স্ট্রিম ডেস্ক
নতুন অর্থবছরের বাজেট ঘিরে জনমনে রয়েছে নানা প্রশ্ন, কৌতূহল ও বিভ্রান্তি। বিশেষ করে এবারের বাজেট যেহেতু একটি অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে ঘোষণা হচ্ছে, তাই অনেকেরই প্রশ্ন, এবারের বাজেট একটি পূর্ণাঙ্গ বাজেট নাকি কেবল একটি প্রশাসনিক ধারাবাহিকতা রক্ষার প্রস্তাবনা?
একইসঙ্গে আলোচনায় এসেছে ‘মধ্যমেয়াদি বাজেট কাঠামো’ (এমটিবিএফ) নামের একটি গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক পরিকল্পনা। অনেকের কাছেই এই কাঠামো নতুন কিংবা বিভ্রান্তিকর মনে হতে পারে।
একদিকে নতুন বাজেটের পেছনে রাজনৈতিক বাস্তবতা যেমন আছে, তেমনি আছে সরকারের দীর্ঘমেয়াদি আর্থিক পরিকল্পনা।
নতুন অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা ঘিরে নানা আলোচনা যখন তুঙ্গে, তখন আলোচনায় উঠে এসেছে একটি গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক পরিকল্পনার দিক—মধ্যমেয়াদি বাজেট কাঠামো (এমটিবিএফ)। এ কাঠামোর মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার এক বছরের সীমাবদ্ধ বাজেট চিন্তাকে অতিক্রম করে তিন থেকে পাঁচ বছরের জন্য একটি সুসংগঠিত ও কৌশলভিত্তিক বাজেট রূপরেখা তৈরি করে থাকে।
কী এই মধ্যমেয়াদি বাজেট কাঠামো
মধ্যমেয়াদি বাজেট কাঠামো হলো একটি আর্থিক পরিকল্পনা পদ্ধতি, যার মাধ্যমে সরকারের রাজস্ব আয়, ব্যয়, উন্নয়ন প্রকল্প এবং নীতিগত লক্ষ্যগুলোর মধ্যে সমন্বয় সাধন করা হয়। বার্ষিক বাজেট এখানে শুধু একটি ধাপমাত্র। মূল লক্ষ্য হলো—ভবিষ্যতের জন্য একটি স্থিতিশীল ও স্বচ্ছ অর্থনৈতিক কাঠামো তৈরি করা।
কেন দেওয়া হয় এই কাঠামো
এই কাঠামোর মূল উদ্দেশ্য হলো বাজেট প্রণয়নের প্রক্রিয়াকে অধিক কার্যকর, স্বচ্ছ এবং কৌশলগত করা। এটি নীতিনির্ধারকদের উন্নয়ন অগ্রাধিকার ঠিক করতে, খাতভিত্তিক বরাদ্দ নির্ধারণ করতে এবং রাজস্ব আহরণ ও ব্যয়ের বাস্তবভিত্তিক পূর্বাভাস করতে সহায়তা করে। একইসাথে এটি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগসমূহকে নিজেদের কর্মপরিকল্পনা ও প্রত্যাশিত ফলাফলের একটি সুস্পষ্ট চিত্র উপস্থাপন করতে উৎসাহিত করে।
এই কাঠামোর মাধ্যমে সরকারের নীতিগত ধারাবাহিকতা রক্ষা পায় এবং বাজেট বাস্তবায়নে দায়বদ্ধতা বাড়ে। এছাড়া টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের দিকেও এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক।
কতদিন মেয়াদি হয় এই কাঠামো
বাংলাদেশে সাধারণত মধ্যমেয়াদি বাজেট কাঠামো তিন বছরের জন্য প্রণয়ন করা হয়। যেমন, ২০২৪–২৫ অর্থবছরের বাজেটের সাথে সংযুক্ত এমটিবিএফ-এ ২০২৫–২৬ ও ২০২৬–২৭ অর্থবছরের সম্ভাব্য রাজস্ব আয়, ব্যয়, উন্নয়ন কর্মসূচি এবং আর্থিক ব্যবস্থাপনার দিকনির্দেশনাও অন্তর্ভুক্ত থাকবে। তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে পাঁচ বছর মেয়াদি পরিকল্পনাও নেওয়া হয়, বিশেষ করে বড় উন্নয়ন প্রকল্পের ক্ষেত্রে।
উন্নয়নশীল বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে গুরুত্ব
বাংলাদেশের মতো উদীয়মান অর্থনীতির জন্য এমটিবিএফ একটি অপরিহার্য কাঠামো। একদিকে এটি অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সাহায্য করে, অন্যদিকে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক সুরক্ষার মতো জনকল্যাণমূলক খাতগুলোতে বরাদ্দ নির্ধারণে দীর্ঘমেয়াদি দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের বাজেট অনুবিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরেও এমটিবিএফ হালনাগাদ করে আগামী বাজেট উপস্থাপন করা হবে, যাতে রাজস্ব ঘাটতি, ভর্তুকি কাঠামো, বৈদেশিক সহায়তা ও ঋণ নীতির ওপর বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে।
অন্তর্বর্তী বাজেট ও এমটিবিএফ: বিভ্রান্তি কাটছে
নতুন অর্থবছরের বাজেট ঘোষণাকে ঘিরে সাধারণ জনগণের পাশাপাশি অর্থনীতিবিদদের মাঝেও একাধিক আর্থিক পরিভাষা নিয়ে আলোচনা চলছে। এরমধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হলো—মধ্যমেয়াদি বাজেট কাঠামো (এমটিবিএফ) কি অন্তর্বর্তী সরকারের বাজেটের মতো কিছু? বিশেষজ্ঞদের মতে, এই দুইয়ের মধ্যে প্রকৃতপক্ষে কোনো সরাসরি সম্পর্ক নেই।
এমটিবিএফ হলো একটি দীর্ঘমেয়াদি আর্থিক পরিকল্পনার কাঠামো, যা সরকারের রাজস্ব আয়, ব্যয় এবং খাতভিত্তিক বরাদ্দ পরিকল্পনায় স্বচ্ছতা ও ধারাবাহিকতা আনে। এটি অর্থ মন্ত্রণালয় প্রতিবছর বার্ষিক বাজেটের অংশ হিসেবে উপস্থাপন করে থাকে এবং আগামী তিন থেকে পাঁচ বছরের সম্ভাব্য অর্থনৈতিক পূর্বাভাস ও দিকনির্দেশনা তুলে ধরে। এই কাঠামো কোনো রাজনৈতিক সরকার পরিবর্তনের সাথে সম্পর্কিত নয়, বরং এটি একটি স্থায়ী বাজেট প্রক্রিয়ার অংশ।
অপরদিকে, অন্তর্বর্তী সরকার একটি রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক রূপান্তরের সময়ের জন্য গঠিত অস্থায়ী ব্যবস্থা। এ ধরনের সরকারের প্রধান কাজ হলো নিয়মিত প্রশাসন পরিচালনা করা এবং নতুন নির্বাচিত সরকার আসা পর্যন্ত সময় পার করা। ফলে এই সময় প্রণীত বাজেট সাধারণত হয় সীমিত, রক্ষণশীল এবং বড় ধরনের নীতিগত সিদ্ধান্ত এড়িয়ে চলে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, অন্তর্বর্তী বাজেটের উদ্দেশ্য মূলত প্রশাসনিক ব্যয় এবং জরুরি খাতগুলোর কার্যক্রম চালু রাখা, কোনো কৌশলগত রূপকল্প তৈরি নয়।
২০০৭–০৮ সালের অভিজ্ঞতা
২০০৭ ও ২০০৮ সালের বাজেটগুলোর প্রসঙ্গে বলতে গেলে, তখনকার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় জরুরি অবস্থার মধ্যে এই বাজেটগুলো প্রণীত হয়েছিল। যদিও রাজনৈতিকভাবে তা ছিল একটি অস্থায়ী সরকারের অধীনে, আর্থিক কাঠামোর দিক থেকে সেগুলো ছিল পূর্ণাঙ্গ বাজেট। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সেসময়কার বাজেটগুলো বাস্তবায়নের জন্য যথেষ্ট প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা ছিল এবং অর্থনৈতিক কার্যকারিতার দিক থেকেও এগুলো ছিল গঠনমূলক। তবে রাজনৈতিক বৈধতার প্রশ্নে তর্ক-বিতর্ক থাকলেও বাজেটের প্রকৃতি অন্তর্বর্তী ছিল না।
অর্থনীতি বিশ্লেষকদের মতে, বাজেট বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়াতে এই পরিভাষাগুলোর পার্থক্য স্পষ্ট করা গুরুত্বপূর্ণ। বাজেটের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় নথি নিয়ে বিভ্রান্তি কমলে, জবাবদিহিতা ও অংশগ্রহণমূলক অর্থনীতি গঠনে সহায়ক হবে।
নতুন অর্থবছরের বাজেট ঘিরে জনমনে রয়েছে নানা প্রশ্ন, কৌতূহল ও বিভ্রান্তি। বিশেষ করে এবারের বাজেট যেহেতু একটি অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে ঘোষণা হচ্ছে, তাই অনেকেরই প্রশ্ন, এবারের বাজেট একটি পূর্ণাঙ্গ বাজেট নাকি কেবল একটি প্রশাসনিক ধারাবাহিকতা রক্ষার প্রস্তাবনা?
একইসঙ্গে আলোচনায় এসেছে ‘মধ্যমেয়াদি বাজেট কাঠামো’ (এমটিবিএফ) নামের একটি গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক পরিকল্পনা। অনেকের কাছেই এই কাঠামো নতুন কিংবা বিভ্রান্তিকর মনে হতে পারে।
একদিকে নতুন বাজেটের পেছনে রাজনৈতিক বাস্তবতা যেমন আছে, তেমনি আছে সরকারের দীর্ঘমেয়াদি আর্থিক পরিকল্পনা।
নতুন অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা ঘিরে নানা আলোচনা যখন তুঙ্গে, তখন আলোচনায় উঠে এসেছে একটি গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক পরিকল্পনার দিক—মধ্যমেয়াদি বাজেট কাঠামো (এমটিবিএফ)। এ কাঠামোর মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার এক বছরের সীমাবদ্ধ বাজেট চিন্তাকে অতিক্রম করে তিন থেকে পাঁচ বছরের জন্য একটি সুসংগঠিত ও কৌশলভিত্তিক বাজেট রূপরেখা তৈরি করে থাকে।
কী এই মধ্যমেয়াদি বাজেট কাঠামো
মধ্যমেয়াদি বাজেট কাঠামো হলো একটি আর্থিক পরিকল্পনা পদ্ধতি, যার মাধ্যমে সরকারের রাজস্ব আয়, ব্যয়, উন্নয়ন প্রকল্প এবং নীতিগত লক্ষ্যগুলোর মধ্যে সমন্বয় সাধন করা হয়। বার্ষিক বাজেট এখানে শুধু একটি ধাপমাত্র। মূল লক্ষ্য হলো—ভবিষ্যতের জন্য একটি স্থিতিশীল ও স্বচ্ছ অর্থনৈতিক কাঠামো তৈরি করা।
কেন দেওয়া হয় এই কাঠামো
এই কাঠামোর মূল উদ্দেশ্য হলো বাজেট প্রণয়নের প্রক্রিয়াকে অধিক কার্যকর, স্বচ্ছ এবং কৌশলগত করা। এটি নীতিনির্ধারকদের উন্নয়ন অগ্রাধিকার ঠিক করতে, খাতভিত্তিক বরাদ্দ নির্ধারণ করতে এবং রাজস্ব আহরণ ও ব্যয়ের বাস্তবভিত্তিক পূর্বাভাস করতে সহায়তা করে। একইসাথে এটি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগসমূহকে নিজেদের কর্মপরিকল্পনা ও প্রত্যাশিত ফলাফলের একটি সুস্পষ্ট চিত্র উপস্থাপন করতে উৎসাহিত করে।
এই কাঠামোর মাধ্যমে সরকারের নীতিগত ধারাবাহিকতা রক্ষা পায় এবং বাজেট বাস্তবায়নে দায়বদ্ধতা বাড়ে। এছাড়া টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের দিকেও এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক।
কতদিন মেয়াদি হয় এই কাঠামো
বাংলাদেশে সাধারণত মধ্যমেয়াদি বাজেট কাঠামো তিন বছরের জন্য প্রণয়ন করা হয়। যেমন, ২০২৪–২৫ অর্থবছরের বাজেটের সাথে সংযুক্ত এমটিবিএফ-এ ২০২৫–২৬ ও ২০২৬–২৭ অর্থবছরের সম্ভাব্য রাজস্ব আয়, ব্যয়, উন্নয়ন কর্মসূচি এবং আর্থিক ব্যবস্থাপনার দিকনির্দেশনাও অন্তর্ভুক্ত থাকবে। তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে পাঁচ বছর মেয়াদি পরিকল্পনাও নেওয়া হয়, বিশেষ করে বড় উন্নয়ন প্রকল্পের ক্ষেত্রে।
উন্নয়নশীল বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে গুরুত্ব
বাংলাদেশের মতো উদীয়মান অর্থনীতির জন্য এমটিবিএফ একটি অপরিহার্য কাঠামো। একদিকে এটি অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সাহায্য করে, অন্যদিকে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক সুরক্ষার মতো জনকল্যাণমূলক খাতগুলোতে বরাদ্দ নির্ধারণে দীর্ঘমেয়াদি দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের বাজেট অনুবিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরেও এমটিবিএফ হালনাগাদ করে আগামী বাজেট উপস্থাপন করা হবে, যাতে রাজস্ব ঘাটতি, ভর্তুকি কাঠামো, বৈদেশিক সহায়তা ও ঋণ নীতির ওপর বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে।
অন্তর্বর্তী বাজেট ও এমটিবিএফ: বিভ্রান্তি কাটছে
নতুন অর্থবছরের বাজেট ঘোষণাকে ঘিরে সাধারণ জনগণের পাশাপাশি অর্থনীতিবিদদের মাঝেও একাধিক আর্থিক পরিভাষা নিয়ে আলোচনা চলছে। এরমধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হলো—মধ্যমেয়াদি বাজেট কাঠামো (এমটিবিএফ) কি অন্তর্বর্তী সরকারের বাজেটের মতো কিছু? বিশেষজ্ঞদের মতে, এই দুইয়ের মধ্যে প্রকৃতপক্ষে কোনো সরাসরি সম্পর্ক নেই।
এমটিবিএফ হলো একটি দীর্ঘমেয়াদি আর্থিক পরিকল্পনার কাঠামো, যা সরকারের রাজস্ব আয়, ব্যয় এবং খাতভিত্তিক বরাদ্দ পরিকল্পনায় স্বচ্ছতা ও ধারাবাহিকতা আনে। এটি অর্থ মন্ত্রণালয় প্রতিবছর বার্ষিক বাজেটের অংশ হিসেবে উপস্থাপন করে থাকে এবং আগামী তিন থেকে পাঁচ বছরের সম্ভাব্য অর্থনৈতিক পূর্বাভাস ও দিকনির্দেশনা তুলে ধরে। এই কাঠামো কোনো রাজনৈতিক সরকার পরিবর্তনের সাথে সম্পর্কিত নয়, বরং এটি একটি স্থায়ী বাজেট প্রক্রিয়ার অংশ।
অপরদিকে, অন্তর্বর্তী সরকার একটি রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক রূপান্তরের সময়ের জন্য গঠিত অস্থায়ী ব্যবস্থা। এ ধরনের সরকারের প্রধান কাজ হলো নিয়মিত প্রশাসন পরিচালনা করা এবং নতুন নির্বাচিত সরকার আসা পর্যন্ত সময় পার করা। ফলে এই সময় প্রণীত বাজেট সাধারণত হয় সীমিত, রক্ষণশীল এবং বড় ধরনের নীতিগত সিদ্ধান্ত এড়িয়ে চলে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, অন্তর্বর্তী বাজেটের উদ্দেশ্য মূলত প্রশাসনিক ব্যয় এবং জরুরি খাতগুলোর কার্যক্রম চালু রাখা, কোনো কৌশলগত রূপকল্প তৈরি নয়।
২০০৭–০৮ সালের অভিজ্ঞতা
২০০৭ ও ২০০৮ সালের বাজেটগুলোর প্রসঙ্গে বলতে গেলে, তখনকার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় জরুরি অবস্থার মধ্যে এই বাজেটগুলো প্রণীত হয়েছিল। যদিও রাজনৈতিকভাবে তা ছিল একটি অস্থায়ী সরকারের অধীনে, আর্থিক কাঠামোর দিক থেকে সেগুলো ছিল পূর্ণাঙ্গ বাজেট। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সেসময়কার বাজেটগুলো বাস্তবায়নের জন্য যথেষ্ট প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা ছিল এবং অর্থনৈতিক কার্যকারিতার দিক থেকেও এগুলো ছিল গঠনমূলক। তবে রাজনৈতিক বৈধতার প্রশ্নে তর্ক-বিতর্ক থাকলেও বাজেটের প্রকৃতি অন্তর্বর্তী ছিল না।
অর্থনীতি বিশ্লেষকদের মতে, বাজেট বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়াতে এই পরিভাষাগুলোর পার্থক্য স্পষ্ট করা গুরুত্বপূর্ণ। বাজেটের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় নথি নিয়ে বিভ্রান্তি কমলে, জবাবদিহিতা ও অংশগ্রহণমূলক অর্থনীতি গঠনে সহায়ক হবে।
ভারতের ওপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সব মিলিয়ে এখন ভারতের পণ্যে যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত মোট শুল্ক দাঁড়াল ৫০ শতাংশ। অথচ দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ট মিত্র হিসেবেই পরিচিত।
১২ ঘণ্টা আগেপ্রাচীন রোমান আইনও সম্মান রক্ষার্থে হত্যাকে ন্যায্যতা দিত এই বলে যে, ব্যভিচারের জন্য দোষী সাব্যস্ত নারীদের তাদের স্বামীরা হত্যা করতে পারতেন। চীনে কিং রাজবংশের সময়ে পিতা ও স্বামীদের এমন কন্যাদের হত্যা করার অধিকার ছিল, যারা পরিবারের অসম্মান করেছে বলে মনে করা হতো।
২ দিন আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন পাল্টা শুল্কনীতি সারা দুনিয়ায় হৈচৈ ফেলে দিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যেসব দেশের ওপর শুল্ক আরোপ করেছে তার প্রায় সব দেশই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নিয়েছে। বাংলাদেশও এ আলোচনায় অংশ নিয়েছে।
৪ দিন আগেনতুন পাল্টা শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) হোয়াইট হাউস এক বিবৃতি দিয়ে সংশোধিত শুল্কহারের এ ঘোষণা দেয়। ঘোষণায় যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক অংশীদার ৬৯টি দেশের ওপর আরোপ করা শুল্কহারের তালিকা দেওয়া হয়।
৫ দিন আগে