১৯৪৬ সালের ৫ জুলাই। এই দিনেই প্রথমবার জনসমক্ষে দেখা গিয়েছিল বিকিনি পরা কোনো নারীকে। তখনকার দিনে এটা যেন ছিল ফ্যাশন-বোমা। কেন এই পোশাকের নাম হলো বিকিনি? এটি তৈরির পেছনের ইতিহাসই–বা কেমন? জানাচ্ছেন তামান্না আনজুম
স্ট্রিম ডেস্ক
যদি বলা হয়, বিকিনি আবিষ্কার করেছিলেন একজন প্রকৌশলী! বিশ্বাস করবেন? ঘটনাটি একদম সত্যি। ফরাসি প্রকৌশলী লুই রেয়ার্দ ছোট্ট এক সাঁতার-পোশাককে ‘বিকিনি’বানিয়ে বদলে দিয়েছিলেন বিশ শতকের ফ্যাশনে নারীর ভাষা আর চিন্তাভাবনা।
আর এই ইতিহাসের দিনটা ঠিক আজই—৫ জুলাই। ১৯৪৬ সালে এই দিনেই প্রথমবার জনসমক্ষে দেখা গিয়েছিল বিকিনি পরা কোনো নারীকে। তখনকার দিনে এটা ছিল যেন এক ফ্যাশন-বোমা। এই পোশাক নিয়ে তর্ক-বিতর্ক এতটাই ছিল যে তখন বিভিন্ন দেশে এটাকে নিষিদ্ধও করা হয়।
'বিকিনি' নামটাও এমনি এমনি আসেনি। তখন প্রশান্ত মহাসাগরের ‘বিকিনি অ্যাটল’ দ্বীপে পারমাণবিক বোমার বিস্ফোরণের পরীক্ষা চলছিল। প্রকৌশলী রেয়ার্দ চেয়েছিলেন, বিকিনিও যেন পোশাক নিয়ে সব গোঁড়ামির বিস্ফোরণ ঘটায়। তাই সেই পারমাণবিক পরীক্ষার স্থানকেই বেছে নিয়েছিলেন এই পোশাকের নাম হিসেবে।
রেয়ার্দ মোটরগাড়ির প্রকৌশলী হলেও সময় দিতেন নিজেদের পারিবারিক ব্যবসায়। তাঁদের ছিল অন্তর্বাসের দোকান। তিনি দেখেছিলেন, নারীরা আরামদায়ক সাঁতারের পোশাক চাচ্ছেন। যেটা গায়ে দিয়ে সমুদ্রসৈকতে শুয়ে রোদ পোহানো যাবে। তখনকার সময়ে সাঁতারের পোশাকগুলো ছিল ভারী আর লম্বা। সেটা গায়ে দিলে গলা থেকে গোড়ালি পর্যন্ত ঢাকা থাকত। ফলে পোশাকটি পানিতে ভিজে শরীরের সঙ্গে লেগে যেত, যা ছিল বেশ অস্বস্তিকর। তাই তিনি চারটি ছোট ত্রিভুজ আকৃতির কাপড় দিয়ে বানালেন আমারদায়ক এই পোশাক—বিকিনি।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় কাপড়ের ঘাটতি তৈরি হওয়ায় ছোট পোশাকের চাহিদা বেড়ে যায়। এই সুযোগেই বড় পরিসরে বাজারে আসে রেয়ার্দের বিকিনি। তবে রেয়ার্দের প্রতিদ্বন্দ্বীও ছিল। জ্যাক হেইম বানিয়েছিলেন ‘আটোম’ নামের বিশেষ এক ধরনের পোশাক। এরপর রেয়ার্দ বিকিনিকে আরও ছোট করে ফেলেছিলেন।
এরপর থেকে বিকিনির যাত্রা আর থেমে থাকেনি। কিন্তু দশকে দশকে ফ্যাশনের চাহিদা অনুযায়ী এই পোশাকে এসেছে নানান পরিবর্তন। যেমন গেল শতকের আশির দশকে ট্রিকিনি, নব্বই দশকের স্পোর্টস বিকিনি, কিংবা হাই-ওয়েস্ট ডিজাইনের বিকিনি। এভাবেই যেটা একসময় ছিল সমাজের চোখে লজ্জার প্রতীক, আজ পশ্চিমা দেশে সেটাই হয়ে দাঁড়িয়েছে স্বাচ্ছন্দ্য আর ফ্যাশনের প্রতীক।
চমকপ্রদ ব্যাপার হলো, রেয়ার্দের তৈরি করা এই পোশাক পরতে প্রথম দিকে কেউ সাহস পাচ্ছিলেন না। একের পর এক মডেল ফিরিয়ে দিচ্ছিলেন রেয়ার্দের প্রস্তাব। ঠিক সেই সময় এগিয়ে এলেন ১৯ বছর বয়সী এক ক্যাবারে ড্যান্সার মিশেলিন বারনারদিনি। অবশেষে ১৯৪৬ সালের ৫ জুলাই প্যারিসের পিসিন মলিতর সুইমিং পুলে সাংবাদিকদের ক্যামেরার সামনে বিকিনি পরে হাজির হয়েছিলেন তিনি। আর এভাবেই পোশাকের ইতিহাসে লেখা হলো বিকিনির নাম।
প্রথম তৈরি করা বিকিনি এতই ছোট ছিল যে রেয়ার্দ সেটাকে ছোট্ট একটা বাক্সে ভরে এনেছিলেন। পরে সাংবাদিকরা যখন সেই ছবি ছাপালেন, তা যেন মুহূর্তেই আগুনের মতো ছড়িয়ে পড়ল চারদিকে। এক বছরের মধ্যেই মিশেলিন বারনারদিনির নামে চলে এল ৫০ হাজারেরও বেশি প্রেমপত্র! এ সময় কেউ কেউ বললেন, ‘চারটে ত্রিভুজের মতো এত ছোট কাপড় কেন?’ কেউ আবার এমন কথা বলেও উপহাস করলেন যে ‘এই পোশাক যুদ্ধের পর শরীরে ঝুলে থাকা শেষ টুকরো।’ বিকিনি নিয়ে শুরু হলো নানান কথা।
এসবের মধ্যেই স্পেন, ইতালি, বেলজিয়াম, অস্ট্রেলিয়াসহ অনেক দেশেই নিষিদ্ধ হয়ে গেল পোশাকটি। ভ্যাটিকান সিটি তো সোজা বলে দিয়েছিল, ‘বিকিনি পরা পাপ।’ এমনকি ১৯৫১ সালে মিস ওয়ার্ল্ড বিজয়ী কিকি হ্যাকানসন যখন বিকিনি পরে মঞ্চে উঠলেন, তখন সেটা নিয়েও চলল তুমুল সমালোচনা।
কিন্তু ততদিনে ইতিহাস নিজের গতিতে এগিয়ে গেছে আর বিকিনি বদলে দিয়েছে ফ্যাশনের নিয়ম কানুন।
যদি বলা হয়, বিকিনি আবিষ্কার করেছিলেন একজন প্রকৌশলী! বিশ্বাস করবেন? ঘটনাটি একদম সত্যি। ফরাসি প্রকৌশলী লুই রেয়ার্দ ছোট্ট এক সাঁতার-পোশাককে ‘বিকিনি’বানিয়ে বদলে দিয়েছিলেন বিশ শতকের ফ্যাশনে নারীর ভাষা আর চিন্তাভাবনা।
আর এই ইতিহাসের দিনটা ঠিক আজই—৫ জুলাই। ১৯৪৬ সালে এই দিনেই প্রথমবার জনসমক্ষে দেখা গিয়েছিল বিকিনি পরা কোনো নারীকে। তখনকার দিনে এটা ছিল যেন এক ফ্যাশন-বোমা। এই পোশাক নিয়ে তর্ক-বিতর্ক এতটাই ছিল যে তখন বিভিন্ন দেশে এটাকে নিষিদ্ধও করা হয়।
'বিকিনি' নামটাও এমনি এমনি আসেনি। তখন প্রশান্ত মহাসাগরের ‘বিকিনি অ্যাটল’ দ্বীপে পারমাণবিক বোমার বিস্ফোরণের পরীক্ষা চলছিল। প্রকৌশলী রেয়ার্দ চেয়েছিলেন, বিকিনিও যেন পোশাক নিয়ে সব গোঁড়ামির বিস্ফোরণ ঘটায়। তাই সেই পারমাণবিক পরীক্ষার স্থানকেই বেছে নিয়েছিলেন এই পোশাকের নাম হিসেবে।
রেয়ার্দ মোটরগাড়ির প্রকৌশলী হলেও সময় দিতেন নিজেদের পারিবারিক ব্যবসায়। তাঁদের ছিল অন্তর্বাসের দোকান। তিনি দেখেছিলেন, নারীরা আরামদায়ক সাঁতারের পোশাক চাচ্ছেন। যেটা গায়ে দিয়ে সমুদ্রসৈকতে শুয়ে রোদ পোহানো যাবে। তখনকার সময়ে সাঁতারের পোশাকগুলো ছিল ভারী আর লম্বা। সেটা গায়ে দিলে গলা থেকে গোড়ালি পর্যন্ত ঢাকা থাকত। ফলে পোশাকটি পানিতে ভিজে শরীরের সঙ্গে লেগে যেত, যা ছিল বেশ অস্বস্তিকর। তাই তিনি চারটি ছোট ত্রিভুজ আকৃতির কাপড় দিয়ে বানালেন আমারদায়ক এই পোশাক—বিকিনি।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় কাপড়ের ঘাটতি তৈরি হওয়ায় ছোট পোশাকের চাহিদা বেড়ে যায়। এই সুযোগেই বড় পরিসরে বাজারে আসে রেয়ার্দের বিকিনি। তবে রেয়ার্দের প্রতিদ্বন্দ্বীও ছিল। জ্যাক হেইম বানিয়েছিলেন ‘আটোম’ নামের বিশেষ এক ধরনের পোশাক। এরপর রেয়ার্দ বিকিনিকে আরও ছোট করে ফেলেছিলেন।
এরপর থেকে বিকিনির যাত্রা আর থেমে থাকেনি। কিন্তু দশকে দশকে ফ্যাশনের চাহিদা অনুযায়ী এই পোশাকে এসেছে নানান পরিবর্তন। যেমন গেল শতকের আশির দশকে ট্রিকিনি, নব্বই দশকের স্পোর্টস বিকিনি, কিংবা হাই-ওয়েস্ট ডিজাইনের বিকিনি। এভাবেই যেটা একসময় ছিল সমাজের চোখে লজ্জার প্রতীক, আজ পশ্চিমা দেশে সেটাই হয়ে দাঁড়িয়েছে স্বাচ্ছন্দ্য আর ফ্যাশনের প্রতীক।
চমকপ্রদ ব্যাপার হলো, রেয়ার্দের তৈরি করা এই পোশাক পরতে প্রথম দিকে কেউ সাহস পাচ্ছিলেন না। একের পর এক মডেল ফিরিয়ে দিচ্ছিলেন রেয়ার্দের প্রস্তাব। ঠিক সেই সময় এগিয়ে এলেন ১৯ বছর বয়সী এক ক্যাবারে ড্যান্সার মিশেলিন বারনারদিনি। অবশেষে ১৯৪৬ সালের ৫ জুলাই প্যারিসের পিসিন মলিতর সুইমিং পুলে সাংবাদিকদের ক্যামেরার সামনে বিকিনি পরে হাজির হয়েছিলেন তিনি। আর এভাবেই পোশাকের ইতিহাসে লেখা হলো বিকিনির নাম।
প্রথম তৈরি করা বিকিনি এতই ছোট ছিল যে রেয়ার্দ সেটাকে ছোট্ট একটা বাক্সে ভরে এনেছিলেন। পরে সাংবাদিকরা যখন সেই ছবি ছাপালেন, তা যেন মুহূর্তেই আগুনের মতো ছড়িয়ে পড়ল চারদিকে। এক বছরের মধ্যেই মিশেলিন বারনারদিনির নামে চলে এল ৫০ হাজারেরও বেশি প্রেমপত্র! এ সময় কেউ কেউ বললেন, ‘চারটে ত্রিভুজের মতো এত ছোট কাপড় কেন?’ কেউ আবার এমন কথা বলেও উপহাস করলেন যে ‘এই পোশাক যুদ্ধের পর শরীরে ঝুলে থাকা শেষ টুকরো।’ বিকিনি নিয়ে শুরু হলো নানান কথা।
এসবের মধ্যেই স্পেন, ইতালি, বেলজিয়াম, অস্ট্রেলিয়াসহ অনেক দেশেই নিষিদ্ধ হয়ে গেল পোশাকটি। ভ্যাটিকান সিটি তো সোজা বলে দিয়েছিল, ‘বিকিনি পরা পাপ।’ এমনকি ১৯৫১ সালে মিস ওয়ার্ল্ড বিজয়ী কিকি হ্যাকানসন যখন বিকিনি পরে মঞ্চে উঠলেন, তখন সেটা নিয়েও চলল তুমুল সমালোচনা।
কিন্তু ততদিনে ইতিহাস নিজের গতিতে এগিয়ে গেছে আর বিকিনি বদলে দিয়েছে ফ্যাশনের নিয়ম কানুন।
গতকাল ছিল কলকাতার বিখ্যাত বাংলা ব্যান্ড মহীনের ঘোড়াগুলির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য তাপস বাপী দাসের জন্মদিন। ১৯৫৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর কলকাতায় জন্মানো এই শিল্পীর পূর্বপুরুষের ভিটা ছিল বাংলাদেশে। এ দেশে গান গাইতে আসার প্রবল ইচ্ছা ছিল তাঁর। ২০২৩ সালে মারা যাওয়ায় এ ইচ্ছা তাঁর পূরণ হয়নি।
৪ ঘণ্টা আগেনেরুদার আত্মজীবনী প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৭৪ সালে। আর ধর্ষণ-সংক্রান্ত আলাপটি আসে বিশ্বব্যাপী হ্যাশট্যাগ মিটু আন্দোলন জনপ্রিয় হওয়ার পর। এর আগে মূলত আলোচিত হতো তাঁর রহস্যময় মৃত্যু, যা অনেকের মতেই আসলে ছিল একটি রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড।
৯ ঘণ্টা আগেগথাম সিটি এক অদ্ভুত নগর। এখানে আকাশচুম্বী অট্টালিকা যেমন রাত্রির আঁধারে আলো ঝলমল করিয়া ওঠে, তেমনি অলিগলিতে অন্ধকারের ঘন কুয়াশা কখনো কাটে না। এ শহরের নায়ক ব্যাটম্যান, খলনায়ক জোকার। তাঁরা একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াই করেন; কিন্তু গথামের মানুষের আরেক বিশেষ দুর্ভোগের নাম কমিশনার পুত্র।
১২ ঘণ্টা আগেআজ ২২শে সেপ্টেম্বর। বিশ্ব ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবস। চলুন আজ এই দিবসের অজুহাতে একটু কল্পনা করা যাক, পৃথিবীতে ব্যক্তিগত গাড়ি নামক বস্তুটি না থাকলে কেমন হতো আমাদের শহর, আমাদের পৃথিবী?
১ দিন আগে