স্ট্রিম প্রতিবেদক
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে মোট প্রার্থীদের মাত্র ১১ শতাংশ নারী। ৪২৯ জন প্রার্থীর মধ্যে নারী প্রার্থী মাত্র ৪৮ জন। অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী শিক্ষার্থীর হার ৪০ শতাংশেরও বেশি। শিক্ষার্থীরা এর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নারীবান্ধব পরিবেশের অভাব, নিরাপত্তাহীনতা এবং অতীতের কিছু নেতিবাচক ঘটনাকে দায়ী করছেন।
বিশ্লেষণে দেখা যায়, এই হার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের তুলনায় কম। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচনে মোট ৪৭১ জন প্রার্থীর মধ্যে নারী প্রার্থী ছিলেন ৬২ জন, অর্থাৎ প্রায় ১৩.১৬ শতাংশ। অন্যদিকে, জাকসু কেন্দ্রীয় সংসদে ১৭৯ জন প্রার্থীর মধ্যে ৪৬ জন নারী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, যা মোট প্রার্থীর প্রায় ২৫.৭ শতাংশ। এমনকি, চাকসু নির্বাচনে সহসভাপতি (ভিপি) পদের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে কোনো নারী প্রার্থীই নেই।
নির্বাচনে ছাত্রদল মনোনীত প্যানেল থেকে ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট ও আন্তর্জাতিক সম্পাদক পদে লড়ছেন শ্রুতিরাজ চৌধুরী। নারী প্রার্থীদের কম অংশগ্রহণের কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি নিরাপত্তাহীনতার বিষয়টিকে তুলে ধরেন। এ ক্ষেত্রে প্রশাসনকেও দায়ী করেন তিনি।
স্ট্রিমকে শ্রুতিরাজ চৌধুরী বলেন, ‘প্রশাসন নারীদের নিরাপত্তা দিতে পারে না। তারা সন্ধ্যা আইন করে দেয়। নিরাপত্তা দেওয়ার বেলায় খবর থাকে না।’
নারীদের প্রার্থী না হওয়ার পেছনে সাইবার বুলিংকেও বড় কারণ মনে করছেন শ্রুতিরাজ। তিনি বলেন, ‘সাইবার বুলিং অনেক বড় একটা ফ্যাক্ট। আমরা সামান্য একটা ভিডিও আপলোড করলেই তার নিচে বহু বাজে কমেন্ট আসে।’
নারীদের ক্ষেত্রে স্লাটশেমিং ও ট্যাগিংয়ের বিষয়টি তুলে ধরেন আরেক প্রার্থী তাহসিনা রহমান। তিনি ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেল থেকে সমাজসেবা ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী হয়েছেন। তিনি স্ট্রিমকে বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন যে জুলাইতে চট্টগ্রামের নারীদের বীরত্বের কথা সব মিডিয়াতে এসছে। কিন্তু এরপরে এই মেয়েগুলাকে স্লাট শেমিং করে বা নানা ধরনের ট্যাগিং দিয়ে ময়দানে থাকতে দেয় নাই।’
ঢাকাকেন্দ্রিক না হওয়ায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নারীদের কথা মূলধারায় তেমন জায়গা পায় না বলেও অভিযোগ করেন তাহসিনা।
নারীদের হেনস্তার বিষয়টি নিয়ে গত ৩ সেপ্টেম্বর চবি ক্যাম্পাসে প্রধান উপদেষ্টা ও দেশবাসীর উদ্দেশে খোলাচিঠি পাঠ করে ‘নারী অঙ্গন’ নামে একটি সংগঠন। সেখানে বলা হয়, ‘হাসিনার পতনের পর নতুন স্বপ্ন নিয়ে আমরা যাত্রা শুরু করলেও, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন এক বছরের মধ্যেই নারীবিদ্বেষী কার্যক্রমের মাধ্যমে নারীদের জন্য ভয়াবহ পরিবেশ তৈরি করেছে। স্বয়ং প্রক্টর নারীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছেন, সান্ধ্য আইন জারি করেছেন এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নারী শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করেছেন। ফলে নারী শিক্ষার্থীরা বারবার অনলাইন ও অফলাইনে নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন।’
গত ৫ আগস্টের পর থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী শিক্ষার্থীদের ওপর হয়রানি ও নিরাপত্তাহীনতার একাধিক ঘটনা ঘটেছে, যা তাঁদের উদ্বেগকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো গত ৩০ আগস্ট রাতের ঘটনা। এদিন রাত প্রায় সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেটসংলগ্ন একটি ভাড়া বাসায় দর্শন বিভাগের এক ছাত্রীকে ভবনের দারোয়ান মারধর করেন বলে অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা জড়ো হলে স্থানীয়দের সঙ্গে তাদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়, যা পরের দিনও অব্যাহত থাকে। এতে অন্তত ২০০ শিক্ষার্থী আহত হন।
এই সংঘর্ষের সময় পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নেয়। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এক ছাত্রী জানান, একটি ভবনের দ্বিতীয় তলা থেকে কয়েকজন ছাত্রী হামলার ঘটনাটি ফেসবুকে লাইভ করছিলেন। এসময় হামলাকারী স্থানীয় লোকজন তাঁদের দেখে ফেলে এবং অকথ্য ভাষায় গালাগালের পাশাপাশি ‘ধর্ষণের’ হুমকি দেয়।
এ ছাড়া গত ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে শেখ হাসিনা হলের সামনে রাখা নৌকা আকৃতির বসার স্থান ভাঙাকে কেন্দ্র করে ছাত্রীদের সঙ্গে প্রশাসনের বাগবিতণ্ডার ঘটনা ঘটে। ছাত্রীদের অভিযোগ, তাঁরা নৌকা ভাঙার বিপক্ষে ছিলেন না; বরং তাঁরা প্রশাসনকে আগেই চিঠি দিয়ে অনুরোধ করেছিলেন যেন প্রশাসন এটি সরিয়ে নেয়। কিন্তু তারা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। বরং মধ্যরাতে কিছু শিক্ষার্থী তা ভাঙতে গিয়ে ছাত্রীদের সঙ্গে অশোভন আচরণ ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন।
পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, সহকারী প্রক্টর কোরবান আলীকে এক ছাত্রী লাঞ্ছনা করছেন। অন্যদিকে প্রক্টরিয়াল বডির কয়েকজন সদস্যকে ছাত্রীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করতে দেখা গেছে।
এ ঘটনার পর ১০ জন ছাত্রীকে বহিষ্কার করা হয়। পরে ছয়জনের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার ও তিন জনের বহিষ্কারের মেয়াদ কমিয়ে ২ বছর থেকে ৬ মাস করা হয়। তবে একজন ছাত্রীর স্থায়ী বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত বহাল রাখা হয়।
তাহসিনা অভিযোগ করেন, এ ঘটনায় নয়জন ছাত্রীকে অন্যায়ভাবে বহিষ্কার করা হলেও এ বিষয়ে তেমন কোনো উচ্চবাচ্য হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ভূমিকাও নারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে আস্থার সংকট তৈরি করেছে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, প্রশাসন নারী শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারেনি।
শ্রুতিরাজ বলেন, ‘আমাদের প্রশাসন হচ্ছে ইউজলেস (অকার্যকর) প্রশাসন। কখনোই কোনো কিছুরই উদ্যোগ নেয় না। আমি জানি না তারা কী করে।’
নারীদের নিরাপত্তা ঘাটতির পেছনে প্রশাসনের উদাসীনতাকে দায়ী করেন করেন তাহসিনা। তবে এর সঙ্গে বিভিন্ন ছাত্রনেতার দায় আছে বলেও মনে করেন তিনি।
শেখ হাসিনা হলের ঘটনার পর ক্যাম্পাসের বিভিন্ন শিক্ষার্থী এর প্রতিবাদ জানান। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন প্রক্টর তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ এক ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘বিপ্লবীরাও কি হানি ট্র্যাপে?’
তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফের এই মন্তব্যের পর শিক্ষার্থীরা এর প্রতিবাদ জানান। গত ১০ সেপ্টেম্বর প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগসহ ৭ দাবিতে ৫২ ঘণ্টা অনশন করেন নয় শিক্ষার্থী। পরে ২১ সেপ্টেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে দায়িত্ব ছাড়ার ঘোষণা দেন আরিফ।
নারী প্রার্থীদের অভিযোগের বিষয়ে চাকসু নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোহাম্মদ তৈয়ব চৌধুরী স্ট্রিমকে জানান, আচরণবিধিসংক্রান্ত একটি কমিটি করা হয়েছে। কোনো প্রার্থী সাইবার বুলিংসহ অন্যান্য হেনস্তার শিকার হলে এখানে অভিযোগ করতে পারেন।
এ ছাড়া, ক্যাম্পাসে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপত্তার কোনো ঘাটতি নেই বলেও মনে করেন অধ্যাপক মোহাম্মদ তৈয়ব চৌধুরী।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে মোট প্রার্থীদের মাত্র ১১ শতাংশ নারী। ৪২৯ জন প্রার্থীর মধ্যে নারী প্রার্থী মাত্র ৪৮ জন। অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী শিক্ষার্থীর হার ৪০ শতাংশেরও বেশি। শিক্ষার্থীরা এর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নারীবান্ধব পরিবেশের অভাব, নিরাপত্তাহীনতা এবং অতীতের কিছু নেতিবাচক ঘটনাকে দায়ী করছেন।
বিশ্লেষণে দেখা যায়, এই হার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের তুলনায় কম। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচনে মোট ৪৭১ জন প্রার্থীর মধ্যে নারী প্রার্থী ছিলেন ৬২ জন, অর্থাৎ প্রায় ১৩.১৬ শতাংশ। অন্যদিকে, জাকসু কেন্দ্রীয় সংসদে ১৭৯ জন প্রার্থীর মধ্যে ৪৬ জন নারী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, যা মোট প্রার্থীর প্রায় ২৫.৭ শতাংশ। এমনকি, চাকসু নির্বাচনে সহসভাপতি (ভিপি) পদের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে কোনো নারী প্রার্থীই নেই।
নির্বাচনে ছাত্রদল মনোনীত প্যানেল থেকে ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট ও আন্তর্জাতিক সম্পাদক পদে লড়ছেন শ্রুতিরাজ চৌধুরী। নারী প্রার্থীদের কম অংশগ্রহণের কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি নিরাপত্তাহীনতার বিষয়টিকে তুলে ধরেন। এ ক্ষেত্রে প্রশাসনকেও দায়ী করেন তিনি।
স্ট্রিমকে শ্রুতিরাজ চৌধুরী বলেন, ‘প্রশাসন নারীদের নিরাপত্তা দিতে পারে না। তারা সন্ধ্যা আইন করে দেয়। নিরাপত্তা দেওয়ার বেলায় খবর থাকে না।’
নারীদের প্রার্থী না হওয়ার পেছনে সাইবার বুলিংকেও বড় কারণ মনে করছেন শ্রুতিরাজ। তিনি বলেন, ‘সাইবার বুলিং অনেক বড় একটা ফ্যাক্ট। আমরা সামান্য একটা ভিডিও আপলোড করলেই তার নিচে বহু বাজে কমেন্ট আসে।’
নারীদের ক্ষেত্রে স্লাটশেমিং ও ট্যাগিংয়ের বিষয়টি তুলে ধরেন আরেক প্রার্থী তাহসিনা রহমান। তিনি ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেল থেকে সমাজসেবা ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী হয়েছেন। তিনি স্ট্রিমকে বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন যে জুলাইতে চট্টগ্রামের নারীদের বীরত্বের কথা সব মিডিয়াতে এসছে। কিন্তু এরপরে এই মেয়েগুলাকে স্লাট শেমিং করে বা নানা ধরনের ট্যাগিং দিয়ে ময়দানে থাকতে দেয় নাই।’
ঢাকাকেন্দ্রিক না হওয়ায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নারীদের কথা মূলধারায় তেমন জায়গা পায় না বলেও অভিযোগ করেন তাহসিনা।
নারীদের হেনস্তার বিষয়টি নিয়ে গত ৩ সেপ্টেম্বর চবি ক্যাম্পাসে প্রধান উপদেষ্টা ও দেশবাসীর উদ্দেশে খোলাচিঠি পাঠ করে ‘নারী অঙ্গন’ নামে একটি সংগঠন। সেখানে বলা হয়, ‘হাসিনার পতনের পর নতুন স্বপ্ন নিয়ে আমরা যাত্রা শুরু করলেও, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন এক বছরের মধ্যেই নারীবিদ্বেষী কার্যক্রমের মাধ্যমে নারীদের জন্য ভয়াবহ পরিবেশ তৈরি করেছে। স্বয়ং প্রক্টর নারীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছেন, সান্ধ্য আইন জারি করেছেন এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নারী শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করেছেন। ফলে নারী শিক্ষার্থীরা বারবার অনলাইন ও অফলাইনে নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন।’
গত ৫ আগস্টের পর থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী শিক্ষার্থীদের ওপর হয়রানি ও নিরাপত্তাহীনতার একাধিক ঘটনা ঘটেছে, যা তাঁদের উদ্বেগকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো গত ৩০ আগস্ট রাতের ঘটনা। এদিন রাত প্রায় সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেটসংলগ্ন একটি ভাড়া বাসায় দর্শন বিভাগের এক ছাত্রীকে ভবনের দারোয়ান মারধর করেন বলে অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা জড়ো হলে স্থানীয়দের সঙ্গে তাদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়, যা পরের দিনও অব্যাহত থাকে। এতে অন্তত ২০০ শিক্ষার্থী আহত হন।
এই সংঘর্ষের সময় পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নেয়। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এক ছাত্রী জানান, একটি ভবনের দ্বিতীয় তলা থেকে কয়েকজন ছাত্রী হামলার ঘটনাটি ফেসবুকে লাইভ করছিলেন। এসময় হামলাকারী স্থানীয় লোকজন তাঁদের দেখে ফেলে এবং অকথ্য ভাষায় গালাগালের পাশাপাশি ‘ধর্ষণের’ হুমকি দেয়।
এ ছাড়া গত ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে শেখ হাসিনা হলের সামনে রাখা নৌকা আকৃতির বসার স্থান ভাঙাকে কেন্দ্র করে ছাত্রীদের সঙ্গে প্রশাসনের বাগবিতণ্ডার ঘটনা ঘটে। ছাত্রীদের অভিযোগ, তাঁরা নৌকা ভাঙার বিপক্ষে ছিলেন না; বরং তাঁরা প্রশাসনকে আগেই চিঠি দিয়ে অনুরোধ করেছিলেন যেন প্রশাসন এটি সরিয়ে নেয়। কিন্তু তারা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। বরং মধ্যরাতে কিছু শিক্ষার্থী তা ভাঙতে গিয়ে ছাত্রীদের সঙ্গে অশোভন আচরণ ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন।
পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, সহকারী প্রক্টর কোরবান আলীকে এক ছাত্রী লাঞ্ছনা করছেন। অন্যদিকে প্রক্টরিয়াল বডির কয়েকজন সদস্যকে ছাত্রীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করতে দেখা গেছে।
এ ঘটনার পর ১০ জন ছাত্রীকে বহিষ্কার করা হয়। পরে ছয়জনের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার ও তিন জনের বহিষ্কারের মেয়াদ কমিয়ে ২ বছর থেকে ৬ মাস করা হয়। তবে একজন ছাত্রীর স্থায়ী বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত বহাল রাখা হয়।
তাহসিনা অভিযোগ করেন, এ ঘটনায় নয়জন ছাত্রীকে অন্যায়ভাবে বহিষ্কার করা হলেও এ বিষয়ে তেমন কোনো উচ্চবাচ্য হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ভূমিকাও নারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে আস্থার সংকট তৈরি করেছে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, প্রশাসন নারী শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারেনি।
শ্রুতিরাজ বলেন, ‘আমাদের প্রশাসন হচ্ছে ইউজলেস (অকার্যকর) প্রশাসন। কখনোই কোনো কিছুরই উদ্যোগ নেয় না। আমি জানি না তারা কী করে।’
নারীদের নিরাপত্তা ঘাটতির পেছনে প্রশাসনের উদাসীনতাকে দায়ী করেন করেন তাহসিনা। তবে এর সঙ্গে বিভিন্ন ছাত্রনেতার দায় আছে বলেও মনে করেন তিনি।
শেখ হাসিনা হলের ঘটনার পর ক্যাম্পাসের বিভিন্ন শিক্ষার্থী এর প্রতিবাদ জানান। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন প্রক্টর তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ এক ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘বিপ্লবীরাও কি হানি ট্র্যাপে?’
তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফের এই মন্তব্যের পর শিক্ষার্থীরা এর প্রতিবাদ জানান। গত ১০ সেপ্টেম্বর প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগসহ ৭ দাবিতে ৫২ ঘণ্টা অনশন করেন নয় শিক্ষার্থী। পরে ২১ সেপ্টেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে দায়িত্ব ছাড়ার ঘোষণা দেন আরিফ।
নারী প্রার্থীদের অভিযোগের বিষয়ে চাকসু নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোহাম্মদ তৈয়ব চৌধুরী স্ট্রিমকে জানান, আচরণবিধিসংক্রান্ত একটি কমিটি করা হয়েছে। কোনো প্রার্থী সাইবার বুলিংসহ অন্যান্য হেনস্তার শিকার হলে এখানে অভিযোগ করতে পারেন।
এ ছাড়া, ক্যাম্পাসে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপত্তার কোনো ঘাটতি নেই বলেও মনে করেন অধ্যাপক মোহাম্মদ তৈয়ব চৌধুরী।
রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের এমেরিটাস অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলামকে ভেন্টিলেশন সাপোর্টে (লাইফ সাপোর্ট) নেওয়া হয়েছে।
৬ মিনিট আগেবাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) নির্বাচনে জেলা ও বিভাগের অ্যাডহক কমিটি থেকে কাউন্সিলর করা নিয়ে বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের চিঠির কার্যকারিতা স্থগিত করে হাইকোর্ট যে আদেশ দিয়েছিল, তা চেম্বার আদালতে বহাল রয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেজুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা এবং তাদের সম্মতির জন্য একটি গণভোট আয়োজনের বিষয়ে দেশের সব রাজনৈতিক দল একমত হলেও কোন প্রক্রিয়ায় তা অনুষ্ঠিত হবে—সে বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
৩ ঘণ্টা আগেগঙ্গাচড়ার নোহালীর সরদারপাড়ার ফনি বেওয়া (৪০) কাতর কণ্ঠে বলেন, ‘বাপের দুইটা ঘর ছিল, দুইটায় উড়ি গেইছে। এখন কোটে থাকং মুই (কোথায় থাকব আমি)?’
৩ ঘণ্টা আগে