leadT1ad

শ্রীমঙ্গলে চা-বাগানে ‘বিষাক্ত গ্যাসে’ ২ ভাইসহ ৪ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে এক

সংবাদদাতামৌলভীবাজার
প্রকাশ : ১০ জুলাই ২০২৫, ১৭: ০৩
আপডেট : ১০ জুলাই ২০২৫, ১৭: ৪৯
সেফটিক ট্যাংকে নেমে দুই ভাইসহ চারজন মারা গেছেন। স্ট্রিম ছবি

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার হরিণছড়া চা-বাগানে সেফটিক ট্যাংকে নেমে দুই ভাইসহ চারজন মারা গেছেন। সেফটিক ট্যাংকে পড়ে যাওয়া মোবাইল ফোন তুলতে গিয়ে বিষাক্ত গ্যাসে বুধবার (৯ জুলাই) রাতে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।

এ ঘটনায় আরেকজনকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) সকালে এসব তথ্য জানান শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম। তিনি বুধবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে চা-বাগানের একটি সেপটিক ট্যাংকে নেমে চারজনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পান। ট্যাংকের গ্যাসের বিষক্রিয়ায় এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা চিকিৎসকের।

মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, নিহত চারজন হলেন রানা নায়েক (১৭), শ্রাবণ নায়েক (১৯), কৃষ্ণ রবিদাস (২০) ও নিপেন ফুলমালি (২৭)। তাঁরা সবাই শ্রীমঙ্গল হরিণছড়া চা-বাগানের বাসিন্দা। তাঁদের মধ্যে রানা ও শ্রাবণ নায়েক আপন দুই ভাই।

এ ছাড়া ওই ঘটনায় রবি বুনার্জী (২০) নামে একজনকে প্রথমে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে জরুরি চিকিৎসা দেওয়া হয়। তবে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য স্থানান্তর করা হয় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

জানা গেছে, ফিনলে কোম্পানির আওতাধীন হরিণছড়া চা-বাগানের ‘উত্তর লাইন’ নামে গুচ্ছপাড়ায় একটি উন্মুক্ত শৌচাগার ব্যবহার করতে যান শ্রাবণ নায়েক। এ সময় তাঁর সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোনটি পড়ে সেফটিক ট্যাংকের ভেতর চলে যায়। তিনি ট্যাংকের ঢাকনা সরিয়ে ফোন তুলতে গিয়ে অচেতন হয়ে ভেতরে পড়ে যান। এ সময় তাঁকে তুলতে গিয়ে প্রথমে ছোটভাই রানা ও পরে অন্যরা অচেতন হয়ে পড়েন। তাঁদের উদ্ধার করে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে চারজনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

সদর হাসপাতালের চিকিৎসক সব্যসাচী পাল তমাল বলেন, ‘যে চারজনকে গভীর রাতে আমার কাছে নিয়ে এসেছিল, তাঁরা সবাই মৃত ছিলেন। পরে রবি বুনার্জী নামে একজনকে নিয়ে আসেন। তাঁকে আমরা সিলেট ওসমানি হাসপাতালে স্থানান্তর করি। আত্মীয়দের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য জেনেছি, তাঁরা সবাই সেপটিক ট্যাংকে নেমেছিলেন।’

সব্যসাচী পাল আরও বলেন, ‘একটি রিং সেপটিক ট্যাকে এত টক্সিক (বিষাক্ত) গ্যাস কী করে জমল যে একে একে চারজনের প্রাণ গেল! এটা ঠিক পরিস্কার বোঝা যাচ্ছে না। গ্যাস পয়জনিংও হয়ে থাকতে পারে।’ তবে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে তিনি জানান।

বিষয়:

মৃত্যু
Ad 300x250

সম্পর্কিত