.png)
পাকিস্তানি স্বৈরশাসকদের বিরুদ্ধে মেটিকুলাস ডিজাইন করে আগরতলা ষড়যন্ত্র, ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান, আর একাত্তরের মার্চ মাসে অসহযোগ আন্দোলন ও বাঙালি-বিহারি দাঙ্গা সঠিক হতে পারলে চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান মেটিকুলাস ডিজাইন হলে সমস্যা কোথায়?

স্ট্রিম প্রতিবেদক

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম অংশ ‘অবশ্যই মেটিকুলাসলি ডিজাইনড’ এবং এর পরের অংশের কৃতিত্ব বিপ্লবী ছাত্র-জনতার বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।
শুক্রবার (৪ জুলাই) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টে দেওয়া পোস্টে তিনি এ কথা বলেন।
পোস্টের শুরুতেই মাহফুজ আলম প্রশ্ন ছুড়েছেন— ‘মেটিকুলাস ডিজাইনে সমস্যা কোথায়?’ তিনি লিখেছেন, ‘পাকিস্তানি স্বৈরশাসকদের বিরুদ্ধে মেটিকুলাস ডিজাইন করে আগরতলা ষড়যন্ত্র, ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান, আর একাত্তরের মার্চ মাসে অসহযোগ আন্দোলন ও বাঙালি-বিহারি দাঙ্গা সঠিক হতে পারলে চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান মেটিকুলাস ডিজাইন হলে সমস্যা কোথায়?’
গত বছরের জুলাই মাসে কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে গড়ে ওঠা গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। দেশ ছাড়েন তখনকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জুলাই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লিয়াজোঁ কমিটির সম্বয়য়ক ছিলেন মাহফুজ আলম।
অভ্যুত্থানের নেতৃত্বের দিকনির্দেশনা এবং সুনির্দিষ্ট বক্তব্য না থাকলে এ বিপ্লবী জনতা পরের অংশে লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারত না। শুক্রবার দিবাগত রাত (২ আগস্ট) এ অভ্যুত্থান বেহাত হয়ে সামরিক অভ্যুত্থানের দিকে মোড় নেওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। তা ঠেকাতে পেরেছিল অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব। মাহফুজ আলম, তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা
মাহফুজ আলম তাঁর পোস্টে লিখেছেন, ‘দুনিয়ার কোন অভ্যুত্থান বা বিপ্লব পরিকল্পনা না করে হয়েছে? জনগণের চৈতন্যকে ঐক্যবদ্ধ ও লক্ষ্যাভিমুখী রাখতে মেটিকুলাস ডিজাইনের বিকল্প নেই। যখন জনগণ নেতৃত্ব ও বক্তব্য পেয়ে যাবে এবং বিপ্লবের অবজেক্টিভ কন্ডিশন প্রস্তুত, তখন আর প্ল্যানের দরকার পড়ে না। কিন্তু, তার আগে রাজনৈতিকভাবে জনগণকে প্রস্তুত এবং বিপ্লবী করে তোলা মেটিকুলাস ডিজাইন হলে সমস্যা কোথায়?’
তিনি লেখেন, ‘সিরাজুল আলম খান, তাজউদ্দিন, সিরাজ শিকদার আর ভাসানী, এমনকি খোদ শেখ মুজিব যদি পাকিস্তানকে পরাজিত করতে মেটিকুলাস ডিজাইনের অংশ হয়ে পাপবোধ না করেন এবং আমরা তাঁদের নিয়ে (তাদের ভুলসহই, স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য) গর্বিত হতে পারি, তাহলে চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানে মেটিকুলাস ডিজাইন করে হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করলে কেন এ প্রজন্ম গর্বিত বোধ করবে না?’
৩ আগস্ট ১ দফা ঘোষণার আগে জাতিসংঘের বক্তব্য ছাড়া বিদেশি শক্তি বা সামরিক বাহিনী কারোরই এ গণ-অভ্যুত্থানে বিন্দুমাত্র অংশগ্রহণ ছিল না বলে উল্লেখ করেন মাহফুজ। তিনি প্রশ্ন তুলে লিখেছেন, ‘ভারতের সাথে ষড়যন্ত্র করে (যা ন্যায্য বলেই আমরা মনে করি) আগরতলা বৈঠক থেকে স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য শেখ মুজিব ও অন্যনান্য জাতীয় নেতৃত্বের প্রতি যদি আমাদের শ্রদ্ধা থাকে, তাহলে কোন বিদেশি শক্তি বা তৃতীয় শক্তির সাথে ষড়যন্ত্র কিংবা শলা-পরামর্শ ছাড়াই জনগণের অভ্যুত্থান ঘটিয়ে ফেলার জন্য অভ্যুত্থানের নেতৃবৃন্দ এবং অংশীজনকে কেন গালি শুনতে হবে?’
মাহফুজ এ-ও উল্লেখ করেছেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের দুটি অংশ। ৫ জুন থেকে ১৮ জুলাই; এ অংশে অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট এবং নেতৃত্ব তৈরি হয়েছিল। আর ১৯ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সকল স্তরের ছাত্র-জনতার অংশগ্রহণে এবং আত্মদানে অভ্যুত্থান সফল হয়েছিল।’
তাঁর মতে, ‘প্রথম অংশ অবশ্যই মেটিকুলাসলি ডিজাইনড। পরের অংশের কৃতিত্ব বিপ্লবী ছাত্র- জনতার। কিন্তু, অভ্যুত্থানের নেতৃত্বের দিকনির্দেশনা এবং সুনির্দিষ্ট বক্তব্য না থাকলে এ বিপ্লবী জনতা পরের অংশে লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারত না। শুক্রবার দিবাগত রাত (২ আগস্ট) এ অভ্যুত্থান বেহাত হয়ে সামরিক অভ্যুত্থানের দিকে মোড় নেওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। তা ঠেকাতে পেরেছিল অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব।’
ফেসবুক পোস্টে তিনি আরও বলেন, ‘এ নির্দেশনা ও বক্তব্যের অবদানটুকু বাদে ১৯ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত বিদ্রোহ, প্রতিরোধ, আত্মত্যাগ আর বিপ্লবী তৎপরতার কৃতিত্ব সকল স্তরের ছাত্র-জনতার।’
মাহফুজ আলম তাঁর পোস্টের শেষের দিকে উল্লেখ করেন, ‘ওপরের এ ব্যাখ্যা মওলানা ভাসানীর আটষট্টি সালের ঘেরাও আন্দোলন থেকে শুরু করে ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান পর্যন্ত ঘটনাপ্রবাহ মিলিয়ে দেখেন, অথবা একাত্তরের মার্চ। আপনারা মেটিকুলাস ডিজাইনও বুঝতে পারবেন এবং জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত বিদ্রোহ, প্রতিরোধ আর বিপ্লবী তৎপরতারও হদিস পাবেন।’

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম অংশ ‘অবশ্যই মেটিকুলাসলি ডিজাইনড’ এবং এর পরের অংশের কৃতিত্ব বিপ্লবী ছাত্র-জনতার বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।
শুক্রবার (৪ জুলাই) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টে দেওয়া পোস্টে তিনি এ কথা বলেন।
পোস্টের শুরুতেই মাহফুজ আলম প্রশ্ন ছুড়েছেন— ‘মেটিকুলাস ডিজাইনে সমস্যা কোথায়?’ তিনি লিখেছেন, ‘পাকিস্তানি স্বৈরশাসকদের বিরুদ্ধে মেটিকুলাস ডিজাইন করে আগরতলা ষড়যন্ত্র, ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান, আর একাত্তরের মার্চ মাসে অসহযোগ আন্দোলন ও বাঙালি-বিহারি দাঙ্গা সঠিক হতে পারলে চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান মেটিকুলাস ডিজাইন হলে সমস্যা কোথায়?’
গত বছরের জুলাই মাসে কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে গড়ে ওঠা গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। দেশ ছাড়েন তখনকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জুলাই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লিয়াজোঁ কমিটির সম্বয়য়ক ছিলেন মাহফুজ আলম।
অভ্যুত্থানের নেতৃত্বের দিকনির্দেশনা এবং সুনির্দিষ্ট বক্তব্য না থাকলে এ বিপ্লবী জনতা পরের অংশে লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারত না। শুক্রবার দিবাগত রাত (২ আগস্ট) এ অভ্যুত্থান বেহাত হয়ে সামরিক অভ্যুত্থানের দিকে মোড় নেওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। তা ঠেকাতে পেরেছিল অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব। মাহফুজ আলম, তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা
মাহফুজ আলম তাঁর পোস্টে লিখেছেন, ‘দুনিয়ার কোন অভ্যুত্থান বা বিপ্লব পরিকল্পনা না করে হয়েছে? জনগণের চৈতন্যকে ঐক্যবদ্ধ ও লক্ষ্যাভিমুখী রাখতে মেটিকুলাস ডিজাইনের বিকল্প নেই। যখন জনগণ নেতৃত্ব ও বক্তব্য পেয়ে যাবে এবং বিপ্লবের অবজেক্টিভ কন্ডিশন প্রস্তুত, তখন আর প্ল্যানের দরকার পড়ে না। কিন্তু, তার আগে রাজনৈতিকভাবে জনগণকে প্রস্তুত এবং বিপ্লবী করে তোলা মেটিকুলাস ডিজাইন হলে সমস্যা কোথায়?’
তিনি লেখেন, ‘সিরাজুল আলম খান, তাজউদ্দিন, সিরাজ শিকদার আর ভাসানী, এমনকি খোদ শেখ মুজিব যদি পাকিস্তানকে পরাজিত করতে মেটিকুলাস ডিজাইনের অংশ হয়ে পাপবোধ না করেন এবং আমরা তাঁদের নিয়ে (তাদের ভুলসহই, স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য) গর্বিত হতে পারি, তাহলে চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানে মেটিকুলাস ডিজাইন করে হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করলে কেন এ প্রজন্ম গর্বিত বোধ করবে না?’
৩ আগস্ট ১ দফা ঘোষণার আগে জাতিসংঘের বক্তব্য ছাড়া বিদেশি শক্তি বা সামরিক বাহিনী কারোরই এ গণ-অভ্যুত্থানে বিন্দুমাত্র অংশগ্রহণ ছিল না বলে উল্লেখ করেন মাহফুজ। তিনি প্রশ্ন তুলে লিখেছেন, ‘ভারতের সাথে ষড়যন্ত্র করে (যা ন্যায্য বলেই আমরা মনে করি) আগরতলা বৈঠক থেকে স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য শেখ মুজিব ও অন্যনান্য জাতীয় নেতৃত্বের প্রতি যদি আমাদের শ্রদ্ধা থাকে, তাহলে কোন বিদেশি শক্তি বা তৃতীয় শক্তির সাথে ষড়যন্ত্র কিংবা শলা-পরামর্শ ছাড়াই জনগণের অভ্যুত্থান ঘটিয়ে ফেলার জন্য অভ্যুত্থানের নেতৃবৃন্দ এবং অংশীজনকে কেন গালি শুনতে হবে?’
মাহফুজ এ-ও উল্লেখ করেছেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের দুটি অংশ। ৫ জুন থেকে ১৮ জুলাই; এ অংশে অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট এবং নেতৃত্ব তৈরি হয়েছিল। আর ১৯ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সকল স্তরের ছাত্র-জনতার অংশগ্রহণে এবং আত্মদানে অভ্যুত্থান সফল হয়েছিল।’
তাঁর মতে, ‘প্রথম অংশ অবশ্যই মেটিকুলাসলি ডিজাইনড। পরের অংশের কৃতিত্ব বিপ্লবী ছাত্র- জনতার। কিন্তু, অভ্যুত্থানের নেতৃত্বের দিকনির্দেশনা এবং সুনির্দিষ্ট বক্তব্য না থাকলে এ বিপ্লবী জনতা পরের অংশে লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারত না। শুক্রবার দিবাগত রাত (২ আগস্ট) এ অভ্যুত্থান বেহাত হয়ে সামরিক অভ্যুত্থানের দিকে মোড় নেওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। তা ঠেকাতে পেরেছিল অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব।’
ফেসবুক পোস্টে তিনি আরও বলেন, ‘এ নির্দেশনা ও বক্তব্যের অবদানটুকু বাদে ১৯ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত বিদ্রোহ, প্রতিরোধ, আত্মত্যাগ আর বিপ্লবী তৎপরতার কৃতিত্ব সকল স্তরের ছাত্র-জনতার।’
মাহফুজ আলম তাঁর পোস্টের শেষের দিকে উল্লেখ করেন, ‘ওপরের এ ব্যাখ্যা মওলানা ভাসানীর আটষট্টি সালের ঘেরাও আন্দোলন থেকে শুরু করে ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান পর্যন্ত ঘটনাপ্রবাহ মিলিয়ে দেখেন, অথবা একাত্তরের মার্চ। আপনারা মেটিকুলাস ডিজাইনও বুঝতে পারবেন এবং জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত বিদ্রোহ, প্রতিরোধ আর বিপ্লবী তৎপরতারও হদিস পাবেন।’
.png)

মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর নামে সিন্ডিকেট করে সরকার নির্ধারিত ফির চেয়ে প্রায় পাঁচ গুণ বেশি অর্থ আদায় করার মাধ্যমে ৩১০ কোটি টাকার বেশি আত্মসাতের অভিযোগে চারটি রিক্রুটিং এজেন্সির পাঁচ ব্যক্তির বিরুদ্ধে পৃথক চারটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
৫ ঘণ্টা আগে
ভারতের রাজধানী দিল্লিতে বিস্ফোরণের ঘটনায় বাংলাদেশকে জড়িয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে আখ্যা দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। তিনি বলেছেন, এই খবর বিশ্বাস করার কোনো যৌক্তিকতা নেই এবং কোনো সংবেদনশীল মানুষ এটা বিশ্বাস করবে না।
৬ ঘণ্টা আগে
সৌদি আরব ও বাংলাদেশের মধ্যে ২০২৬ সালের হজ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এ চুক্তির আওতায় আগামী বছর বাংলাদেশ থেকে মোট ৭৮ হাজার ৫০০ জন হজযাত্রী পবিত্র হজ পালনের সুযোগ পাবেন।
৬ ঘণ্টা আগে
প্রস্তাবিত ‘বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ অধ্যাদেশ ২০২৫’-এ ইন্টারনেট বন্ধের (শাটডাউন) ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপসহ বেশ কিছু যুগোপযোগী পরিবর্তন আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
৭ ঘণ্টা আগে