তিব্বতের আকাশে এক ধর্মীয় বিশ্বাস শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে ভেসে বেড়াচ্ছে। একজন গুরু মারা গেলে তিনি আবার ফিরে আসেন, নতুন শিশুর দেহে। দালাই লামার টুলকু প্রথা কেবলই আধ্যাত্মিক নয়, তা এখন রাজনৈতিক লড়াইয়ের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠতে চলেছে। কীভাবে হয় এই পুনর্জন্ম? কেন এত গুরুত্বপূর্ণ এই জন্ম-মৃত্যুর চক্র?
রাতুল আল আহমেদ
তিব্বতি বৌদ্ধরা তাদের ধর্মের একটি বিশেষ ধারা অনুসরণ করে। সে ধারার নাম বজ্রযান। শান্তরক্ষিত বা অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞানের মত মহান ব্যক্তিদের হাত ধরে বাংলা অঞ্চল থেকে বজ্রযান মত প্রাচীনকালে আলো ছড়িয়েছিল তিব্বতে।
তিব্বতের বৌদ্ধরা এখনও মেনে চলে বৌদ্ধধর্মের এ ধারা। তবে তিব্বতে বৌদ্ধধর্ম বিস্তারের পরে তাতে নিজস্ব কিছু ঐতিহ্য যুক্ত হয়। তেমনই এক গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহ্য হলো ‘টুলকু’ প্রথা। তিব্বতি ভাষায় ‘টুলকু’ শব্দের অর্থ ‘পুনরায় জন্ম নেওয়া ব্যক্তি’।
তিব্বতি বৌদ্ধদের বিশ্বাস, একজন লামা (গুরু বা শিক্ষক) বা আধ্যাত্মিক নেতা মৃত্যুর পর আবার জন্ম নেন পৃথিবীতে।
‘বোধিসত্ত্বে’র ধারণা থেকে তিব্বতি বৌদ্ধদের মধ্যে এ বিশ্বাসের জন্ম। এ বিশ্বাস অনুসারে, বোধিসত্ত্ব অবলোকিতেশ্বর বোধিলাভের পর সংসারের দুঃখ থেকে মুক্তিলাভের পথ হিসেবে নির্বাণ গ্রহণ করতে যান। এমন সময় তিনি অবলোকন করেন জগতের সকলের দুঃখ। অনুধাবন করেন, সকলের দুঃখ নিবারণ না করে একাকী নির্বাণলাভে প্রকৃত মুক্তি নেই। তিনি সিদ্ধান্ত নেন, সকলের সঙ্গেই নির্বাণ গ্রহণ করবেন তিনি। সকলকে মুক্তির পথ দেখানোর জন্য বারবার পৃথিবীতে জন্ম নেওয়ার পণ করেন তিনি। বোধিপ্রাপ্ত এ সত্তাকেই বৌদ্ধধর্ম বলা হয় ‘বোধিসত্ত্ব’। সেখান থেকেই তিব্বতি বৌদ্ধদের বিশ্বাস পুণ্যবান লামাগণ এ পৃথিবীতে ফিরে আসবেন সকলকে মুক্তির পথ দেখাতে।
পুনরায় জন্মগ্রহণের এ পদ্ধতিকেই ‘টুলকু ব্যবস্থা’ বলে থাকে তিব্বতিরা।
টুলকু প্রথার সবচেয়ে পরিচিত উদাহরণ হচ্ছেন দালাই লামা। বর্তমান দালাই লামা, যাঁর নাম তেনজিং গ্যাৎসো, তিনি চতুর্দশ দালাই লামা নামে পরিচিত। অর্থাৎ এর আগে আরও তেরো বার এ পৃথিবীতে তিনি দালাই লামা হিসেবে জন্মগ্রহণ করেছেন।
দালাই লামা তিব্বতের ধর্মীয় ও রাজনৈতিক প্রধান নেতা হিসেবে বিবেচিত হন। বৌদ্ধ ধর্মে তাঁকে সহানুভূতি, করুণা ও শিক্ষার প্রধান বাহক মনে করা হয়। তিব্বতিরা বিশ্বাস করে দালাই লামা হলেন বোধিসত্ত্ব অবলোকিতেশ্বরের মানব রূপ। ‘গ্যালওয়া গ্যাৎসো’ বা করুণার সাগর নামেই তাঁকে ডাকেন তিব্বতিরা।
যখন দালাই লামা বা অন্য কেউ পুনর্জন্ম নেন, তখন তাঁদের খুঁজে বের করার দায়িত্ব থাকে অন্যান্য উচ্চপর্যায়ের লামাদের ওপর। খুঁজে বের করার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করে থাকেন তাঁরা।
টুলকু ব্যবস্থা কীভাবে কাজ করে তা বোঝার জন্য প্রথমে জানতে হবে, একজন টুলকুর মৃত্যুর পর কী হয়। মৃত্যুর পর ঐ এলাকার আধ্যাত্মিক গুরু ও লামারা পুনর্জন্মের সন্ধানে নামেন। তাঁরা অতিপ্রাকৃত চিহ্ন, স্বপ্ন, ভবিষ্যদ্বাণী এবং পূর্ববর্তী জীবনের নানা ইঙ্গিত খুঁজে বের করেন। কখনও কখনও তারা বিশেষ চিহ্ন দেখে কিংবা পূর্ববর্তী টুলকুর কোনো বস্তুর প্রতি শিশুর আকর্ষণ দেখে পুনর্জন্ম খুঁজে পান।
টুলকু খোঁজার পদ্ধতি অত্যন্ত সংবেদনশীল ও পবিত্র। লামারা যেসব শিশুকে টুলকু বলে মনে করেন, তাদের বিভিন্নভাবে পরীক্ষা করা হয়। কয়েক বছর ধরেও চলতে পারে এ পরীক্ষা। যেখানে যার পুনর্জন্ম হিসেবে তাঁরা শিশুটিকে মনে করছেন, সেই টুলকুর ব্যক্তিগত জিনিসপত্র চিনতে পারা, বুদ্ধি ও আচরণের মিল খুঁজে দেখেন তাঁরা। এ ছাড়াও, শিশুর মধ্যে বিশেষ কিছু আধ্যাত্মিক গুণাবলি খোঁজা হয়। পারিবারিক ইতিহাসও যাচাই করা হয় এ প্রক্রিয়ায়। শিশুদের চিন্তার ধরন, ভাষা ও আচরণও খুব গুরুত্ব দিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হয়।
যখন কোনো শিশু এসব পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়, ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ তখন তাকে টুলকু হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এরপর সেই শিশুকে পাঠানো হয় বৌদ্ধধর্মের শিক্ষালাভের এক দীর্ঘ প্রশিক্ষণে। অনেক বছর ধরে চলা এ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিশুটি একজন আধ্যাত্মিক নেতা হিসেবে গড়ে ওঠেন।
টুলকু পদ্ধতি প্রায় ৭শ বছরের পুরনো। তিব্বতে আধ্যাত্মিক নেতারা বুঝতে পেরেছিলেন যে তাদের শারীরিক জীবন সীমিত। ফলে তাদের শিষ্যদের পথ দেখানোর জন্য উত্তরাধিকারী নির্ধারণ করা জরুরি। পুনর্জন্মের এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর স্থিতিশীলতা বজায় রাখা সম্ভব হয়।
দালাই লামার পুনর্জন্মের প্রক্রিয়াও একই রকম। ১৪তম দালাই লামা জন্ম নেওয়ার আগেও পূর্ববর্তী দালাই লামার মৃত্যুর পর দীর্ঘদিন অনুসন্ধান চলেছিল। বিভিন্ন আধ্যাত্মিক সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য ও ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী ১৪তম দালাই লামাকে বেছে নেওয়া হয়।
২০১১ সালে মহাত্মা দালাই লামা একটি গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছিলেন। তিনি স্পষ্ট করে জানিয়েছিলেন যে তাঁর পুনর্জন্মের বিষয়টি শুধু ঐতিহ্যের নিয়ম অনুসারে নির্ধারিত হবে। এর মধ্যে কোনো রাজনৈতিক বা বাহ্যিক হস্তক্ষেপ গ্রহণযোগ্য নয় বলে জানিয়েছিলেন তিনি। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন যে পরবর্তী দালাই লামার স্বীকৃতি দেওয়ার ক্ষমতা কেবল দালাই লামার প্রতিষ্ঠিত গানদেন ফোদরাং ট্রাস্ট এবং তার দপ্তরের হাতে থাকবে। অন্য কেউ এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার অধিকার রাখে না।
দালাই লামার বক্তব্যের গভীর তাৎপর্য রয়েছে। কেননা সরাসরি চীনা সরকারের সম্ভাব্য হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করে এই বক্তব্য। চীন দীর্ঘদিন ধরে তিব্বতের উপর রাজনৈতিক ও ধর্মীয় নিয়ন্ত্রণ জোরদার করার চেষ্টা করে আসছে। তারা দাবি করে যে পরবর্তী দালাই লামাকে অবশ্যই চীনা সরকারের অনুমোদিত হতে হবে। কিন্তু দালাই লামার এই বক্তব্য চীনের সেই দাবিকে প্রত্যাখ্যান করে। শুধু তাই নয়, পুনর্জন্ম প্রক্রিয়াটি অবশ্যই বৌদ্ধ ধর্মীয় ঐতিহ্য ও স্থানীয় সম্প্রদায়ের মতামতের উপর নির্ভরশীল হওয়া উচিত বলে নির্দেশ করে।
তিব্বতীদের জন্য এই টুলকু ব্যবস্থা কেবল আধ্যাত্মিক অথবা ধর্মীয় ব্যাপার নয়। তাদের জাতিগত ও সাংস্কৃতিক পরিচয়ের অন্যতম ভিত্তি এ পুনর্জন্মের ব্যবস্থা। তারা তাই এই প্রথার রাজনৈতিক ব্যবহার বা হস্তক্ষেপকে প্রত্যাখ্যান করে। বিশ্বের বহু বৌদ্ধ ও মানবাধিকার সংগঠনও এই ব্যাপারে তিব্বতিদের পক্ষ নিয়েছে।
তিব্বতি বৌদ্ধরা তাদের ধর্মের একটি বিশেষ ধারা অনুসরণ করে। সে ধারার নাম বজ্রযান। শান্তরক্ষিত বা অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞানের মত মহান ব্যক্তিদের হাত ধরে বাংলা অঞ্চল থেকে বজ্রযান মত প্রাচীনকালে আলো ছড়িয়েছিল তিব্বতে।
তিব্বতের বৌদ্ধরা এখনও মেনে চলে বৌদ্ধধর্মের এ ধারা। তবে তিব্বতে বৌদ্ধধর্ম বিস্তারের পরে তাতে নিজস্ব কিছু ঐতিহ্য যুক্ত হয়। তেমনই এক গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহ্য হলো ‘টুলকু’ প্রথা। তিব্বতি ভাষায় ‘টুলকু’ শব্দের অর্থ ‘পুনরায় জন্ম নেওয়া ব্যক্তি’।
তিব্বতি বৌদ্ধদের বিশ্বাস, একজন লামা (গুরু বা শিক্ষক) বা আধ্যাত্মিক নেতা মৃত্যুর পর আবার জন্ম নেন পৃথিবীতে।
‘বোধিসত্ত্বে’র ধারণা থেকে তিব্বতি বৌদ্ধদের মধ্যে এ বিশ্বাসের জন্ম। এ বিশ্বাস অনুসারে, বোধিসত্ত্ব অবলোকিতেশ্বর বোধিলাভের পর সংসারের দুঃখ থেকে মুক্তিলাভের পথ হিসেবে নির্বাণ গ্রহণ করতে যান। এমন সময় তিনি অবলোকন করেন জগতের সকলের দুঃখ। অনুধাবন করেন, সকলের দুঃখ নিবারণ না করে একাকী নির্বাণলাভে প্রকৃত মুক্তি নেই। তিনি সিদ্ধান্ত নেন, সকলের সঙ্গেই নির্বাণ গ্রহণ করবেন তিনি। সকলকে মুক্তির পথ দেখানোর জন্য বারবার পৃথিবীতে জন্ম নেওয়ার পণ করেন তিনি। বোধিপ্রাপ্ত এ সত্তাকেই বৌদ্ধধর্ম বলা হয় ‘বোধিসত্ত্ব’। সেখান থেকেই তিব্বতি বৌদ্ধদের বিশ্বাস পুণ্যবান লামাগণ এ পৃথিবীতে ফিরে আসবেন সকলকে মুক্তির পথ দেখাতে।
পুনরায় জন্মগ্রহণের এ পদ্ধতিকেই ‘টুলকু ব্যবস্থা’ বলে থাকে তিব্বতিরা।
টুলকু প্রথার সবচেয়ে পরিচিত উদাহরণ হচ্ছেন দালাই লামা। বর্তমান দালাই লামা, যাঁর নাম তেনজিং গ্যাৎসো, তিনি চতুর্দশ দালাই লামা নামে পরিচিত। অর্থাৎ এর আগে আরও তেরো বার এ পৃথিবীতে তিনি দালাই লামা হিসেবে জন্মগ্রহণ করেছেন।
দালাই লামা তিব্বতের ধর্মীয় ও রাজনৈতিক প্রধান নেতা হিসেবে বিবেচিত হন। বৌদ্ধ ধর্মে তাঁকে সহানুভূতি, করুণা ও শিক্ষার প্রধান বাহক মনে করা হয়। তিব্বতিরা বিশ্বাস করে দালাই লামা হলেন বোধিসত্ত্ব অবলোকিতেশ্বরের মানব রূপ। ‘গ্যালওয়া গ্যাৎসো’ বা করুণার সাগর নামেই তাঁকে ডাকেন তিব্বতিরা।
যখন দালাই লামা বা অন্য কেউ পুনর্জন্ম নেন, তখন তাঁদের খুঁজে বের করার দায়িত্ব থাকে অন্যান্য উচ্চপর্যায়ের লামাদের ওপর। খুঁজে বের করার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করে থাকেন তাঁরা।
টুলকু ব্যবস্থা কীভাবে কাজ করে তা বোঝার জন্য প্রথমে জানতে হবে, একজন টুলকুর মৃত্যুর পর কী হয়। মৃত্যুর পর ঐ এলাকার আধ্যাত্মিক গুরু ও লামারা পুনর্জন্মের সন্ধানে নামেন। তাঁরা অতিপ্রাকৃত চিহ্ন, স্বপ্ন, ভবিষ্যদ্বাণী এবং পূর্ববর্তী জীবনের নানা ইঙ্গিত খুঁজে বের করেন। কখনও কখনও তারা বিশেষ চিহ্ন দেখে কিংবা পূর্ববর্তী টুলকুর কোনো বস্তুর প্রতি শিশুর আকর্ষণ দেখে পুনর্জন্ম খুঁজে পান।
টুলকু খোঁজার পদ্ধতি অত্যন্ত সংবেদনশীল ও পবিত্র। লামারা যেসব শিশুকে টুলকু বলে মনে করেন, তাদের বিভিন্নভাবে পরীক্ষা করা হয়। কয়েক বছর ধরেও চলতে পারে এ পরীক্ষা। যেখানে যার পুনর্জন্ম হিসেবে তাঁরা শিশুটিকে মনে করছেন, সেই টুলকুর ব্যক্তিগত জিনিসপত্র চিনতে পারা, বুদ্ধি ও আচরণের মিল খুঁজে দেখেন তাঁরা। এ ছাড়াও, শিশুর মধ্যে বিশেষ কিছু আধ্যাত্মিক গুণাবলি খোঁজা হয়। পারিবারিক ইতিহাসও যাচাই করা হয় এ প্রক্রিয়ায়। শিশুদের চিন্তার ধরন, ভাষা ও আচরণও খুব গুরুত্ব দিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হয়।
যখন কোনো শিশু এসব পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়, ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ তখন তাকে টুলকু হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এরপর সেই শিশুকে পাঠানো হয় বৌদ্ধধর্মের শিক্ষালাভের এক দীর্ঘ প্রশিক্ষণে। অনেক বছর ধরে চলা এ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিশুটি একজন আধ্যাত্মিক নেতা হিসেবে গড়ে ওঠেন।
টুলকু পদ্ধতি প্রায় ৭শ বছরের পুরনো। তিব্বতে আধ্যাত্মিক নেতারা বুঝতে পেরেছিলেন যে তাদের শারীরিক জীবন সীমিত। ফলে তাদের শিষ্যদের পথ দেখানোর জন্য উত্তরাধিকারী নির্ধারণ করা জরুরি। পুনর্জন্মের এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর স্থিতিশীলতা বজায় রাখা সম্ভব হয়।
দালাই লামার পুনর্জন্মের প্রক্রিয়াও একই রকম। ১৪তম দালাই লামা জন্ম নেওয়ার আগেও পূর্ববর্তী দালাই লামার মৃত্যুর পর দীর্ঘদিন অনুসন্ধান চলেছিল। বিভিন্ন আধ্যাত্মিক সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য ও ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী ১৪তম দালাই লামাকে বেছে নেওয়া হয়।
২০১১ সালে মহাত্মা দালাই লামা একটি গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছিলেন। তিনি স্পষ্ট করে জানিয়েছিলেন যে তাঁর পুনর্জন্মের বিষয়টি শুধু ঐতিহ্যের নিয়ম অনুসারে নির্ধারিত হবে। এর মধ্যে কোনো রাজনৈতিক বা বাহ্যিক হস্তক্ষেপ গ্রহণযোগ্য নয় বলে জানিয়েছিলেন তিনি। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন যে পরবর্তী দালাই লামার স্বীকৃতি দেওয়ার ক্ষমতা কেবল দালাই লামার প্রতিষ্ঠিত গানদেন ফোদরাং ট্রাস্ট এবং তার দপ্তরের হাতে থাকবে। অন্য কেউ এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার অধিকার রাখে না।
দালাই লামার বক্তব্যের গভীর তাৎপর্য রয়েছে। কেননা সরাসরি চীনা সরকারের সম্ভাব্য হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করে এই বক্তব্য। চীন দীর্ঘদিন ধরে তিব্বতের উপর রাজনৈতিক ও ধর্মীয় নিয়ন্ত্রণ জোরদার করার চেষ্টা করে আসছে। তারা দাবি করে যে পরবর্তী দালাই লামাকে অবশ্যই চীনা সরকারের অনুমোদিত হতে হবে। কিন্তু দালাই লামার এই বক্তব্য চীনের সেই দাবিকে প্রত্যাখ্যান করে। শুধু তাই নয়, পুনর্জন্ম প্রক্রিয়াটি অবশ্যই বৌদ্ধ ধর্মীয় ঐতিহ্য ও স্থানীয় সম্প্রদায়ের মতামতের উপর নির্ভরশীল হওয়া উচিত বলে নির্দেশ করে।
তিব্বতীদের জন্য এই টুলকু ব্যবস্থা কেবল আধ্যাত্মিক অথবা ধর্মীয় ব্যাপার নয়। তাদের জাতিগত ও সাংস্কৃতিক পরিচয়ের অন্যতম ভিত্তি এ পুনর্জন্মের ব্যবস্থা। তারা তাই এই প্রথার রাজনৈতিক ব্যবহার বা হস্তক্ষেপকে প্রত্যাখ্যান করে। বিশ্বের বহু বৌদ্ধ ও মানবাধিকার সংগঠনও এই ব্যাপারে তিব্বতিদের পক্ষ নিয়েছে।
এখন হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বিলে স্বাক্ষর করলে বিলটি আইনে পরিণত হবে। এর আগে দলীয় সদস্যদের প্রতি ট্রাম্প আহ্বান জানিয়েছিলেন, ৪ জুলাই আমেরিকার স্বাধীনতা দিবসের আগেই যেন বিলটি পাস হয়।
৯ ঘণ্টা আগেইউরোপ এখন জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলগুলোর একটি। বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় ইউরোপ দ্বিগুণ গতিতে উষ্ণ হয়ে উঠছে। সমাধান হিসেবে একদিকে রয়েছে এসি ব্যবহারের স্বল্পকালীন স্বস্তি, অন্যদিকে আছে এসি ব্যবহারের দীর্ঘমেয়াদি পরিবেশগত ক্ষতি।
১ দিন আগেপ্রতীকী হলেও ব্ল্যাকআউটের সিদ্ধান্ত সরকারের ঘোষিত অবস্থানগুলোর সঙ্গে সাংঘর্ষিক ছিল। এতে সরকারের নীতির স্বচ্ছতা, সামঞ্জস্য ও প্রতিশ্রুতি নিয়ে জনমনে প্রশ্ন ওঠে।
১ দিন আগে১৯৭২ সালের সিমলা চুক্তিতে দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রান্তের ভাগ্য বদলে গেল। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হলেও তাতে তার নাম ছিল না। এদিকে কাশ্মীর আন্তর্জাতিক ইস্যু থেকে হয়ে গেল দ্বিপাক্ষিক— এমন এক ইতিহাস যা আজও প্রাসঙ্গিক।
২ দিন আগে