leadT1ad

বাংলাদেশ-ইইউ পিসিএ আলোচনা

পিসিএ চুক্তি কী, বাংলাদেশের জন্য কী আছে এই চুক্তিতে

স্ট্রিম ডেস্ক
প্রকাশ : ১৫ জুলাই ২০২৫, ১৩: ২৩
আপডেট : ১৫ জুলাই ২০২৫, ১৩: ৩১
বাংলাদেশ-ইইউ পিসিএ চুক্তি করতে যাচ্ছে। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) মধ্যে অংশীদারত্ব ও সহযোগিতা চুক্তি (পিসিএ) নিয়ে দ্বিতীয় দফা আলোচনা শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) থেকে ভার্চ্যুয়ালি শুরু হয়েছে দুই দিনব্যাপী এ আলোচনা।

এই চুক্তির মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম দেশ হিসেবে ইইউর সঙ্গে একটি ব্যাপক পরিসরে সহযোগিতার প্রক্রিয়ায় যুক্ত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে এই আলোচনায় অংশগ্রহণ করবে বাংলাদেশ। ইইউর পক্ষে নেতৃত্ব দেবেন বৈদেশিক সম্পর্ক বিভাগের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক পাওলা প্যাম্পালোনি।

দুই দিনের ভার্চ্যুয়াল বৈঠকে ৮৩টি ধারা–সম্বলিত অংশীদারত্ব ও সহযোগিতা চুক্তির খসড়া নিয়ে দুই পক্ষ আলোচনা করবে। সহযোগিতার নানা ক্ষেত্রে চুক্তির ধারাগুলো চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে এ আলোচনা হবে। এই আলোচনার ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের অক্টোবরে ঢাকায় তৃতীয় দফার বৈঠকে যোগ দিতে ইইউ প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে আসবে।

এর আগে চলতি বছরের ১০ এপ্রিল বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে অবস্থিত ইইউ সদর দপ্তরে পিসিএ-এর প্রথম দফার আলোচনায় দুই পক্ষের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছিলেন।

পিসিএ চুক্তি কী

ইইউর ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য বলছে, পিসিএ হলো ইইউ এবং ইইউ-এর সদস্য নয় এমন দেশের মধ্যে আইনত বাধ্যতামূলক চুক্তি। এই ধরনের চুক্তির মাধ্যমে ইইউ-সংশ্লিষ্ট দেশের গণতান্ত্রিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নকে সহায়তা করার লক্ষ্যে কাজ করে। একটি পিসিএ চুক্তি সাধারণত ১০ বছরের জন্য করা হয়। কোনো পক্ষ আপত্তি না তুললে প্রতিবছর এই চুক্তি নবায়ন করা হয়।

বাংলাদেশের জন্য কি আছে পিসিএ চুক্তিতে

ইইউ-এর ওয়েবসাইট বলছে, শক্তিশালী মুক্তবাজার অর্থনীতি গড়ে তুলতে, বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়নে সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি ব্যবসা ও বিদেশি বিনিয়োগের জন্য উপযুক্ত ও নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করাই পিসিএর মূল লক্ষ্য। এ ছাড়াও সংস্কৃতি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, প্রশাসনিক দক্ষতা ও নাগরিক সমাজের ক্ষেত্রেও সহযোগিতা পিসিএর অন্তর্ভুক্ত থাকে।

বাংলাদেশের সঙ্গে ইইউর প্রস্তাবিত পিসিএতে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, অর্থনৈতিক সহযোগিতা, গণতন্ত্র, সুশাসন, মানবাধিকার, সংযুক্তি, প্রতিরক্ষা, ইন্টারনেট নিরাপত্তা, জ্বালানি, মৎস্য, দক্ষ অভিবাসন, জলবায়ু পরিবর্তন, কৃষি, শ্রম অধিকারসহ প্রায় ৩৫টি খাত অন্তর্ভুক্ত আছে।

পিসিএর মাধ্যমে দুই পক্ষের জন্যই বাণিজ্য, মানবাধিকার, প্রযুক্তি, পরিবেশসহ নানা ক্ষেত্রে একসঙ্গে কাজ করার সুযোগ আরও বাড়বে। সামনের দিনগুলোতে বিশ্বে আসা নতুন পরিবর্তন ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দুই পক্ষ যেন মিলিতভাবে কাজ করতে পারে, পিসিএ সেই লক্ষ্যেও কাজ করবে।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ২৫ অক্টোবর ইইউ-বাংলাদেশ অংশীদারত্ব ও সহযোগিতা চুক্তির বিষয়ে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ইউরোপিয়ান কমিশনের (ইসি) প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লিয়েনের মধ্যে আলোচনা হয়।

ওই আলোচনার ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে অংশীদারত্ব ও সহযোগিতা চুক্তির প্রথম দফার আলোচনা শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে সরকারবিরোধী আন্দোলন দমনে গণহত্যার ইস্যুতে ৩১ জুলাই আলোচনাটি স্থগিত করে ইইউ।

এরপর জুলাই গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী পরিবর্তিত রাজনৈতিক দৃশ্যপটে ইইউ অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে পিসিএ সই করার সিদ্ধান্ত নেয়।

বিষয়:

বাংলাদেশ
Ad 300x250

সম্পর্কিত