leadT1ad

চমেকে এসি বিস্ফোরণে গুরুতর দগ্ধ ৩, একজন আইসিইউতে

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ। সংগৃহীত ছবি

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ছাদে এসির কম্প্রেসার বিস্ফোরণে ৩ শ্রমিক গুরুতর দগ্ধ হয়েছেন। এরমধ্যে একজকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসেইউতে) চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। বাকি দুজনেরও অবস্থা খারাপ বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।

আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণের শব্দে হাসপাতাল চত্বরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ওই সময় ওয়ার্ডে থাকা রোগী ও স্বজনরা ছোটাছুটি শুরু করেন।

চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তসলিম উদ্দিন বলেন, '৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের ছাদে বেশ কিছুদিন ধরে এসিগুলোর সার্ভিসিং চলছিল। আজ সকালে কাজ চলার সময় হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। গণপূর্তের তিনজন শ্রমিক দগ্ধ হন। তাঁদের মধ্যে দুজনকে বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে, আরেকজনের শ্বাসনালিতে গ্যাস প্রবেশ করায় তাকে আইসিইউতে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। সৌভাগ্যক্রমে রোগী বা হাসপাতালের অন্য কেউ আহত হননি।

বিস্ফোরণের পর হাসপাতালের বিদ্যুৎ বিভাগ, দমকল বাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওয়ার্ডের বিদ্যুৎ সংযোগ সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়।'

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির একজন পুলিশ কর্মকর্তা (নাম প্রকাশ না করে) বলেন, 'বিস্ফোরণের খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এসির গ্যাস লিকেজ থেকে আগুন বা বিস্ফোরণ ঘটেছে। তবে বিষয়টি নিশ্চিত হতে প্রকৌশল বিভাগ কাজ করছে। আহতদের নাম ও ঠিকানা এখনো পাইনি।'

চমেক সূত্র জানায়, এসিটি পুরনো ছিল। কয়েক দিন ধরে সেটির কুলিং সমস্যা দেখা দিচ্ছিল। আজ সকালে যখন সার্ভিসিং করা হচ্ছিল, তখন হঠাৎ গ্যাস প্রেসার বেড়ে বিস্ফোরণ ঘটে। ঘটনাস্থলে এসির কম্প্রেসার এবং পাইপলাইন সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বার্ন ইউনিট সূত্র জানিয়েছে, আহত ৩ জনের মধ্যে একজনের শরীরের ৭০ শতাংশ পর্যন্ত দগ্ধ হয়েছে। বাকি দুজনের ৫০-৬০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। সবাইকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তসলিম উদ্দিন জানান, ইতিমধ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রাথমিক প্রতিবেদন দেবে। ভবিষ্যতে যেন এমন দুর্ঘটনা আর না ঘটে, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Ad 300x250

সম্পর্কিত