leadT1ad

যেকোনো ব্যর্থতার ফল চূড়ান্তভাবে স্বাস্থ্যের ওপর পড়ে: ডা. সায়েদুর

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কনফারেন্স রুমে চীনের পক্ষ থেকে ডেঙ্গু কম্বাইন্ড কিট হস্তান্তর অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ডা. সায়েদুর রহমান।

স্ট্রিম প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৩ জুলাই ২০২৫, ১৫: ২৪
আপডেট : ০৩ জুলাই ২০২৫, ১৬: ০৭
মহাখালীর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কনফারেন্স রুমে চীনের পক্ষ থেকে ডেঙ্গু কম্বাইন্ড কিট হস্তান্তর অনুষ্ঠানে অন্যদের সঙ্গে ডা. সায়েদুর রহমান। স্ট্রিম ছবি

যেকোনো ধরনের ব্যর্থতার ফল চূড়ান্তভাবে স্বাস্থ্যের ওপরে পড়ে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী ডা. সায়েদুর রহমান।

আজ বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) সকালে মহাখালীর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কনফারেন্স রুমে চীনের পক্ষ থেকে ডেঙ্গু কম্বাইন্ড কিট হস্তান্তর অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।

অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান বলেন, ‘আমরা কাউকে দোষারোপ করছি না। তবে যেকোনো ধরনের ব্যর্থতার ফল চূড়ান্তভাবে স্বাস্থ্যের ওপরে পড়ে। পরিবেশ, পানি, বায়ু, দুর্ঘটনা, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি—দিনের শেষে এগুলো স্বাস্থ্যের ওপর বোঝা হয়ে আসে। স্বাস্থ্য অবকাঠামো এবং চিকিৎসার ওপর চাপ পড়ে। ডেঙ্গুও তার ব্যতিক্রম নয়।’

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ স্বাস্থ্য সহকারী বলেন, ‘ডেঙ্গুর প্রাথমিক ইন্টারভেনশন হচ্ছে ভেক্টর কন্ট্রোল (জীবাণুবাহী কীটপতঙ্গ নির্মূল করার পদ্ধতি)। প্রাথমিক ভেক্টর কন্ট্রোল যখন ফেইল করে, তখন আমরা হাসপাতালে রোগী আসা এবং তাদের মৃত্যু দেখি।’

অধ্যাপক সায়েদুর রহমান আরও বলেন, ‘শুধু ডেঙ্গুর ক্ষেত্রে নয়, অধিকাংশ রোগের ক্ষেত্রে প্রাইমারি ফোকাস যে কারণে—যেমন বাতাসের মান খারাপ হলে রেসপারেটরি ইনফেকশন হবে, পানির মান খারাপ হলে গ্যাস্ট্রাইটিস হবে। একইভাবে ভেক্টর কন্ট্রোল ব্যর্থতার কারণে ডেঙ্গু হবে। আমরা এই কারণে ব্যাখ্যা দিচ্ছি, গণমাধ্যম যেন বিষয়গুলোতে যার যে দায়দায়িত্ব, সেটা পরিষ্কার করে সবার কাছে। প্রত্যেকে যার যার দায়িত্ব পালন করলে শুধু চিকিৎসাব্যবস্থা নিয়ে আমাদের উত্তর দিতে হবে না।’

ডা. সায়েদুর বলেন, ‘যে জায়গাগুলোতে ডেঙ্গুর হটস্পট হচ্ছে, সেখানে আমরা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তা করছি। আমাদের প্রস্তুতি আছে, কিন্তু ডেঙ্গু যদি বেড়ে যায়, তাহলে হয়তো একটু ডিফিকাল্ট হতে পারে। আমরা যে পরামর্শ দিচ্ছি, সেগুলো মেনে চললে ডেঙ্গু সহনীয় পর্যায়ে থাকবে।’

এই মুহূর্তে চারটা ভাইরাসের সংক্রমণ রয়েছে। সাধারণ রোগ ভেবে অনেকেই বাসায় থাকছেন। দেরিতে হাসপাতালে আসা চিকিৎসাব্যবস্থাকে জটিল করে দিচ্ছে। রোগীরা যদি দ্রুত পরীক্ষা করতেন, সেটি চিকিৎসাব্যবস্থায় অনেক সহায়ক হতো বলে মনে করেন অধ্যাপক সায়েদুর।

অধ্যাপক সায়েদুর আরও বলেন, ‘আমাদের ডিটেকশন কিট যথেষ্ট আছে। যেটুকু গ্যাপ আছে, সেটা আমরা পূরণের চেষ্টা করছি। তারপরও এটা মূলত প্রিভেন্টিভ মেজারের ওপরে নির্ভর করে। মানুষের সতর্কতা, দ্রুত হাসপাতালে আসা অথবা চিকিৎসকের সহায়তা নেওয়ার ওপর।’

অনুষ্ঠানে চীনা দূতাবাসের ডেপুটি মিশন চিফ লিউ ইউইন চায়নার পক্ষ থেকে বিশেষ সহকারীর কাছে ১৯ হাজার কম্বাইন্ড কিট হস্তান্তর করা হয়।

Ad 300x250

সম্পর্কিত