leadT1ad

বিএনপির কার্যালয়ে সাংবাদিকের ওপর ‘হামলা’, এনসিপির উদ্বেগ

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা
প্রকাশ : ২০ অক্টোবর ২০২৫, ১৩: ৩৩
এনসিপির লোগো। সংগৃহীত ছবি

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সাংবাদিক জাহিদুল ইসলামের ওপর ‘হামলা’ ও মোবাইল ভাঙচুরের ঘটনায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

সোমবার (২০ অক্টোবর) দলটির মিডিয়া সেল সম্পাদক মুশফিক উস সালেহীনের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নিন্দা ও উদ্বেগ জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাংবাদিকদের ওপর হামলা মানে গণতন্ত্র ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর আঘাত। গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ; তাদের ওপর আক্রমণ জনগণের তথ্য জানার অধিকার কেড়ে নেয়।

সাংবাদিক ‘নির্যাতনের’ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে এনসিপি তিন দফা দাবি উপস্থাপন করেছে বিজ্ঞপ্তিতে। দাবিগুলো হলো, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ঘটনাটির নিরপেক্ষ তদন্ত করে দায়ীদের শনাক্ত ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর কার্যালয়ে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে এবং গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি সম্মান ও সহযোগিতার পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রতি দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে কঠোর ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করার আহ্বান জানিয়েছে এনসিপি।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, জাতীয় নাগরিক পার্টি বিশ্বাস করে, মুক্ত সাংবাদিকতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ছাড়া কোনো গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা টিকে থাকতে পারে না। এধরণের ঘটনা জনমনে ফ্যাসিবাদী আমলের রাজনৈতিক সংস্কৃতি ফিরে আসার আশঙ্কা তৈরি করে। আমরা জাহিদুল ইসলাম ও সকল নির্যাতিত সাংবাদিকদের পাশে আছি এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে সে বিষয়ে সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ তৈরি, মত প্রকাশ ও তথ্য জানার অধিকার নিশ্চিত করার দঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়েছে এনসিপির পক্ষ থেকে।

প্রসঙ্গত, রোববার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির সিলেট বিভাগের সংসদ সদস্য হিসেবে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকারের সময় দৈনিক আমার দেশের নিজস্ব প্রতিবেদক জাহিদুল ইসলামকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মারধরের পর তাঁর মোবাইল ফোনটি ভেঙে ফেলা হয় এবং তাঁকে রক্ষা করতে গিয়ে আরও কয়েকজন সাংবাদিক হেনস্তার শিকার হন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

পরে এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য গভীর দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘গণমাধ্যম রাজনৈতিক দলের বক্তব্য ও কার্যক্রম জনগণের কাছে তুলে ধরে। আজকের ঘটনাটি আকস্মিক এবং ভুল বোঝাবুঝি থেকে হয়েছে। আমি আহত সাংবাদিকসহ উপস্থিত সবার কাছে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।’

Ad 300x250

সম্পর্কিত