leadT1ad

ভিসি মাকসুদ কামালকে সেফ এক্সিট দেওয়ার অভিযোগ, ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে সাদিক কায়েমের জবানবন্দি

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮: ২৯
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। সংগৃহীত ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. এ এস এম মাকসুদ কামালকে বিচারের বদলে নিরাপদে সরে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ডাকসু ভিপি সাদিক কায়েম। তিনি দাবি করেন, অন্তর্বর্তী সরকারের একাংশ ও শিক্ষক সংগঠনের একটি পক্ষ সাবেক ভিসিকে বাঁচাতে তৎপর। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার কাছে জবানবন্দি দিতে এসে তিনি এ অভিযোগ করেন।

এদিন ওবায়দুল কাদের ও বাহাউদ্দিন নাসিমের বিরুদ্ধে জবানবন্দি দেন সাদিক কায়েম। অন্যদিকে মাকসুদ কামালের বিরুদ্ধে জবানবন্দি রেকর্ড করান ডাকসুর সাহিত্য সম্পাদক মোসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ ও সিনেট সদস্য আসিফ আব্দুল্লাহ।

তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে জবানবন্দি শেষে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে মোসাদ্দিক আলী বলেন, ‘আমাদের এখানে দুইটা বিষয়ে আমরা জবানবন্দি দিতে এসেছি। আমি এবং আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট সদস্য ও ছাত্র পরিবহন সম্পাদক আসিফ আব্দুল্লাহ—আমরা মাকসুদ কামালের যে মামলাটা, সেটাতে জবানবন্দি দিয়েছি। আর আমাদের ডাকসুর ভিপি জনাব সাদিক কায়েম তিনি ওবায়দুল কাদেরের যে মামলাটা, সেটার সাক্ষী দিয়েছেন এবং জবানবন্দি দিয়েছেন।’

জবানবন্দি দেওয়া শেষে সাদিক কায়েম বলেন, মাকসুদ কামাল ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অন্যতম কুশীলব। তাঁকে বিভিন্নভাবে আশ্রয় (শেল্টার) দেওয়া হচ্ছে। তবে শিক্ষার্থীদের রক্ত ঝরানোর জন্য তাঁর বিচার এ দেশেই হবে। হত্যাযজ্ঞের সব প্রমাণ ট্রাইব্যুনালে জমা দেওয়া হয়েছে।

এদিকে ছাত্রলীগ নেতা রিয়াজ মাহমুদের দেশত্যাগ নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন মোসাদ্দিক আলী বলেন, গ্রেফতারের খবর গণমাধ্যমে আসার পরও রিয়াজ কীভাবে লন্ডনে পাড়ি জমালেন, তা সন্দেহজনক। এ সময় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এই ছাত্রনেতা।

জুলাইয়ের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে সাদিক কায়েম বলেন, ১৯ থেকে ২৩ জুলাই দেশে গণহত্যা ও শিশু হত্যা সংঘটিত হয়। শেখ হাসিনার নির্দেশে ওবায়দুল কাদের, বাহাউদ্দিন নাসিম ও তৎকালীন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এতে জড়িত ছিল। ছাত্রলীগ, যুবলীগ এবং পুলিশ-র‍্যাবের সংশ্লিষ্টদেরও দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।

Ad 300x250

সম্পর্কিত