বহুল আলোচিত রাজস্ব খাতের সংস্কারের সংশোধিত অধ্যাদেশ সম্প্রতি জারি করা হয়েছে। গতকাল সোমবার আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এটি প্রকাশিত হয়। সংশোধনীগুলোর মধ্যে একটি প্রধান পদক্ষেপ হলো রাজস্ব নীতি বিভাগে অভিজ্ঞ ও যোগ্য কর্মকর্তাকে সচিব পদে নিয়োগ দেওয়া।
২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রায় ১ লাখ ৮৮ হাজার কোটি টাকা ভ্যাট আদায় করতে ব্যর্থ হয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সাম্প্রতিক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।
স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি চালু হওয়ার আগ পর্যন্ত প্রয়োজনে কেয়ামত পর্যন্ত ভ্যাট নিরীক্ষা বন্ধ থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন এনবিআরের চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান।
ব্যাপক আন্দোলন ও আপত্তির পর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) নতুন অধ্যাদেশে ব্যাপক সংশোধন হয়েছে। অধ্যাদেশের ১১টি ধারা ও উপধারায় সংশোধন পাস হয়। অধ্যাদেশে অন্যতম প্রধান সংশোধন হলো, রাজস্ব নীতি বিভাগে রাজস্ব খাতের অভিজ্ঞ ও যোগ্যতাসম্পন্ন কর্মকর্তাকে প্রধান করা হবে।
এনবিআরের ওই ১৭ কর্মকর্তা বৈধ উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পত্তির দখলে রয়েছেন বা মালিকানা অর্জন করেছেন— এমনটি প্রতীয়মান হওয়ায় তাঁদের সম্পদ ও দায়-দেনার হিসাব বিবরণী দাখিলের আদেশ জারির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সাম্প্রতিক আন্দোলনের সময় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) দাপ্তরিক কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে আরও চার কর কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
সিএকে এনবিআরের সিআইসি প্রধান
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল (সিআইসি) বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের অর্থ পাচারের মাধ্যমে গড়ে ওঠা প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকার সম্পদের সন্ধান পেয়েছে।
২০২৫–২৬ করবর্ষের অনলাইন আয়কর রিটার্ন দাখিল কার্যক্রমের উদ্বোধনের দিনেই ১০ হাজার ২০২ জন করদাতা ই-রিটার্ন দাখিল করেছেন। মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এই সংক্রান্ত একটি বিশেষ নির্দেশনা জারি করেছে। নির্দেশনায় বলা হয়েছে সোমবার থেকে আয়কর রিটার্ন জমার এ প্রক্রিয়া শুরু হবে।
গত ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪-২৫ অর্থবছরের আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য অনলাইন ব্যবস্থা চালু করে এনবিআর। প্রতিবছর ১ জুলাই থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত করদাতারা আয়কর রিটার্ন জমা দিতে পারেন।
দীর্ঘ টানাপোড়েন ও শাটডাউন কর্মসূচির পর সমঝোতায় পৌঁছে আন্দোলন প্রত্যাহার করেছে এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ব্যবসায়ী নেতাদের মধ্যস্থতায় সমাধান আসে। সরকারের পক্ষ থেকে গঠিত হয়েছে উপদেষ্টা কমিটি ও ‘অত্যাবশ্যকীয় সেবা’ ঘোষণার প্রস্তাব।
চলমান আন্দোলনের মধ্যে আজ রোববার এনবিআর কর্তাদের সঙ্গে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের বৈঠকে বসার কথা থাকলেও শেষমেষ হচ্ছে না সেটি। সমঝোতায় যেতে পারছে না সরকার ও কর্মকর্তারা। ফলে এনবিআরে দেখা দিয়েছে গভীর সংকট।
দ্বিতীয় দিনের মতো জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) চলছে শাটডাউন ও মার্চ টু এনবিআর। যৌক্তিক সংস্কার ও চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবিতে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ব্যানারে অবস্থান নিয়েছেন কর্মকর্তা–কর্মচারীরা।
দীর্ঘদিন ধরে রাজস্ব ব্যবস্থাপনার কেন্দ্রীয় সংস্থা হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)-কে বিলুপ্ত ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এই পরিবর্তনের ফলে গঠিত হয়েছে দুটি নতুন সংস্থা: রাজস্ব নীতি বিভাগ এবং রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ
আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সংস্কার ঐক্য পরিষদ। ২৫ মে রবিবার রাত আটটার দিকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দেন তাঁরা৷ পূর্বে সংগঠনটির পক্ষ থেকে দেশের সব রাজস্ব দপ্তরে অনির্দিষ্টকালের পূর্ণদিবস কর্মবিরতি ডাকা হয়৷ ২৬ মে সোমবার থেকে এ কর্মসূচি কার্যকর হওয়ার কথা
দুইটি অধ্যাদেশ ঘিরে কর্মবিরতি ও আন্দোলনে নেমেছেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এর একটি হলো ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ এবং অপরটি ‘রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ, ২০২৫’। এই দুই অধ্যাদেশ ঘিরে দেশের প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় একযোগে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে।