leadT1ad

দোকান বসানো নিয়ে ঢাবি ও ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা
প্রকাশ : ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ১১: ৩৯
মধ্যরাতে নীলক্ষেত-নিউ মার্কেট এলাকায় সংঘর্ষে জড়ায় ঢাবি ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা। সংগৃহীত ছবি

ফুটপাতে দোকান বসানোকে কেন্দ্র করে নীলক্ষেত ও নিউমার্কেট এলাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রোববার দিবাগত রাত ১টার পর এই সংঘর্ষ শুরু হয় বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা, যা চলে রাত প্রায় ৩টা পর্যন্ত। এ সময় রাজধানীর নীলক্ষেত ও নিউমার্কেট এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এই ঘটনায় সাংবাদিকসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শহীদ শাহনেওয়াজ ছাত্রাবাসটি (স্যার এএফ রহমান হলের এক্সটেনশন) নিউ মার্কেট এলাকায় অবস্থিত। এই ছাত্রাবাসের সামনে ফুটপাতে দোকান বসানোকে কেন্দ্র করেই এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তারা জানান, সংঘর্ষ চলাকালে উভয়পক্ষের শিক্ষার্থীরা একে অপরকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় ককটেল বিস্ফোরণের শব্দও শোনা যায়।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী অভিযোগ করেন, দখলদারত্বের মাধ্যমে শাহনেওয়াজ হলের সামনে দোকান বসানোর চেষ্টা করে ঢাকা কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থী। এ নিয়েই সংঘর্ষের সূত্রপাত।

এদিকে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের (বাগছাস) ঢাকা কলেজ শাখার যুগ্ম সদস্য সচিব মোহাম্মদ রিফাত এক ফেসবুক পোস্টে অভিযোগ করেন, পরিস্থিতি যখন প্রায় নিয়ন্ত্রণে এসেছে, তখনই ঢাবির কতিপয় শিক্ষার্থী অতর্কিত ইট পাটকেল মারতে থাকে। আর এতে সংগঠনটির ঢাকা কলেজ শাখার মুখপাত্র মোহাম্মদ আশরাফুলসহ অনেকে আহত হয়েছেন।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহসভাপতি (ভিপি) সাদিক কায়েমসহ অন্যান্য ছাত্র নেতারাও ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন। এ সময় সাদিক কায়েম বলেন, ‘যারা হামলা করেছে, যেভাবে লাঠি মেরেছে, ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেছে, আমরা সবাইকে আইডেন্টিফাই করব। সবাইকে বিচারের আওতায় নিয়ে আসা হবে। জুলাই বিপ্লব পরবর্তী সময়ে এখানে কোনো চাঁদাবাজের ঠিকানা হবে না।’

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) নিউমার্কেট জোনের সহকারী কমিশনার জাহাঙ্গীর কবির গণমাধ্যমকে জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আরও খতিয়ে দেখব যে আসলে কী ঘটেছে। যদি এখানে কোনো আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজন হয়, আমরা নিব।’

Ad 300x250

সম্পর্কিত