স্ট্রিম ডেস্ক
১৭ কোটি ৫০ লাখ জনসংখ্যার বাংলাদেশে মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৮ কোটি ৫০ লাখ। এটি দেশের মোট মোবাইল সংযোগের সংখ্যা, যা জনসংখ্যার চেয়ে বেশি। কিন্তু এর বিপরীতে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা মাত্র ৭ কোটি ৭৭ লাখ। যা দেশের মোট জনসংখ্যার ৪৪ দশমিক ৫ শতাংশ।
আন্তর্জাতিক তথ্য সরবরাহকারী সংস্থা ডেটা রিপোর্টালের প্রকাশিত ২০২৫ সালের মার্চ মাসের একটি প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এসব তথ্য। তারা মুঠোফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর বৈশ্বিক সংগঠন গ্লোবাল সিস্টেম ফর মোবাইল কমিউনিকেশনস অ্যাসোসিয়েশনসহ (জিএসএমএ) বেশ কয়েকটি নির্ভরযোগ্য সংস্থাকে উদ্ধৃত করে এসব তথ্য প্রকাশ করেছে।
মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা মোট জনসংখ্যার তুলনায় এত বেশি হওয়ার কারণ হিসেবে তাঁরা একজন ব্যক্তি একাধিক সিম ব্যবহার করছেন বলে উল্লেখ করেছে। আবার কেউ কেউ একাধিক মোবাইল ব্যবহার করার ফলেও এমনটা হয়েছে বলে উঠে এসেছে প্রতিবেদনে।
কিন্তু এসব কারণ বিবেচনা করলেও ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা মোবাইল বা সিম ব্যবহারকারীর চেয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে কম। ইন্টারনেট ব্যবহার করেন না প্রায় ৯ কোটি ৬৯ লাখ। অর্থাৎ মোট জনসংখ্যার প্রায় ৫৫ দশমিক ৫ শতাংশ। অথচ বাংলাদেশের তুলনায় অনেক পিছিয়ে থাকা অর্থনীতির দেশ কেনিয়া, নাইজেরিয়া বা সেনেগালও এর চেয়ে এগিয়ে আছে। স্বভাবতই মোবাইল ব্যবহারকারী ও ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর মধ্যে এমন ব্যবধান প্রশ্ন তুলছে, এত মানুষ ইন্টারনেট সেবার বাইরে থাকার কারণ কী।
জিএসএমএ আরেকটি গবেষণায় দেখিয়েছে, এর প্রধান কারণ হলো সব মোবাইল ফোনই স্মার্টফোন নয়।
জিএসএমএর তথ্য অনুযায়ী শহরে ৪৩ শতাংশ মানুষ মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। বিপরীতে গ্রামে মাত্র ২৭ শতাংশ মানুষ ব্যবহার করেন মোবাইল ইন্টারনেট। শহর ও গ্রামের মানুষের জন্য মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে স্বাক্ষরতা ও ডিজিটাল দক্ষতার অভাব। তবে শহরের বাসিন্দাদের মধ্যে আরও একটি বড় উদ্বেগ হলো অনলাইন নিরাপত্তা। বিপরীতে গ্রামের মানুষের ক্ষেত্রে বেশি সমস্যা হলো অর্থনৈতিক সামর্থ্য। গ্রামের ১১ শতাংশ এবং শহরের ৮ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন, স্মার্টফোনের দাম তাঁদের জন্য একটি বড় বাধা। তা ছাড়া, শহরের ২৮ শতাংশ ও গ্রামের ১৯ শতাংশ মানুষ বলেন, তাঁরা পড়তে ও লিখতে না পারায় মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারেন না। প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ইন্টারনেট ব্যবহারে শহরের তুলনায় গ্রামের মানুষের আগ্রহ তুলনামূলকভাবে বেশি।
যেমন ছিল ইন্টারনেটের গতি
ইন্টারনেটের গতি-যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান ওকলার তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশের মোবাইল ইন্টারনেটের গড় গতি ছিল ২৮ দশমিক ২৬ এমবিপিএস। যা আগের বছরের তুলনায় ২২ দশমিক ৯ শতাংশ বেশি। একই সময়ে ফিক্সড ইন্টারনেটের (ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট) গতি ছিল ৪৮ দশমিক ৯১ এমবিপিএস, যা আগের বছরের তুলনায় ৯ দশমিক ০৮ এমবিপিএস বৃদ্ধি পেয়েছে।
তবে গত এক বছরে ইন্টারনেটের গতি বাড়লেও, ব্যবহারের পরিমাণ তেমন বাড়েনি। গবেষণা অনুযায়ী ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৫ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েছে মাত্র ৯ লাখ ৩৯ হাজার (১ দশমিক ২ শতাংশ)।
ইন্টারনেট, মোবাইল ও সোশ্যাল মিডিয়া—তিনটিতেই পিছিয়ে নারীরা
এশিয়ার নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের নারীরা স্মার্টফোন ও মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারে এখনো পিছিয়ে। এটি আরও স্পষ্ট হয় যখন ব্যবধানের অঙ্কটি সামনে আসে। জিএসএমএর সদ্য প্রকাশিত দ্য মোবাইল জেন্ডার গ্যাপ রিপোর্ট ২০২৫-এর তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের ৮৫ শতাংশ পুরুষ ও ৬৮ শতাংশ নারী মোবাইল ফোনের মালিক। দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের চেয়ে খারাপ অবস্থায় আছে শুধু পাকিস্তান। দেশটির মোট মোবাইল ব্যবহারকারীর ৯৩ শতাংশ পুরুষ ও ৫৮ শতাংশ নারী।
জিএসএমএর গবেষণা বলছে, ইন্টারনেট প্রযুক্তি পৌঁছে গেলেও তা ব্যবহার করতে পারছেন না দেশের বেশির ভাগ নারী। সুযোগ-সামর্থ্যের ঘাটতির পাশাপাশি সামাজিক বাধা, নিরাপত্তা উদ্বেগ ও ডিজিটাল দক্ষতার অভাব—সব মিলিয়ে একটি বড় অংশের নারীরা রয়ে গেছেন ডিজিটাল-ব্যবস্থার বাইরে।
জিএসএমএর গবেষণা অনুযায়ী মোবাইল ব্যবহারকারীদের মধ্যে বাংলাদেশের ৪০ শতাংশ পুরুষ স্মার্টফোন ব্যবহার করেন। বিপরীতে নারী স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা মাত্র ২৫ শতাংশ। অর্থাৎ, অধিকাংশ নারী এখনো বাটন (ফিচার) ফোনেই সীমাবদ্ধ। ফলে ইন্টারনেট ব্যবহারের সক্ষমতা ও সুযোগ দুটোতেই নারীরা ক্রমাগত পিছিয়ে পড়ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে পুরুষদের ইন্টারনেট ব্যবহারের হার ৪২ শতাংশ, আর নারীদের মাত্র ২৬ শতাংশ। অর্থাৎ, ইন্টারনেট ব্যবহারে নারীরা পুরুষের চেয়ে ১৬ শতাংশ পিছিয়ে আছেন। যদিও গত পাঁচ বছরে এই ব্যবধান ২ শতাংশ কমেছে, তবুও ব্যবধান এখনো উল্লেখযোগ্য।
জিএসএমএর প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশের ৮৫ শতাংশ পুরুষ ও ৭৮ শতাংশ নারী মোবাইল ইন্টারনেট সম্পর্কে জানেন, কিন্তু অনেকেই ব্যবহার করেন না। গ্রামের নারীদের ক্ষেত্রে এই ব্যবধান আরও বেশি। বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে ৫৪ শতাংশ নারী মোবাইল ইন্টারনেট সম্পর্কে জানলেও বাস্তবে ব্যবহার করার সুযোগ পান না।
প্রতিবেদনটিতে এর কারণ হিসেবেও বেশ কিছু বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম হল ৩০ শতাংশ নারী ও ১৭ শতাংশ পুরুষের পড়তে ও লিখতে না পারা। এছাড়া স্মার্টফোন ও ডেটা কেনার সামর্থ্য না থাকাও আরেকটি কারণ। তবে মাত্র ৬ শতাংশ নারী তাঁদের জন্য ইন্টারনেট অপ্রয়োজনীয় বলে মনে করেন। এছাড়া নিরাপত্তা শঙ্কার কথাও জানিয়েছেন ইন্টারনেট ব্যবহার না করা একটি বড় অংশের নারীরা।
১৭ কোটি ৫০ লাখ জনসংখ্যার বাংলাদেশে মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৮ কোটি ৫০ লাখ। এটি দেশের মোট মোবাইল সংযোগের সংখ্যা, যা জনসংখ্যার চেয়ে বেশি। কিন্তু এর বিপরীতে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা মাত্র ৭ কোটি ৭৭ লাখ। যা দেশের মোট জনসংখ্যার ৪৪ দশমিক ৫ শতাংশ।
আন্তর্জাতিক তথ্য সরবরাহকারী সংস্থা ডেটা রিপোর্টালের প্রকাশিত ২০২৫ সালের মার্চ মাসের একটি প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এসব তথ্য। তারা মুঠোফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর বৈশ্বিক সংগঠন গ্লোবাল সিস্টেম ফর মোবাইল কমিউনিকেশনস অ্যাসোসিয়েশনসহ (জিএসএমএ) বেশ কয়েকটি নির্ভরযোগ্য সংস্থাকে উদ্ধৃত করে এসব তথ্য প্রকাশ করেছে।
মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা মোট জনসংখ্যার তুলনায় এত বেশি হওয়ার কারণ হিসেবে তাঁরা একজন ব্যক্তি একাধিক সিম ব্যবহার করছেন বলে উল্লেখ করেছে। আবার কেউ কেউ একাধিক মোবাইল ব্যবহার করার ফলেও এমনটা হয়েছে বলে উঠে এসেছে প্রতিবেদনে।
কিন্তু এসব কারণ বিবেচনা করলেও ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা মোবাইল বা সিম ব্যবহারকারীর চেয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে কম। ইন্টারনেট ব্যবহার করেন না প্রায় ৯ কোটি ৬৯ লাখ। অর্থাৎ মোট জনসংখ্যার প্রায় ৫৫ দশমিক ৫ শতাংশ। অথচ বাংলাদেশের তুলনায় অনেক পিছিয়ে থাকা অর্থনীতির দেশ কেনিয়া, নাইজেরিয়া বা সেনেগালও এর চেয়ে এগিয়ে আছে। স্বভাবতই মোবাইল ব্যবহারকারী ও ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর মধ্যে এমন ব্যবধান প্রশ্ন তুলছে, এত মানুষ ইন্টারনেট সেবার বাইরে থাকার কারণ কী।
জিএসএমএ আরেকটি গবেষণায় দেখিয়েছে, এর প্রধান কারণ হলো সব মোবাইল ফোনই স্মার্টফোন নয়।
জিএসএমএর তথ্য অনুযায়ী শহরে ৪৩ শতাংশ মানুষ মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। বিপরীতে গ্রামে মাত্র ২৭ শতাংশ মানুষ ব্যবহার করেন মোবাইল ইন্টারনেট। শহর ও গ্রামের মানুষের জন্য মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে স্বাক্ষরতা ও ডিজিটাল দক্ষতার অভাব। তবে শহরের বাসিন্দাদের মধ্যে আরও একটি বড় উদ্বেগ হলো অনলাইন নিরাপত্তা। বিপরীতে গ্রামের মানুষের ক্ষেত্রে বেশি সমস্যা হলো অর্থনৈতিক সামর্থ্য। গ্রামের ১১ শতাংশ এবং শহরের ৮ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন, স্মার্টফোনের দাম তাঁদের জন্য একটি বড় বাধা। তা ছাড়া, শহরের ২৮ শতাংশ ও গ্রামের ১৯ শতাংশ মানুষ বলেন, তাঁরা পড়তে ও লিখতে না পারায় মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারেন না। প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ইন্টারনেট ব্যবহারে শহরের তুলনায় গ্রামের মানুষের আগ্রহ তুলনামূলকভাবে বেশি।
যেমন ছিল ইন্টারনেটের গতি
ইন্টারনেটের গতি-যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান ওকলার তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশের মোবাইল ইন্টারনেটের গড় গতি ছিল ২৮ দশমিক ২৬ এমবিপিএস। যা আগের বছরের তুলনায় ২২ দশমিক ৯ শতাংশ বেশি। একই সময়ে ফিক্সড ইন্টারনেটের (ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট) গতি ছিল ৪৮ দশমিক ৯১ এমবিপিএস, যা আগের বছরের তুলনায় ৯ দশমিক ০৮ এমবিপিএস বৃদ্ধি পেয়েছে।
তবে গত এক বছরে ইন্টারনেটের গতি বাড়লেও, ব্যবহারের পরিমাণ তেমন বাড়েনি। গবেষণা অনুযায়ী ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৫ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েছে মাত্র ৯ লাখ ৩৯ হাজার (১ দশমিক ২ শতাংশ)।
ইন্টারনেট, মোবাইল ও সোশ্যাল মিডিয়া—তিনটিতেই পিছিয়ে নারীরা
এশিয়ার নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের নারীরা স্মার্টফোন ও মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারে এখনো পিছিয়ে। এটি আরও স্পষ্ট হয় যখন ব্যবধানের অঙ্কটি সামনে আসে। জিএসএমএর সদ্য প্রকাশিত দ্য মোবাইল জেন্ডার গ্যাপ রিপোর্ট ২০২৫-এর তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের ৮৫ শতাংশ পুরুষ ও ৬৮ শতাংশ নারী মোবাইল ফোনের মালিক। দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের চেয়ে খারাপ অবস্থায় আছে শুধু পাকিস্তান। দেশটির মোট মোবাইল ব্যবহারকারীর ৯৩ শতাংশ পুরুষ ও ৫৮ শতাংশ নারী।
জিএসএমএর গবেষণা বলছে, ইন্টারনেট প্রযুক্তি পৌঁছে গেলেও তা ব্যবহার করতে পারছেন না দেশের বেশির ভাগ নারী। সুযোগ-সামর্থ্যের ঘাটতির পাশাপাশি সামাজিক বাধা, নিরাপত্তা উদ্বেগ ও ডিজিটাল দক্ষতার অভাব—সব মিলিয়ে একটি বড় অংশের নারীরা রয়ে গেছেন ডিজিটাল-ব্যবস্থার বাইরে।
জিএসএমএর গবেষণা অনুযায়ী মোবাইল ব্যবহারকারীদের মধ্যে বাংলাদেশের ৪০ শতাংশ পুরুষ স্মার্টফোন ব্যবহার করেন। বিপরীতে নারী স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা মাত্র ২৫ শতাংশ। অর্থাৎ, অধিকাংশ নারী এখনো বাটন (ফিচার) ফোনেই সীমাবদ্ধ। ফলে ইন্টারনেট ব্যবহারের সক্ষমতা ও সুযোগ দুটোতেই নারীরা ক্রমাগত পিছিয়ে পড়ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে পুরুষদের ইন্টারনেট ব্যবহারের হার ৪২ শতাংশ, আর নারীদের মাত্র ২৬ শতাংশ। অর্থাৎ, ইন্টারনেট ব্যবহারে নারীরা পুরুষের চেয়ে ১৬ শতাংশ পিছিয়ে আছেন। যদিও গত পাঁচ বছরে এই ব্যবধান ২ শতাংশ কমেছে, তবুও ব্যবধান এখনো উল্লেখযোগ্য।
জিএসএমএর প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশের ৮৫ শতাংশ পুরুষ ও ৭৮ শতাংশ নারী মোবাইল ইন্টারনেট সম্পর্কে জানেন, কিন্তু অনেকেই ব্যবহার করেন না। গ্রামের নারীদের ক্ষেত্রে এই ব্যবধান আরও বেশি। বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে ৫৪ শতাংশ নারী মোবাইল ইন্টারনেট সম্পর্কে জানলেও বাস্তবে ব্যবহার করার সুযোগ পান না।
প্রতিবেদনটিতে এর কারণ হিসেবেও বেশ কিছু বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম হল ৩০ শতাংশ নারী ও ১৭ শতাংশ পুরুষের পড়তে ও লিখতে না পারা। এছাড়া স্মার্টফোন ও ডেটা কেনার সামর্থ্য না থাকাও আরেকটি কারণ। তবে মাত্র ৬ শতাংশ নারী তাঁদের জন্য ইন্টারনেট অপ্রয়োজনীয় বলে মনে করেন। এছাড়া নিরাপত্তা শঙ্কার কথাও জানিয়েছেন ইন্টারনেট ব্যবহার না করা একটি বড় অংশের নারীরা।
প্রবাসী ভোটারদের জন্য ভোটদানের সুযোগ কার্যকরভাবে নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশন ৪৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন প্রকল্প নিতে যাচ্ছে।
৫ ঘণ্টা আগেআমরা শুনছি শাপলা প্রতীক আমাদের দেওয়া হবে না। নির্বাচন কমিশন মিটিং করার আগেই কিভাবে এই খবর প্রচার হলো। ধিক্কার জানাই নির্বাচন কমিশনকে। আপনাদের রিমোট কন্ট্রোল কাদের হাতে তা আমরা জানি।
৬ ঘণ্টা আগেআশ্রয় নেওয়া এই মানুষদের মতোই উপজেলার ফুলগাজী পাইলট উচ্চবিদ্যালয়, বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে ও মাদ্রাসায় আশ্রয় নিয়েছে শতাধিক পরিবার। গত বছরের বন্যা সুলতানার বাড়িঘর সব নিয়ে গেছে, ভালোবাসা হিসেবে রেখে গেছে একটি পুত্রসন্তান। এবারের বন্যায় সেই সন্তান নিয়ে আশ্রয় নিলেন আশ্রয়কেন্দ্রে।
৬ ঘণ্টা আগেসর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, জেলার ছাগলনাইয়া, ফেনী সদর উপজেলায় বন্যার পানি বাড়তে শুরু করেছে। ফুলগাজী উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতিতে তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি। এদিকে পরশুরামের পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে।
৭ ঘণ্টা আগে