leadT1ad

স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য: নির্বাচিত হলে শিক্ষার্থীদের ম্যান্ডেট বিক্রি করে ক্ষমতায় থাকব না

‘পলিটিক্যালি কনশাস, একাডেমিক ক্যাম্পাস’ স্লোগানকে সামনে রেখে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছে এই প্যানেল

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা

‘পলিটিক্যালি কনশাস, একাডেমিক ক্যাম্পাস’ স্লোগানকে সামনে রেখে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছে ‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য’। স্ট্রিম গ্রাফিক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে প্যানেল দিয়েছে ‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য’। ‘পলিটিক্যালি কনশাস, একাডেমিক ক্যাম্পাস’ স্লোগানকে সামনে রেখে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছে এই প্যানেল।

এই প্যানেল থেকে সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থী হিসেবে উমামা ফাতেমা, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী হিসেবে আল সাদি ভূইয়া এবং সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে জাহেদ আহমদ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

গত মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্যানেলটি তাদের ১১ দফা নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করে।

প্যানেলের মতাদর্শ

প্যানেলটির ইশতেহারের শুরুতে একটি স্লোগান দেখা যায়, ‘নয় দলীয়করণ, নয় বিরাজনীতিকরণ’। তাদের আলাদা কোনো মতাদর্শ আছে কি না, জানতে চাইলে জিএস প্রার্থী আল সাদি ভূইয়া স্ট্রিমকে বলেন, ‘আমাদের সামষ্টিক মতাদর্শ নেই। আমাদের যে মতাদর্শটা আছে, সেটি হচ্ছে শিক্ষার্থীদের স্বার্থে এক হয়ে কাজ করা। শুধু শিক্ষার্থীদের রিপ্রেজেন্ট (প্রতিনিধিত্ব) করা—নিজের স্বার্থের ঊর্ধ্বে গিয়ে, ব্যক্তি স্বার্থের ঊর্ধ্বে গিয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে কাজ করা।’

সাদি আরও বলেন, ‘রাজনৈতিক মতাদর্শ বা যেই মতাদর্শ বোঝাতে চাচ্ছেন, সেই ধরনের মতাদর্শ আমরা এখন পর্যন্ত পাইনি।’

প্রচারণায় রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে টক্কর

প্রচারণায় কোনো বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন কি না, এমন প্রশ্ন করা হয় আল সাদির কাছে। তিনি বলেন, ‘আমরা কোনো ধরনের বাধা ফেস করছি না। তবে আমরা দেখছি যে এখানে রাজনৈতিক সংগঠনের লোকজন বিভিন্নভাবে শিক্ষার্থীদেরকে ইনফ্লুয়েন্স (প্রভাবিত) করার চেষ্টা করছে, খাওয়াচ্ছে বা তারা বিভিন্ন ধরনের খরচ-টরচ করছে। আমরা মনে করছি যে দলীয় ক্ষমতা বা অর্থ ব্যবহার করে তারা এই কাজটা করতেছে। এই কাজটা আমার কাছে একটু নেতিবাচক লাগছে এবং তারা যদি এইভাবে কাজ করে বা অর্থ দিয়ে শিক্ষার্থীদের কিনতে চায়, এটি তাদের রাজনৈতিক দৈন্য বা তারা শিক্ষার্থীদের আন্ডারমাইন করছে বলে আমি ধরে নিচ্ছি।’

শিক্ষার্থীরা কেন এই প্যানেলকে ভোট দেবে

শিক্ষার্থীরা কেন এই প্যানেলকে ভোট দেবে, এমন প্রশ্নের জবাবে আল সাদি বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা আমাদেরকে ভোট দিবে তাদের নিজেদের স্বার্থে। কারণ, আমরা নির্বাচিত হলে শিক্ষার্থীদের ম্যান্ডেটকে বিক্রি করে ক্ষমতায় থাকব না। আমরা নির্বাচিত হলে শিক্ষার্থীদের জন্যই কাজ করব। আমরা এক বছরের মধ্যে বাস্তবায়নযোগ্য, এমন ইশতেহার দিয়েছি। সমাধান করা যাবে, এমন ইশতেহার দিয়েছি।

আমরা মনে করছি যে আমরা নির্বাচিত হলে শিক্ষার্থীদের যে স্বার্থ, সেটি রক্ষা হবে। আর শিক্ষার্থীদেরকে রেখে আমরা আসলে অন্য কোনো ধরনের কাজে জড়াব না। যার জন্য শিক্ষার্থীরা আমাদেরকে তাদের স্বার্থে, তাদের জন্য ভোট দেবে।’

ইশতেহার ঘোষণার সময় স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেলের সদস্যরা। সংগৃহীত ছবি
ইশতেহার ঘোষণার সময় স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেলের সদস্যরা। সংগৃহীত ছবি

ইশতেহারে কী আছে

১. দলীয়করণ বিরাজনীতিকরণমুক্ত একাডেমিক ক্যাম্পাস: ইশতেহারের প্রথম দফায় একটি দলীয় প্রভাবমুক্ত ক্যাম্পাস গড়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও একাডেমিক কাঠামোতে দলীয়করণের পথ বন্ধ করা, প্রতিবছর ডাকসু নির্বাচন নিশ্চিত করার কথাও বলা হয়েছে। জুলাই আন্দোলনে হামলায় জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে প্যানেলটি।

২. একাডেমিক শিক্ষার মান, কারিকুলাম গবেষণা: একাডেমিক রাইটিং ও সফটওয়্যার প্রশিক্ষণের আয়োজনের; প্রথম বর্ষ থেকেই রেফারেন্সিং স্কিল কোর্স চালু এবং গবেষণার জন্য প্রয়োজনীয় রিসোর্স নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি; দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীসহ সব শিক্ষার্থীর জন্য ব্রেইল ও অডিওবুকের ব্যবস্থা এবং প্রথম বর্ষে ক্যারিয়ার গাইডলাইনসহ ইন্ট্রোডাক্টরি কোর্স চালুর উদ্যোগ এবং ইঞ্জিনিয়ারিং ল্যাবে জিপিইউ স্থাপন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসকে উন্নত করা ও ক্লাসরুমের মানোন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে ইশতেহারে।

৩. ক্যারিয়ার কর্মসংস্থান: শিক্ষার্থীদের জন্য ইন্টার্নশিপের ব্যবস্থা, ক্যারিয়ার সেমিনার ও জব ফেয়ার আয়োজনের উদ্যোগ; প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য পার্ট-টাইম চাকরির সুযোগ তৈরি এবং উদ্যোক্তা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিনিয়োগকারীদের সংযোগ ঘটানো; শিক্ষার্থীদের জন্য 'মেন্টরশিপ প্রোগ্রাম' চালু এবং সেরা গবেষণা প্রজেক্ট ও স্টার্টআপকে আর্থিক সহায়তার উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

৪. ধর্মীয় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি: ইশতেহারে ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষায় 'আদিবাসী শিক্ষার্থীদের প্রধান সামাজিক উৎসবকে একাডেমিক ক্যালেন্ডারে ছুটির অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ' এবং এর পাশাপাশি সংখ্যালঘু শিক্ষার্থীদের প্রতি বিদ্বেষপূর্ণ মন্তব্য বা হয়রানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে একটি স্থায়ী কমিটি গঠন এবং বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের জন্য কেন্দ্রীয় উপাসনালয় নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।

৫. নারীবান্ধব সবার জন্য নিরাপদ ক্যাম্পাস
যৌন নিপীড়ন সেলের সর্বোচ্চ কার্যকারিতা নিশ্চিত এবং অভিযোগের তদন্তের আপডেট অনলাইনে প্রকাশ করার কথা বলা হয়েছে। সাইবার বুলিং প্রতিরোধে সেল গঠন, প্রতিটি বিভাগে মাসে তিন দিনের ঐচ্ছিক 'পিরিয়ড লিভ' এবং স্যানিটারি প্যাড ভেন্ডিং মেশিন স্থাপনের পাশাপাশি নারী শিক্ষার্থীদের জন্য হলে প্রবেশের সময়সীমা বৃদ্ধি, নিরাপত্তা বাড়ানো এবং ডে-কেয়ার সেন্টার স্থাপনের উদ্যোগের কথা বলা হয়েছে।

৬. স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং খাদ্যসংকট নিরসন
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি হলে প্রশাসনিক তত্ত্বাবধানে ক্যান্টিন ও ডাইনিং চালুর উদ্যোগ এবং শিক্ষার্থীদের খাদ্যে ভর্তুকি দেওয়া; মেডিকেল সেন্টারের আধুনিকায়ন, অ্যাম্বুলেন্স বাড়ানো এবং স্বাস্থ্যবিমার পরিসর বৃদ্ধি; শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য বড় পরিসরে কাউন্সেলিং সেন্টার ও হেল্পলাইন চালুর উদ্যোগ নেওয়া হবে।

৭. আবাসন সমস্যা দূরীকরণ
বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন নিশ্চিত করা; প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই সিট দেওয়া এবং নারী শিক্ষার্থীদের জন্য দ্রুততম সময়ে নতুন হল নির্মাণের রোডম্যাপ আদায় ; আবাসিক হলগুলোতে ইন্টারনেট সুবিধা বাড়ানো এবং ছারপোকা দমনে বৈজ্ঞানিক উপায়ে সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

৮. পরিবহনব্যবস্থার উন্নতিকরণ
বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসের ট্রিপসংখ্যা বাড়ানো; শিক্ষার্থীদের জন্য শাটল বাস সার্ভিস পুনরায় চালু এবং পদ্মা সেতু হয়ে কয়েকটি জেলার শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন বাস রুট চালুর উদ্যোগের পাশাপাশি ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে যানজট নিরসনে নীতিমালা তৈরি এবং ঈদ বা পূজার ছুটিতে শিক্ষার্থীদের জন্য বাসের ব্যবস্থা করার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে ইশতেহারে।

৯. ডিজিটালাইজেশন
প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রম, যেমন—কোর্স রেজিস্ট্রেশন, ফলাফল ও নোটিশ সিস্টেম, পুরোপুরি অনলাইনে আনা; শিক্ষার্থীদের জন্য একটি মোবাইল অ্যাপ তৈরি; ক্যাম্পাসের হটস্পটগুলোতে ফ্রি ওয়াইফাই নিশ্চিত করা এবং পরিবহনব্যবস্থা অ্যাপের মাধ্যমে লাইভ ট্র্যাকিংয়ের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।

১০. খেলাধুলা শরীরচর্চা
ক্রিকেট, ফুটবল মাঠ ও বাস্কেটবল কোর্টের সংস্কার এবং জিমনেশিয়ামের আধুনিকায়নের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। খেলোয়াড় বাছাইয়ে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত প্যানেল গঠন এবং সম্ভাবনাময় ক্রীড়াবিদদের জন্য বৃত্তির ব্যবস্থা করা।

১১. পরিবেশবান্ধব ক্যাম্পাস স্যানিটেশন
ক্যাম্পাস পরিচ্ছন্ন রাখতে পর্যাপ্ত ডাস্টবিন স্থাপন ও নিয়মিত মনিটরিং; ক্যাম্পাসে প্লাস্টিকের ব্যবহার কমানো, গাছ লাগানো, বর্জ্য রিসাইক্লিং এবং সৌরশক্তি ব্যবহারের উদ্যোগ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, শব্দদূষণ রোধে ক্যাম্পাসে হাইড্রোলিক হর্ন নিষিদ্ধ করা হবে বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে প্যানেলটি।

নৃবিজ্ঞান বিভাগ ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী হাসিব রহমান জাবের স্ট্রিমকে বলেন, ‘আমি মনে করি, বিগত দিনগুলোতে যারা বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামের মুখ ছিলেন, তাঁরা ভোটের মাঠে এগিয়ে থাকবেন।'

শিক্ষার্থীদের চোখে প্যানেলটির শক্তি দুর্বলতার জায়গা

লেদার প্রোডাক্টস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০২২-২৩ সেশনের শিক্ষার্থী সিকদার মো: ওয়ালিউল্লাহ ওলি স্ট্রিমকে বলেন, ‘আমি মনে করি স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্যের শক্তি ও দুর্বলতা দুটিই এক জায়গায়। তা হলো, এই প্যানেলে বিভিন্ন মতাদর্শের মানুষ একসঙ্গে মিলিত হয়েছেন। এই কারণে নির্দিষ্ট কোনো রাজনৈতিক পক্ষের তাঁবেদারি না করে শিক্ষার্থীদের কথা তারা শুনতে পারবেন—অন্তত এখন পর্যন্ত যেমনটা তাঁরা বলছেন। কিন্তু বিভিন্ন মতের মানুষ এই প্যানেলে যুক্ত হওয়ায় তাঁদের মধ্যে সিদ্ধান্ত গ্রহণে মতপার্থক্যের জায়গা তৈরি হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।’

নৃবিজ্ঞান বিভাগ ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী হাসিব রহমান জাবের স্ট্রিমকে বলেন, ‘আমি মনে করি, বিগত দিনগুলোতে যারা বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামের মুখ ছিলেন, তাঁরা ভোটের মাঠে এগিয়ে থাকবেন। সেদিক থেকে উমামা ফাতেমাসহ তাঁর প্যানেলের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসের পরিচিত মুখ। তবে অন্যান্য প্যানেলগুলো যেভাবে দরজা থেকে দরজায় গিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছে, স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য সেদিক দিয়ে একটু পিছিয়ে আছে। তারা হল পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছাতে পারছে না। ডাকসুতে নারী ভোটাররা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেদিক বিবেচনায় উমামা ফাতেমা একটি বড় শক্তি হতে পারে।’

ইতিহাস বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী মুহিউদ্দিন ইকবাল স্ট্রিমকে বলেন, ‘উমামা ফাতেমার দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের ইতিহাস আছে। তিনি দীর্ঘদিন ক্যাম্পাসভিত্তিক অ্যাক্টিভিজম করে গেছেন। সুতরাং যথেষ্ট যোগ্যতা আছে এবং নারী ভোটারদের আকৃষ্ট করার একটা বিষয় আছে। এ ছাড়া জিএস প্রার্থী আল সাদি ভূইয়া সাংবাদিক সমিতির দায়িত্ব সামলেছেন। সুতরাং তাঁরও যথেষ্ট সাংগঠনিক দক্ষতার জায়গা আছে। এ ছাড়া নূমান আহমাদ চৌধুরী, ববি বিশ্বাস, জাহেদ ভাই, রাফিজ ভাই—যাঁদের আমি চিনি, তাঁরা সকলেই তাঁদের জায়গা থেকে যোগ্য বলে মনে করি আমি। তবে বিষয়টা হলো, এই লোকগুলোকে যেভাবে সামনে আনা দরকার, মিডিয়ার ফোকাস দরকার, সেই তুলনায় তাঁরা পরিচিতি পাচ্ছেন না। আমি মনে করি দলীয় লেজুড়বৃত্তিক প্যানেলগুলো এবং জাতীয় রাজনীতির সাথে তাদের সম্পর্কের কারণে মিডিয়া সেই প্যানেলগুলোকে একটু বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে। সুতরাং সেই জায়গা থেকে আমার মনে হয় উমামা ফাতেমার প্যানেল একটু পিছিয়ে আছে।’

প্যানেলটিতে প্রার্থী হিসেবে কারা রয়েছেন
গত ২১ আগস্ট ঢাবির অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে উমামা ফাতেমার নেতৃত্বে প্যানেলটি ঘোষণা করা হয়। প্যানেলটি থেকে বিভিন্ন পদে যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন-

১। সহসভাপতি- উমামা ফাতেমা, ২০১৮-১৯ সেশন, প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগ, সুফিয়া কামাল হল, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক মুখপাত্র ও সমন্বয়ক, ঢাবি শাখা ছাত্র ফেডারেশনের সাবেক সদস্য সচিব।

২। সাধারণ সম্পাদক- আল সাদি ভূইয়া, ২০১৬-১৭ সেশন, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, সূর্যসেন হল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাবেক সভাপতি।

৩। সহসাধারণ সম্পাদক- জাহেদ আহমেদ, ২০১৭-১৮ সেশন, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, সূর্যসেন হল, ‘গুরুবার আড্ডা’র সংগঠক।

৪। মুক্তিযুদ্ধ গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক- নূমান আহমাদ চৌধুরী, ২০২০-২১ সেশন, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, বিজয় একাত্তর হল, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সহ-সমন্বয়ক।

৫। বিজ্ঞান প্রযুক্তি সম্পাদক- মমিনুল ইসলাম বিধান, ২০১৮-১৯ সেশন, প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগ, অমর একুশে হল।

৬। কমনরুম, রিডিংরুম ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক- সুর্মী চাকমা, ২০২১-২২ সেশন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, শামসুন নাহার হল।

৭। আন্তর্জাতিক সম্পাদক- নাফিজ বাশার আলিফ, ২০২১-২২ সেশন, লোকপ্রশাসন বিভাগ, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল।

৮। সাহিত্য সাংস্কৃতিক সম্পাদক- অনিদ হাসান, ২০২১-২২ সেশন, ভূতত্ত্ব বিভাগ, অমর একুশে হল।

৯। গবেষণা প্রকাশনা সম্পাদক- সিয়াম ফেরদৌস ইমন, ২০১৮-১৯ সেশন, প্রাণিবিদ্যা বিভাগ, ফজলুল হক মুসলিম হল।

১০। ক্রীড়া সম্পাদক- সাদিকুজ্জামান সরকার, ২০২০-২১ সেশন, তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগ, অমর একুশে হল।

১১। ছাত্র পরিবহন সম্পাদক- রাফিজ খান, ২০১৮-১৯ সেশন, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল।

১২। ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক- রুপাইয়া শ্রেষ্ঠা তঞ্চঙ্গ্যা, ২০১৯-২০ সেশন, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, রোকেয়া হল।

১৩। স্বাস্থ্য পরিবেশ সম্পাদক- ইসরাত জাহান নিঝুম, ২০২০-২১ সেশন, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল।

১৪। মানবাধিকার আইনবিষয়ক সম্পাদক- নুসরাত জাহান নিসু, ২০১৯-২০ সেশন, আইন বিভাগ, বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হল।

এ ছাড়া সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন

১। ববি বিশ্বাস, ২০২০-২১ সেশন, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ।
২। নওরীন সুলতানা তমা, ২০২০-২১ সেশন, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হল।
৩। আবির হাসান, ২০২০-২১ সেশন, কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগ, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হল।
৪। অর্ক বড়ুয়া, ২০২৩-২৪ সেশন, নাট্য ও প্রদর্শনকলা অধ্যয়ন বিভাগ, জগন্নাথ হল।

৫। রাফিউল হক রাফি, ২০১৮-১৯ সেশন, ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগ, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল।

৬। আব্দুল্লাহ আল মুবিন, ২০১৯-২০ সেশন, মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ, ফজলুল হক মুসলিম হল।

৭। সাদেকুর রহমান সানি, ২০১৮-১৯ সেশন, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল।
৮। মুকতারুল ইসলাম, ২০২০-২১ সেশন, লেদার প্রোডাক্টস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল।
৯। হাসিবুর রহমান, ২০২১-২২ সেশন, ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল।

১০। আবিদ আব্দুল্লাহ, ২০২২-২৩ সেশন, উর্দু ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল।
১১। হাসান জুবায়ের, ২০২২-২৩ সেশন, ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল।
১২। সজিব হোসেন, ২০২১-২২ সেশন, ফলিত গণিত বিভাগ, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হল।
১৩। নেওয়াজ শরীফ আরমান, ২০১৯-২০ বিভাগ, জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগ, বিজয় একাত্তর হল।
১৪। মো শাকিল, ২০২০-২১ সেশন, আরবি বিভাগ, স্যার এ এফ রহমান হল।

Ad 300x250

সম্পর্কিত