দুটি বিভাগ এক করার কারণ হিসেবে চিঠিতে বলা হয় যে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা ও সুরক্ষা সেবা বিভাগের দুটির কাজের ব্যাপকতা, অধিকতর সমন্বয়, গতিশীলতা আনা ও গুরুত্ব বিবেচনা করে জনস্বার্থে একত্রীকরণে প্রধান উপদেষ্টা অনুশাসন দিয়েছেন।
স্ট্রিম প্রতিবেদক
আট বছর আগে কাজের সুবিধা ও কর্মতৎপরতা বাড়ানোর কথা বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমকে দুটি বিভাগে ভাগ করা হয়। এর একটির নাম জননিরাপত্তা বিভাগ এবং অন্যটি সুরক্ষা সেবা বিভাগ। ভাগ হওয়ার পর থেকে এক বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অন্য বিভাগের বিরুদ্ধে বৈষম্যের অভিযোগ করে আসছেন। সেসময়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের উদ্যোগেও সমাধান হয়নি অভিযোগের। গণ-অভ্যুত্থানের পর আবার বিষয়টি আলোচনায় আসে। অবশেষে অন্তর্বর্তী সরকার বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) এক প্রজ্ঞাপনে বিভাগ দুটি আবার এক করার সিদ্ধান্তের ঘোষণা দেয়।
যা আছে প্রজ্ঞাপনে
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে বুধবার জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘রুলস অব বিজনেস ১৯৯৬’-এর ক্ষমতাবলে ‘মিনিস্ট্রি অব হোম অ্যাফেয়ার্স’ নামে এ মন্ত্রণালয়কে পুনর্গঠন করা হয়েছে। এর আগে বিষয়টির অনুমোদন দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের পরিচালক এ কে এম মনিরুজ্জামানের সই করা এক চিঠিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
কেন এই পদক্ষেপ?
দুটি বিভাগ এক করার কারণ হিসেবে চিঠিতে বলা হয় যে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা ও সুরক্ষা সেবা বিভাগের দুটির কাজের ব্যাপকতা, অধিকতর সমন্বয়, গতিশীলতা আনা ও গুরুত্ব বিবেচনা করে জনস্বার্থে একত্রীকরণে প্রধান উপদেষ্টা অনুশাসন দিয়েছেন।
নাম প্রকাশ না করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, দুই বিভাগ একীভূত হওয়ায় এই অভ্যন্তরীণ বৈষম্যের অভিযোগ থাকবে না। এতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে কাজে গতি আসবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আরেক কর্মকর্তা বলেন, পুলিশ বাহিনীর দেখভাল করে জননিরাপত্তা বিভাগ, কিন্তু ইমিগ্রেশন সংক্রান্ত কার্যক্রম সুরক্ষা সেবা বিভাগের অধীন। আবার ইমিগ্রেশন নিয়ে পুলিশকেও কাজ করতে হয়। দুটি বিভাগ একীভূত হওয়ায় এই ঝামেলা থাকবে না। কার্যক্রমেও গতি পাবে, দক্ষতা বাড়বে।
যেভাবে ভাগ হয়েছিল
২০১৭ সালে তৎকালীন সরকার কাজের সুবিধা ও কর্মতৎপরতা বাড়ানোর কথা বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমকে দুটি বিভাগে ভাগ করে। ওই বছর ৯ জানুয়ারি তৎকালীন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমের সভাপতিত্বে একটি সভা হয়। ওই সভার কার্যবিবরণীর ৪.৬ ক্রমিকে প্রাথমিকভাবে দুটি বিভাগের মধ্যে কাজের সমন্বয়ের ক্ষেত্রে জননিরাপত্তা বিভাগকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তখন জননিরাপত্তা সচিব ছিলেন ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ। পরবর্তীতে তিনি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রধান হন।
তবে এ উদ্যোগের আড়ালে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর সরকার নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল বলে সমালোচকরা মনে করেন। তখন প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছিল, দুই বিভাগে দুইজন সচিব থাকবেন।
দুই বিভাগের অধীনে থাকা সংস্থাগুলো
যখন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দুই বিভাগে ভাগ হয়ে যায়, তখন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনীর পরিচালনা ও তদারকির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল জননিরাপত্তা বিভাগের হাতে। এই বিভাগের অধীনে ছিল, পুলিশ অধিদপ্তর, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড, তদন্ত সংস্থা ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালস, ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার।
অর্থাৎ আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, সীমান্তের নিরাপত্তা, চোরাচালান প্রতিরোধ, ভিভিআইপি ও ভিআইপিদের নিরাপত্তা দেওয়া, টেলিকমিউনিকেশন সংশ্লিষ্ট বিষয় আইনগতভাবে দেখভাল ও তদারকির দায়িত্বও এই বিভাগের হাতে রাখা হয়েছে।
এদিকে, সুরক্ষা সেবা বিভাগের অধীনে রয়েছে বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর, কারা অধিদপ্তর, বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।
বৈষম্যের অভিযোগ
মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম দুই বিভাগে ভাগ হওয়ার পর থেকে এক বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অন্য বিভাগের বিরুদ্ধে বৈষম্যের অভিযোগ তোলেন। বিশেষ করে, বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসে পদায়ন নিয়ে কয়েক বছর ধরে বৈষম্য চলছে বলে দাবি করা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও মন্ত্রণালয় এমনকি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উদ্যোগেও এই বৈষম্য দূর হয়নি বলে অভিযোগ করা হয়েছে। বিষয়টি গড়ায় আদালতেও। সেখান থেকে রায় এলেও বৈষম্য দূর হয়নি। বৈষম্য নিয়ে অভিযোগ জানিয়ে গত বছর স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দিয়েছিলেন পদায়ন বঞ্চিত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
এতে বলা হয়, বিদেশের মিশনে এককভাবে পদায়ন দেওয়া হয় সুরক্ষা সেবা বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। ভিসা, পাসপোর্ট ইস্যুতে পুলিশ ভেরিফিকেশনে গোয়েন্দা প্রতিবেদন ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত কাজের সিংহভাগ জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে সম্পন্ন হলেও বিদেশের মিশনে জননিরাপত্তা বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদায়ন বঞ্চিত করা হয়। ফলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ নিয়ে বিভেদ ও বৈষম্য বাড়তে থাকে। তৈরি হয় একই মন্ত্রণালয়ে দুই নিয়ম।
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর এই বিভাগকে এক করার বিষয়টি আলোচনায় আসে। বর্তমানে সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি জননিরাপত্তা বিভাগের পাশাপাশি সুরক্ষা সেবা বিভাগেরও সচিবের দায়িত্ব পালন করছেন।
একাধিক বিভাগ রয়েছে আরও যেসব মন্ত্রণালয়ে
এর আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে ভেঙে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগে ভাগ করা হয়েছে। এছাড়া স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে ভাগ করে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ গঠন করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অধীনে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, সেবা পরিদপ্তর, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিট রাখার কথা রয়েছে।
আর স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগে রয়েছে, মেডিকেল কলেজ, মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিশেষায়িত চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান; নার্সিং কলেজ ও নার্সিং ইনস্টিটিউট, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর, জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল, বাংলাদেশ নার্সিং কাউন্সিল এবং ইউনানী, আয়ুর্বেদিক ও হোমিওপ্যাথিক বোর্ড।
যা আছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সুপারিশে
গণ-অভ্যুত্থানের পরে জনপ্রশাসন সংস্কারে একটি কমিশন গঠন করা হয়। কমিশনের প্রতিবেদনে জনপ্রশাসন সংস্কারে এক শ’র বেশি সুপারিশ করা হয়। বর্তমানে দেশে ৪৩টি মন্ত্রণালয় ও ৬১টি বিভাগ রয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রণালয়গুলোকে যুক্তিসঙ্গতভাবে কমিয়ে আনার প্রস্তাব করা হয়েছে সেখানে। কমিশন ২৫টি মন্ত্রণালয় ও ৪০টি বিভাগে মন্ত্রণালয়গুলোকে পুনর্বিন্যাস করার সুপারিশ করেছে। এছাড়া মন্ত্রণালয় ও বিভাগ, অধিদপ্তর, পরিদপ্তর ও মাঠ পর্যায়ের দপ্তরগুলোর সাংগঠনিক ও জনবল কাঠামো সংস্কারের কথা বলা হয়েছে।
আট বছর আগে কাজের সুবিধা ও কর্মতৎপরতা বাড়ানোর কথা বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমকে দুটি বিভাগে ভাগ করা হয়। এর একটির নাম জননিরাপত্তা বিভাগ এবং অন্যটি সুরক্ষা সেবা বিভাগ। ভাগ হওয়ার পর থেকে এক বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অন্য বিভাগের বিরুদ্ধে বৈষম্যের অভিযোগ করে আসছেন। সেসময়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের উদ্যোগেও সমাধান হয়নি অভিযোগের। গণ-অভ্যুত্থানের পর আবার বিষয়টি আলোচনায় আসে। অবশেষে অন্তর্বর্তী সরকার বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) এক প্রজ্ঞাপনে বিভাগ দুটি আবার এক করার সিদ্ধান্তের ঘোষণা দেয়।
যা আছে প্রজ্ঞাপনে
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে বুধবার জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘রুলস অব বিজনেস ১৯৯৬’-এর ক্ষমতাবলে ‘মিনিস্ট্রি অব হোম অ্যাফেয়ার্স’ নামে এ মন্ত্রণালয়কে পুনর্গঠন করা হয়েছে। এর আগে বিষয়টির অনুমোদন দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের পরিচালক এ কে এম মনিরুজ্জামানের সই করা এক চিঠিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
কেন এই পদক্ষেপ?
দুটি বিভাগ এক করার কারণ হিসেবে চিঠিতে বলা হয় যে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা ও সুরক্ষা সেবা বিভাগের দুটির কাজের ব্যাপকতা, অধিকতর সমন্বয়, গতিশীলতা আনা ও গুরুত্ব বিবেচনা করে জনস্বার্থে একত্রীকরণে প্রধান উপদেষ্টা অনুশাসন দিয়েছেন।
নাম প্রকাশ না করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, দুই বিভাগ একীভূত হওয়ায় এই অভ্যন্তরীণ বৈষম্যের অভিযোগ থাকবে না। এতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে কাজে গতি আসবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আরেক কর্মকর্তা বলেন, পুলিশ বাহিনীর দেখভাল করে জননিরাপত্তা বিভাগ, কিন্তু ইমিগ্রেশন সংক্রান্ত কার্যক্রম সুরক্ষা সেবা বিভাগের অধীন। আবার ইমিগ্রেশন নিয়ে পুলিশকেও কাজ করতে হয়। দুটি বিভাগ একীভূত হওয়ায় এই ঝামেলা থাকবে না। কার্যক্রমেও গতি পাবে, দক্ষতা বাড়বে।
যেভাবে ভাগ হয়েছিল
২০১৭ সালে তৎকালীন সরকার কাজের সুবিধা ও কর্মতৎপরতা বাড়ানোর কথা বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমকে দুটি বিভাগে ভাগ করে। ওই বছর ৯ জানুয়ারি তৎকালীন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমের সভাপতিত্বে একটি সভা হয়। ওই সভার কার্যবিবরণীর ৪.৬ ক্রমিকে প্রাথমিকভাবে দুটি বিভাগের মধ্যে কাজের সমন্বয়ের ক্ষেত্রে জননিরাপত্তা বিভাগকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তখন জননিরাপত্তা সচিব ছিলেন ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ। পরবর্তীতে তিনি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রধান হন।
তবে এ উদ্যোগের আড়ালে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর সরকার নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল বলে সমালোচকরা মনে করেন। তখন প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছিল, দুই বিভাগে দুইজন সচিব থাকবেন।
দুই বিভাগের অধীনে থাকা সংস্থাগুলো
যখন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দুই বিভাগে ভাগ হয়ে যায়, তখন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনীর পরিচালনা ও তদারকির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল জননিরাপত্তা বিভাগের হাতে। এই বিভাগের অধীনে ছিল, পুলিশ অধিদপ্তর, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড, তদন্ত সংস্থা ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালস, ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার।
অর্থাৎ আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, সীমান্তের নিরাপত্তা, চোরাচালান প্রতিরোধ, ভিভিআইপি ও ভিআইপিদের নিরাপত্তা দেওয়া, টেলিকমিউনিকেশন সংশ্লিষ্ট বিষয় আইনগতভাবে দেখভাল ও তদারকির দায়িত্বও এই বিভাগের হাতে রাখা হয়েছে।
এদিকে, সুরক্ষা সেবা বিভাগের অধীনে রয়েছে বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর, কারা অধিদপ্তর, বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।
বৈষম্যের অভিযোগ
মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম দুই বিভাগে ভাগ হওয়ার পর থেকে এক বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অন্য বিভাগের বিরুদ্ধে বৈষম্যের অভিযোগ তোলেন। বিশেষ করে, বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসে পদায়ন নিয়ে কয়েক বছর ধরে বৈষম্য চলছে বলে দাবি করা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও মন্ত্রণালয় এমনকি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উদ্যোগেও এই বৈষম্য দূর হয়নি বলে অভিযোগ করা হয়েছে। বিষয়টি গড়ায় আদালতেও। সেখান থেকে রায় এলেও বৈষম্য দূর হয়নি। বৈষম্য নিয়ে অভিযোগ জানিয়ে গত বছর স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দিয়েছিলেন পদায়ন বঞ্চিত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
এতে বলা হয়, বিদেশের মিশনে এককভাবে পদায়ন দেওয়া হয় সুরক্ষা সেবা বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। ভিসা, পাসপোর্ট ইস্যুতে পুলিশ ভেরিফিকেশনে গোয়েন্দা প্রতিবেদন ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত কাজের সিংহভাগ জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে সম্পন্ন হলেও বিদেশের মিশনে জননিরাপত্তা বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদায়ন বঞ্চিত করা হয়। ফলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ নিয়ে বিভেদ ও বৈষম্য বাড়তে থাকে। তৈরি হয় একই মন্ত্রণালয়ে দুই নিয়ম।
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর এই বিভাগকে এক করার বিষয়টি আলোচনায় আসে। বর্তমানে সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি জননিরাপত্তা বিভাগের পাশাপাশি সুরক্ষা সেবা বিভাগেরও সচিবের দায়িত্ব পালন করছেন।
একাধিক বিভাগ রয়েছে আরও যেসব মন্ত্রণালয়ে
এর আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে ভেঙে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগে ভাগ করা হয়েছে। এছাড়া স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে ভাগ করে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ গঠন করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অধীনে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, সেবা পরিদপ্তর, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিট রাখার কথা রয়েছে।
আর স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগে রয়েছে, মেডিকেল কলেজ, মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিশেষায়িত চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান; নার্সিং কলেজ ও নার্সিং ইনস্টিটিউট, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর, জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল, বাংলাদেশ নার্সিং কাউন্সিল এবং ইউনানী, আয়ুর্বেদিক ও হোমিওপ্যাথিক বোর্ড।
যা আছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সুপারিশে
গণ-অভ্যুত্থানের পরে জনপ্রশাসন সংস্কারে একটি কমিশন গঠন করা হয়। কমিশনের প্রতিবেদনে জনপ্রশাসন সংস্কারে এক শ’র বেশি সুপারিশ করা হয়। বর্তমানে দেশে ৪৩টি মন্ত্রণালয় ও ৬১টি বিভাগ রয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রণালয়গুলোকে যুক্তিসঙ্গতভাবে কমিয়ে আনার প্রস্তাব করা হয়েছে সেখানে। কমিশন ২৫টি মন্ত্রণালয় ও ৪০টি বিভাগে মন্ত্রণালয়গুলোকে পুনর্বিন্যাস করার সুপারিশ করেছে। এছাড়া মন্ত্রণালয় ও বিভাগ, অধিদপ্তর, পরিদপ্তর ও মাঠ পর্যায়ের দপ্তরগুলোর সাংগঠনিক ও জনবল কাঠামো সংস্কারের কথা বলা হয়েছে।
'দেশের পাবলিক প্লেস, গণপরিবহন, কর্মক্ষেত্র ও উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে যৌন হয়রানি ও জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা অবসানে তিন বছর মেয়াদি একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে।'
১ ঘণ্টা আগেফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক ও গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক একীভূতকরণের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছে। এক্সিম ব্যাংক ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক সময় ও পুঁজি চেয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে প্যানেল দিয়েছে ‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য’। ‘পলিটিক্যালি কনশাস, একাডেমিক ক্যাম্পাস’ স্লোগানকে সামনে রেখে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছে এই প্যানেল।
১ ঘণ্টা আগেপররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের বাংলাদেশে ফিরে আসা তাঁর নিজস্ব সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করে। তবে, প্রয়োজনে তাঁর ভ্রমণ নথি বা পাসপোর্ট সম্পর্কিত বিষয়গুলো সমাধান করবে সরকার।
৩ ঘণ্টা আগে