leadT1ad

রিজার্ভ চুরি: ফিলিপাইনের আরসিবিসি ব্যাংকের ৮১ মিলিয়ন ডলার বাজেয়াপ্ত

স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা
ফিলিপাইনের আরসিবিসি ব্যাংকের একটি শাখা। সংগৃহীত ছবি

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির মামলায় ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশনের (আরসিবিসি) ৮১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দিয়েছে ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালত।

আজ (২১ সেপ্টেম্বর) সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

প্রায় নয় বছর আগে, ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে সাইবার জালিয়াতির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্ক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি হয়। এর মধ্যে ৮১ মিলিয়ন ডলার আরসিবিসির মাধ্যমে পাচার হয়েছিল।

বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ (সংশোধিত ২০১৫) এর আওতায় এই বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দেন। আদালতের আদেশে বলা হয়েছে, আরসিবিসি থেকে বাজেয়াপ্ত অর্থ বাংলাদেশ সরকারের কোষাগারে ফেরত পাঠাতে হবে।

তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে, আরসিবিসির তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী লরেঞ্জো ট্যান, ব্যাংকের জুপিটার ব্রাঞ্চ ম্যানেজার মাইয়া সান্তোস ডিগুইতোসহ আরও কয়েকজন কর্মকর্তা পাচারের সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন। তারা ভুয়া পাঁচটি অ্যাকাউন্ট খুলে চুরি হওয়া অর্থ স্থানান্তর করেন।

ফিলিপাইনের আদালত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দোষী সাব্যস্ত করেছে এবং দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক (Bangko Sentral ng Pilipinas) আরসিবিসির ওপর বড় অঙ্কের জরিমানা আরোপ করেছে। যদিও ২০১৬ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি ব্যাংকটি বাংলাদেশ ব্যাংকে মাত্র ৬৮ হাজার ডলার ফেরত দেয়, পরে আর কোনো অর্থ ফেরত আসেনি।

সিআইডির কর্মকর্তারা জানান, এ ঘটনায় শুধু ব্যক্তিগত পর্যায়ের সংশ্লিষ্টতা নয়, বরং করপোরেট সত্তা হিসেবে আরসিবিসি মানিলন্ডারিং অপরাধে জড়িত ছিল বলে প্রমাণিত হয়েছে।

জাতিসংঘের আন্তঃরাষ্ট্রীয় সংগঠিত অপরাধবিরোধী কনভেনশন, ফিলিপাইনের আইন এবং ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সের নির্দেশনা অনুযায়ী বাংলাদেশ সরকার এখন ফিলিপাইন সরকারের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে অর্থ ফেরতের ব্যবস্থা করবে।

বাংলাদেশের ইতিহাসে এটিই সবচেয়ে বড় সাইবার চুরি, যা আন্তর্জাতিক মহলেও ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছিল।

Ad 300x250

সম্পর্কিত