leadT1ad

সুনামগঞ্জে কলাগাঁও নদীতে বালি তোলায় ১৬ জনকে কারাদণ্ড, চলছে মাহারাম নদী মুখ এলাকায়

জেলার তাহিরপুরে কলাগাঁও নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে গ্রেপ্তার ১৬ জনের প্রত্যেককে এক মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড ঘোষণা করেন উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। তবে উপজেলার বড়দল উত্তর ইউনিয়নের মাহারাম নদীর মুখ সংলগ্ন শান্তিপুর এলাকায় ইজারা ছাড়াই অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে একটি চক্র।

স্ট্রিম সংবাদদাতাসুনামগঞ্জ
প্রকাশ : ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৫: ৫৯
তাহিরপুরে বালু তুলে পরিনবহনের সময় জড়িতে আটক করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সংগৃহীত ছবি

সুনামগঞ্জে কলাগাঁও নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ১৬ জনকে এক মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমান কারাদণ্ড। তাঁদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন।

রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত জেরার তাহিরপু উপজেলায় প্রশাসন ও পুলিশের যৌথভাবে অভিযানে তাদের আটক করা হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান মানিক ১৬ জনের প্রত্যেকক এক মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড ঘোষণা করেন। এ ছাড়া একজনকে মুচলেকা নিয়ে অভিভাবকের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন তাহিরপুর উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের জামালপুর গ্রামের মোশাহিদ (২৫), বাঁশতলা গ্রামের আনোয়ার হোসেন (২৫), মো. ইজাজুল (১৯), আজিম উল্লাহ (২৩), রুবেল মিয়া (২২), হেলামিন (২৪), মো. খসরু (২৩), জাহিদুল ইসলাম (২৪), মো. কবির হোসেন (৩০), মো. এবাদুল (১৯), মো. হোসাইন (২৯), সাগর (১৯), মো. জুবায়েল (১৯), আমিন (২২), মো. আবিদ নুর (২১) ও সাজারুল হোসেন (২০)।

তাহিরপুরে বালু তুলে পরিনবহনের সময় জড়িতে আটক করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সংগৃহীত ছবি
তাহিরপুরে বালু তুলে পরিনবহনের সময় জড়িতে আটক করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সংগৃহীত ছবি

শাস্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে তাহিরপুর ইউএনও মেহেদী হাসান মানিক বলেন, ‘কলাগাঁও ছড়া থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও পরিবহনের অপরাধে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা (২০১০) আইনে ১৬ জনকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ সময় জব্দ নৌকা ও বালু পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তাহিরপুর থানার জিম্মায় থাকবে।’

বালু তোলা চলছে মাহারাম নদী মুখে

এদিকে জেলার তাহিরপুর উপজেলার বড়দল উত্তর ইউনিয়নের মাহারাম নদীর মুখ সংলগ্ন শান্তিপুর এলাকায় ইজারা ছাড়ােই অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে একটি চক্র। প্রতিদিন ছোট-বড় ‘কাটবডি’ ট্রলার দিয়ে প্রকাশ্যে লুট হচ্ছে বালু। এতে সরকারের কোটি টাকার রাজস্ব হারানোর পাশাপাশি ব্যাহত হচ্ছে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ। ইদিমধ্যে নদীর দুই পাড়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে। বিলিন হচ্ছে ফসলি জমি, হুমকির মুখে পড়ছে জনবসতি। সম্প্রতি ওই এলাকা ঘুরে এই অবস্থা দেখা গেছে।

স্থানীয় বাসিন্দা ও উন্নয়নকর্মী আবুল হোসেন বলেন, ‘তাহিরপুরের খনিজসম্পদ দীর্ঘদিন ধরে লুটপাটের শিকার হচ্ছে। এর পেছনে রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন, প্রশাসনিক উদাসীনতাই দায়ী। সিলেটের পাথরকাণ্ডের পরও তাহিরপুরের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ব্যক্তিরা সজাগ না হন, তবে সময়ই তাদের মূল্য বুঝিয়ে দেবে।’

মাহারাম নদীর মুখ এলাকায় সম্প্রতি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিমের নেতৃত্বে একটি বড় অভিযান চালানো হয়েছে।

জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া স্ট্রিমকে বলেন, আমরা শুধু শান্তিপুর, তাহিরপুরই না, জেলার বিভিন্ন নদীতে অভিযান অব্যাহত রেখেছি। এ ছাড়া দোয়ারাবাজার উপজেলার খাসিয়ামারা নদীতে অবৈধ ড্রেজার বন্ধেও আমরা সব ধরনের কার্যক্রম হাতে নেওয়ায় বর্তমানে তা বন্ধ আছে।’

Ad 300x250

সম্পর্কিত