leadT1ad

নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপ

নির্বাচনী প্রচারে তারেক রহমানের ছবি ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন এনসিপির

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা

প্রকাশ : ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ১৯: ৩৪
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। স্ট্রিম গ্রাফিক

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণে ইচ্ছুক বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রার্থীরা দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবি ও পোস্টার ব্যবহার করছেন। তফসিল ঘোষণার পর তারেক রহমানের ছবি ব্যবহার আচরণবিধির লংঘন হিসেবে বিবেচিত হবে বলে মনে করছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। তফসিল ঘোষণার পর আচরণবিধির এই লঙ্ঘন প্রতিরোধে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) কতটা সফল হবে, তার ওপর কমিশনের সক্ষমতার প্রমাণ দেওয়ার বিষয়টি নির্ভর করছে বলে মনে করছে এনসিপি।

আজ (১৯ নভেম্বর) নির্বাচন ভবনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে এমন পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিব ও পটুয়াখালী জেলা সমন্বয় কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম মুসা। প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন সংলাপে উপস্থিত ছিলেন।

জহিরুল ইসলাম মুসা বলেন, ‘বিএনপির প্রধান বেগম খালেদা জিয়া। তাঁর ছবি প্রার্থীরা ব্যবহার করলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু দেখা যাচ্ছে প্রার্থীরা তারেক রহমানের ছবি ব্যবহার করছেন। এটাতে আমরা আপত্তি জানিয়েছি। ইসি এটাকে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করবে, সেটাই দেখার বিষয়।’

জহিরুল ইসলাম মুসা বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট করে একটি বিধিমালা দেখিয়েছে যে দল থেকে কোনো প্রার্থী মনোনীত হওয়ার পর তাঁর নিজের ছবি, প্রতীকের ছবি ও দলীয় প্রধানের ছবি ছাড়া অন্য কারও ছবি ব্যবহার করতে পারবে না। কিন্তু আমরা ইসির সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছি। ইসিকে বলেছি, আপনারা বিএনপির ক্ষেত্রে এটা প্রয়োগ করতে পারবেন কিনা। বর্তমানে বিএনপির দলীয় প্রধান বেগম খালেদা জিয়া। কিন্তু আমরা দেখছি, যাঁরা বিএনপি থেকে মনোনীত হয়েছেন বা হবেন, তাঁরা বিভিন্ন প্রচারপত্রে, পোস্টারে, বিলবোর্ডে , লিফলেটে—সব জায়গায় তারেক রহমানের ছবি ব্যবহার করছেন।’

জহিরুল মুসা আরও বলেন, ‘আমরা ইসিকে বলেছি, এই আচরণবিধি কীভাবে শক্তভাবে প্রয়োগ করবেন, এটা থেকে বিএনপিকে কীভাবে বিরত রাখবেন, তার মাধ্যমে আপনাদের (ইসি) সক্ষমতা প্রমাণিত হবে। এছাড়া আপনাদের সক্ষমতার একটা ধাপ জনগণের কাছে পূরণ হবে। এটা ইসি যদি পারে তাহলে তাদের একটা স্বক্ষমতা তৈরি হবে।’

জহিরুল ইসলাম মুসা আরও বলেন, ‘যাদের বয়স নির্বাচনের আগে ১৮ বছর পূর্ণ হবে, তাঁদের ভোটার করতে হবে। তরুণ জেন-জিদের ভোটের আওতায় আনতে হবে। বড় একটা সংখ্যাক জেন-জি যারা আন্দোলন করেছিলেন, তাঁদের ভোট দেওয়ার সুযোগ দিতে হবে।’

Ad 300x250
সর্বাধিক পঠিত

সম্পর্কিত