.png)

স্ট্রিম ডেস্ক

চ্যাটজিপিটির মতো কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) মডেলগুলো সংবাদ সংক্রান্ত প্রশ্নে প্রায় অর্ধেক সময় ভুল বা বিভ্রান্তিকর তথ্য দেয়। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এমন তথ্যই ওঠে এসেছে।
গবেষণাটি পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ইউরোপিয়ান ব্রডকাস্টিং ইউনিয়ন (ইবিইউ) এবং ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। আজ বুধবার (২২ অক্টোবর) তারা গবেষণা প্রতিবেদনটি তুলে ধরেছে। খবর আল জাজিরার।
প্রতিষ্ঠান দুটি ওপেনএআইয়ের চ্যাটজিপিটি, গুগলের জেমিনি, মাইক্রোসফটের কপিলট এবং পারপ্লেক্সিটের মতো এআই মডেলের ২৭০০ উত্তর মূল্যায়ন করে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে।
গবেষণাটি গত মে মাসের শেষ থেকে জুনের শুরুতে করা হয়। গবেষণার জন্য ১৮টি দেশের ১৪টি ভাষায় প্রকাশিত ২২টি সংবাদমাধ্যম এআই মডেলগুলোকে একই ধরনের প্রশ্ন করেছিল। তাতে দেখা যায়, সব মিলিয়ে ৪৫ শতাংশ উত্তরে অন্তত একটি ‘গুরুত্বপূর্ণ’ ত্রুটি ছিল।
এআই মডেলের দেওয়া উত্তরের সবচেয়ে কমন সমস্যা ছিল সংবাদের সূত্র উল্লেখে। দেখা যায়, ৩১ শতাংশ উত্তর সূত্রবিহীন, ভুলভাবে উদ্ধৃত, বা যাচাইযোগ্য নয়। এরপরের বড় সমস্যা ছিল তথ্যের যথার্থতা নিরূপন করা যা ২০ শতাংশ ক্ষেত্রে ভুল ছিল, এরপর যথাযথ প্রাসঙ্গিকতার ঘাটতি ছিল প্রায় ১৪ শতাংশ ক্ষেত্রে।
গুগুলের জেমিনিতে সবচেয়ে বেশি সমস্যা ছিল। বিশেষ করে জেমিনির ৭৬ শতাংশ উত্তরে সূত্রের ক্ষেত্রে সমস্যা ছিল।
গবেষণা প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, সব এআই মডেলেই মৌলিক তথ্যগত ভুল ছিল। যেমন পারপ্লেক্সিটের দাবি ইউরোপের দেশ চেক প্রজাতন্ত্রে সারোগেসি অবৈধ। আর পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুর কয়েক মাস পেরিয়ে গেলেও চ্যাটজিপিটি বলছে এখনো তিনি জীবিত।
এসব ব্যাপারে ওপেনএআই, গুগল, মাইক্রোসফট এবং পারপ্লেক্সিটের মন্তব্য জানতে চাওয়া হলেও তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি বলে গবেষণা প্রতিবেদনটিতে বলা হয়।
প্রতিবেদনের ভূমিকায় ইবিইউ-এর ডেপুটি জেনারেল জেন ফিলিপ ডে টেন্ডার এবং বিবিসির এআই প্রধান পিট আর্চার প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের মডেলেগুলোর এই সমস্যা সমাধানে আরও কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
ফিলিপ ডে টেন্ডার এবং পিট আর্চার বলেন, প্রতিষ্ঠানগুলো এই সমস্যাগুলোকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে না। কিন্তু এখন এটি দিতে হবে।

চ্যাটজিপিটির মতো কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) মডেলগুলো সংবাদ সংক্রান্ত প্রশ্নে প্রায় অর্ধেক সময় ভুল বা বিভ্রান্তিকর তথ্য দেয়। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এমন তথ্যই ওঠে এসেছে।
গবেষণাটি পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ইউরোপিয়ান ব্রডকাস্টিং ইউনিয়ন (ইবিইউ) এবং ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। আজ বুধবার (২২ অক্টোবর) তারা গবেষণা প্রতিবেদনটি তুলে ধরেছে। খবর আল জাজিরার।
প্রতিষ্ঠান দুটি ওপেনএআইয়ের চ্যাটজিপিটি, গুগলের জেমিনি, মাইক্রোসফটের কপিলট এবং পারপ্লেক্সিটের মতো এআই মডেলের ২৭০০ উত্তর মূল্যায়ন করে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে।
গবেষণাটি গত মে মাসের শেষ থেকে জুনের শুরুতে করা হয়। গবেষণার জন্য ১৮টি দেশের ১৪টি ভাষায় প্রকাশিত ২২টি সংবাদমাধ্যম এআই মডেলগুলোকে একই ধরনের প্রশ্ন করেছিল। তাতে দেখা যায়, সব মিলিয়ে ৪৫ শতাংশ উত্তরে অন্তত একটি ‘গুরুত্বপূর্ণ’ ত্রুটি ছিল।
এআই মডেলের দেওয়া উত্তরের সবচেয়ে কমন সমস্যা ছিল সংবাদের সূত্র উল্লেখে। দেখা যায়, ৩১ শতাংশ উত্তর সূত্রবিহীন, ভুলভাবে উদ্ধৃত, বা যাচাইযোগ্য নয়। এরপরের বড় সমস্যা ছিল তথ্যের যথার্থতা নিরূপন করা যা ২০ শতাংশ ক্ষেত্রে ভুল ছিল, এরপর যথাযথ প্রাসঙ্গিকতার ঘাটতি ছিল প্রায় ১৪ শতাংশ ক্ষেত্রে।
গুগুলের জেমিনিতে সবচেয়ে বেশি সমস্যা ছিল। বিশেষ করে জেমিনির ৭৬ শতাংশ উত্তরে সূত্রের ক্ষেত্রে সমস্যা ছিল।
গবেষণা প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, সব এআই মডেলেই মৌলিক তথ্যগত ভুল ছিল। যেমন পারপ্লেক্সিটের দাবি ইউরোপের দেশ চেক প্রজাতন্ত্রে সারোগেসি অবৈধ। আর পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুর কয়েক মাস পেরিয়ে গেলেও চ্যাটজিপিটি বলছে এখনো তিনি জীবিত।
এসব ব্যাপারে ওপেনএআই, গুগল, মাইক্রোসফট এবং পারপ্লেক্সিটের মন্তব্য জানতে চাওয়া হলেও তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি বলে গবেষণা প্রতিবেদনটিতে বলা হয়।
প্রতিবেদনের ভূমিকায় ইবিইউ-এর ডেপুটি জেনারেল জেন ফিলিপ ডে টেন্ডার এবং বিবিসির এআই প্রধান পিট আর্চার প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের মডেলেগুলোর এই সমস্যা সমাধানে আরও কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
ফিলিপ ডে টেন্ডার এবং পিট আর্চার বলেন, প্রতিষ্ঠানগুলো এই সমস্যাগুলোকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে না। কিন্তু এখন এটি দিতে হবে।
.png)