আরজু আহমাদ
চলতি বছরের ১২ রবিউল আওয়াল ছিল আল্লাহর নবী হজরত মুহাম্মাদ (সা.)-এর জন্মবার্ষিকী। সেদিন ৪ সেপ্টেম্বর কানপুরের সৈয়দনগরের রাওয়াতপুর এলাকার জাফর ওয়ালি গলিতে পবিত্র ঈদে-মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে ঐতিহ্য অনুযায়ী ব্যাপক সাজসজ্জা করা হয়। আগের দিন রাস্তার প্রবেশমুখে ‘আই লাভ মুহাম্মদ’ লেখা একটি লাইটবোর্ড বসানো হয়। এই বোর্ড ঘিরেই শুরু হয় সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা। স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের কয়েকজন আপত্তি জানান। তাঁরা এটাকে নতুন চল বলে দাবি করেন। উত্তেজনা বাড়তে থাকায় এলাকায় পুলিশ মোতায়েন হয়। পুলিশি হস্তক্ষেপ ও দুই পক্ষের তর্ক-বিতর্কের পর লাইটবোর্ডটি সরিয়ে নেওয়া হয়।
পরের দিন ঈদে-মিলাদুন্নবী (সা.)-এর শোভাযাত্রার সময় অনেক মুসলিম যুবক ‘আই লাভ মুহাম্মাদ’ লেখা ব্যানার, পোস্টার হাতে নিয়ে তাতে অংশ নেন। কিছু অজ্ঞাত যুবক সাম্প্রদায়িক শৃঙ্খলা বিনষ্ট করছে এমন অভিযোগ তুলে পুলিশ। সাব-ইন্সপেক্টর পঙ্কজ শর্মা বাদি হয়ে ২৪ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর করেন। মিলাদুন্নবীর আগেই মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ হুশিয়ারি দিয়েছিলেন, সব ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও শোভাযাত্রাকে অবশ্যই ঐতিহ্যগত রীতি মানতে হবে।
পুলিশের এই পদক্ষেপ মুসলিম সমাজে প্রবল প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। উত্তর প্রদেশ ছাড়াও উত্তরাখণ্ড, মহারাষ্ট্র, গুজরাট ও তেলেঙ্গানায় বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। সারা দেশে ‘আই লাভ মুহাম্মদ’ পোস্টার লাগানো হয় এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রোফাইল ছবিতে ব্যবহৃত হতে থাকে। অনেকে একে ধর্মীয় অভিব্যক্তিকে অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করার শামিল বলে আখ্যা দেন এবং অভিযোগ উঠে যে বিষয়টি ভারতের সংখ্যালঘু মুসলমানদের ওপর চলমান নিপীড়নের নতুন হাতিয়ার।
প্রতিবাদে উত্তর প্রদেশের উন্নাওতে ‘আই লাভ মুহাম্মদ’ ব্যানার নিয়ে মিছিল হয়। পুলিশ এর বিরুদ্ধে দায়ের করে আটটি এফআইআর, গ্রেপ্তার করে পাঁচজনকে। মহারাজাগঞ্জে এই ব্যানারে মিছিলের আগেই জড়ো হওয়া মানুষকে ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ। ব্যানার কেড়ে নেয়। মামলা হয় ৬৪ জনের বিপক্ষে। লাখনৌতে মুসলিম নারীরা প্রতিবাদ সমাবেশ করলে পুলিশ সেখানেও মামলা করে।
অ্যাসোসিয়েশন ফর প্রোটেকশন অব সিভিল রাইটসের (এপিসিআর) তথ্য অনুযায়ী, ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ২১টি মামলা হয়েছে এবং ১৩ শ ২৪ জন মুসলিমকে আসামি করা হয়েছে, গ্রেপ্তার করা হয়েছে কমপক্ষে ৩৮ জনকে। কেবল উত্তর প্রদেশই এখন পর্যন্ত ১৬টি এফআইআর হয়েছে এবং বিভিন্ন জেলায় এক হাজারেরও বেশি মানুষকে আসামি করা হয়েছে।
এপিসিআর হিসাব মতে, উন্নাওতে ৮টি মামলা, ৮৫ জনকে করা হয়েছে আসামি, ৫ জনকে করা হয়েছে গ্রেপ্তার। বাঘপাতে ১৫০ জনকে আসামি করে ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কায়ছাররগঞ্জ এলাকায় ৩৫৫ জন, শাহজাহানপুরে ২০০ জন এবং কৌশাম্বিতে ২৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। এই থানায় তিনজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়।
উত্তরপ্রদেশের বাইরে উত্তরাখণ্ডের কাশীপুরে চার শ একজনকে আসামি করা হয়েছে এবং সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গুজরাটে গোধরায় ৮৮ জনকে আসামি ও ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বারোদায় একজন গ্রেপ্তার হয়েছে। মহারাষ্ট্রেও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
কিন্তু বেরেলিতে ২৬ সেপ্টেম্বর এই উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়। জুমার নামাজের পর ইত্তেহাদ-এ-মিল্লাত কাউন্সিলের প্রধান ও বেরেলভি সম্প্রদায়ের প্রভাবশালী ধর্মীয় নেতা মৌলানা তৌকির রেজা খান ইসলামিয়া গ্রাউন্ডে সমাবেশের ডাক দিয়েছিলেন, পরে প্রশাসনের অনুমতি না মেলায় তা প্রত্যাহার করেন। তবুও নামাজ শেষে জনতা মিছিল বের করলে পুলিশ বাধা দেয়।
প্রতিবাদকারীরা আলা হাজরত দরগাহ ও ইত্তেহাদ-এ-মিল্লাত কাউন্সিল প্রধান মৌলানা তৌকির রজার বাড়ির সামনে ‘আই লাভ মুহাম্মদ’ লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে জড়ো হয়। সংঘর্ষ বাধে, পাথর ছোড়া হয় এবং কোথাও কোথাও গুলি চালানোর খবরও আসে। পুলিশ লাঠিচার্জ ও টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করে। মৌলানা তৌকির রেজাকেও গ্রেপ্তার করা হয়। মৌলানা তৌকির রেজা খান উপমহাদেশের সুন্নী ধারার প্রবক্তা আহমদ রেজা খান বেরেলভির প্রপৌত্র। সংঘাতের পর পুলিশ রায়বেরেলির ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। নতুন করে কমপক্ষে ১০টি এফআইআর করে দেড় থেকে দুই শ জনকে আসামি করা হয়। গ্রেপ্তার করা হয় কমপক্ষে ৩৯ জনকে। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বুলডোজার নীতিরও প্রয়োগ হয়। রেজা খান পরিবারের সঙ্গে সম্পর্কিত বেশ কিছু স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বেরেলিতে হওয়া বিক্ষোভের ঘটনায় পুলিশ মৌলানা মোহসিন রেজাকেও গ্রেপ্তার করেছে। মোহসিন রেজার গ্রেপ্তারের বিচারিক হেফাজতে নেওয়ার পর গ্যারেজও বুলডোজার চালিয়ে ভেঙে ফেলা হয়।
আইএইচএল সম্প্রতি একটা প্রতিবেদনে দেখিয়েছে, উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ২০২৪ সালে ৮৬টি ‘ঘৃণাবাদী’ বক্তব্য দেন মুসলমানদের বিরুদ্ধে। গড়ে প্রতি চার দিনে একটি করে বিদ্বেষমূলক বক্তব্য দিয়েছেন।
২০২২ সালে বিবিসি 'হাউ বুলডুজারস বিকাম আ ভেহিক্যাল অব ইনজাস্টিস ইন ইন্ডিয়া' শিরোনামে একটা প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেখানে দেখানো হয় কীভাবে আদিত্যনাথ ভারতীয় মুসলমানদের নিপীড়নের অস্ত্র হিসেবে বুলডোজারকে বেছে নিয়েছিলেন।
মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের ২০২২ সালের নির্বাচনের রোড শোতে তাঁর সমর্থকেরা একটি দল ছোট হলুদ প্রতীকী বুলডোজার নিয়ে এসেছিল।
মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ আগের মতোই এই ঘটনাতেও পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করেছেন। বিক্ষোভকারীদের কড়া সমালোচনা করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। হুমকি দিয়ে বলেছেন, ‘বেরেলিতে যেমন পিটুনি খেয়েছে, তেমনি পিটাবে।’ তিনি ‘আই লাভ মুহাম্মদ’ পোস্টার নিয়েও কটাক্ষ করে বলেন, ‘এই মূর্খরা জানে না, বিশ্বাসকে ভালোবাসা যায় না, তাঁকে শ্রদ্ধা করা হয়। ধর্ম বিশ্বাস রাস্তার মোড়ে দেখানোর বিষয় নয়, এটি বিবেকের ব্যাপার। কিছু লোক ছোট ছোট বাচ্চাদের “আই লাভ মুহাম্মদ” লেখা পোস্টার দিয়ে সমাজে অরাজকতা তৈরি করছে।’
উত্তর প্রদেশ সরকারের এই দমননীতির প্রতিবাদে সহারানপুরের এমপি ইমরান মাসুদ এবং সাবেক আমরোহা এমপি কুনওয়ার দানিশ আলী ‘আই লাভ মুহাম্মদ’ ক্যাম্পেইনে অংশ নিয়ে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার ঘোষণা দিলে তাঁদের গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে।
উত্তরপ্রদেশ ভারতের মুসলিম সংখ্যালঘুদের জন্য সবচেয়ে অনুপযোগী জায়গাগুলোর একটিতে পরিণত হয়েছে। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় হিন্দুত্ববাদের ব্যাপক বিস্তারের মধ্য দিয়ে ভারত ক্রমশ অসহিষ্ণু রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। ধর্মীয় অনুভূতির প্রকাশও এখন অপরাধ বলে বিবেচিত হচ্ছে।
চলতি বছরের ১২ রবিউল আওয়াল ছিল আল্লাহর নবী হজরত মুহাম্মাদ (সা.)-এর জন্মবার্ষিকী। সেদিন ৪ সেপ্টেম্বর কানপুরের সৈয়দনগরের রাওয়াতপুর এলাকার জাফর ওয়ালি গলিতে পবিত্র ঈদে-মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে ঐতিহ্য অনুযায়ী ব্যাপক সাজসজ্জা করা হয়। আগের দিন রাস্তার প্রবেশমুখে ‘আই লাভ মুহাম্মদ’ লেখা একটি লাইটবোর্ড বসানো হয়। এই বোর্ড ঘিরেই শুরু হয় সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা। স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের কয়েকজন আপত্তি জানান। তাঁরা এটাকে নতুন চল বলে দাবি করেন। উত্তেজনা বাড়তে থাকায় এলাকায় পুলিশ মোতায়েন হয়। পুলিশি হস্তক্ষেপ ও দুই পক্ষের তর্ক-বিতর্কের পর লাইটবোর্ডটি সরিয়ে নেওয়া হয়।
পরের দিন ঈদে-মিলাদুন্নবী (সা.)-এর শোভাযাত্রার সময় অনেক মুসলিম যুবক ‘আই লাভ মুহাম্মাদ’ লেখা ব্যানার, পোস্টার হাতে নিয়ে তাতে অংশ নেন। কিছু অজ্ঞাত যুবক সাম্প্রদায়িক শৃঙ্খলা বিনষ্ট করছে এমন অভিযোগ তুলে পুলিশ। সাব-ইন্সপেক্টর পঙ্কজ শর্মা বাদি হয়ে ২৪ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর করেন। মিলাদুন্নবীর আগেই মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ হুশিয়ারি দিয়েছিলেন, সব ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও শোভাযাত্রাকে অবশ্যই ঐতিহ্যগত রীতি মানতে হবে।
পুলিশের এই পদক্ষেপ মুসলিম সমাজে প্রবল প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। উত্তর প্রদেশ ছাড়াও উত্তরাখণ্ড, মহারাষ্ট্র, গুজরাট ও তেলেঙ্গানায় বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। সারা দেশে ‘আই লাভ মুহাম্মদ’ পোস্টার লাগানো হয় এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রোফাইল ছবিতে ব্যবহৃত হতে থাকে। অনেকে একে ধর্মীয় অভিব্যক্তিকে অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করার শামিল বলে আখ্যা দেন এবং অভিযোগ উঠে যে বিষয়টি ভারতের সংখ্যালঘু মুসলমানদের ওপর চলমান নিপীড়নের নতুন হাতিয়ার।
প্রতিবাদে উত্তর প্রদেশের উন্নাওতে ‘আই লাভ মুহাম্মদ’ ব্যানার নিয়ে মিছিল হয়। পুলিশ এর বিরুদ্ধে দায়ের করে আটটি এফআইআর, গ্রেপ্তার করে পাঁচজনকে। মহারাজাগঞ্জে এই ব্যানারে মিছিলের আগেই জড়ো হওয়া মানুষকে ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ। ব্যানার কেড়ে নেয়। মামলা হয় ৬৪ জনের বিপক্ষে। লাখনৌতে মুসলিম নারীরা প্রতিবাদ সমাবেশ করলে পুলিশ সেখানেও মামলা করে।
অ্যাসোসিয়েশন ফর প্রোটেকশন অব সিভিল রাইটসের (এপিসিআর) তথ্য অনুযায়ী, ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ২১টি মামলা হয়েছে এবং ১৩ শ ২৪ জন মুসলিমকে আসামি করা হয়েছে, গ্রেপ্তার করা হয়েছে কমপক্ষে ৩৮ জনকে। কেবল উত্তর প্রদেশই এখন পর্যন্ত ১৬টি এফআইআর হয়েছে এবং বিভিন্ন জেলায় এক হাজারেরও বেশি মানুষকে আসামি করা হয়েছে।
এপিসিআর হিসাব মতে, উন্নাওতে ৮টি মামলা, ৮৫ জনকে করা হয়েছে আসামি, ৫ জনকে করা হয়েছে গ্রেপ্তার। বাঘপাতে ১৫০ জনকে আসামি করে ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কায়ছাররগঞ্জ এলাকায় ৩৫৫ জন, শাহজাহানপুরে ২০০ জন এবং কৌশাম্বিতে ২৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। এই থানায় তিনজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়।
উত্তরপ্রদেশের বাইরে উত্তরাখণ্ডের কাশীপুরে চার শ একজনকে আসামি করা হয়েছে এবং সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গুজরাটে গোধরায় ৮৮ জনকে আসামি ও ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বারোদায় একজন গ্রেপ্তার হয়েছে। মহারাষ্ট্রেও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
কিন্তু বেরেলিতে ২৬ সেপ্টেম্বর এই উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়। জুমার নামাজের পর ইত্তেহাদ-এ-মিল্লাত কাউন্সিলের প্রধান ও বেরেলভি সম্প্রদায়ের প্রভাবশালী ধর্মীয় নেতা মৌলানা তৌকির রেজা খান ইসলামিয়া গ্রাউন্ডে সমাবেশের ডাক দিয়েছিলেন, পরে প্রশাসনের অনুমতি না মেলায় তা প্রত্যাহার করেন। তবুও নামাজ শেষে জনতা মিছিল বের করলে পুলিশ বাধা দেয়।
প্রতিবাদকারীরা আলা হাজরত দরগাহ ও ইত্তেহাদ-এ-মিল্লাত কাউন্সিল প্রধান মৌলানা তৌকির রজার বাড়ির সামনে ‘আই লাভ মুহাম্মদ’ লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে জড়ো হয়। সংঘর্ষ বাধে, পাথর ছোড়া হয় এবং কোথাও কোথাও গুলি চালানোর খবরও আসে। পুলিশ লাঠিচার্জ ও টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করে। মৌলানা তৌকির রেজাকেও গ্রেপ্তার করা হয়। মৌলানা তৌকির রেজা খান উপমহাদেশের সুন্নী ধারার প্রবক্তা আহমদ রেজা খান বেরেলভির প্রপৌত্র। সংঘাতের পর পুলিশ রায়বেরেলির ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। নতুন করে কমপক্ষে ১০টি এফআইআর করে দেড় থেকে দুই শ জনকে আসামি করা হয়। গ্রেপ্তার করা হয় কমপক্ষে ৩৯ জনকে। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বুলডোজার নীতিরও প্রয়োগ হয়। রেজা খান পরিবারের সঙ্গে সম্পর্কিত বেশ কিছু স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বেরেলিতে হওয়া বিক্ষোভের ঘটনায় পুলিশ মৌলানা মোহসিন রেজাকেও গ্রেপ্তার করেছে। মোহসিন রেজার গ্রেপ্তারের বিচারিক হেফাজতে নেওয়ার পর গ্যারেজও বুলডোজার চালিয়ে ভেঙে ফেলা হয়।
আইএইচএল সম্প্রতি একটা প্রতিবেদনে দেখিয়েছে, উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ২০২৪ সালে ৮৬টি ‘ঘৃণাবাদী’ বক্তব্য দেন মুসলমানদের বিরুদ্ধে। গড়ে প্রতি চার দিনে একটি করে বিদ্বেষমূলক বক্তব্য দিয়েছেন।
২০২২ সালে বিবিসি 'হাউ বুলডুজারস বিকাম আ ভেহিক্যাল অব ইনজাস্টিস ইন ইন্ডিয়া' শিরোনামে একটা প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেখানে দেখানো হয় কীভাবে আদিত্যনাথ ভারতীয় মুসলমানদের নিপীড়নের অস্ত্র হিসেবে বুলডোজারকে বেছে নিয়েছিলেন।
মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের ২০২২ সালের নির্বাচনের রোড শোতে তাঁর সমর্থকেরা একটি দল ছোট হলুদ প্রতীকী বুলডোজার নিয়ে এসেছিল।
মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ আগের মতোই এই ঘটনাতেও পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করেছেন। বিক্ষোভকারীদের কড়া সমালোচনা করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। হুমকি দিয়ে বলেছেন, ‘বেরেলিতে যেমন পিটুনি খেয়েছে, তেমনি পিটাবে।’ তিনি ‘আই লাভ মুহাম্মদ’ পোস্টার নিয়েও কটাক্ষ করে বলেন, ‘এই মূর্খরা জানে না, বিশ্বাসকে ভালোবাসা যায় না, তাঁকে শ্রদ্ধা করা হয়। ধর্ম বিশ্বাস রাস্তার মোড়ে দেখানোর বিষয় নয়, এটি বিবেকের ব্যাপার। কিছু লোক ছোট ছোট বাচ্চাদের “আই লাভ মুহাম্মদ” লেখা পোস্টার দিয়ে সমাজে অরাজকতা তৈরি করছে।’
উত্তর প্রদেশ সরকারের এই দমননীতির প্রতিবাদে সহারানপুরের এমপি ইমরান মাসুদ এবং সাবেক আমরোহা এমপি কুনওয়ার দানিশ আলী ‘আই লাভ মুহাম্মদ’ ক্যাম্পেইনে অংশ নিয়ে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার ঘোষণা দিলে তাঁদের গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে।
উত্তরপ্রদেশ ভারতের মুসলিম সংখ্যালঘুদের জন্য সবচেয়ে অনুপযোগী জায়গাগুলোর একটিতে পরিণত হয়েছে। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় হিন্দুত্ববাদের ব্যাপক বিস্তারের মধ্য দিয়ে ভারত ক্রমশ অসহিষ্ণু রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। ধর্মীয় অনুভূতির প্রকাশও এখন অপরাধ বলে বিবেচিত হচ্ছে।
নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় গ্রেটা শুক্রবারে স্কুলে না গিয়ে সুইডিশ পার্লামেন্টের বাইরে প্রতিবাদ করা শুরু করেন। তার দাবি ছিল, বিশ্ব উষ্ণায়ন থামাতে বিশ্বের সরকারগুলোকে শক্তিশালী পদক্ষেপ নিতে হবে। তার এই একক প্রতিবাদ ধীরে ধীরে বিশ্বব্যাপী ‘ফ্রাইডেজ ফর ফিউচার’ আন্দোলনে রুপ নেয়। পরে এতে বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ তরুণ-
১৯ ঘণ্টা আগেফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যা ও জাতিগত নিধনযজ্ঞ এবং ধ্বংসযজ্ঞের দুই বছর পূর্ণ হতে চলেছে। এ সময়ে ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকাসহ বিশ্বব্যাপী ফিলিস্তিন-ইসরায়েলের পক্ষে-বিপক্ষে বিক্ষোভ বেড়েছে।
১ দিন আগেসেবাগ্রহীতাদের কাছ থেকে মাসুদের বিরুদ্ধে অভিযোগ শোনার পর সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘মাসুদের সঙ্গে দেখা হলেই প্রায় আমি বলি, মাসুদ তুমি ভালো হয়ে যাও। কিন্তু সে এখনো পুরোপুরি ভালো হয়নি।’
২ দিন আগেনাটক-সিনেমার সংলাপে এক সময় শোনা যেত, ‘ঠান্ডা, না গরম?’ বড়লোক নায়ক অথবা নায়িকার বাবারা বলতেন। অথবা বলতেন গরিব নায়কের বড়লোক বন্ধু। এরপর এলো নতুন সংলাপ, ‘চা, না কফি?’—এও শোনা গেছে বড়লোকদের মুখেই। অর্থাৎ বাঙালির সংস্কৃতিতে ঢুকে গেছে কফির পোড়া পোড়া চকলেটি স্বাদ। কিন্তু সিনেমার সংলাপে ঢোকার আগে কফি তো ঢুক
২ দিন আগে