স্ট্রিম প্রতিবেদক
ফেনীতে ভারী বৃষ্টি ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পানিতে বছর না পেরোতেই আবার বন্যার কবলে পড়েছে জেলাবাসী। মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ২১টি স্থান ভেঙে একের পর এক প্লাবিত হচ্ছে জেলার পরশুরাম, ফুলগাজী ও ছাগলনাইয়া উপজেলার নতুন এলাকা। বসতবাড়ি, রাস্তাঘাট, ফসলি জমি তলিয়ে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন লাখো মানুষ। এতে গত বছরের মতো দীর্ঘস্থায়ী বন্যার আতঙ্কে আছে এই এলাকার লোকজন।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, জেলার ছাগলনাইয়া, ফেনী সদর উপজেলায় বন্যার পানি বাড়তে শুরু করেছে। ফুলগাজী উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতিতে তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি। এদিকে পরশুরামের পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে। উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, মুহুরী নদীর ১০টি, কহুয়া নদীর ৬টি ও সিলোনিয়া নদীর ৫টি অংশে ভাঙনে অন্তত ৫৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বুধবার রাতে নতুন করে ফুলগাজীর আনন্দপুর, ছাগলনাইয়ার রেজুমিয়া, বেতাকা, সতের এলাকায় ৬টি স্থানে বাঁধ ভাঙার খবর পাওয়া গেছে। চার উপজেলায় পঞ্চাশ হাজারেরও বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়েছে।
ফেনী আবহাওয়া কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মজিবুর রহমান জানান, জেলায় টানা চার দিন ধরে মাঝারি ও ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুর ৩টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ৬৩ দশমিক ১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। শুক্রবারও জেলাজুড়ে হালকা বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
ছাগলনাইয়ার দক্ষিণ সতর এলাকার বাসিন্দা রবিউল হাসান বলেন, ‘বুধবার (৯ জুলাই) রাতেই পানি ঢুকতে শুরু করে। পরে বেলা বাড়ার সঙ্গে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। তীব্র স্রোতে পানি প্রবেশ করে ঘরবাড়িসহ সবকিছু তলিয়ে যাচ্ছে। গেল বছরের বন্যায় এমন পরিস্থিতিতে পড়েছিলাম।’
ফুলগাজীর আনন্দপুর এলাকার বাসিন্দা মোহাইমিন তাজিম বলেন, ‘পানি উন্নয়ন বোর্ডের কিছু অসাধু কর্মকর্তার দায়সারা কাজের কারণে প্রতিবছর এমন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। গেল বছরের ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার আগেই আবার এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হলো।’
জহিরুল ইসলাম নামে আরেক বাসিন্দা বলেন, ‘সড়কে পানি থাকায় যানচলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। বিদ্যুৎ ও মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্কেও সমস্যা হচ্ছে। এখনো শুকনো খাবার বা কোনো ধরনের প্রশাসনিক সহায়তা পাইনি।’
ফেনী বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি জানিয়েছে, প্লাবিত এলাকার অনেক বাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের বৈদ্যুতিক মিটার ও সাব-স্টেশন ডুবে গেছে। নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে। পরিস্থিতির উন্নতি না হলে এ ব্যবস্থা আরো কয়েকদিন চলতে পারে।
পরশুরাম পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম মো. সোহেল আকতার বলেন, ‘এই উপজেলায় ৩৩ হাজার গ্রাহকের মধ্যে ৬০ শতাংশ গ্রাহকের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সংযোগ দেওয়া হবে। তবে বিদ্যুতের বিভিন্ন লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সহসাই সংযোগ দেওয়ার সম্ভাবনা নেই।’
ফেনী পাউবোর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আবুল কাশেম বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুর একটার দিকে নদীর পানি বিপৎসীমার দুই মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদীতে পানি কমলেও ভাঙনের স্থান দিয়ে পানি ঢুকে নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। পানি কমার পরেই বাঁধ মেরামতের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে ফেনী শহরে বৃষ্টির পরিমাণ কমে আসায় বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে যাচ্ছে।
ফেনীর জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম বলেন, পরশুরাম, ফুলগাজী, ছাগলনাইয়া ও ফেনী সদর উপজেলায় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। সেনাবাহিনী উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম শুরু করছে। জেলার ছয় উপজেলায় ত্রাণ কার্যক্রমের জন্য সাড়ে ১৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বন্যা কবলিত এলাকার মানুষকে প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবকেরা আশ্রয়কেন্দ্রে পৌঁছে দিতে কাজ করছেন।
এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা থেকে বানভাসিদের উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমে যোগ দিয়েছে সেনাবাহিনী। বাহিনীর একটি সূত্র জানা গেছে, বন্যার্ত এলাকায় উদ্ধার কার্যক্রমের জন্য স্পিডবোট আনা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বন্যাকবলিত পরশুরাম, ফুলগাজী ও ছাগলনাইয়া এলাকায় উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম শুরু হবে।
ফেনীতে ভারী বৃষ্টি ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পানিতে বছর না পেরোতেই আবার বন্যার কবলে পড়েছে জেলাবাসী। মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ২১টি স্থান ভেঙে একের পর এক প্লাবিত হচ্ছে জেলার পরশুরাম, ফুলগাজী ও ছাগলনাইয়া উপজেলার নতুন এলাকা। বসতবাড়ি, রাস্তাঘাট, ফসলি জমি তলিয়ে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন লাখো মানুষ। এতে গত বছরের মতো দীর্ঘস্থায়ী বন্যার আতঙ্কে আছে এই এলাকার লোকজন।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, জেলার ছাগলনাইয়া, ফেনী সদর উপজেলায় বন্যার পানি বাড়তে শুরু করেছে। ফুলগাজী উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতিতে তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি। এদিকে পরশুরামের পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে। উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, মুহুরী নদীর ১০টি, কহুয়া নদীর ৬টি ও সিলোনিয়া নদীর ৫টি অংশে ভাঙনে অন্তত ৫৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বুধবার রাতে নতুন করে ফুলগাজীর আনন্দপুর, ছাগলনাইয়ার রেজুমিয়া, বেতাকা, সতের এলাকায় ৬টি স্থানে বাঁধ ভাঙার খবর পাওয়া গেছে। চার উপজেলায় পঞ্চাশ হাজারেরও বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়েছে।
ফেনী আবহাওয়া কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মজিবুর রহমান জানান, জেলায় টানা চার দিন ধরে মাঝারি ও ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুর ৩টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ৬৩ দশমিক ১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। শুক্রবারও জেলাজুড়ে হালকা বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
ছাগলনাইয়ার দক্ষিণ সতর এলাকার বাসিন্দা রবিউল হাসান বলেন, ‘বুধবার (৯ জুলাই) রাতেই পানি ঢুকতে শুরু করে। পরে বেলা বাড়ার সঙ্গে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। তীব্র স্রোতে পানি প্রবেশ করে ঘরবাড়িসহ সবকিছু তলিয়ে যাচ্ছে। গেল বছরের বন্যায় এমন পরিস্থিতিতে পড়েছিলাম।’
ফুলগাজীর আনন্দপুর এলাকার বাসিন্দা মোহাইমিন তাজিম বলেন, ‘পানি উন্নয়ন বোর্ডের কিছু অসাধু কর্মকর্তার দায়সারা কাজের কারণে প্রতিবছর এমন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। গেল বছরের ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার আগেই আবার এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হলো।’
জহিরুল ইসলাম নামে আরেক বাসিন্দা বলেন, ‘সড়কে পানি থাকায় যানচলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। বিদ্যুৎ ও মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্কেও সমস্যা হচ্ছে। এখনো শুকনো খাবার বা কোনো ধরনের প্রশাসনিক সহায়তা পাইনি।’
ফেনী বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি জানিয়েছে, প্লাবিত এলাকার অনেক বাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের বৈদ্যুতিক মিটার ও সাব-স্টেশন ডুবে গেছে। নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে। পরিস্থিতির উন্নতি না হলে এ ব্যবস্থা আরো কয়েকদিন চলতে পারে।
পরশুরাম পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম মো. সোহেল আকতার বলেন, ‘এই উপজেলায় ৩৩ হাজার গ্রাহকের মধ্যে ৬০ শতাংশ গ্রাহকের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সংযোগ দেওয়া হবে। তবে বিদ্যুতের বিভিন্ন লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সহসাই সংযোগ দেওয়ার সম্ভাবনা নেই।’
ফেনী পাউবোর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আবুল কাশেম বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুর একটার দিকে নদীর পানি বিপৎসীমার দুই মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদীতে পানি কমলেও ভাঙনের স্থান দিয়ে পানি ঢুকে নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। পানি কমার পরেই বাঁধ মেরামতের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে ফেনী শহরে বৃষ্টির পরিমাণ কমে আসায় বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে যাচ্ছে।
ফেনীর জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম বলেন, পরশুরাম, ফুলগাজী, ছাগলনাইয়া ও ফেনী সদর উপজেলায় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। সেনাবাহিনী উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম শুরু করছে। জেলার ছয় উপজেলায় ত্রাণ কার্যক্রমের জন্য সাড়ে ১৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বন্যা কবলিত এলাকার মানুষকে প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবকেরা আশ্রয়কেন্দ্রে পৌঁছে দিতে কাজ করছেন।
এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা থেকে বানভাসিদের উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমে যোগ দিয়েছে সেনাবাহিনী। বাহিনীর একটি সূত্র জানা গেছে, বন্যার্ত এলাকায় উদ্ধার কার্যক্রমের জন্য স্পিডবোট আনা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বন্যাকবলিত পরশুরাম, ফুলগাজী ও ছাগলনাইয়া এলাকায় উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম শুরু হবে।
প্রবাসী ভোটারদের জন্য ভোটদানের সুযোগ কার্যকরভাবে নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশন ৪৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন প্রকল্প নিতে যাচ্ছে।
৬ ঘণ্টা আগেআমরা শুনছি শাপলা প্রতীক আমাদের দেওয়া হবে না। নির্বাচন কমিশন মিটিং করার আগেই কিভাবে এই খবর প্রচার হলো। ধিক্কার জানাই নির্বাচন কমিশনকে। আপনাদের রিমোট কন্ট্রোল কাদের হাতে তা আমরা জানি।
৭ ঘণ্টা আগেআশ্রয় নেওয়া এই মানুষদের মতোই উপজেলার ফুলগাজী পাইলট উচ্চবিদ্যালয়, বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে ও মাদ্রাসায় আশ্রয় নিয়েছে শতাধিক পরিবার। গত বছরের বন্যা সুলতানার বাড়িঘর সব নিয়ে গেছে, ভালোবাসা হিসেবে রেখে গেছে একটি পুত্রসন্তান। এবারের বন্যায় সেই সন্তান নিয়ে আশ্রয় নিলেন আশ্রয়কেন্দ্রে।
৭ ঘণ্টা আগে১৭ কোটি ৫০ লাখ জনসংখ্যার বাংলাদেশে মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৮ কোটি ৫০ লাখ। এটি দেশের মোট মোবাইল সংযোগের সংখ্যা, যা জনসংখ্যার চেয়ে বেশি। কিন্তু এর বিপরীতে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা মাত্র ৭ কোটি ৭৭ লাখ। যা দেশের মোট জনসংখ্যার ৪৪ দশমিক ৫ শতাংশ।
৯ ঘণ্টা আগে