স্ট্রিম ডেস্ক

বাংলাদেশে কারাবন্দি চার সাংবাদিককে মুক্তি দিতে জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে চিঠি দিয়েছে আন্তর্জাতিক সংগঠন দ্য কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্ট (সিপিজে)। প্রধান উপদেষ্টার পাশাপাশি তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমকে সিসিতে রাখা হয়।
সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষায় কাজ করা অলাভজনক এই সংগঠনটি গত ৮ ডিসেম্বর ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে চিঠিটি দিয়েছে। ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসকে সামনে রেখে সিপিজের এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় পরিচালক বেহ লি ইয়ি প্রধান উপদেষ্টাকে চিঠিটি লিখেছেন। সিপিজের ওয়েবসাইটে চিঠিটি প্রকাশ করা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়ছে, সিপিজের কাছে থাকা তথ্য-উপাত্ত অনুযায়ী বর্তমানে বাংলাদেশে চারজন সাংবাদিক কারাবন্দি আছেন। এদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। কিন্তু তাঁদের বিরুদ্ধে বিশ্বাসযোগ্য তথ্য প্রমাণের ঘাটতি রয়েছে। মনে হয়েছে তাঁদের সংবাদ প্রতিবেদন ও সম্ভাব্য রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার কারণে প্রতিহিংসামূলকভাবে এসব করা হয়েছে।
সিপিজে যে চার সাংবাদিকের কথা বলেছেন, তাঁরা হলেন—শ্যামল দত্ত, মোজাম্মেল বাবু, ফারজানা রূপা ও শাকিল আহমেদ। চিঠিতে প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ করা বলা হয়, ৮ আগস্ট আপনি দায়িত্ব নেওয়ার পর এই চার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়।
চিঠিতে আরও বলা হয়, এই সাংবাদিকদের পরিবারের সদস্যরা কাশিমপুর কারাগারের যে বর্ণনা দিয়েছেন, তা গুরুতর মানবাধিকারের উদ্বেগ তৈরি করে। তাঁরা ৩৬ বর্গফুট (৩ দশমিক ৩৪ বর্গমিটার) আকারের অত্যন্ত ছোট কক্ষে বন্দি আছেন। কক্ষগুলোতে দরজার পরিবর্তে ধাতব বেষ্টনী দেওয়া। যার কারণে তাঁদেরকে ঠান্ডা আবহাওয়ার মধ্যে থাকতে হয়, সঙ্গে মশার উপদ্রবও রয়েছে। তাঁরা ম্যাট্রেসহীন কংক্রিটের মেঝেতে ঘুমান। আর কারাগার থেকে সরবরাহ করা খাবারের পরিমাণ অপর্যাপ্ত এবং প্রায়ই সেগুলো খাওয়ার উপযোগী থাকে না।
চিঠিতে বলা হয়, কারাগারের চিকিৎসাসেবাও অপর্যাপ্ত। কারাগারে স্থায়ী কোনো চিকিৎসক নেই, নিয়মিত পরীক্ষার সুবিধা নেই। আর পরিবার সরবরাহ না করলে বন্দিরা কোনো ওষুধ পান না। যাঁরা ক্যানসার, ডায়াবেটিস, হৃদ্রোগ এবং স্লিপ অ্যাপনিয়ার (ঘুমের সময় শ্বাসপ্রশ্বাসে সমস্যা) মতো গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের কয়েক মাস ধরে কোনো চিকিৎসা দেওয়া হয়নি।

২০২৪ সালের নভেম্বরে দেশের ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারকে দেওয়া অধ্যাপক ইউনূসের এক সাক্ষাৎকারের উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে নির্বিচারে হত্যা মামলা দেওয়া হয়েছে তা আপনি স্বীকার করেছেন। ওই সাক্ষাৎকারে আপনি উল্লেখ করেছেন, সরকার এই ধরনের পদক্ষেপ বন্ধ করেছে এবং এই মামলাগুলো পর্যালোচনার জন্য একটি কমিটি করা হয়েছে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, বারবার এই সাংবাদিকদের জামিনের আবেদন নাকচ করা হয়েছে। এদের কয়েকজনের প্রতিনিধিত্বকারী আইনজীবী জেড আই খান পান্নার বিরুদ্ধেও হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।
বাংলাদেশ সংবিধানের ৩৯ নং অনুচ্ছেদ এবং বাংলাদেশের গৃহীত ইন্টারন্যাশনাল কনভেনেন্ট অন সিভিল অ্যান্ড পলিটিক্যাল রাইটসে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সুরক্ষিত রাখার কথা বলা হয়েছে। বিচারব্যবস্থা বারবারই গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করা এবং দায়িত্বশীলতা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে স্বাধীন সাংবাদিকতার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাকে স্বীকৃতি দিয়েছে। বাংলাদেশকে অবশ্যই দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার–সংক্রান্ত বাধ্যবাধকতা মেনে চলতে হবে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আমরা আপনাকে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি, যে পদক্ষেপ বাংলাদেশে কারাবন্দি সব সাংবাদিককে তাঁদের পরিবারের কাছে ফেরার এবং নতুন করে কাজ শুরুর সুযোগ দেবে—চিঠিতে বলা হয়।
বাস্তব সংস্কার নিশ্চিত করার জন্য অতীতের চর্চাগুলো থেকে একেবারে বের হয়ে আসা প্রয়োজন। অতীতের দমনমূলক কর্মকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি করা যাবে না বলেও মনে করে সিপিজে। বাংলাদেশ আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে, তাই সব রাজনৈতিক দল সাংবাদিকদের স্বাধীনভাবে কাজ করার অধিকারকে সম্মান করা জরুরি।
চিঠিতে আরও বলা হয়, আমাদের এই প্রচারণায় বিশ্বের ১০০টিরও বেশি দেশের প্রতিনিধিত্বকারী ১,৫০০ জনেরও বেশি সাংবাদিক সমর্থন জানিয়েছেন। তাঁরা সিপিজের প্রতি সংহতি জানিয়ে চলতি বছর মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত গ্লোবাল ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম কনফারেন্সেও যোগ দিয়েছেন। তাঁরা বিশ্বের সরকারগুলিকে কারাবন্দি সাংবাদিকদের মুক্তি দিতে এবং সংবাদমাধ্যমের ওপর আক্রমণকারীদের দায়মুক্তি দেওয়া বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ করে চিঠির শেষে বলা হয়, এই বিষয়ে আপনার ব্যক্তিগত মনোযোগ মানবিক শাসন, ন্যায়বিচার এবং জনসাধারণের নির্ভয়ে কথা বলা আলোচনার প্রতি বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতিকে আরও স্পষ্ট করবে।

বাংলাদেশে কারাবন্দি চার সাংবাদিককে মুক্তি দিতে জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে চিঠি দিয়েছে আন্তর্জাতিক সংগঠন দ্য কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্ট (সিপিজে)। প্রধান উপদেষ্টার পাশাপাশি তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমকে সিসিতে রাখা হয়।
সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষায় কাজ করা অলাভজনক এই সংগঠনটি গত ৮ ডিসেম্বর ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে চিঠিটি দিয়েছে। ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসকে সামনে রেখে সিপিজের এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় পরিচালক বেহ লি ইয়ি প্রধান উপদেষ্টাকে চিঠিটি লিখেছেন। সিপিজের ওয়েবসাইটে চিঠিটি প্রকাশ করা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়ছে, সিপিজের কাছে থাকা তথ্য-উপাত্ত অনুযায়ী বর্তমানে বাংলাদেশে চারজন সাংবাদিক কারাবন্দি আছেন। এদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। কিন্তু তাঁদের বিরুদ্ধে বিশ্বাসযোগ্য তথ্য প্রমাণের ঘাটতি রয়েছে। মনে হয়েছে তাঁদের সংবাদ প্রতিবেদন ও সম্ভাব্য রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার কারণে প্রতিহিংসামূলকভাবে এসব করা হয়েছে।
সিপিজে যে চার সাংবাদিকের কথা বলেছেন, তাঁরা হলেন—শ্যামল দত্ত, মোজাম্মেল বাবু, ফারজানা রূপা ও শাকিল আহমেদ। চিঠিতে প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ করা বলা হয়, ৮ আগস্ট আপনি দায়িত্ব নেওয়ার পর এই চার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়।
চিঠিতে আরও বলা হয়, এই সাংবাদিকদের পরিবারের সদস্যরা কাশিমপুর কারাগারের যে বর্ণনা দিয়েছেন, তা গুরুতর মানবাধিকারের উদ্বেগ তৈরি করে। তাঁরা ৩৬ বর্গফুট (৩ দশমিক ৩৪ বর্গমিটার) আকারের অত্যন্ত ছোট কক্ষে বন্দি আছেন। কক্ষগুলোতে দরজার পরিবর্তে ধাতব বেষ্টনী দেওয়া। যার কারণে তাঁদেরকে ঠান্ডা আবহাওয়ার মধ্যে থাকতে হয়, সঙ্গে মশার উপদ্রবও রয়েছে। তাঁরা ম্যাট্রেসহীন কংক্রিটের মেঝেতে ঘুমান। আর কারাগার থেকে সরবরাহ করা খাবারের পরিমাণ অপর্যাপ্ত এবং প্রায়ই সেগুলো খাওয়ার উপযোগী থাকে না।
চিঠিতে বলা হয়, কারাগারের চিকিৎসাসেবাও অপর্যাপ্ত। কারাগারে স্থায়ী কোনো চিকিৎসক নেই, নিয়মিত পরীক্ষার সুবিধা নেই। আর পরিবার সরবরাহ না করলে বন্দিরা কোনো ওষুধ পান না। যাঁরা ক্যানসার, ডায়াবেটিস, হৃদ্রোগ এবং স্লিপ অ্যাপনিয়ার (ঘুমের সময় শ্বাসপ্রশ্বাসে সমস্যা) মতো গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের কয়েক মাস ধরে কোনো চিকিৎসা দেওয়া হয়নি।

২০২৪ সালের নভেম্বরে দেশের ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারকে দেওয়া অধ্যাপক ইউনূসের এক সাক্ষাৎকারের উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে নির্বিচারে হত্যা মামলা দেওয়া হয়েছে তা আপনি স্বীকার করেছেন। ওই সাক্ষাৎকারে আপনি উল্লেখ করেছেন, সরকার এই ধরনের পদক্ষেপ বন্ধ করেছে এবং এই মামলাগুলো পর্যালোচনার জন্য একটি কমিটি করা হয়েছে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, বারবার এই সাংবাদিকদের জামিনের আবেদন নাকচ করা হয়েছে। এদের কয়েকজনের প্রতিনিধিত্বকারী আইনজীবী জেড আই খান পান্নার বিরুদ্ধেও হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।
বাংলাদেশ সংবিধানের ৩৯ নং অনুচ্ছেদ এবং বাংলাদেশের গৃহীত ইন্টারন্যাশনাল কনভেনেন্ট অন সিভিল অ্যান্ড পলিটিক্যাল রাইটসে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সুরক্ষিত রাখার কথা বলা হয়েছে। বিচারব্যবস্থা বারবারই গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করা এবং দায়িত্বশীলতা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে স্বাধীন সাংবাদিকতার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাকে স্বীকৃতি দিয়েছে। বাংলাদেশকে অবশ্যই দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার–সংক্রান্ত বাধ্যবাধকতা মেনে চলতে হবে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আমরা আপনাকে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি, যে পদক্ষেপ বাংলাদেশে কারাবন্দি সব সাংবাদিককে তাঁদের পরিবারের কাছে ফেরার এবং নতুন করে কাজ শুরুর সুযোগ দেবে—চিঠিতে বলা হয়।
বাস্তব সংস্কার নিশ্চিত করার জন্য অতীতের চর্চাগুলো থেকে একেবারে বের হয়ে আসা প্রয়োজন। অতীতের দমনমূলক কর্মকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি করা যাবে না বলেও মনে করে সিপিজে। বাংলাদেশ আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে, তাই সব রাজনৈতিক দল সাংবাদিকদের স্বাধীনভাবে কাজ করার অধিকারকে সম্মান করা জরুরি।
চিঠিতে আরও বলা হয়, আমাদের এই প্রচারণায় বিশ্বের ১০০টিরও বেশি দেশের প্রতিনিধিত্বকারী ১,৫০০ জনেরও বেশি সাংবাদিক সমর্থন জানিয়েছেন। তাঁরা সিপিজের প্রতি সংহতি জানিয়ে চলতি বছর মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত গ্লোবাল ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম কনফারেন্সেও যোগ দিয়েছেন। তাঁরা বিশ্বের সরকারগুলিকে কারাবন্দি সাংবাদিকদের মুক্তি দিতে এবং সংবাদমাধ্যমের ওপর আক্রমণকারীদের দায়মুক্তি দেওয়া বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ করে চিঠির শেষে বলা হয়, এই বিষয়ে আপনার ব্যক্তিগত মনোযোগ মানবিক শাসন, ন্যায়বিচার এবং জনসাধারণের নির্ভয়ে কথা বলা আলোচনার প্রতি বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতিকে আরও স্পষ্ট করবে।

অবশেষে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেল বিচার বিভাগের জন্য স্বতন্ত্র সচিবালয়। আজ বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে সুপ্রিম কোর্টের প্রশাসনিক ভবন-৪-এ আনুষ্ঠানিকভাবে এই সচিবালয়ের উদ্বোধন করেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
২২ মিনিট আগে
চুয়াডাঙ্গায় পুলিশের বাৎসরিক ফায়ারিংয়ের অনুশীলনের পাশের সড়কে এক মোটরসাইলচালক (বাইক) গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে জেলার জাফরপুর বিজিবি ক্যাম্পে পুলিশের মাস্কেট্রি ফায়ারিং চলা অবস্থায় এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
মোহাম্মদপুরে মা লায়লা আফরোজ (৪৮) ও মেয়ে নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজকে (১৫) হত্যার ঘটনায় ‘ক্লুলেস’ অবস্থায় শুরু হয়েছিল তদন্ত। গৃহকর্মী আয়েশার কোনো ছবি, এনআইডি, মোবাইল নম্বর; কিছুই না থাকায় এটি ছিল পুলিশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ
৩ ঘণ্টা আগে
বিশেষ করে তরুণ, নারী ও অনগ্রসর অঞ্চলের ভোটারদের হ্যাঁ ও না ভোটের বিষয়টি সহজভাবে বোঝাতে হবে। কারণ, এই বিষয়টির সঙ্গে তারা পরিচিত নন।
৩ ঘণ্টা আগে