প্রতিষ্ঠান তখন প্রস্তুতিমূলক পর্যায়ে থাকায় শ্রম আইনের শর্তগুলো সম্পূর্ণভাবে প্রতিপালন করে তদন্ত কমিটি গঠন করতে পারেনি। তবে অভিযোগকারীরা যেন সুবিচার পান সেটি নিশ্চিত করতে সামর্থ্য অনুযায়ী কোনো ত্রুটি রাখা হয়নি। উল্লেখ্য যে, ঢাকা স্ট্রিম গত ১২ আগস্ট, ২০২৫ তারিখে অনলাইন গণমাধ্যম হিসেবে সরকারি নিবন্ধন পায়।
স্ট্রিম ডেস্ক
ঢাকা স্ট্রিমের গ্রাফিক্স ডিজাইনার স্বর্ণময়ী বিশ্বাসের (২৮) মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত ও দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রের ২৪৩ জন নাগরিক বিবৃতি দিয়েছেন। তবে অন্তত ১৩ জন পরে তাঁদের নাম বিবৃতি থেকে প্রত্যাহার করেছেন।
প্রত্যাহারের কারণ হিসেবে তাঁরা বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিস্টের পক্ষে থাকা, গণঅভ্যুত্থান চলাকালে বিপুল মানুষ হত্যা, নাগরিক ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে চুপ থাকা ব্যক্তিরা এই বিবৃতিতে সই করেছেন। তবে দাবির বিষয়বস্তু নিয়ে তাঁরা পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করেছেন।
স্বর্ণময়ীর মৃত্যুর ঘটনার বিচার চেয়ে বিবৃতিতে যাঁরা সই করেছিলেন তাঁদের মধ্যে আছেন কবি নির্মলেন্দু গুণ, আইনজীবী জেড আই খান পান্না, ঢাবি অধ্যাপক ড. জোবাইদা নাসরীন, শিক্ষাবিদ ও অর্থনীতিবিদ আব্দুল বায়েস, ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, অধ্যাপক কাবেরী গায়েন, কথাশিল্পী পারভেজ হোসেন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন, অধ্যাপক আবু দায়েন, কথাসাহিত্যিক ও অনুবাদক অদিতি ফাল্গুনী, চলচ্চিত্র নির্মাতা দীপংকর দীপন, কথাসাহিত্যিক কুলদা রায়, কবি তুষার গায়েন, শিল্পী মহিতোষ তালুকদার তাপস, গবেষক নবনীতা চক্রবর্তী, লেখক ও গবেষক পাভেল পার্থ, কবি ও সাংবাদিক নওশাদ জামিল, সাংবাদিক তৈমুর ফারুক তুষার, কবি মামুন মুস্তফা, কবি লতিফ জোয়ার্দার, সাংবাদিক জয়ন্ত সাহা, কবি ও সাংবাদিক গিরিশ গৈরিক প্রমুখ। তাঁদের মধ্যে গল্পকার নাহার তৃণার নাম আছে দুইবার।
বিবৃতি থেকে নাম প্রত্যাহারকারীদের মধ্যে আছেন নারী অধিকারকর্মী মার্জিয়া প্রভা, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের শিক্ষক অলিউর সান, চলচ্চিত্র নির্মাতা ইমেল হক, বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তাওফিকা প্রিয়া, নৃবিজ্ঞানী ও চলচ্চিত্রকার রাফসান আহমেদ। তাঁরা সবাই ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে নাম প্রত্যাহারের বিষয়টি জানিয়েছেন।
এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে মার্জিয়া প্রভা লিখেছেন, এই বিবৃতির প্রথম বিবৃতিদাতা কবি নির্মলেন্দু গুণের সাথে আমি রাজনৈতিক সহাবস্থান করি না। তিনি রাজনৈতিক অবস্থানগত জায়গা থেকে আওয়ামী ফ্যাসিস্টের পক্ষে ছিলেন। গণঅভ্যুত্থানের সময়কালীন বিপুল পরিমাণ মানুষ হত্যা, নাগরিক ও মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং তারও আগে ডিএসএর মাধ্যমে বাকস্বাধীনতা হরণ- ফ্যাসিবাদের যেকোনো অন্যায্যতার বিরুদ্ধে তাঁকে নীরব পেয়েছি। ন্যায্যতার পক্ষে পাইনি।’
গত শনিবার (১৮ অক্টোবর) সন্ধ্যার দিকে রাজধানীর সোবহানবাগের একটি বাসা থেকে স্বর্ণময়ী বিশ্বাসের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঢাকা স্ট্রিম আত্মপ্রকাশের আগেই স্বর্ণময়ী প্রতিষ্ঠানটিতে যোগদান করেন। স্বর্ণময়ী মেধাবী আর্টিস্ট ছিলেন। তাঁর কাজ ছিল প্রশংসনীয়। সবার সঙ্গে স্বর্ণময়ীর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল।
অলিউর সান ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, আমি সৎ উদ্দেশ্যে বিবৃতিটিতে স্বাক্ষর করেছিলাম। … দুর্ভাগ্যজনকভাবে, সেই সৎ উদ্দেশ্যটা এখন নষ্ট হয়ে গেছে। যাঁরা এই স্বাক্ষর সংগ্রহের কাজটি করেছেন, তাঁরা এমন কিছু ব্যক্তিকে অন্তর্ভুক্ত করেছেন—যাঁরা ছাত্র হত্যাকাণ্ড এবং সদ্য পতিত সরকারের রাষ্ট্রীয় সহিংসতায় সমর্থন দিয়েছেন বা নীরব থেকে তাতে সহায়তা করেছেন। উল্লেখ্য, তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের বিরুদ্ধে আগে থেকেই যৌন হয়রানির অভিযোগও আছে, যেগুলো এখনও সঠিকভাবে নিষ্পত্তি হয়নি। এমন মানুষদের অন্তর্ভুক্তি আমার নৈতিক ও রাজনৈতিক অবস্থানের সঙ্গে সম্পূর্ণভাবে বিরোধী।
নাম প্রত্যাহার করা অন্যদের মধ্যে আছেন ঢাবি বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি নূজিয়া হাসিন রাশা, ঢাবি বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক সামি আব্দুল্লাহ্, গবেষক ও লেখক মাহতাব উদ্দীন আহমেদ, বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি দিলীপ রায়, অ্যাক্টিভিস্ট আফজাল হোসেন, সাহিত্য সমালোচক লাবণী মন্ডল, সাংবাদিক শাহেরীন আরাফাত।
গত মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এ বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সম্ভাবনাময় এক তরুণ সংবাদমাধ্যমকর্মীর অকাল, অনাকাঙ্ক্ষিত ও মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় আমরা গভীরভাবে শোকাহত, ব্যথিত ও ক্ষুব্ধ। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের আইনের আওতায় এনে বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছি।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যানুসারে, ঢাকা স্ট্রিমের বাংলা কনটেন্ট এডিটর আলতাফ শাহনেওয়াজের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি, অশোভন আচরণ ও মানসিক নিপীড়নের অভিযোগ এনে প্রতিষ্ঠানটির মানবসম্পদ বিভাগে লিখিত অভিযোগ করেছিলেন স্বর্ণময়ী বিশ্বাসসহ তাঁর ২৬ জন সহকর্মী। তাঁরা আলতাফ শাহনেওয়াজের বিরুদ্ধে আটটি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ উত্থাপন করেন, যা স্পষ্টতই গুরুতর অন্যায় ও নারীর প্রতি চরম অবমাননাকর আচরণ। অভিযোগকারীদের মধ্যে নয়জন নারী সাংবাদিকও ছিলেন, যাঁরা প্রত্যেকেই অভিযুক্ত ব্যক্তির আচরণের কারণে হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছেন।’
বিবৃতির শেষ দিকে তাঁরা যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্ত আলতাফ শাহনেওয়াজসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আইনের মুখোমুখি করা, ঢাকা স্ট্রিম কর্তৃপক্ষকে তদন্তের আওতায় আনা, কর্মক্ষেত্রে নারীদের নিরাপত্তা, সম্মান ও ন্যায্যতা নিশ্চিত করতে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ নীতিমালা কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা।
গত ১৩ জুলাই ঢাকা স্ট্রিমের বাংলা কনটেন্ট প্রধান আলতাফ শাহনেওয়াজকে নিয়ে প্রতিষ্ঠানের কিছু কর্মী লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগপত্রে ঢাকা স্ট্রিমের বিভিন্ন বিভাগের ২৮ জন কর্মী স্বাক্ষর করেন। তাদের মধ্যে ৭ জনের নির্দিষ্ট অভিযোগ ছিল, বাকিরা সেই অভিযোগের প্রতি সমর্থন জানান।
অভিযোগ পাওয়ার দিনই ঢাকা স্ট্রিম কর্তৃপক্ষ অভিযোগকারী সাতজন সহকর্মীর সঙ্গে পৃথকভাবে কথা বলে। পরে তাঁদের নিয়ে একটি বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে আলতাফ শাহনেওয়াজকে প্রতিষ্ঠান থেকে অব্যাহতি অথবা বার্তাকক্ষ থেকে প্রত্যাহারের দুটি বিকল্প নিয়ে আলোচনা হয়। অভিযোগকারী ৭ নারী সহকর্মী আলতাফ শাহনেওয়াজকে বার্তাকক্ষ থেকে সরিয়ে নেওয়া এবং তাঁর সঙ্গে তাঁদের সরাসরি যোগাযোগ না থাকা নিশ্চিত করার প্রস্তাব করেন। অভিযোগকারীদের পক্ষ থেকে এর বাইরে আর কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থার প্রস্তাব করা হয়নি।
প্রস্তাব অনুযায়ী, তাৎক্ষণিকভাবে আলতাফ শাহনেওয়াজকে বার্তাকক্ষ থেকে প্রত্যাহার করা হয়। একটি তদন্ত কমিটিও করা হয়। পরবর্তী তিন মাস শাহনেওয়াজকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। এই সময়ের মধ্যে আর কোনো নতুন অভিযোগ ওঠেনি। কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে সবাইকে উৎসাহিত করা হয়েছিল, যেন কোনো অসঙ্গতি দেখলে তা জানানো হয়। স্বর্ণময়ী বিশ্বাস ও অন্য নারী সহকর্মীদের মধ্যে কেউই এর মধ্যে নতুন কোনো অভিযোগ উত্থাপন করেননি।
আলতাফ শাহনেওয়াজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্তে গঠিত কমিটির সদস্য ছিলেন মরিয়ম আখতার সুমি (এক্সিকিউটিভ-এইচআর ও অ্যাডমিন) এবং পি. এম. সজল আহমেদ (হেড অব এইচআর)। প্রতিষ্ঠান তখন প্রস্তুতিমূলক পর্যায়ে থাকায় শ্রম আইন (সংশোধিত ২০২২)-এর শর্তগুলো সম্পূর্ণভাবে প্রতিপালন করে তদন্ত কমিটি গঠন করতে পারেনি। তবে অভিযোগকারীরা যেন সুবিচার পান সেটি নিশ্চিত করতে সামর্থ্য অনুযায়ী কোনো ত্রুটি রাখা হয়নি। উল্লেখ্য যে, ঢাকা স্ট্রিম গত ১২ আগস্ট, ২০২৫ তারিখে অনলাইন গণমাধ্যম হিসেবে সরকারি নিবন্ধন পায়।
ঢাকা স্ট্রিমের গ্রাফিক্স ডিজাইনার স্বর্ণময়ী বিশ্বাসের (২৮) মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত ও দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রের ২৪৩ জন নাগরিক বিবৃতি দিয়েছেন। তবে অন্তত ১৩ জন পরে তাঁদের নাম বিবৃতি থেকে প্রত্যাহার করেছেন।
প্রত্যাহারের কারণ হিসেবে তাঁরা বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিস্টের পক্ষে থাকা, গণঅভ্যুত্থান চলাকালে বিপুল মানুষ হত্যা, নাগরিক ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে চুপ থাকা ব্যক্তিরা এই বিবৃতিতে সই করেছেন। তবে দাবির বিষয়বস্তু নিয়ে তাঁরা পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করেছেন।
স্বর্ণময়ীর মৃত্যুর ঘটনার বিচার চেয়ে বিবৃতিতে যাঁরা সই করেছিলেন তাঁদের মধ্যে আছেন কবি নির্মলেন্দু গুণ, আইনজীবী জেড আই খান পান্না, ঢাবি অধ্যাপক ড. জোবাইদা নাসরীন, শিক্ষাবিদ ও অর্থনীতিবিদ আব্দুল বায়েস, ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, অধ্যাপক কাবেরী গায়েন, কথাশিল্পী পারভেজ হোসেন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন, অধ্যাপক আবু দায়েন, কথাসাহিত্যিক ও অনুবাদক অদিতি ফাল্গুনী, চলচ্চিত্র নির্মাতা দীপংকর দীপন, কথাসাহিত্যিক কুলদা রায়, কবি তুষার গায়েন, শিল্পী মহিতোষ তালুকদার তাপস, গবেষক নবনীতা চক্রবর্তী, লেখক ও গবেষক পাভেল পার্থ, কবি ও সাংবাদিক নওশাদ জামিল, সাংবাদিক তৈমুর ফারুক তুষার, কবি মামুন মুস্তফা, কবি লতিফ জোয়ার্দার, সাংবাদিক জয়ন্ত সাহা, কবি ও সাংবাদিক গিরিশ গৈরিক প্রমুখ। তাঁদের মধ্যে গল্পকার নাহার তৃণার নাম আছে দুইবার।
বিবৃতি থেকে নাম প্রত্যাহারকারীদের মধ্যে আছেন নারী অধিকারকর্মী মার্জিয়া প্রভা, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের শিক্ষক অলিউর সান, চলচ্চিত্র নির্মাতা ইমেল হক, বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তাওফিকা প্রিয়া, নৃবিজ্ঞানী ও চলচ্চিত্রকার রাফসান আহমেদ। তাঁরা সবাই ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে নাম প্রত্যাহারের বিষয়টি জানিয়েছেন।
এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে মার্জিয়া প্রভা লিখেছেন, এই বিবৃতির প্রথম বিবৃতিদাতা কবি নির্মলেন্দু গুণের সাথে আমি রাজনৈতিক সহাবস্থান করি না। তিনি রাজনৈতিক অবস্থানগত জায়গা থেকে আওয়ামী ফ্যাসিস্টের পক্ষে ছিলেন। গণঅভ্যুত্থানের সময়কালীন বিপুল পরিমাণ মানুষ হত্যা, নাগরিক ও মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং তারও আগে ডিএসএর মাধ্যমে বাকস্বাধীনতা হরণ- ফ্যাসিবাদের যেকোনো অন্যায্যতার বিরুদ্ধে তাঁকে নীরব পেয়েছি। ন্যায্যতার পক্ষে পাইনি।’
গত শনিবার (১৮ অক্টোবর) সন্ধ্যার দিকে রাজধানীর সোবহানবাগের একটি বাসা থেকে স্বর্ণময়ী বিশ্বাসের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঢাকা স্ট্রিম আত্মপ্রকাশের আগেই স্বর্ণময়ী প্রতিষ্ঠানটিতে যোগদান করেন। স্বর্ণময়ী মেধাবী আর্টিস্ট ছিলেন। তাঁর কাজ ছিল প্রশংসনীয়। সবার সঙ্গে স্বর্ণময়ীর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল।
অলিউর সান ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, আমি সৎ উদ্দেশ্যে বিবৃতিটিতে স্বাক্ষর করেছিলাম। … দুর্ভাগ্যজনকভাবে, সেই সৎ উদ্দেশ্যটা এখন নষ্ট হয়ে গেছে। যাঁরা এই স্বাক্ষর সংগ্রহের কাজটি করেছেন, তাঁরা এমন কিছু ব্যক্তিকে অন্তর্ভুক্ত করেছেন—যাঁরা ছাত্র হত্যাকাণ্ড এবং সদ্য পতিত সরকারের রাষ্ট্রীয় সহিংসতায় সমর্থন দিয়েছেন বা নীরব থেকে তাতে সহায়তা করেছেন। উল্লেখ্য, তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের বিরুদ্ধে আগে থেকেই যৌন হয়রানির অভিযোগও আছে, যেগুলো এখনও সঠিকভাবে নিষ্পত্তি হয়নি। এমন মানুষদের অন্তর্ভুক্তি আমার নৈতিক ও রাজনৈতিক অবস্থানের সঙ্গে সম্পূর্ণভাবে বিরোধী।
নাম প্রত্যাহার করা অন্যদের মধ্যে আছেন ঢাবি বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি নূজিয়া হাসিন রাশা, ঢাবি বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক সামি আব্দুল্লাহ্, গবেষক ও লেখক মাহতাব উদ্দীন আহমেদ, বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি দিলীপ রায়, অ্যাক্টিভিস্ট আফজাল হোসেন, সাহিত্য সমালোচক লাবণী মন্ডল, সাংবাদিক শাহেরীন আরাফাত।
গত মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এ বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সম্ভাবনাময় এক তরুণ সংবাদমাধ্যমকর্মীর অকাল, অনাকাঙ্ক্ষিত ও মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় আমরা গভীরভাবে শোকাহত, ব্যথিত ও ক্ষুব্ধ। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের আইনের আওতায় এনে বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছি।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যানুসারে, ঢাকা স্ট্রিমের বাংলা কনটেন্ট এডিটর আলতাফ শাহনেওয়াজের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি, অশোভন আচরণ ও মানসিক নিপীড়নের অভিযোগ এনে প্রতিষ্ঠানটির মানবসম্পদ বিভাগে লিখিত অভিযোগ করেছিলেন স্বর্ণময়ী বিশ্বাসসহ তাঁর ২৬ জন সহকর্মী। তাঁরা আলতাফ শাহনেওয়াজের বিরুদ্ধে আটটি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ উত্থাপন করেন, যা স্পষ্টতই গুরুতর অন্যায় ও নারীর প্রতি চরম অবমাননাকর আচরণ। অভিযোগকারীদের মধ্যে নয়জন নারী সাংবাদিকও ছিলেন, যাঁরা প্রত্যেকেই অভিযুক্ত ব্যক্তির আচরণের কারণে হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছেন।’
বিবৃতির শেষ দিকে তাঁরা যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্ত আলতাফ শাহনেওয়াজসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আইনের মুখোমুখি করা, ঢাকা স্ট্রিম কর্তৃপক্ষকে তদন্তের আওতায় আনা, কর্মক্ষেত্রে নারীদের নিরাপত্তা, সম্মান ও ন্যায্যতা নিশ্চিত করতে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ নীতিমালা কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা।
গত ১৩ জুলাই ঢাকা স্ট্রিমের বাংলা কনটেন্ট প্রধান আলতাফ শাহনেওয়াজকে নিয়ে প্রতিষ্ঠানের কিছু কর্মী লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগপত্রে ঢাকা স্ট্রিমের বিভিন্ন বিভাগের ২৮ জন কর্মী স্বাক্ষর করেন। তাদের মধ্যে ৭ জনের নির্দিষ্ট অভিযোগ ছিল, বাকিরা সেই অভিযোগের প্রতি সমর্থন জানান।
অভিযোগ পাওয়ার দিনই ঢাকা স্ট্রিম কর্তৃপক্ষ অভিযোগকারী সাতজন সহকর্মীর সঙ্গে পৃথকভাবে কথা বলে। পরে তাঁদের নিয়ে একটি বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে আলতাফ শাহনেওয়াজকে প্রতিষ্ঠান থেকে অব্যাহতি অথবা বার্তাকক্ষ থেকে প্রত্যাহারের দুটি বিকল্প নিয়ে আলোচনা হয়। অভিযোগকারী ৭ নারী সহকর্মী আলতাফ শাহনেওয়াজকে বার্তাকক্ষ থেকে সরিয়ে নেওয়া এবং তাঁর সঙ্গে তাঁদের সরাসরি যোগাযোগ না থাকা নিশ্চিত করার প্রস্তাব করেন। অভিযোগকারীদের পক্ষ থেকে এর বাইরে আর কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থার প্রস্তাব করা হয়নি।
প্রস্তাব অনুযায়ী, তাৎক্ষণিকভাবে আলতাফ শাহনেওয়াজকে বার্তাকক্ষ থেকে প্রত্যাহার করা হয়। একটি তদন্ত কমিটিও করা হয়। পরবর্তী তিন মাস শাহনেওয়াজকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। এই সময়ের মধ্যে আর কোনো নতুন অভিযোগ ওঠেনি। কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে সবাইকে উৎসাহিত করা হয়েছিল, যেন কোনো অসঙ্গতি দেখলে তা জানানো হয়। স্বর্ণময়ী বিশ্বাস ও অন্য নারী সহকর্মীদের মধ্যে কেউই এর মধ্যে নতুন কোনো অভিযোগ উত্থাপন করেননি।
আলতাফ শাহনেওয়াজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্তে গঠিত কমিটির সদস্য ছিলেন মরিয়ম আখতার সুমি (এক্সিকিউটিভ-এইচআর ও অ্যাডমিন) এবং পি. এম. সজল আহমেদ (হেড অব এইচআর)। প্রতিষ্ঠান তখন প্রস্তুতিমূলক পর্যায়ে থাকায় শ্রম আইন (সংশোধিত ২০২২)-এর শর্তগুলো সম্পূর্ণভাবে প্রতিপালন করে তদন্ত কমিটি গঠন করতে পারেনি। তবে অভিযোগকারীরা যেন সুবিচার পান সেটি নিশ্চিত করতে সামর্থ্য অনুযায়ী কোনো ত্রুটি রাখা হয়নি। উল্লেখ্য যে, ঢাকা স্ট্রিম গত ১২ আগস্ট, ২০২৫ তারিখে অনলাইন গণমাধ্যম হিসেবে সরকারি নিবন্ধন পায়।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের করা ট্রানজিট ও ট্রান্সশিপমেন্টসহ কী কী চুক্তি হয়েছে, এ সংক্রান্ত তথ্য জনসম্মুখে প্রকাশের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন হয়েছে।
৩৫ মিনিট আগে‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ বাস্তবায়নের আইনগত ও পদ্ধতিগত সুপারিশ চূড়ান্ত করতে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আবারও বৈঠকে বসেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। কমিশন আশা প্রকাশ করেছে, খুব শিগগিরই এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট ও পূর্ণাঙ্গ সুপারিশ সরকারের কাছে জমা দেওয়া সম্ভব হবে।
১ ঘণ্টা আগেআইনজীবী শিশির মনির বলেন, এতদিন পরে এসে আজও সবাই মনে করছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করলেই বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব। যে প্রক্রিয়ায় এই তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাদ দেওয়া হয়েছে, তা ছিল পূর্বপরিকল্পিত নকশার আলোকে।
১ ঘণ্টা আগেরাজধানীর মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নামে এক যুবক নিহতের ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। এ ছাড়া, মোহাম্মদপুরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে আরও ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে