স্ট্রিম এক্সপ্লেইন
সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর বের হয়েছে, শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিকথা ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বইটির লেখক তিনি নন, এটি লিখেছেন পুলিশের সাবেক আইজিপি মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী। আইজিপি হওয়ার জন্যই তিনি এই বই সংকলন করেন এবং এতে তাঁর সঙ্গে আরও ১২৩ ব্যক্তিকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল বলে পুলিশের বরাতে খবরগুলোতে দাবি করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, যাঁরা কাজটির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তাঁদের প্রত্যেককে এক কোটি টাকাসহ রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানে একটি করে ফ্ল্যাট দেওয়া হয়েছিল বলেও খবরে উল্লেখ করা হয়।
এই সংবাদ যেমন চাঞ্চল্যের জন্ম দিয়েছে, তেমনি ক্ষুব্ধ হয়েছেন অনেকেই।
তাঁরা বলছেন, শেখ মুজিবুর রহমানই যে এই বইয়ের লেখক, তা বইয়ের সঙ্গে থাকা তাঁর হাতের লেখা দেখেই বোঝা যায়। আর এখানে যেভাবে ব্রিটিশ ও পাকিস্তান আমলের বিশদ বর্ণনা আছে, প্রত্যক্ষদর্শী ছাড়া তা অন্য কারও পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়।’
কিন্তু এর পরেও কারও কারও সন্দেহ যে ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’র লেখক কি আসলেই শেখ মুজিবুর রহমান —বিশেষত, এত দিন পরে প্রায় কাছাকাছি সময়ে কয়েকটি গণমাধ্যম যখন একই ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশ করে বলছে, বইটি সংকলক জাবেদ পাটোয়ারী এ কাজ করেছিলেন অতিরিক্ত আইজিপি থেকে আইজিপি হওয়ার জন্য?
‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বের হয় ২০১২ সালের ১৯ জুন। ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড (ইউপিএল) থেকে প্রকাশিত এ বই বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পাঠকের দৃষ্টি কাঁড়ে। তখনো কেউ কেউ এমন বলেছিলেন, বইটি আদৌও শেখ মুজিবুর রহমানের লেখা কি না। পরে বইয়ের মধ্যে শেখ মুজিবের ছেলেবেলা, কলকাতায় বসবাস ও পাকিস্তান আন্দোলন প্রসঙ্গে যে সবিস্তার খুঁটিনাটি বর্ণনা রয়েছে, তাতে সবাই স্বীকার করেন, বইয়ের লেখক আসলে শেখ মুজিবুর রহমানই।
‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’তে ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত স্মৃতিচারণ লিখেছেন শেখ মুজিব। এতে শৈশব থেকে শুরু করে উঠে এসেছে ইসলামীয়া কলেজে পড়ার সময় তাঁর কলকাতা-যাপন, রাজনৈতিক কার্যক্রমে সক্রিয় অংশগ্রহণ ও পাকিস্তান আন্দোলনে অংশ নেওয়ার অনুপুঙ্খ বর্ণনা।
বইয়ের ভূমিকা অংশ থেকে জানা যায়, ১৯৬৬ থেকে ‘৬৯ পর্যন্ত কারাগারে রাজবন্দী হিসেবে অন্তরীণ থাকার সময় খাতায় নিজের স্মৃতিকথা লিখতে শুরু করেন শেখ মুজিব। এর অনেককাল বাদে ২০০৪ সালের পর চারটি খাতা পান শেখ মুজিবের পরিবার। ওই চারটি খাতাই ছিল ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনীর পাণ্ডুলিপি। বইয়ের ভূমিকায় লেখা হয়েছে, ‘খাতাগুলোর পাতা হলুদ, জীর্ণ ও খুবই নরম হয়ে গেছে। অনেক জায়গায় লেখাগুলো এত ঝাপসা যে পড়া খুব কঠিন।’
এই খাতা থেকেই প্রয়াত সাংবাদিক বেবী মওদুদের সহায়তায় ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’র লেখাগুলো উদ্ধার করেন শেখ মুজিবের উত্তরসূরিরা। খাতার যেসব জায়গায় লেখা অস্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল, ওই সব স্থানে সহায়তা নেওয়া হয় ম্যাগনেফাইং গ্লাসের। পরে খাতা থেকে লেখাগুলো কম্পিউটার কম্পোজ করে বইয়ের উপযোগী করা হয়। ভূমিকায় আরও লেখা হয়, লোকসংস্কৃতিবিদ প্রয়াত শামসুজ্জামান খান ও বেবী মওদুদ পাণ্ডুলিপি প্রুফ দেখা, টিকাভাষ্য তৈরি করার কাজটি করেন। আর এই বই প্রকাশে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়েছিলেন প্রয়াত জাতীয় অধ্যাপক ইতিহাসবিদ এ এফ সালাহ্উদ্দীন আহমদ।
বইয়ের সম্পাদনা প্রসঙ্গে ভূমিকায় লেখা হয়েছে, ‘আমাদের খুব বেশি সম্পাদনা করতে হয়নি। কিছু শব্দ ও ভাষার সাবলীলতা রক্ষার জন্য সামান্য কিছু সম্পাদনা করতে হয়েছে।’
ভূমিকা থেকে বোঝা যাচ্ছে, শেখ মুজিব যেভাবে লিখেছিলেন, সেভাবেই প্রকাশিত হয় ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’। আর এটি পড়লেও বোঝা যাবে, একদা মুসলিম লীগের সক্রিয় কর্মী শেখ মুজিব এখানে ‘অল ইন্ডিয়া মুসলিম লীগ সম্মেলন’-এ মোহম্মদ আলী জিন্নাহকে দেখে উদ্বেলিত হয়ে যে বর্ণনা দিয়েছেন, তাতে কর্মীর চোখে একজন নেতার ছবিই ফুটে উঠেছে। বইয়ের ২৫ পৃষ্ঠায় আছে, ‘প্রথম দিন কনফারেন্স হয়ে যাওয়ার পরে মোহম্মদ আলী জিন্নাহকে হাতির পিঠে নিয়ে এক বিরাট শোভাযাত্রা বের হলো। আমরাও সাথে সাথে রইলাম।’
বইয়ে শুধু জিন্নাহর কথা নয়, আছে পরবর্তী জীবনে শেখ মুজিবের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ফজলুল কাদের চৌধুরীর কথাও।
মুজিব তাঁর আত্মজীবনীর ছত্রে ছত্রে মুসলিম লীগের কর্মী হিসেবে পাকিস্তান আন্দোলনে অংশ নেওয়ার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন। তাই এ আত্মজীবনী মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী সংকলিত, কথাটি মানতে নারাজ সচেতন পাঠকেরা। তাঁদের কথা, এখানে এমন অনেক প্রসঙ্গ আছে যা স্বাধীনতা পরবর্তী আওয়ামী লীগের বিপরীত বয়ান ধারণ করে এবং অনেক ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের রাজনীতির অন্যতম প্রধান স্তম্ভ বাঙালি জাতীয়তাবাদকেও প্রশ্নের মুখে ফেলে দেয়।
এ প্রসঙ্গে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের এক অধ্যাপক বলেন, ‘এ বইয়ে মুজিব যেভাবে পাকিস্তান আন্দোলন, জিন্নাহসহ মুসলিম লীগের বিভিন্ন নেতার স্মৃতিচারণ করেছেন, আওয়ামী লীগের অন্য কেউ এভাবে বলেন না, কখনো বলবেনও না। কারণ, আওয়ামী লীগের রাজনীতি তো পাকিস্তান আন্দোলনকে এক অর্থে অস্বীকারই করেই গড়ে উঠেছে। ফলে এ বই যে মুজিবই লিখেছেন, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।’
এদিকে কয়েকটি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে যে বলা হলো জাবেদ পাটোয়ারী কাজটি করেছিলেন আইজিপি হওয়ার জন্য। তা নিয়েও প্রশ্ন থেকে যায়, ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’র পাণ্ডুলিপি প্রস্তুত করার কাজ শুরু হয়েছিল ২০০৪ সালে। আওয়ামী লীগ তখন শাসন ক্ষমতায় ছিল না। তাহলে জাবেদ পাটোয়ারী কীভাবে বইটি সংকলন করলেন? এমনকি ২০১২ সালে এটি যখন প্রকাশিত হয়, তখনো তিনি শীর্ষতম পুলিশ কর্মকর্তাদের একজন নন। তিনি আইজিপি হয়েছেন ২০১৮ সালে। তাই সচেতন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা এ কথা বলেছেন যে অনর্থক বিতর্ক এবং কোনো মহলের কূট উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্যই কি গণমাধ্যমে এমন খবর প্রকাশিত হয়েছে?
সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর বের হয়েছে, শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিকথা ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বইটির লেখক তিনি নন, এটি লিখেছেন পুলিশের সাবেক আইজিপি মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী। আইজিপি হওয়ার জন্যই তিনি এই বই সংকলন করেন এবং এতে তাঁর সঙ্গে আরও ১২৩ ব্যক্তিকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল বলে পুলিশের বরাতে খবরগুলোতে দাবি করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, যাঁরা কাজটির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তাঁদের প্রত্যেককে এক কোটি টাকাসহ রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানে একটি করে ফ্ল্যাট দেওয়া হয়েছিল বলেও খবরে উল্লেখ করা হয়।
এই সংবাদ যেমন চাঞ্চল্যের জন্ম দিয়েছে, তেমনি ক্ষুব্ধ হয়েছেন অনেকেই।
তাঁরা বলছেন, শেখ মুজিবুর রহমানই যে এই বইয়ের লেখক, তা বইয়ের সঙ্গে থাকা তাঁর হাতের লেখা দেখেই বোঝা যায়। আর এখানে যেভাবে ব্রিটিশ ও পাকিস্তান আমলের বিশদ বর্ণনা আছে, প্রত্যক্ষদর্শী ছাড়া তা অন্য কারও পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়।’
কিন্তু এর পরেও কারও কারও সন্দেহ যে ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’র লেখক কি আসলেই শেখ মুজিবুর রহমান —বিশেষত, এত দিন পরে প্রায় কাছাকাছি সময়ে কয়েকটি গণমাধ্যম যখন একই ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশ করে বলছে, বইটি সংকলক জাবেদ পাটোয়ারী এ কাজ করেছিলেন অতিরিক্ত আইজিপি থেকে আইজিপি হওয়ার জন্য?
‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বের হয় ২০১২ সালের ১৯ জুন। ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড (ইউপিএল) থেকে প্রকাশিত এ বই বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পাঠকের দৃষ্টি কাঁড়ে। তখনো কেউ কেউ এমন বলেছিলেন, বইটি আদৌও শেখ মুজিবুর রহমানের লেখা কি না। পরে বইয়ের মধ্যে শেখ মুজিবের ছেলেবেলা, কলকাতায় বসবাস ও পাকিস্তান আন্দোলন প্রসঙ্গে যে সবিস্তার খুঁটিনাটি বর্ণনা রয়েছে, তাতে সবাই স্বীকার করেন, বইয়ের লেখক আসলে শেখ মুজিবুর রহমানই।
‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’তে ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত স্মৃতিচারণ লিখেছেন শেখ মুজিব। এতে শৈশব থেকে শুরু করে উঠে এসেছে ইসলামীয়া কলেজে পড়ার সময় তাঁর কলকাতা-যাপন, রাজনৈতিক কার্যক্রমে সক্রিয় অংশগ্রহণ ও পাকিস্তান আন্দোলনে অংশ নেওয়ার অনুপুঙ্খ বর্ণনা।
বইয়ের ভূমিকা অংশ থেকে জানা যায়, ১৯৬৬ থেকে ‘৬৯ পর্যন্ত কারাগারে রাজবন্দী হিসেবে অন্তরীণ থাকার সময় খাতায় নিজের স্মৃতিকথা লিখতে শুরু করেন শেখ মুজিব। এর অনেককাল বাদে ২০০৪ সালের পর চারটি খাতা পান শেখ মুজিবের পরিবার। ওই চারটি খাতাই ছিল ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনীর পাণ্ডুলিপি। বইয়ের ভূমিকায় লেখা হয়েছে, ‘খাতাগুলোর পাতা হলুদ, জীর্ণ ও খুবই নরম হয়ে গেছে। অনেক জায়গায় লেখাগুলো এত ঝাপসা যে পড়া খুব কঠিন।’
এই খাতা থেকেই প্রয়াত সাংবাদিক বেবী মওদুদের সহায়তায় ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’র লেখাগুলো উদ্ধার করেন শেখ মুজিবের উত্তরসূরিরা। খাতার যেসব জায়গায় লেখা অস্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল, ওই সব স্থানে সহায়তা নেওয়া হয় ম্যাগনেফাইং গ্লাসের। পরে খাতা থেকে লেখাগুলো কম্পিউটার কম্পোজ করে বইয়ের উপযোগী করা হয়। ভূমিকায় আরও লেখা হয়, লোকসংস্কৃতিবিদ প্রয়াত শামসুজ্জামান খান ও বেবী মওদুদ পাণ্ডুলিপি প্রুফ দেখা, টিকাভাষ্য তৈরি করার কাজটি করেন। আর এই বই প্রকাশে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়েছিলেন প্রয়াত জাতীয় অধ্যাপক ইতিহাসবিদ এ এফ সালাহ্উদ্দীন আহমদ।
বইয়ের সম্পাদনা প্রসঙ্গে ভূমিকায় লেখা হয়েছে, ‘আমাদের খুব বেশি সম্পাদনা করতে হয়নি। কিছু শব্দ ও ভাষার সাবলীলতা রক্ষার জন্য সামান্য কিছু সম্পাদনা করতে হয়েছে।’
ভূমিকা থেকে বোঝা যাচ্ছে, শেখ মুজিব যেভাবে লিখেছিলেন, সেভাবেই প্রকাশিত হয় ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’। আর এটি পড়লেও বোঝা যাবে, একদা মুসলিম লীগের সক্রিয় কর্মী শেখ মুজিব এখানে ‘অল ইন্ডিয়া মুসলিম লীগ সম্মেলন’-এ মোহম্মদ আলী জিন্নাহকে দেখে উদ্বেলিত হয়ে যে বর্ণনা দিয়েছেন, তাতে কর্মীর চোখে একজন নেতার ছবিই ফুটে উঠেছে। বইয়ের ২৫ পৃষ্ঠায় আছে, ‘প্রথম দিন কনফারেন্স হয়ে যাওয়ার পরে মোহম্মদ আলী জিন্নাহকে হাতির পিঠে নিয়ে এক বিরাট শোভাযাত্রা বের হলো। আমরাও সাথে সাথে রইলাম।’
বইয়ে শুধু জিন্নাহর কথা নয়, আছে পরবর্তী জীবনে শেখ মুজিবের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ফজলুল কাদের চৌধুরীর কথাও।
মুজিব তাঁর আত্মজীবনীর ছত্রে ছত্রে মুসলিম লীগের কর্মী হিসেবে পাকিস্তান আন্দোলনে অংশ নেওয়ার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন। তাই এ আত্মজীবনী মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী সংকলিত, কথাটি মানতে নারাজ সচেতন পাঠকেরা। তাঁদের কথা, এখানে এমন অনেক প্রসঙ্গ আছে যা স্বাধীনতা পরবর্তী আওয়ামী লীগের বিপরীত বয়ান ধারণ করে এবং অনেক ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের রাজনীতির অন্যতম প্রধান স্তম্ভ বাঙালি জাতীয়তাবাদকেও প্রশ্নের মুখে ফেলে দেয়।
এ প্রসঙ্গে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের এক অধ্যাপক বলেন, ‘এ বইয়ে মুজিব যেভাবে পাকিস্তান আন্দোলন, জিন্নাহসহ মুসলিম লীগের বিভিন্ন নেতার স্মৃতিচারণ করেছেন, আওয়ামী লীগের অন্য কেউ এভাবে বলেন না, কখনো বলবেনও না। কারণ, আওয়ামী লীগের রাজনীতি তো পাকিস্তান আন্দোলনকে এক অর্থে অস্বীকারই করেই গড়ে উঠেছে। ফলে এ বই যে মুজিবই লিখেছেন, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।’
এদিকে কয়েকটি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে যে বলা হলো জাবেদ পাটোয়ারী কাজটি করেছিলেন আইজিপি হওয়ার জন্য। তা নিয়েও প্রশ্ন থেকে যায়, ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’র পাণ্ডুলিপি প্রস্তুত করার কাজ শুরু হয়েছিল ২০০৪ সালে। আওয়ামী লীগ তখন শাসন ক্ষমতায় ছিল না। তাহলে জাবেদ পাটোয়ারী কীভাবে বইটি সংকলন করলেন? এমনকি ২০১২ সালে এটি যখন প্রকাশিত হয়, তখনো তিনি শীর্ষতম পুলিশ কর্মকর্তাদের একজন নন। তিনি আইজিপি হয়েছেন ২০১৮ সালে। তাই সচেতন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা এ কথা বলেছেন যে অনর্থক বিতর্ক এবং কোনো মহলের কূট উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্যই কি গণমাধ্যমে এমন খবর প্রকাশিত হয়েছে?
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বিশ্বে শান্তি স্থাপনের লক্ষ্যে গঠিত হয় জাতিসংঘ। আজকে তা এক মৌলিক প্রশ্নের মুখোমুখি—যুক্তরাষ্ট্র সরে গেলে সংস্থাটির কী হবে? সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের তীব্র সমালোচনামূলক বক্তব্য এই বিতর্ককে নতুন করে উসকে দিয়েছে।
১৭ ঘণ্টা আগে‘রাজমহলে বহু বাঙালি পরিবার রয়েছে, যাঁদের পূর্বপুরুষ আফগানিস্তানের বলখসহ নানা অঞ্চল থেকে এসেছিলেন।’ ১৬২৬ সালে মন্তব্য করেছিলেন আফগান পর্যটক মাহমুদ বালখি। এমনকি ঔপনিবেশিক যুগে বাংলা সাহিত্যের প্রখ্যাত লেখক সৈয়দ মুজতবা আলী শিক্ষক হিসেবে স্থায়ী হয়েছিলেন আফগানিস্তানে। কাবুল কৃষি কলেজে অধ্যাপনার অভিজ্ঞতার
১ দিন আগে২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে পতনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে শেখ হাসিনার টানা সাড়ে ১৫ বছরের শাসনের। শেখ হাসিনার এই শাসনামলকে দেশের মানুষ ফ্যাসিবাদী শাসন এবং তাঁকে ফ্যাসিস্ট হিসেবে চিহ্নিত করে আসছে অনেকদিন ধরেই। কিন্তু আধুনিক রাষ্ট্র কাঠামোতে এই ফ্যাসিবাদের শুরু হয়েছিল কীভাবে? আর কীইবা ছিল সেই ফ্যাসিবা
১ দিন আগেঢাকায় আজ (৭ অক্টোবর, মঙ্গলবার) চতুর্থ বাংলাদেশ-তুরস্ক ফরেইন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) বা পররাষ্ট্র দপ্তর পরামর্শ বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বৈঠকটি তুরস্কের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ লক্ষ্যে তুরস্কের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ বেরিস একিনসি গতকাল সোমবার সকালে দুই দিনের সফরে ঢাকায় আসেন।
২ দিন আগে