের’ সমান। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হাজার হাজার আমেরিকান এই আইনের কারণে মারা যাবে।
এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের নার্সদের সবচেয়ে বড় সংগঠন ‘ন্যাশনাল নার্সেস ইউনাইটেড’ (এনএনইউ) এক বিবৃতিতে ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল অ্যাক্ট পাস হওয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। তারা বলছে, এই আইনের নীতিগত লক্ষ্য অত্যন্ত স্পষ্ট। সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা কেড়ে নেওয়া এই আইন যারা সমর্থন দিয়েছেন, তাঁদের হাতে রক্ত লেগে আছে।
প্রায় ২৯ ঘণ্টা টানা বিতর্কের পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনি প্রতিশ্রুতির অন্যতম স্তম্ভ ‘ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল’ পাস হয়েছে।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ ২১৮-২১৪ ভোটে বিলটির পক্ষে রায় দিয়েছে।
প্রতিনিধি পরিষদের সব (২১২ জন) ডেমোক্র্যাট সদস্যই বিলটির বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন। দলীয় সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে তাঁদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন খোদ ট্রাম্পের দলের (রিপাবলিকান) কংগ্রেসম্যান টমাস ম্যাসি ও পেনসিলভানিয়ার ব্রায়ান ফিটজপ্যাট্রিক।
বিল পাস হওয়ার পর প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ও রিপাবলিকান নেতা মাইক জনসন তাঁর দলের সহকর্মীদের প্রশংসা করে বলেন, ‘আমি এই দলকে বিশ্বাস করি। আমি আমেরিকায় বিশ্বাস করি। আমি এই স্বপ্নে বিশ্বাস করি।’ বলার সঙ্গে সঙ্গেই মুহুর্মুহু করতালিতে মুখর হয়ে ওঠে অধিবেশন কক্ষ।
এখন হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বিলে স্বাক্ষর করলে বিলটি আইনে পরিণত হবে। এর আগে দলীয় সদস্যদের প্রতি ট্রাম্প আহ্বান জানিয়েছিলেন, ৪ জুলাই আমেরিকার স্বাধীনতা দিবসের আগেই যেন বিলটি পাস হয়।
নতুন আইন অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকার ৫ ট্রিলিয়ন ডলার ঋণ বেশি নিতে পারবে। আগে এর পরিমাণ ছিল ৩৬ দশমিক ১ ট্রিলিয়ন ডলার। এই আইনের ফলে তা বেড়ে ৪১ দশমিক ১ ট্রিলিয়নে পৌঁছাল।
এ ছাড়া বিলের আওতায় ট্রাম্পের অন্যতম প্রতিশ্রুতি অভিবাসন (ইমিগ্রেশন) নিয়ন্ত্রণে বিপুল পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে ২০১৭ সালের ট্রাম্প-সমর্থিত কর ছাড়ও চূড়ান্তভাবে বহাল রাখা হয়েছে।
এই অতিরিক্ত ব্যয়ের অর্থ জোগাড় করতে মেডিকেইড (নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য সরকারি স্বাস্থ্য বীমা) এবং খাদ্য সহায়তা কর্মসূচি (এসএনএপি)-এর মতো সামাজিক উদ্যোগগুলো কমিয়ে আনা হবে।
এই বিলের মাধ্যমে ট্রাম্প তাঁর প্রথম মেয়াদে দেওয়া কর ছাড়ের মেয়াদ আরও বাড়াতে চান। যদিও ট্রাম্প বলছেন, এটি ‘সমস্ত আমেরিকানদের জন্য লাভজনক’। বাস্তবে এই সুবিধা সবার জন্য সমান নয়। মোট কর ছাড়ের এক-তৃতীয়াংশের বেশি যাবে যাদের বার্ষিক আয় ৪ লাখ ৬০ হাজার ডলার বা তার বেশি। আর প্রায় ৫৭ শতাংশ কর ছাড়ের সুবিধা পাবে যাদের বার্ষিক আয় ২ লাখ ১৭ হাজার ডলারের বেশি। অরাজনৈতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘ট্যাক্স পলিসি সেন্টার’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৬ সালে গড়পরতা প্রতি পরিবার কর ছাড় পাবে আনুমানিক ২ হাজার ৬০০ ডলার। তাদের মতে, উচ্চ আয়ের পরিবারগুলো অনেক বেশি কর সুবিধা পাবে।
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র প্রতি সন্তানের জন্য পরিবারকে ২ হাজার ডলার বার্ষিক কর ছাড় দেয়। এই আইন পাস না হলে ২০২৬ সালে যা নেমে আসত ১ হাজার ডলারে। তবে এই বিল পাস হওয়ায় এই ছাড় স্থায়ীভাবে বেড়ে দাঁড়াবে ২ হাজার ২০০ ডলারে।
যুক্তরাষ্ট্রে ইলেকট্রিক গাড়ি (ইভি) কেনায় ৭ হাজার ৫০০ ডলার পর্যন্ত ট্যাক্স ক্রেডিট পাওয়া যায়। এই বিলের আওতায় আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে এটি বাতিল করা হবে। এতে করে ইভি কেনার আগ্রহ কমে যেতে পারে এবং পেট্রোল-ডিজেলে চলা গাড়ির বাজার তুলনামূলকভাবে চাঙা হতে পারে।
এই আইনে টিপসের (বকশিশ) ওপর আর কর বসবে না। বর্তমানে যেসব কর্মী (ওয়েটার কিংবা অন্যান্য সেবা খাত) মাসে ২০ ডলারের বেশি টিপস পান, তাঁদের কর দিতে হয়। এই আইন তা বন্ধ করবে।
যুক্তরাষ্ট্র সরকার দরিদ্র পরিবারগুলোকে খাদ্য কেনার জন্য সহায়তা দেয়। যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ)- প্রতিবেদন মতে, ২০২৩ সালে প্রতি মাসে গড়ে ৪ কোটি ২১ লাখ মানুষ এই কর্মসূচির মাধ্যমে সুবিধা পেয়েছে। এই আইনের ফলে খাদ্য সহায়তা কর্মসূচি (এসএনএপি) থেকে আগামী ১০ বছরে ৬৮ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার বাজেট কমানো হবে।
এই আইন যুক্তরাষ্ট্রের নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্যসেবা কর্মসূচিতে (মেডিকেইড) ২০৩৪ সালের মধ্যে ৯৩০ বিলিয়ন ডলার বাজেট কমাবে। ২০২৪ সালের মার্চের সরকারি হিসাব মতে, ৭ কোটিরও বেশি নিম্ন আয়ের মানুষ এই মেডিকেইড কর্মসূচির সুবিধা ভোগ করে থাকেন।
ইলেকট্রিক গাড়ি (ইভি) কেনায় ট্যাক্স ক্রেডিট বাতিল হলে এই ধরনের গাড়ির বিক্রি কমে যেতে পারে। ইলেকট্রিক গাড়ি নির্মাতা টেসলার মালিক ধনকুবের এলন মাস্ক ইতিমধ্যেই এই বিলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। গত ৩ জুন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) পোস্ট করে মাস্ক বলেন, ‘আমি দুঃখিত, কিন্তু আর সহ্য করতে পারছি না। অশোভন, দুর্নীতিগ্রস্ত, ঘুষে-ভরা এই কংগ্রেসনাল বিলটি একটি ঘৃণ্য প্রচেষ্টা।’
গত বুধবার (১ জুলাই) যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এই বিলের বিরোধিতা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে বলেন, ‘এই বিল পাস হলে ১ কোটি ৬০ লাখের বেশি আমেরিকান তাঁদের স্বাস্থ্যসেবা হারানোর ঝুঁকিতে পড়বেন। এই বিলকে "না" বলুন।’
এ দিকে ভেরমন্টের সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স বলেছেন, স্বাস্থ্যখাতে তহবিল কাটছাঁট করে শীর্ষ ১ শতাংশ ধনীদের জন্য কর ছাড় দেওয়ায় এই আইন আমেরিকার জন্য ‘মৃত্যুদণ্ডের’ সমান। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হাজার হাজার আমেরিকান এই আইনের কারণে মারা যাবে।
এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের নার্সদের সবচেয়ে বড় সংগঠন ‘ন্যাশনাল নার্সেস ইউনাইটেড’ (এনএনইউ) এক বিবৃতিতে ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল অ্যাক্ট পাস হওয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। তারা বলছে, এই আইনের নীতিগত লক্ষ্য অত্যন্ত স্পষ্ট। সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা কেড়ে নেওয়া এই আইন যারা সমর্থন দিয়েছেন, তাঁদের হাতে রক্ত লেগে আছে।
টুলকু প্রথা অনুসারে দালাই লামা বারবার জন্ম নেন পৃথিবীতে। কিন্তু এই ধর্মীয় বিশ্বাস আজ রাজনৈতিক টানাপোড়েনে। কে ঠিক করবেন পরবর্তী দালাই লামা—চীন, না বৌদ্ধ সম্প্রদায়? জানুন এর আধ্যাত্মিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট।
৪ ঘণ্টা আগেইউরোপ এখন জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলগুলোর একটি। বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় ইউরোপ দ্বিগুণ গতিতে উষ্ণ হয়ে উঠছে। সমাধান হিসেবে একদিকে রয়েছে এসি ব্যবহারের স্বল্পকালীন স্বস্তি, অন্যদিকে আছে এসি ব্যবহারের দীর্ঘমেয়াদি পরিবেশগত ক্ষতি।
১ দিন আগেপ্রতীকী হলেও ব্ল্যাকআউটের সিদ্ধান্ত সরকারের ঘোষিত অবস্থানগুলোর সঙ্গে সাংঘর্ষিক ছিল। এতে সরকারের নীতির স্বচ্ছতা, সামঞ্জস্য ও প্রতিশ্রুতি নিয়ে জনমনে প্রশ্ন ওঠে।
১ দিন আগে১৯৭২ সালের সিমলা চুক্তিতে দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রান্তের ভাগ্য বদলে গেল। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হলেও তাতে তার নাম ছিল না। এদিকে কাশ্মীর আন্তর্জাতিক ইস্যু থেকে হয়ে গেল দ্বিপাক্ষিক— এমন এক ইতিহাস যা আজও প্রাসঙ্গিক।
২ দিন আগে