১৯৩৭ সালের ৩০ জুন আজকের এই দিনেই প্রথম চালু হয়েছিল বিশ্বের প্রথম জরুরি কল সেবা, ‘৯৯৯’। বাংলাদেশেও এখন চালু আছে এই সেবা। কিন্তু ৮৮ বছর আগে এটা চালু হয়েছিল কোন ঘটনার প্রেক্ষাপটে? কেমন সাড়া ফেলেছিল তখন? আর কেনই বা ৯৯৯ নম্বরটি বেছে নেওয়া হয়েছিল। ইতিহাস ঘেঁটে জানা যাক সেই চমকপ্রদ গল্প।
গৌতম কে শুভ
তখন ১৯৩৭ সাল। আজকের এই দিনে (৩০ জুন) লন্ডনে চালু হয়েছিল বিশ্বের প্রথম জরুরি কল সেবা, ‘৯৯৯’ (ত্রিপল নাইন)। টেলিফোনে মাত্র এই তিন ডিজিট ডায়াল করেই বিশেষ দরকারে পুলিশ ডাকা যেত। এ ছাড়া পাওয়া যেত আপৎকালীন বিভিন্ন সেবাও।
জরুরি এই সেবা চালুর আগেও পুলিশ বা ফায়ার সার্ভিসে ফোন করে সাহায্য চাওয়া যেত। কিন্তু সে সময় কল করতে হতো ‘ম্যানুয়াল’ টেলিফোন বোর্ডে। এখানে সমস্যাটা হচ্ছে, টেলিফোন অপারেটরেরা কোন কলটা জরুরি, সেটা বুঝতে পারতেন না। আর ঠিক এই বিভ্রান্তিতেই কখনো কখনো সময়মতো সাহায্য পৌঁছাত না। প্রযুক্তি ঠিকই ছিল, কিন্তু সেটা তখনো সুরক্ষার গ্যারান্টি হয়ে উঠতে পারেনি।
সব কিছুরই একটা পটভূমি থাকে। ৯৯৯ নম্বর চালুর পেছনেও ছিল এক করুণ ও জরুরি বাস্তবতা। ১৯৩৫ সালের এক সন্ধ্যায় লন্ডনের উইমপোল স্ট্রিটে ভয়াবহ আগুন লাগে। সেই আগুনে বিখ্যাত চিকিৎসক ডা. ফিলিপ ফ্র্যাংকলিনের চেম্বারও পুড়ে যায়। আগুন এতটাই ভয়াবহ ছিল যে ঘটনাস্থলে পুড়ে মারা যান পাঁচজন।
এখানেই ঘটনা থেমে থাকেনি। তদন্তে উঠে আসে, পাশের বাড়ি থেকে একজন প্রতিবেশি সঙ্গে সঙ্গেই ফোন করেছিলেন ফায়ার সার্ভিস ডাকার জন্য। কিন্তু টেলিফোন অপারেটর কলটাই রিসিভ করেননি সময়মতো। ফায়ার সার্ভিস নিজেরাই আগেই আগুন দেখে ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছিল।
এই ঘটনার পর চারদিকে প্রশ্ন ওঠে—জরুরি মুহূর্তে ফোন করে সাহায্য চাইলে, সেটা সঙ্গে সঙ্গে পৌঁছায় না কেন? তাহলে প্রযুক্তি দিয়ে কী হবে? সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই গঠন করা হয় ‘বেলগ্রেভ কমিটি’। এটার নেতৃত্বে ছিলেন স্যার ওয়াল্টার বেলগ্রেভ। কমিটির কাজ ছিল, কীভাবে এমন একটি ব্যবস্থা তৈরি করা যায়, যাতে সত্যিকারের বিপদের সময় মানুষ নিশ্চিতভাবে ও দ্রুত সাড়া পেতে পারে।
বেলগ্রেভ কমিটির সুপারিশ ছিল, জরুরি সেবার জন্য একটি নির্দিষ্ট নম্বর থাকা উচিত। এমন নম্বর হতে হবে যেন সহজেই মনে রাখা যায়। আর সেখানে কল দিতে কোনো টাকা লাগবে না। পাবলিক বুথ থেকেও ফ্রিতে ডায়াল করা যাবে। সেই ভাবনার ফলেই ১৯৩৭ সালের ৩০ জুন চালু হয় ৯৯৯।
জরুরি সেবার জন্য বিশেষ এই নম্বর চালু হলে পরিস্থিতির কিছুটা বদল হয়। লন্ডনের মানুষ তখন বুঝতে পারেন, জরুরি মুহূর্তে ঠিক কোথায় ফোন করতে হবে। সেদিন ‘ইভিনিং নিউজ’ পত্রিকায় ছাপা হয়েছিল বিশেষ সংবাদ। সেখানে বলা ছিল, শুধু মাত্র ‘খুব জরুরি’ অবস্থাতেই ৯৯৯—এ কল দেওয়া যাবে।
পত্রিকার খবরে উদাহরণ হিসেবে লেখা ছিল, পাশের ফ্ল্যাটে কেউ তাঁর স্ত্রীকে খুন করছে কিংবা রাতে ব্যাংকের পাশে চোরকে দেখা যাচ্ছে—কেবল এমন সব জরুরি পরিস্থিতিতেই এই সেবা নেওয়া যাবে। তবে শুরুতেই সব কলই সিরিয়াস ছিল না। প্রথম সপ্তাহে ১ হাজার ৩৩৬টি কলের মধ্যে ‘প্রাঙ্ক কল’ ছিল ৯১টি। এরপর মানুষকে সচেতন করার ফলে ধীরে ধীরে কমে যায় অদরকারি কিংবা মজা করার জন্য দেওয়া কলের সংখ্যা।
৯৯৯ এর প্রথম সুফল মেলে সপ্তাহ খানেক পরেই। উত্তর লন্ডনের হ্যাম্পস্টেডের বাসিন্দা স্থপতি জন স্ট্যানলি বিয়ার্ড ভোরে শব্দ শুনে জানালার সামনে গিয়ে একজন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে দেখতে পান। বিয়ার্ডের চিৎকার শুনে ওই ব্যক্তি পালাতে শুরু করেন। তখন তাঁর স্ত্রী তড়িঘড়ি করে ৯৯৯ নম্বরে ডায়াল করেছিলেন। ফলে পাঁচ মিনিটের মধ্যেই পুলিশ চুরির উদ্দেশ্যে জোরপূর্বক বাড়িতে প্রবেশের অভিযোগে লোকটিকে ধরে ফেলে। এই ঘটনা তখন ‘দ্য টাইমস’ পত্রিকায় ফলাও করে ছাপা হয়।
কিছুদিনের মধ্যেই দেখা যায়, জরুরি কলে দ্রুত সাড়া মিলছে। অপরাধী ধরা পড়ছে আর মানুষ সাহায্যও পাচ্ছে। এভাবেই এই নম্বরটা হয়ে উঠে ভয় আর আশঙ্কার অন্ধকারে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষের বড় ভরসা।
লন্ডনে চালু হওয়ার পর ৯৯৯ যে সত্যিই জরুরি মুহূর্তে কাজে আসে, তা সবাই খুব দ্রুত বুঝে ফেলেছিল। আর ঠিক এই কারণেই এক বছরের মধ্যেই ১৯৩৮ সালে সেবাটি পৌঁছে যায় গ্লাসগোতে। যদিও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ধাক্কায় কিছুটা থেমে গিয়েছিল এর বিস্তার। যুদ্ধ শেষে আবারও গতি পায় ৯৯৯-এর যাত্রা। একে একে এই সেবা যুক্ত হয় বেলফাস্ট, বার্মিংহাম, ব্রিস্টল, এডিনবরা, লিভারপুল, ম্যানচেস্টার, নিউক্যাসেলের মতো সব বড় শহরেই।
তবে তখন এর একটা সীমাবদ্ধতা ছিল। সব জায়গায় স্বয়ংক্রিয় টেলিফোন এক্সচেঞ্জ ছিল না। এই বাধাটা কাটে আরও অনেক পরে। দীর্ঘদিন অপেক্ষার পর ১৯৭৬ সালে সেই দেশের সব টেলিফোন এক্সচেঞ্জ অটোমেটেড হয়ে যায়। ফলে পুরো যুক্তরাজ্যই চলে আসে ৯৯৯—এর আওতায়। কালের বিবর্তনে এরপর আসে মোবাইল ফোনের যুগ। ১৯৮৬ সাল থেকে মোবাইল নম্বর থেকেও ডায়াল করে এই সেবা পাওয়া শুরু হয়।
প্রথমেই প্রশ্ন উঠতে পারে, ‘১১১’ বা ‘০০০’ নয় কেন? আসলে তখন ফোন ছিল ঘূর্ণায়মান ডায়ালের। ১১১ ভুলবশত ডায়ালও হয়ে যেতে পারতো, আর আগে থেকে ০০০ তখন টেলিফোন অপারেটরের জন্য বরাদ্দ ছিল। তাই এই নম্বরগুলো ব্যবহার সম্ভব ছিল না।
আর পুরোনো দিনের সেই ফোনে ৯ ডায়াল করতে সময় লাগত সবচেয়ে বেশি। এতে ভুল করে ডায়াল হওয়ার সম্ভাবনা ছিল কম। এসব বিবেচনা করেই তিনটি ‘৯’—কেই সবচেয়ে নিরাপদ, সহজ ও কার্যকর হিসেবে ভাবা হয়েছিল।
১৯৩৭ সালে লন্ডনে চালু হওয়ার পর ৯৯৯ নম্বরের সেবা এখন ছড়িয়ে পড়েছে দেশে দেশে। ২০১৭ সালের ১২ ডিসেম্বর বাংলাদেশেও চালু হয় এই জাতীয় সেবা। বিপদের সময় এক ডায়ালেই সাহায্য পাওয়া যাচ্ছে এতে। যার শুরু হয়েছিল আজ থেকে ঠিক ৮৮ বছর আগে, এক ভোরবেলার অগ্নিকাণ্ড থেকে শেখা ভয়াবহ এক অভিজ্ঞতা দিয়ে।
তখন ১৯৩৭ সাল। আজকের এই দিনে (৩০ জুন) লন্ডনে চালু হয়েছিল বিশ্বের প্রথম জরুরি কল সেবা, ‘৯৯৯’ (ত্রিপল নাইন)। টেলিফোনে মাত্র এই তিন ডিজিট ডায়াল করেই বিশেষ দরকারে পুলিশ ডাকা যেত। এ ছাড়া পাওয়া যেত আপৎকালীন বিভিন্ন সেবাও।
জরুরি এই সেবা চালুর আগেও পুলিশ বা ফায়ার সার্ভিসে ফোন করে সাহায্য চাওয়া যেত। কিন্তু সে সময় কল করতে হতো ‘ম্যানুয়াল’ টেলিফোন বোর্ডে। এখানে সমস্যাটা হচ্ছে, টেলিফোন অপারেটরেরা কোন কলটা জরুরি, সেটা বুঝতে পারতেন না। আর ঠিক এই বিভ্রান্তিতেই কখনো কখনো সময়মতো সাহায্য পৌঁছাত না। প্রযুক্তি ঠিকই ছিল, কিন্তু সেটা তখনো সুরক্ষার গ্যারান্টি হয়ে উঠতে পারেনি।
সব কিছুরই একটা পটভূমি থাকে। ৯৯৯ নম্বর চালুর পেছনেও ছিল এক করুণ ও জরুরি বাস্তবতা। ১৯৩৫ সালের এক সন্ধ্যায় লন্ডনের উইমপোল স্ট্রিটে ভয়াবহ আগুন লাগে। সেই আগুনে বিখ্যাত চিকিৎসক ডা. ফিলিপ ফ্র্যাংকলিনের চেম্বারও পুড়ে যায়। আগুন এতটাই ভয়াবহ ছিল যে ঘটনাস্থলে পুড়ে মারা যান পাঁচজন।
এখানেই ঘটনা থেমে থাকেনি। তদন্তে উঠে আসে, পাশের বাড়ি থেকে একজন প্রতিবেশি সঙ্গে সঙ্গেই ফোন করেছিলেন ফায়ার সার্ভিস ডাকার জন্য। কিন্তু টেলিফোন অপারেটর কলটাই রিসিভ করেননি সময়মতো। ফায়ার সার্ভিস নিজেরাই আগেই আগুন দেখে ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছিল।
এই ঘটনার পর চারদিকে প্রশ্ন ওঠে—জরুরি মুহূর্তে ফোন করে সাহায্য চাইলে, সেটা সঙ্গে সঙ্গে পৌঁছায় না কেন? তাহলে প্রযুক্তি দিয়ে কী হবে? সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই গঠন করা হয় ‘বেলগ্রেভ কমিটি’। এটার নেতৃত্বে ছিলেন স্যার ওয়াল্টার বেলগ্রেভ। কমিটির কাজ ছিল, কীভাবে এমন একটি ব্যবস্থা তৈরি করা যায়, যাতে সত্যিকারের বিপদের সময় মানুষ নিশ্চিতভাবে ও দ্রুত সাড়া পেতে পারে।
বেলগ্রেভ কমিটির সুপারিশ ছিল, জরুরি সেবার জন্য একটি নির্দিষ্ট নম্বর থাকা উচিত। এমন নম্বর হতে হবে যেন সহজেই মনে রাখা যায়। আর সেখানে কল দিতে কোনো টাকা লাগবে না। পাবলিক বুথ থেকেও ফ্রিতে ডায়াল করা যাবে। সেই ভাবনার ফলেই ১৯৩৭ সালের ৩০ জুন চালু হয় ৯৯৯।
জরুরি সেবার জন্য বিশেষ এই নম্বর চালু হলে পরিস্থিতির কিছুটা বদল হয়। লন্ডনের মানুষ তখন বুঝতে পারেন, জরুরি মুহূর্তে ঠিক কোথায় ফোন করতে হবে। সেদিন ‘ইভিনিং নিউজ’ পত্রিকায় ছাপা হয়েছিল বিশেষ সংবাদ। সেখানে বলা ছিল, শুধু মাত্র ‘খুব জরুরি’ অবস্থাতেই ৯৯৯—এ কল দেওয়া যাবে।
পত্রিকার খবরে উদাহরণ হিসেবে লেখা ছিল, পাশের ফ্ল্যাটে কেউ তাঁর স্ত্রীকে খুন করছে কিংবা রাতে ব্যাংকের পাশে চোরকে দেখা যাচ্ছে—কেবল এমন সব জরুরি পরিস্থিতিতেই এই সেবা নেওয়া যাবে। তবে শুরুতেই সব কলই সিরিয়াস ছিল না। প্রথম সপ্তাহে ১ হাজার ৩৩৬টি কলের মধ্যে ‘প্রাঙ্ক কল’ ছিল ৯১টি। এরপর মানুষকে সচেতন করার ফলে ধীরে ধীরে কমে যায় অদরকারি কিংবা মজা করার জন্য দেওয়া কলের সংখ্যা।
৯৯৯ এর প্রথম সুফল মেলে সপ্তাহ খানেক পরেই। উত্তর লন্ডনের হ্যাম্পস্টেডের বাসিন্দা স্থপতি জন স্ট্যানলি বিয়ার্ড ভোরে শব্দ শুনে জানালার সামনে গিয়ে একজন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে দেখতে পান। বিয়ার্ডের চিৎকার শুনে ওই ব্যক্তি পালাতে শুরু করেন। তখন তাঁর স্ত্রী তড়িঘড়ি করে ৯৯৯ নম্বরে ডায়াল করেছিলেন। ফলে পাঁচ মিনিটের মধ্যেই পুলিশ চুরির উদ্দেশ্যে জোরপূর্বক বাড়িতে প্রবেশের অভিযোগে লোকটিকে ধরে ফেলে। এই ঘটনা তখন ‘দ্য টাইমস’ পত্রিকায় ফলাও করে ছাপা হয়।
কিছুদিনের মধ্যেই দেখা যায়, জরুরি কলে দ্রুত সাড়া মিলছে। অপরাধী ধরা পড়ছে আর মানুষ সাহায্যও পাচ্ছে। এভাবেই এই নম্বরটা হয়ে উঠে ভয় আর আশঙ্কার অন্ধকারে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষের বড় ভরসা।
লন্ডনে চালু হওয়ার পর ৯৯৯ যে সত্যিই জরুরি মুহূর্তে কাজে আসে, তা সবাই খুব দ্রুত বুঝে ফেলেছিল। আর ঠিক এই কারণেই এক বছরের মধ্যেই ১৯৩৮ সালে সেবাটি পৌঁছে যায় গ্লাসগোতে। যদিও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ধাক্কায় কিছুটা থেমে গিয়েছিল এর বিস্তার। যুদ্ধ শেষে আবারও গতি পায় ৯৯৯-এর যাত্রা। একে একে এই সেবা যুক্ত হয় বেলফাস্ট, বার্মিংহাম, ব্রিস্টল, এডিনবরা, লিভারপুল, ম্যানচেস্টার, নিউক্যাসেলের মতো সব বড় শহরেই।
তবে তখন এর একটা সীমাবদ্ধতা ছিল। সব জায়গায় স্বয়ংক্রিয় টেলিফোন এক্সচেঞ্জ ছিল না। এই বাধাটা কাটে আরও অনেক পরে। দীর্ঘদিন অপেক্ষার পর ১৯৭৬ সালে সেই দেশের সব টেলিফোন এক্সচেঞ্জ অটোমেটেড হয়ে যায়। ফলে পুরো যুক্তরাজ্যই চলে আসে ৯৯৯—এর আওতায়। কালের বিবর্তনে এরপর আসে মোবাইল ফোনের যুগ। ১৯৮৬ সাল থেকে মোবাইল নম্বর থেকেও ডায়াল করে এই সেবা পাওয়া শুরু হয়।
প্রথমেই প্রশ্ন উঠতে পারে, ‘১১১’ বা ‘০০০’ নয় কেন? আসলে তখন ফোন ছিল ঘূর্ণায়মান ডায়ালের। ১১১ ভুলবশত ডায়ালও হয়ে যেতে পারতো, আর আগে থেকে ০০০ তখন টেলিফোন অপারেটরের জন্য বরাদ্দ ছিল। তাই এই নম্বরগুলো ব্যবহার সম্ভব ছিল না।
আর পুরোনো দিনের সেই ফোনে ৯ ডায়াল করতে সময় লাগত সবচেয়ে বেশি। এতে ভুল করে ডায়াল হওয়ার সম্ভাবনা ছিল কম। এসব বিবেচনা করেই তিনটি ‘৯’—কেই সবচেয়ে নিরাপদ, সহজ ও কার্যকর হিসেবে ভাবা হয়েছিল।
১৯৩৭ সালে লন্ডনে চালু হওয়ার পর ৯৯৯ নম্বরের সেবা এখন ছড়িয়ে পড়েছে দেশে দেশে। ২০১৭ সালের ১২ ডিসেম্বর বাংলাদেশেও চালু হয় এই জাতীয় সেবা। বিপদের সময় এক ডায়ালেই সাহায্য পাওয়া যাচ্ছে এতে। যার শুরু হয়েছিল আজ থেকে ঠিক ৮৮ বছর আগে, এক ভোরবেলার অগ্নিকাণ্ড থেকে শেখা ভয়াবহ এক অভিজ্ঞতা দিয়ে।
চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে প্রায় এক কোটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট মুছে দিয়েছে মেটা। ফেসবুক ক্রিয়েটরস ব্লগে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, নকল প্রোফাইল, স্প্যাম অ্যাকাউন্ট ও অনুমতি ছাড়া অন্যদের কনটেন্ট ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে নেওয়া হয়েছে এ ব্যবস্থা।
১৪ ঘণ্টা আগেপেঁয়াজ কীভাবে কাটলে খাবারের স্বাদ বেশি হবে—রান্নাঘরে এ নিয়ে তর্কের শেষ নেই। পেঁয়াজ কেউ পাতলা পাতলা কুচি করেন, কেউবা মোটা টুকরা পছন্দ করেন। কিন্তু এই বিতর্ক আসলে কত বছর পুরোনো? শত বছর, হাজার বছর?
২ দিন আগেজেনেটিক ত্রুটিযুক্ত সাতজন গর্ভবতী নারীর ভ্রূণে আইভিএফ পদ্ধতিতে প্রবেশ করানো হয়েছিল তিনজনের ডিএনএ। ফলে ওই সাত নারী জন্ম দিয়েছেন জেনেটিক ত্রুটিহীন আট শিশুর। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ইতিহাসে যা এক যুগান্তকারী ঘটনা।
৪ দিন আগেসোশ্যাল মিডিয়া খুললেই চোখে পড়ছে লাল সুতা নিয়ে রহস্যময় নানান ছবি, আর নানা রকম মিম। সবাই যেন কিছু একটা বোঝাতে চাইছে, কিন্তু সেটা ঠিক কী? এর উত্তর লুকিয়ে আছে দক্ষিণ কোরিয়ার নতুন থ্রিলার সিরিজ ‘এস লাইন’-এ।
৪ দিন আগে