leadT1ad

আখতারের মাথায় হাত বুলিয়ে বৃদ্ধ বললেন, ‘তোমরা যেন হেরো না, লড়াই চালিয়ে যাও’

স্ট্রিম প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১১ জুলাই ২০২৫, ১৮: ০১
আপডেট : ১১ জুলাই ২০২৫, ১৮: ১৪
এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেনের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন বৃদ্ধ আবদুল মান্নান। স্ট্রিম ছবি

আবদুল মান্নানের বয়স ৭০ পেরিয়ে গেছে। তবু চোখজোড়া উজ্জ্বল আভা। তিনি জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেনের মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বলছেন, ‘তোমরা যেন হেরো না, লড়াই চালিয়ে যাও৷’

আজ শুক্রবার (১১ জুলাই) এই দৃশ্য দেখা গেছে যশোরে অনুষ্ঠিত এনসিপির পদযাত্রায়। যশোর মডেল মসজিদে জুমআর নামাজ শেষে পদযাত্রা শুরু করেন এনসিপির নেতাকর্মীরা। মুজিব সড়ক ঘুরে কোর্ট মোড়ে গিয়ে পথসভা করেন তাঁরা।

এ সময় বৃদ্ধ আবদুল মান্নান এনসিপি নেতা আখতারের মাথায় হাত বুলিয়ে দোয়া করেন। তাঁর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ১৮ বছর আগে শিক্ষকতা থেকে অবসর নিয়েছেন আবদুল মান্নান। গণ-অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেওয়া তরুণ নেতাদের কাছে তাঁর আশা, তাঁরা যেন বিভ্রান্ত না হন৷ তাঁরা যেন সঠিক পথে চলেন এবং কোনো দুর্বিত্ত যেন এনসিপিতে অন্তর্ভুক্ত না হয়৷

মান্নান বলনে, ‘স্বপ্ন ছিলো, সুখী সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ দেখার৷ কিন্তু গত ৫৩ বছরে দেশ দুর্বিত্তদের হাতে চলে গেছে। এই ছাত্রদের ভেতরে একটা ছোট্ট প্রদীপের আলো দেখতে পাচ্ছি।’

যশোরে আজ এনসিপির পদযাত্রায় কয়েক হাজার মানুষ জড়ো হন। সভায় বক্তব্য দেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্যসচিব আখতার হোসেন, সামান্তা শারমিন, হাসনাত আবদুল্লাহ, রিমিসহ স্থানীয় নেতারা৷

যশোর সদর থেকে পথযাত্রায় যোগ দিয়েছেন মোহাম্মদ ফাইদুর রহমান৷ পেশায় ব্যবসায়ী ফাইদুর স্ট্রিমকে বলেন, ‘গত ১৬ বছর ধরে হাসিনা সরকারকে কেউ নামাতে পারেনি৷ এনসিপির ছেলেরা সেটা করেছে৷ বাংলাদেশের জন্য বড় মাপের একটা কাজ করেছে৷ এরা সরকারে আসুক৷ এরা সরকারে এলে দেশের জন্য ভালো হবে বলে আশা করা যায়৷’

জুমআর নামাজের পরপর সভাস্থলে আসেন মধ্যবয়স্ক রূপা৷ সঙ্গে নিয়ে এসেছেন তাঁর মেয়ে মালিয়া হোসেন মমকে৷ ক্লাস নাইন পড়ুয়া মম স্ট্রিমকে বলেন, ‘গত জুলাইয়ে আমরা বন্ধুরা মিলে গ্রাফিতি করেছি৷ তখন যাঁরা অভ্যুত্থানটাকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, আজ তাঁদের দেখতে এসেছি৷ আজ তাঁদের দেখে গর্ব অনূভব হচ্ছে৷’

স্কুটির সামনে ছেলেকে বসিয়ে পদযাত্রার সঙ্গে যাচ্ছেন মোহাম্মদ মারুফ হোসেন৷ স্ট্রিমকে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে একটা নতুন দল দরকার আছে৷ দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে আমরা অশান্তিতে ভুগছি৷ এই অশান্তি থেকে মুক্তি পাওয়া দরকার৷ বিশেষ করে দুর্নীতি থেকে মুক্তি দরকার৷’

অন্যদিকে এনসিপি নেতাদের সঙ্গে কথা বলতে না পেরে ক্ষোভ জানিয়েছেন যশোর জেলা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সংগঠক জুনায়েদ বিন জামাল৷ স্ট্রিমকে তিনি বলেন, ‘হাসনাত আবদুল্লাহ আহ্বায়ক হয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কমিটি করেছেন৷ শুধু যশোরে না, প্রত্যেকটা জেলায় এই কমিটির প্রাধান্য থাকা উচিত ছিল৷ কিন্তু এই ব্যানারের একজন সংগঠক হয়েও তাদের সঙ্গে কথা বলতে পারছি না৷ আমাদেরকে দফায় দফায় সময় দিয়েও কথা বলার সুযোগ দেয়নি৷’

Ad 300x250

সম্পর্কিত