স্ট্রিম ডেস্ক
শতাব্দীকা ঊর্মি
অনেক মানুষ জন্মান, বেঁচে থাকেন এবং হারিয়ে যান। কেউ কেউ থেকে যান বইয়ের পাতায়, কেউ মনের ভেতর। দ্বিজেন্দ্রলাল রায় ঠিক শেষ দলটার মানুষ। তিনি গান লিখতেন। নাটক লিখতেন। রাজনীতি করতেন। কিন্তু এই সবকিছুর মধ্যে সবচেয়ে বড় পরিচয়- তিনি ছিলেন একজন স্বপ্নবান মানুষ। তীব্রভাবে দেশপ্রেমিক। তীব্রভাবে মানবিক। গানে গানে, নাটকে নাটকে, ইতিহাসের ছায়ায় তিনি যেন বলতেন- এই দেশটা আমাদের, ভালোবাসো একে।
দ্বিজেন্দ্রলালের জন্ম কৃষ্ণনগরে, জমিদার পরিবারে। কিন্তু তাঁর মন ছিল একেবারে সাধারণ মানুষের দিকে। ইংল্যান্ডে পড়তে গিয়ে দেশকে নতুন করে আবিষ্কার করলেন। বুঝলেন, এই মাটি, এই ভাষা, এই গান- সবকিছু অনেক দামি।
‘ধন ধান্য পুষ্পে ভরা’ গানটা কে না জানে? ছোটবেলায় আমরা মুখস্থ করতাম, ভাবতাম একটা সুন্দর গানের মতো। কিন্তু বড় হয়ে বুঝি- এই গান মুলত একটা গর্জন। একটা ভালোবাসা। এক আত্মপরিচয়।
দ্বিজেন্দ্রলালের নাটকগুলোকে কেউ কেউ বলেন ‘ইতিহাসনির্ভর’। কিন্তু আসলে ওগুলো আমাদের সময়ের গল্প। 'শাহজাহান' নাটকে রাজা কাঁদেন। কেন? কারণ রাজত্ব থাকলেও, ভালোবাসা না থাকলে মানুষ খুব একা হয়ে যায়।
তাঁর গান শুধু ভালোবাসা, ব্যঙ্গ কিংবা দর্শন নয়- সেখানে রাজনীতি আছে। প্রতিবাদ আছে। 'ভিক্ষা চাই না স্বরাজ চাই'- এই লাইনটা শুনলেই শরীরে কাঁটা দেয়। এটা কোনো রাজনৈতিক মিটিংয়ের স্লোগান নয়, এটা এক গানের কথা। কী আশ্চর্য!
দ্বিজেন্দ্রলালের মধ্যে একটা দ্বৈততা ছিল। তিনি আধুনিক ছিলেন, পাশ্চাত্য শিক্ষা নিয়েছেন। কিন্তু সংস্কৃতির জায়গায় ছিলেন দারুণ রক্ষণশীল। তিনি চেয়েছেন, আমাদের গান, আমাদের নাটক, আমাদের কথা- এসব যেন আমাদের মতো করেই থাকে। বাইরে থেকে কিছু এনে ঢুকিয়ে না দেওয়া হয়।
মাত্র ৫০ বছর বয়সে চলে গেলেন তিনি। শেষ নাটক ‘শাহজাহান’ শেষ করেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। যেন নাটক লিখতে লিখতেই বিদায় নিচ্ছেন। হয়তো তিনি জানতেন, তাঁর কাজ শেষ। আমাদের জাগানোর জন্য তিনি যা করার, করে গেছেন।
আজকে আমরা অনেক কিছু হারিয়ে ফেলেছি। দেশের প্রতি ভালোবাসা, নিজেদের প্রতি আস্থা, ইতিহাস জানার ইচ্ছে। এই জায়গাগুলোতে আবার আলো ফেলতে পারে একজন দ্বিজেন্দ্রলাল। তাঁর গান, তাঁর নাটক, তাঁর কণ্ঠ- আজও দরকার।
দ্বিজেন্দ্রলাল কোনো বর্গের মানুষ ছিলেন না। তিনি ছিলেন এক বাঙালির আত্মঘোষণা। তাঁকে মনে রাখা মানে, নিজেদের ইতিহাসকে ভালোবাসা। নিজেদের গান গাওয়া। নিজেদের প্রতিবাদে জোর দেওয়া।
তিনি ছিলেন, আছেন, থাকবেন আমাদের মনে। গান হয়ে, স্বপ্ন হয়ে, বজ্রকণ্ঠ হয়ে।
শতাব্দীকা ঊর্মি
অনেক মানুষ জন্মান, বেঁচে থাকেন এবং হারিয়ে যান। কেউ কেউ থেকে যান বইয়ের পাতায়, কেউ মনের ভেতর। দ্বিজেন্দ্রলাল রায় ঠিক শেষ দলটার মানুষ। তিনি গান লিখতেন। নাটক লিখতেন। রাজনীতি করতেন। কিন্তু এই সবকিছুর মধ্যে সবচেয়ে বড় পরিচয়- তিনি ছিলেন একজন স্বপ্নবান মানুষ। তীব্রভাবে দেশপ্রেমিক। তীব্রভাবে মানবিক। গানে গানে, নাটকে নাটকে, ইতিহাসের ছায়ায় তিনি যেন বলতেন- এই দেশটা আমাদের, ভালোবাসো একে।
দ্বিজেন্দ্রলালের জন্ম কৃষ্ণনগরে, জমিদার পরিবারে। কিন্তু তাঁর মন ছিল একেবারে সাধারণ মানুষের দিকে। ইংল্যান্ডে পড়তে গিয়ে দেশকে নতুন করে আবিষ্কার করলেন। বুঝলেন, এই মাটি, এই ভাষা, এই গান- সবকিছু অনেক দামি।
‘ধন ধান্য পুষ্পে ভরা’ গানটা কে না জানে? ছোটবেলায় আমরা মুখস্থ করতাম, ভাবতাম একটা সুন্দর গানের মতো। কিন্তু বড় হয়ে বুঝি- এই গান মুলত একটা গর্জন। একটা ভালোবাসা। এক আত্মপরিচয়।
দ্বিজেন্দ্রলালের নাটকগুলোকে কেউ কেউ বলেন ‘ইতিহাসনির্ভর’। কিন্তু আসলে ওগুলো আমাদের সময়ের গল্প। 'শাহজাহান' নাটকে রাজা কাঁদেন। কেন? কারণ রাজত্ব থাকলেও, ভালোবাসা না থাকলে মানুষ খুব একা হয়ে যায়।
তাঁর গান শুধু ভালোবাসা, ব্যঙ্গ কিংবা দর্শন নয়- সেখানে রাজনীতি আছে। প্রতিবাদ আছে। 'ভিক্ষা চাই না স্বরাজ চাই'- এই লাইনটা শুনলেই শরীরে কাঁটা দেয়। এটা কোনো রাজনৈতিক মিটিংয়ের স্লোগান নয়, এটা এক গানের কথা। কী আশ্চর্য!
দ্বিজেন্দ্রলালের মধ্যে একটা দ্বৈততা ছিল। তিনি আধুনিক ছিলেন, পাশ্চাত্য শিক্ষা নিয়েছেন। কিন্তু সংস্কৃতির জায়গায় ছিলেন দারুণ রক্ষণশীল। তিনি চেয়েছেন, আমাদের গান, আমাদের নাটক, আমাদের কথা- এসব যেন আমাদের মতো করেই থাকে। বাইরে থেকে কিছু এনে ঢুকিয়ে না দেওয়া হয়।
মাত্র ৫০ বছর বয়সে চলে গেলেন তিনি। শেষ নাটক ‘শাহজাহান’ শেষ করেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। যেন নাটক লিখতে লিখতেই বিদায় নিচ্ছেন। হয়তো তিনি জানতেন, তাঁর কাজ শেষ। আমাদের জাগানোর জন্য তিনি যা করার, করে গেছেন।
আজকে আমরা অনেক কিছু হারিয়ে ফেলেছি। দেশের প্রতি ভালোবাসা, নিজেদের প্রতি আস্থা, ইতিহাস জানার ইচ্ছে। এই জায়গাগুলোতে আবার আলো ফেলতে পারে একজন দ্বিজেন্দ্রলাল। তাঁর গান, তাঁর নাটক, তাঁর কণ্ঠ- আজও দরকার।
দ্বিজেন্দ্রলাল কোনো বর্গের মানুষ ছিলেন না। তিনি ছিলেন এক বাঙালির আত্মঘোষণা। তাঁকে মনে রাখা মানে, নিজেদের ইতিহাসকে ভালোবাসা। নিজেদের গান গাওয়া। নিজেদের প্রতিবাদে জোর দেওয়া।
তিনি ছিলেন, আছেন, থাকবেন আমাদের মনে। গান হয়ে, স্বপ্ন হয়ে, বজ্রকণ্ঠ হয়ে।
আজ ক্ষণজন্মা চলচ্চিত্রকার ঋতুপর্ণ ঘোষের মৃত্যুদিন। বাংলা চলচ্চিত্রকে নতুন এক উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছিলেন তিনি। কেমন ছিল তাঁর সিনেমা-দর্শন। লিখেছেন গৌতম কে শুভ বাংলা সিনেমার ইতিহাস লিখতে বসলে যাঁর নাম না লিখে উপায় নেই, তিনি ঋতুপর্ণ ঘোষ। তিনি এমন কিছু গল্প পর্দায় তুলে এনেছেন, যা মানুষকে ভাবতে
০৭ জুন ২০২৫ঢাকা শহরের যানজট, বৃষ্টি আর রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে নগরবাসীর জন্য একমাত্র ভরসা হয়ে উঠেছে মেট্রোরেল। যদিও এটি স্বস্তির একটি বিকল্প, তবু বাড়তি চাপ, সীমিত ফ্রিকোয়েন্সি আর যান্ত্রিক সমস্যার কারণে অনেক সময় সেই স্বস্তি রূপ নেয় নতুন দুর্ভোগে। এই নির্ভরতাই যেন কখনো কখনো পরিণত হয় একধরনের অসহায়ত্বে।
০৭ জুন ২০২৫বৃষ্টি কি সত্যিই শুধু আবহাওয়া-বিষয়ক কিছু, নাকি আমাদের সেই সব অনুচ্চারিত অভিমান, যেগুলো বের হতে না পেরে জমে আছে মেঘ হয়ে? আজকের বৃষ্টির ঠিক পরপর লিখেছেন শতাব্দীকা ঊর্মি বৃষ্টি নামে। ধীরে ধীরে, কিংবা হঠাৎ। জানালার কাচ বেয়ে গড়িয়ে পড়ে একেকটি ফোঁটা, যেন বিষণ্ন কোনো চিঠির অক্ষর। শহরের ব্যস্ত সড়কও
০৭ জুন ২০২৫ভাষার অধিকারের জন্য রক্ত দিতে হয়েছিল কেবল ঢাকায় নয়, শিলচরেও। ১৯৬১ সালের (১৯ মে) আজকের দিনে আসামের বরাক উপত্যকার বাঙালিরা অসমিয়া ভাষা চাপিয়ে দেওয়ার বিরুদ্ধে রেললাইন অবরোধ করলে পুলিশের গুলিতে নিহত হন ১১ জন। এই আন্দোলন ছিল শুধু ভাষার জন্য নয়—ছিল জাতিগত বৈষম্য ও রাষ্ট্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে এক
০৭ জুন ২০২৫