বর্তমানে অনেক ব্যাংক আমানতের বিপরীতে ৯ থেকে ১১ শতাংশ পর্যন্ত সুদ দিলেও আশানুরূপ সাড়া মিলছে না। এমনকি তারল্য সংকটে থাকা কিছু ব্যাংক ১৩ থেকে ১৪ শতাংশ পর্যন্ত সুদ দিচ্ছে। তবুও আমানতের প্রবৃদ্ধি দুই অংকে ওঠেনি।
স্ট্রিম প্রতিবেদক
দেশের ব্যাংক খাতে আমানতের প্রবৃদ্ধি মে মাসে আরও কমেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য বলছে, ২০২৫ সালের মে মাস শেষে ব্যাংক খাতে মোট আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৮ লাখ ৩২ হাজার কোটি টাকা। ২০২৪ সালের একই সময়ের তুলনায় এই প্রবৃদ্ধি মাত্র ৭ দশমিক ৭৩ শতাংশ, যা চলতি বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন মাসিক প্রবৃদ্ধি। অথচ এক মাস আগেই এপ্রিলে প্রবৃদ্ধি ছিল ৮ দশমিক ২১ শতাংশ এবং মার্চে ৮ দশমিক ৫১ শতাংশ।
বর্তমানে অনেক ব্যাংক আমানতের বিপরীতে ৯ থেকে ১১ শতাংশ পর্যন্ত সুদ দিলেও আশানুরূপ সাড়া মিলছে না। এমনকি তারল্য সংকটে থাকা কিছু ব্যাংক ১৩ থেকে ১৪ শতাংশ পর্যন্ত সুদ দিচ্ছে। তবুও আমানতের প্রবৃদ্ধি দুই অংকে ওঠেনি।
২০২৪ সালের জুনে আমানতের প্রবৃদ্ধি ছিল ৯ দশমিক ২৫ শতাংশ। এরপর থেকে এই হার ধারাবাহিকভাবে কমেছে। গত বছরের আগস্টে তা নেমেছিল ৭ দশমিক ০২ শতাংশে, যা ছিল ১৮ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা দিলেও এপ্রিল থেকে তা আবার নিম্নমুখী হয়েছে। মে মাসে এ হার গত পাঁচ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে পৌঁছায়।
অর্থনীতিবিদ, ব্যাংক ব্যবস্থাপক ও ট্রেজারি প্রধানদের মতে, আমানত প্রবৃদ্ধি থেমে থাকার পেছনে একাধিক কারণ রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো—ট্রেজারি বিল-বন্ডের সুদের হার বৃদ্ধি, দীর্ঘমেয়াদি মূল্যস্ফীতি, বেকারত্ব, বিনিয়োগ স্থবিরতা, আয় না বাড়া এবং ডলার পাচার।
ঢাকা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ মোহাম্মদ মারুফ বলেন, ‘আমানতের একটা বড় অংশ এখন ট্রেজারি বিল-বন্ডের দিকে যাচ্ছে, কারণ এখাতে সুদের হার তুলনামূলক বেশি।’
বর্তমানে বিভিন্ন মেয়াদের সরকারি ট্রেজারি বিল ও বন্ডে ১২ দশমিক ৫০ থেকে ১৩ শতাংশ পর্যন্ত সুদ পাওয়া যাচ্ছে, যা ব্যাংকের আমানতের চেয়ে আকর্ষণীয়।
বিশ্বব্যাংক ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, ‘দেশে আড়াই বছর ধরে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে। মাস শেষে মানুষের হাতে সঞ্চয়ের মতো অর্থ থাকছে না। আয়ও বাড়েনি। ফলে আমানতের প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়াটা স্বাভাবিক।’
এনআরবি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারেক রিয়াজ খান বলেন, ‘মূল্যস্ফীতির কারণে মানুষের সঞ্চয় কমছে। একই সঙ্গে ব্যবসা সম্প্রসারণ না হওয়ায় নতুন কর্মসংস্থান হচ্ছে না। ফলে ব্যাংকে টাকা জমা কমছে।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, মে মাসে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি হয়েছে মাত্র ৬ দশমিক ৯৫ শতাংশ, যেখানে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৮ শতাংশ। আগের মাসে এ প্রবৃদ্ধি ছিল ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ। রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, ব্যাংক খাতে তারল্য সংকট এবং অনাদায়ী ঋণের পরিমাণ বেড়ে যাওয়াই মূলত ঋণ প্রবৃদ্ধির পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
‘মূল্যস্ফীতি কমেছে ঠিক, কিন্তু মানুষের বাস্তব আয় তো বাড়েনি; আমানত বাড়বে কিভাবে?’ -জাহিদ হোসেন, সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ, বিশ্বব্যাংক ঢাকা অফিস
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর সম্প্রতি একাধিক অনুষ্ঠানে বলেছেন, ‘মূলত বিপুল অঙ্কের ডলার পাচার এবং অব্যাহত পণ্য আমদানির চাপের কারণে ব্যাংকিং খাতে আমানতের স্বাভাবিক প্রবাহ ব্যাহত হচ্ছে।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের দাবি, দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি অন্তত ১৩টি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন, নামসর্বস্ব ঋণ বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়া এবং তারল্য সংকটে ব্যাংকগুলোকে লিকুইডিটি সাপোর্ট দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন। ফলে ব্যাংক খাতে আস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও আমানত প্রবৃদ্ধিতে তার প্রভাব দৃশ্যমান নয়।
মে মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ০৫ শতাংশে। জুনে তা আরও কমে ৮ দশমিক ৪৮ শতাংশে নামে। যদিও এটি গত ২৭ মাসে সর্বনিম্ন, তারপরও অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, মজুরি বৃদ্ধির তুলনায় মূল্যস্ফীতি এখনো অনেক বেশি।
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমলেও এখনো তা দেশের গড় মজুরির চেয়ে বেশি। আয় না বাড়লে সঞ্চয়ও বাড়বে না। ফলে আমানত কমবেই।’
সৈয়দ মাহবুবুর রহমান আরও বলেন, ‘দেশের অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। নতুন ব্যবসা বা উদ্যোগ কমে যাওয়ায় কর্মসংস্থান তৈরি হচ্ছে না। এরও প্রভাব পড়ছে ব্যাংক খাতে।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, মে মাসে ব্যাংকের বাইরে নগদ টাকার পরিমাণ ছিল ২ লাখ ৯৪ হাজার কোটি টাকা, যা এপ্রিল মাসে ছিল ২ লাখ ৭৭ হাজার কোটি টাকা। এক মাসেই বেড়েছে প্রায় ১৬ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।
২০২৩ সালের মে মাসে এ পরিমাণ ছিল ২ লাখ ৭১ হাজার কোটি টাকা। ফলে বছরে নগদের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৮ দশমিক ৫৪ শতাংশ।
অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, ব্যাংকের বাইরে নগদ টাকার পরিমাণ বেড়ে যাওয়াটা অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর। এতে ব্যাংকে আমানত জমা কমে যায়, যার প্রভাব পড়ে ঋণ সক্ষমতা ও বিনিয়োগে।
ঈদ উপলক্ষে মে মাসে নগদের চাহিদা বাড়ার বিষয়টি উল্লেখ করে সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘কোরবানির পশু কেনাকাটা ও অন্যান্য খরচ নগদে হওয়ায় মানুষের হাতে টাকা রাখার প্রবণতা বেড়েছে।’
ব্যাংকগুলো চড়া সুদে আমানত সংগ্রহের চেষ্টা করলেও মানুষের হাতে জমানোর মতো বাড়তি টাকা নেই। ফলে অস্থিরতা কাটলেও ব্যাংকিং খাতে স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধি এখনো অধরা।
দেশের ব্যাংক খাতে আমানতের প্রবৃদ্ধি মে মাসে আরও কমেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য বলছে, ২০২৫ সালের মে মাস শেষে ব্যাংক খাতে মোট আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৮ লাখ ৩২ হাজার কোটি টাকা। ২০২৪ সালের একই সময়ের তুলনায় এই প্রবৃদ্ধি মাত্র ৭ দশমিক ৭৩ শতাংশ, যা চলতি বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন মাসিক প্রবৃদ্ধি। অথচ এক মাস আগেই এপ্রিলে প্রবৃদ্ধি ছিল ৮ দশমিক ২১ শতাংশ এবং মার্চে ৮ দশমিক ৫১ শতাংশ।
বর্তমানে অনেক ব্যাংক আমানতের বিপরীতে ৯ থেকে ১১ শতাংশ পর্যন্ত সুদ দিলেও আশানুরূপ সাড়া মিলছে না। এমনকি তারল্য সংকটে থাকা কিছু ব্যাংক ১৩ থেকে ১৪ শতাংশ পর্যন্ত সুদ দিচ্ছে। তবুও আমানতের প্রবৃদ্ধি দুই অংকে ওঠেনি।
২০২৪ সালের জুনে আমানতের প্রবৃদ্ধি ছিল ৯ দশমিক ২৫ শতাংশ। এরপর থেকে এই হার ধারাবাহিকভাবে কমেছে। গত বছরের আগস্টে তা নেমেছিল ৭ দশমিক ০২ শতাংশে, যা ছিল ১৮ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা দিলেও এপ্রিল থেকে তা আবার নিম্নমুখী হয়েছে। মে মাসে এ হার গত পাঁচ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে পৌঁছায়।
অর্থনীতিবিদ, ব্যাংক ব্যবস্থাপক ও ট্রেজারি প্রধানদের মতে, আমানত প্রবৃদ্ধি থেমে থাকার পেছনে একাধিক কারণ রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো—ট্রেজারি বিল-বন্ডের সুদের হার বৃদ্ধি, দীর্ঘমেয়াদি মূল্যস্ফীতি, বেকারত্ব, বিনিয়োগ স্থবিরতা, আয় না বাড়া এবং ডলার পাচার।
ঢাকা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ মোহাম্মদ মারুফ বলেন, ‘আমানতের একটা বড় অংশ এখন ট্রেজারি বিল-বন্ডের দিকে যাচ্ছে, কারণ এখাতে সুদের হার তুলনামূলক বেশি।’
বর্তমানে বিভিন্ন মেয়াদের সরকারি ট্রেজারি বিল ও বন্ডে ১২ দশমিক ৫০ থেকে ১৩ শতাংশ পর্যন্ত সুদ পাওয়া যাচ্ছে, যা ব্যাংকের আমানতের চেয়ে আকর্ষণীয়।
বিশ্বব্যাংক ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, ‘দেশে আড়াই বছর ধরে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে। মাস শেষে মানুষের হাতে সঞ্চয়ের মতো অর্থ থাকছে না। আয়ও বাড়েনি। ফলে আমানতের প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়াটা স্বাভাবিক।’
এনআরবি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারেক রিয়াজ খান বলেন, ‘মূল্যস্ফীতির কারণে মানুষের সঞ্চয় কমছে। একই সঙ্গে ব্যবসা সম্প্রসারণ না হওয়ায় নতুন কর্মসংস্থান হচ্ছে না। ফলে ব্যাংকে টাকা জমা কমছে।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, মে মাসে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি হয়েছে মাত্র ৬ দশমিক ৯৫ শতাংশ, যেখানে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৮ শতাংশ। আগের মাসে এ প্রবৃদ্ধি ছিল ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ। রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, ব্যাংক খাতে তারল্য সংকট এবং অনাদায়ী ঋণের পরিমাণ বেড়ে যাওয়াই মূলত ঋণ প্রবৃদ্ধির পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
‘মূল্যস্ফীতি কমেছে ঠিক, কিন্তু মানুষের বাস্তব আয় তো বাড়েনি; আমানত বাড়বে কিভাবে?’ -জাহিদ হোসেন, সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ, বিশ্বব্যাংক ঢাকা অফিস
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর সম্প্রতি একাধিক অনুষ্ঠানে বলেছেন, ‘মূলত বিপুল অঙ্কের ডলার পাচার এবং অব্যাহত পণ্য আমদানির চাপের কারণে ব্যাংকিং খাতে আমানতের স্বাভাবিক প্রবাহ ব্যাহত হচ্ছে।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের দাবি, দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি অন্তত ১৩টি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন, নামসর্বস্ব ঋণ বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়া এবং তারল্য সংকটে ব্যাংকগুলোকে লিকুইডিটি সাপোর্ট দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন। ফলে ব্যাংক খাতে আস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও আমানত প্রবৃদ্ধিতে তার প্রভাব দৃশ্যমান নয়।
মে মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ০৫ শতাংশে। জুনে তা আরও কমে ৮ দশমিক ৪৮ শতাংশে নামে। যদিও এটি গত ২৭ মাসে সর্বনিম্ন, তারপরও অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, মজুরি বৃদ্ধির তুলনায় মূল্যস্ফীতি এখনো অনেক বেশি।
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমলেও এখনো তা দেশের গড় মজুরির চেয়ে বেশি। আয় না বাড়লে সঞ্চয়ও বাড়বে না। ফলে আমানত কমবেই।’
সৈয়দ মাহবুবুর রহমান আরও বলেন, ‘দেশের অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। নতুন ব্যবসা বা উদ্যোগ কমে যাওয়ায় কর্মসংস্থান তৈরি হচ্ছে না। এরও প্রভাব পড়ছে ব্যাংক খাতে।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, মে মাসে ব্যাংকের বাইরে নগদ টাকার পরিমাণ ছিল ২ লাখ ৯৪ হাজার কোটি টাকা, যা এপ্রিল মাসে ছিল ২ লাখ ৭৭ হাজার কোটি টাকা। এক মাসেই বেড়েছে প্রায় ১৬ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।
২০২৩ সালের মে মাসে এ পরিমাণ ছিল ২ লাখ ৭১ হাজার কোটি টাকা। ফলে বছরে নগদের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৮ দশমিক ৫৪ শতাংশ।
অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, ব্যাংকের বাইরে নগদ টাকার পরিমাণ বেড়ে যাওয়াটা অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর। এতে ব্যাংকে আমানত জমা কমে যায়, যার প্রভাব পড়ে ঋণ সক্ষমতা ও বিনিয়োগে।
ঈদ উপলক্ষে মে মাসে নগদের চাহিদা বাড়ার বিষয়টি উল্লেখ করে সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘কোরবানির পশু কেনাকাটা ও অন্যান্য খরচ নগদে হওয়ায় মানুষের হাতে টাকা রাখার প্রবণতা বেড়েছে।’
ব্যাংকগুলো চড়া সুদে আমানত সংগ্রহের চেষ্টা করলেও মানুষের হাতে জমানোর মতো বাড়তি টাকা নেই। ফলে অস্থিরতা কাটলেও ব্যাংকিং খাতে স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধি এখনো অধরা।
গত বছর বাংলাদেশ থেকে রপ্তানিকৃত পণ্যের ওপর গড়ে শুল্কহার ছিল ১৫ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ থেকে পাঠানো ৮ দশমিক ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য থেকে এই শুল্কহারে শুল্ক আদায় করেছে ১২৭ কোটি ডলার।
২ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের পণ্যের ওপর শুল্ক ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। আর এই শুল্ক কমাতে যুক্তরাষ্টের সঙ্গে গোপন চুক্তি হয়েছে বলে যে গুঞ্জন ছড়িয়েছে তা নাকচ করেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
৫ ঘণ্টা আগেমর্কিন শুল্ক ২০ শতাংশের নিচে আরোপ করা হবে বলে আশা করেছিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। তবে শুল্ক ২০ শতাংশ করায় যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি।
১ দিন আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অতিরিক্ত শুল্ক বাস্তবায়ন করার পর তাঁর নিজ দেশেই তৈরি হয়েছে নানামুখী চাপ। বিশেষ করে, শুল্ক আরোপের সবচেয়ে প্রভাব পড়েছে মার্কিনিদের ওপরেই। দেশটির কোম্পানিগুলো কীভাবে এই চাপ সামলাবে, তা নিয়ে রীতিমতো উদ্বিগ্ন।
৩ দিন আগে