leadT1ad

প্লট-ফ্ল্যাট হস্তান্তর ও নামজারিতে অনুমোদন প্রথা বাতিল করল গণপূর্ত মন্ত্রণালয়

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা

প্রকাশ : ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২২: ৩১
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। সংগৃহীত ছবি

আবাসিক প্লট ও ফ্ল্যাটের নামজারি, হস্তান্তর এবং ঋণ গ্রহণের ক্ষেত্রে লিজদাতা কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নেওয়ার বাধ্যবাধকতা বাতিল করেছে সরকার। সেবা সহজ করার লক্ষ্যে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সাত দফা নির্দেশনা জারি করেছে, যার মাধ্যমে এখন থেকে এসব সেবার জন্য আর কর্তৃপক্ষের দপ্তরে যাওয়ার প্রয়োজন হবে না।

আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়।

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, মন্ত্রণালয় বা এর অধীনস্থ সংস্থা (যেমন রাজউক, সিডিএ, কেডিএ) কর্তৃক বরাদ্দকৃত আবাসিক প্লট ও ফ্ল্যাটের ক্ষেত্রে উত্তরাধিকার, ক্রয়, দান বা হেবা সূত্রে নামজারি, বিক্রয় বা দানসূত্রে হস্তান্তর, আমমোক্তারনামা সম্পাদন বা বাতিল এবং ব্যাংক ঋণের অনুমতির জন্য এখন থেকে আর লিজদাতা প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন লাগবে না। তবে প্লটের বিভাজন, একত্রীকরণ বা ব্যবহার শ্রেণি পরিবর্তনের মতো যেসব ক্ষেত্রে মাস্টারপ্ল্যান বদলের বিষয় জড়িত, সেগুলোর জন্য আগের মতোই কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিতে হবে।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, এখন থেকে ফ্ল্যাটসহ ভূমি হস্তান্তরের ক্ষেত্রে দলিল মূল্যের ২ শতাংশ ও শুধু প্লট হস্তান্তরের ক্ষেত্রে দলিল মূল্যের ৩ শতাংশ অর্থ সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দলিল নিবন্ধনের সময়ই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুকূলে জমা দিতে হবে।

রেকর্ড হালনাগাদ রাখার জন্য নতুন নিয়মও চালু করা হয়েছে। এখন থেকে প্লট বা ফ্ল্যাট হস্তান্তরের পর ক্রেতাকে দলিলের সার্টিফায়েড কপি এবং নামজারিসংক্রান্ত কাগজপত্র ৯০ দিনের মধ্যে লিজদাতা প্রতিষ্ঠানে জমা দিতে হবে। ব্যর্থতায় দৈনিক ৫০ টাকা হারে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হবে। অন্যদিকে, কর্তৃপক্ষকে এসব কাগজপত্র পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে তাদের রেকর্ড হালনাগাদ করতে হবে। কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী এতে ব্যর্থ হলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, ৯৯ বছরের লিজের মেয়াদ শেষে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে নবায়ন হয়েছে বলে গণ্য হবে এবং তখন হস্তান্তর ফি মওকুফ হয়ে যাবে। তবে প্রাতিষ্ঠানিক, বাণিজ্যিক ও শিল্প প্লটের ক্ষেত্রে অনুমোদন নেওয়ার পুরোনো নিয়মই বহাল থাকবে।

তবে যেসব আবাসিক প্লট বা ফ্ল্যাটের মালিকানা নিয়ে সরকারের স্বার্থ জড়িত মামলা আছে, যেগুলো পরিত্যক্ত সম্পত্তির তালিকাভুক্ত এবং ২০০৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের জুলাই পর্যন্ত সময়ে বিশেষ বিবেচনায় বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, সেগুলোর ক্ষেত্রে আপাতত পুরোনো অনুমোদন প্রথাই বহাল থাকবে। যে সকল প্লট বা ফ্ল্যাটের ক্ষেত্রে নতুন নিয়ম প্রযোজ্য হবে, সেগুলোর তালিকা তফসিল আকারে দ্রুত প্রকাশ করা হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

Ad 300x250
সর্বাধিক পঠিত

সম্পর্কিত