রাতেই প্রায় ১২ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার করে পুনঃস্থাপন করা হয়েছে।
স্ট্রিম প্রতিবেদক
সিলেটের বিখ্যাত পর্যটনকেন্দ্র ‘সাদাপাথর’ থেকে লুট হওয়া পাথর উদ্ধার করে পুনঃস্থাপনসহ লুটপাট ঠেকাতে ৫ দফা সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।
বুধবার সন্ধ্যায় সিলেট জেলা ও বিভাগীয় প্রশাসনের উদ্যোগে সিলেট সার্কিট হাউজে সর্বস্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সম্মিলিত সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সিলেটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ রাতে বাংলা স্ট্রীমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
সিদ্ধান্তগুলো হলো— জাফলং ইসিএ এলাকা ও সাদা পাথর এলাকায় ২৪ ঘন্টা যৌথ বাহিনী দায়িত্ব পালন করবে; গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জে যৌথ বাহিনীসহ পুলিশের চেকপোস্ট সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবে; অবৈধ ক্রাশিং মেশিনের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নসহ পাথর ভাঙা বন্ধ করার জন্য অভিযান চলমান থাকবে; পাথর চুরির সাথে জড়িত সকলকে চিহ্নিত করে গ্রেফতার ও আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে; চুরি হওয়া পাথর উদ্ধার করে পূর্বের অবস্থানে ফিরিয়ে নিতে হবে।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রাতেই কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার কালাইরাগ নামক স্থান থেকে প্রায় ১২ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার করে পুনঃস্থাপন করা হয়েছে। পাশাপাশি কেউ যেন পাথর সিলেটের বাইরে নিয়ে যেতে না পারে সেজন্য চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
সম্প্রতি প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা ও প্রভাবশালীদের লাগামহীন লুটপাটে হারিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয় অপূর্ব প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের স্থান সাদাপাথরসহ সিলেটের পাথর কোয়ারিগুলো।
গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে স্থানীয় সব রাজনৈতিক দল একাট্টা হয়ে সরকারের কাছে পাথর কোয়ারিগুলো খুলে দেওয়ার জন্য বারবার দাবি জানায়। এ দাবিতে বিভিন্ন আন্দোলন কর্মসূচিও পালন করে জামায়াত, বিএনপি ও এনসিপি এবং চরমোনাই পীর সৈয়দ ফজলুল করিমসহ আরও কিছু রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তিবর্গ।
সনাতন পদ্ধতিতে পাথর উত্তোলনের দাবিতে তারা মানববন্ধন, সংবাদ সম্মেলন, ধর্মঘটসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে। ভারতের স্বার্থে বিগত সরকার পাথর কোয়ারি বন্ধ রাখে বলে অভিযোগ ছিল এসব রাজনৈতিক দলগুলোর। আর পাথর উত্তোলন না করায় সিলেটে ঘনঘন বন্যা হচ্ছে বলেও হাস্যকর সব যুক্তি উত্থাপন করে সরকারের বিভিন্ন মহলে। আর এসব দাবির আড়ালে স্থানীয় প্রশাসনের নির্লিপ্ততার সুযোগে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় ‘পাথর খেকোচক্র’ কখনো প্রকাশ্যে কখনো রাতের আধঁরে লুট করে নেয় সাদাপাথরের প্রায় সব পাথর।
পাথর লুটের ঘটনা নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে দেশব্যাপী তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এসব ঘটনার পর নড়েচড়ে বসে সিলেট প্রশাসন। ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও সুশীলসমাজসহ পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে। এরই প্রেক্ষিতে বুধবার দুদক সিলেট কার্যালয়ের উপপরিচালক রাফী মোহাম্মদ নাজমূস সাদাতের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের একটি দল সাদাপাথর পরিদর্শনে যায়।
পরিদর্শন শেষে দুদক জানায়, সাদাপাথরে ব্যাপক লুটপাটের ঘটনায় প্রভাবশালী ব্যবসায়ী, উচ্চপদস্থ ব্যক্তি ও স্থানীয়দের সম্পৃক্ততা থাকতে পারে। কিন্তু দুদকের কার্যালয় দূরে অবস্থিত থাকায় তারা ব্যবস্থা নিতে পারেনি। তবে যাদের যোগসাজশে নির্বিচারে পাথর লুট হয়েছে, তাদের চিহ্নিত করে তদন্ত রিপোর্ট কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পাঠানো হবে। এ ধরনের লুটপাটে স্থানীয় প্রশাসনের দায় সবচেয়ে বেশি। পর্যটন খাতের ক্ষতির সঙ্গে প্রশাসনের যোগসাজশ আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটকেরা অভিযোগ করে আসছেন, প্রভাবশালী মহলের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে এই লুটপাট অব্যাহত রয়েছে। যা শুধু প্রাকৃতিক সম্পদ নয়, পর্যটন শিল্পকেও হুমকির মুখে ফেলে দেয়।
সিলেটের বিখ্যাত পর্যটনকেন্দ্র ‘সাদাপাথর’ থেকে লুট হওয়া পাথর উদ্ধার করে পুনঃস্থাপনসহ লুটপাট ঠেকাতে ৫ দফা সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।
বুধবার সন্ধ্যায় সিলেট জেলা ও বিভাগীয় প্রশাসনের উদ্যোগে সিলেট সার্কিট হাউজে সর্বস্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সম্মিলিত সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সিলেটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ রাতে বাংলা স্ট্রীমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
সিদ্ধান্তগুলো হলো— জাফলং ইসিএ এলাকা ও সাদা পাথর এলাকায় ২৪ ঘন্টা যৌথ বাহিনী দায়িত্ব পালন করবে; গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জে যৌথ বাহিনীসহ পুলিশের চেকপোস্ট সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবে; অবৈধ ক্রাশিং মেশিনের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নসহ পাথর ভাঙা বন্ধ করার জন্য অভিযান চলমান থাকবে; পাথর চুরির সাথে জড়িত সকলকে চিহ্নিত করে গ্রেফতার ও আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে; চুরি হওয়া পাথর উদ্ধার করে পূর্বের অবস্থানে ফিরিয়ে নিতে হবে।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রাতেই কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার কালাইরাগ নামক স্থান থেকে প্রায় ১২ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার করে পুনঃস্থাপন করা হয়েছে। পাশাপাশি কেউ যেন পাথর সিলেটের বাইরে নিয়ে যেতে না পারে সেজন্য চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
সম্প্রতি প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা ও প্রভাবশালীদের লাগামহীন লুটপাটে হারিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয় অপূর্ব প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের স্থান সাদাপাথরসহ সিলেটের পাথর কোয়ারিগুলো।
গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে স্থানীয় সব রাজনৈতিক দল একাট্টা হয়ে সরকারের কাছে পাথর কোয়ারিগুলো খুলে দেওয়ার জন্য বারবার দাবি জানায়। এ দাবিতে বিভিন্ন আন্দোলন কর্মসূচিও পালন করে জামায়াত, বিএনপি ও এনসিপি এবং চরমোনাই পীর সৈয়দ ফজলুল করিমসহ আরও কিছু রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তিবর্গ।
সনাতন পদ্ধতিতে পাথর উত্তোলনের দাবিতে তারা মানববন্ধন, সংবাদ সম্মেলন, ধর্মঘটসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে। ভারতের স্বার্থে বিগত সরকার পাথর কোয়ারি বন্ধ রাখে বলে অভিযোগ ছিল এসব রাজনৈতিক দলগুলোর। আর পাথর উত্তোলন না করায় সিলেটে ঘনঘন বন্যা হচ্ছে বলেও হাস্যকর সব যুক্তি উত্থাপন করে সরকারের বিভিন্ন মহলে। আর এসব দাবির আড়ালে স্থানীয় প্রশাসনের নির্লিপ্ততার সুযোগে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় ‘পাথর খেকোচক্র’ কখনো প্রকাশ্যে কখনো রাতের আধঁরে লুট করে নেয় সাদাপাথরের প্রায় সব পাথর।
পাথর লুটের ঘটনা নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে দেশব্যাপী তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এসব ঘটনার পর নড়েচড়ে বসে সিলেট প্রশাসন। ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও সুশীলসমাজসহ পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে। এরই প্রেক্ষিতে বুধবার দুদক সিলেট কার্যালয়ের উপপরিচালক রাফী মোহাম্মদ নাজমূস সাদাতের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের একটি দল সাদাপাথর পরিদর্শনে যায়।
পরিদর্শন শেষে দুদক জানায়, সাদাপাথরে ব্যাপক লুটপাটের ঘটনায় প্রভাবশালী ব্যবসায়ী, উচ্চপদস্থ ব্যক্তি ও স্থানীয়দের সম্পৃক্ততা থাকতে পারে। কিন্তু দুদকের কার্যালয় দূরে অবস্থিত থাকায় তারা ব্যবস্থা নিতে পারেনি। তবে যাদের যোগসাজশে নির্বিচারে পাথর লুট হয়েছে, তাদের চিহ্নিত করে তদন্ত রিপোর্ট কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পাঠানো হবে। এ ধরনের লুটপাটে স্থানীয় প্রশাসনের দায় সবচেয়ে বেশি। পর্যটন খাতের ক্ষতির সঙ্গে প্রশাসনের যোগসাজশ আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটকেরা অভিযোগ করে আসছেন, প্রভাবশালী মহলের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে এই লুটপাট অব্যাহত রয়েছে। যা শুধু প্রাকৃতিক সম্পদ নয়, পর্যটন শিল্পকেও হুমকির মুখে ফেলে দেয়।
গ্যাস পাইপলাইনের স্থানান্তর কাজের জন্য আজ বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) ১১ ঘণ্টা ঢাকা ও আশপাশের বিভিন্ন জেলার কয়েকটি এলাকায় গ্যাস থাকবে না।
৫ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক তিন গভর্নর ও ছয়জন ডেপুটি গভর্নরের ব্যাংক হিসাবের তথ্য তলব করেছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। বুধবার (১৩ আগস্ট) ব্যাংকিং খাতে দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগের অংশ হিসেবে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুরোধের ভিত্তিতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগেমালয়েশিয়ায় তিন দিনের সরকারি সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
৬ ঘণ্টা আগেআগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঋণখেলাপিদের অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।
১৭ ঘণ্টা আগে