চীন, সৌদি আরব, মরক্কো এবং কাফকো (কর্ণফুলি ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড) থেকে মোট এক হাজার ৫৭৯ কোটি টাকা ব্যয়ে দুই লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন সার কেনার অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এই সারের মধ্যে রয়েছে ৭০ হাজার টন ইউরিয়া, এক লাখ ২০ হাজার টন ডিএপি এবং ৩০ হাজার টন টিএসপি সার। একইসঙ্গে সার সংরক্ষণ ও বিতরণের সুবিধার জন্য দেশের বিভিন্ন স্থানে ৩৪টি বাফার গুদাম নির্মাণের জন্য ৫৫ কোটি ২৫ লাখ টাকারও বেশি ব্যয়ে একটি নির্মাণ কাজেরও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালাহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের ভিত্তিতে ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের জন্য সৌদি আরবের সাবিক কৃষি-পুষ্টি কোম্পানি থেকে ৯ম লটে ৪০ হাজার মেট্রিক টন বাঙ্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানি করা হবে। এর ব্যয় ধরা হয়েছে ১৯৪ কোটি ৫৫ লাখ ৮০ হাজার ২৮০ টাকা। প্রতি টন সারের দাম ৩৯৬ দশমিক ৪১ মার্কিন ডলার।
একই অর্থবছরের জন্য কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো) থেকে ৯ম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ১৪৩ কোটি ৩০ লাখ ৭৬ হাজার টাকা। প্রতি টন সারের দাম পড়বে ৩৮৯ মার্কিন ডলার।
এ ছাড়া কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চীনের ব্যানিয়ান ইন্টারন্যাশনাল ট্রেডিং লিমিটেড এবং বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি)-এর মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় ৭ম লটে ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার আমদানি করা হবে। এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৫০ কোটি ৫৯ লাখ ৪০ হাজার টাকাঅ প্রতি টন সারের দাম ৭১৩ দশমিক ৭৫ মার্কিন ডলার।
সৌদি আরবের মাআদেন এবং বিএডিসির মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় ১১তম লটে ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার ক্রয়ে ৩৫০ কোটি ২২ লাখ ৫৬ হাজার টাকা ব্যয় হবে। প্রতি টন সারের দাম ৭১৩ মার্কিন ডলার।
একই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় ১২তম (ঐচ্ছিক-১ম) লটে আরও ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার আমদানির প্রস্তাবও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর ব্যয়ও ধরা হয়েছে ৩৫০ কোটি ২২ লাখ ৫৬ হাজার টাকা। প্রতি টন সারের দাম ৭১৩ মার্কিন ডলার।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব অনুযায়ী রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে মরক্কোর ওসিপি নিউট্রিক্রপস এবং বিএডিসির মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় ১৩তম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন টিএসপি সার আমদানি করা হবে। এর জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১৯০ কোটি ৯ লাখ ৪৪ হাজার টাকা। প্রতি টন সারের দাম ৫১৬ মার্কিন ডলার।
এছাড়াও সার সংরক্ষণ ও বিতরণের সুবিধার্থে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ৩৪টি বাফার গুদাম নির্মাণ (১ম সংশোধিত) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় প্যাকেজ-৫, লট-১ (সাতক্ষীরায় ১০০০০ মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন) এর অধীন একটি সাইটে গুদাম নির্মাণ কাজের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর ব্যয় হবে ৫৫ কোটি ২৫ লাখ ৫৮ হাজার ৮১২ টাকা। কাজটি পেয়েছে মেসার্স এসএস রহমান ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড।