স্ট্রিম প্রতিবেদক
ছয় বছর পর আগামী ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতায় এই নির্বাচন ‘প্রতিযোগিতামূলক ও স্বচ্ছ’ হবে বলে প্রত্যাশা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীদের।
সবশেষ ডাকসু নির্বাচন হয়েছিল ২০১৯ সালে। সেই নির্বাচনে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে বিরোধীদের ওপর হামলা ছাড়াও ব্যাপক অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ উঠেছিল। ছাত্রনেতারা বলছেন, এখন একক কোনো ছাত্র সংগঠনের আধিপত্য নেই। আর এটিই সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রত্যাশাকে বাড়িয়ে তুলেছে।
এদিকে, মনোনয়নের শেষদিন ১৯ আগস্ট পর্যন্ত ডাকসুর কেন্দ্রীয় সংসদের ২৮ পদে লড়তে ৬৫৮ জন প্রার্থী মনোয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। এ ছাড়া হল সংসদ নির্বাচনের জন্য ১৮টি হলে বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৪২৭টি মনোনয়নপত্র। আজ মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন।
চূড়ান্ত ভোটার তালিকা অনুযায়ী, ডাকসুতে নিবন্ধিত ভোটার সংখ্যা ৩৯ হাজার ৭৭৫ জন। এর মধ্যে ছাত্র ভোটার ২০ হাজার ৮৭৩ জন এবং ছাত্রী ভোটার ১৮ হাজার ৯০২ জন। যাচাই-বাছাইয়ের পর আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে।
২০১৯ সালের পর থেকে ঢাবি প্রশাসন ডাকসু নির্বাচন আয়োজনের কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। অভিযোগ রয়েছে, বর্তমানে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কারণে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অন্যান্য ছাত্র সংগঠনের কার্যক্রম স্থবির ছিল।
ছাত্র সংগঠনগুলোর প্যানেল
গত ৭ আগস্ট ‘ইসলামী ছাত্র আন্দোলন, বাংলাদেশ’ প্রথম পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করে। এই প্যানেল থেকে সংগঠনটির সাবেক সভাপতি ইয়াসির আরাফাত ভিপি, আহসান মারজান জিএস এবং সাইফ মোহাম্মদ আলাউদ্দিন এজিএস পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
তাসনিম আফরোজ ইমি ও মেঘমল্লার বসুর নেতৃত্বে ‘প্রতিরোধ পর্ষদ’ নামে আরেকটি প্যানেল ঘোষণা করা হয়েছে। প্যানেল ঘোষণার সময় তাঁরা বলছেন, কেবল প্রতীকী নয়, প্রকৃতই তাঁরা অন্তর্ভুক্তিকে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লার নেতৃত্বে একটি প্যানেল দেওয়া হয়েছে। এতে আরও রয়েছেন সাবিনা ইয়াসমিন ও রাকিবুল ইসলাম। প্রচারণায় তাদের স্লোগান ‘পরিবর্তনের জন্য ডাকসু, পরিবর্তনের জন্য ভোট’।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলও পূর্ণাঙ্গ প্যানেল দিয়েছে। এই প্যানেল থেকে ভিপি পদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবিদুল ইসলাম খান এবং জিএস পদে কবি জসীমউদ্দীন হল ছাত্রদলের আহ্বায়ক তানভীর বারী হামিম লড়বেন। এছাড়া এজিএস পদে লড়বেন তানভীর আল হাদী মায়েদ।
পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করলেও গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে কাউকে মনোনয়ন দেয়নি ছাত্রদল। সংগঠনটি জানিয়েছেন, ১৫ জুলাইয়ে আহত সানজিদা আহমেদ তন্বির প্রতি সম্মান জানিয়ে প্রার্থী মনোনয়নের পরিবর্তে এই পদটি ‘খালি’ রাখার সিদ্ধান্ত হয়। অবশ্য এর আগে একইরকম সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস)। তারাও তন্বির সম্মানে একটি পদ খালি রাখার ঘোষণা দিয়েছেন।
আজ একই ঘোষণা দিয়েছে তাসনিম আফরোজ ইমি ও মেঘমল্লার বসুর নেতৃত্বাধীন প্রতিরোধ পর্ষদও।
নাগরিক ছাত্র ঐক্যের তরফ থেকে ‘সম্মিলিত ছাত্র ঐক্য’ প্যানেল দেওয়া হয়েছে। এই প্যানেলের স্লোগান, ‘ডাকসু ফর রিফর্ম- টুগেদার উই ক্যান’।
গত ১৮ আগস্ট বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতারা তাঁদের ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেল ঘোষণা করেন। যদিও এই প্যানেলে অন্য ছাত্রসংগঠন ও সাধারণ শিক্ষার্থীরাও মনোনয়ন পেয়েছেন। এই প্যানেলে অবাঙালি জাতিগোষ্ঠী এবং নারীদেরও রাখা হয়েছে।
আব্দুল কাদের, আবু বাকের মজুমদার ও আশরেফা খাতুনের নেতৃত্বে প্যানেল দিয়েছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস)। প্যানেলের নাম দেওয়া হয়েছে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সংসদ’।
বাগছাসের মুখ্য সংগঠক তাহমিদ আল মুদ্দাসসির চৌধুরী অবশ্য এজিএস পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়াইয়ে নামছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ফেডারেশনের আহ্বায়ক আরমানুল হক স্ট্রিমকে জানিয়েছেন, তাঁদের প্যানেলে ভিপি ও জিএস পদ থাকছে না। এর বাইরে এজিএসসহ অন্য পদগুলোয় তাঁরা লড়বেন।
আরমানুল হক এজিএস পদে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন। পরিবহন, খাদ্য নিরাপত্তা, শিক্ষক মূল্যায়ন, যৌন হয়রানি আইন, বুলিং, আইনি প্রতিনিধিত্ব এবং বিজ্ঞান অনুষদের তহবিল বৃদ্ধির মতো বিষয়গুলোতে তাঁরা জোর দিচ্ছেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা মাহিন সরকার সমন্বিত শিক্ষার্থী সংসদ থেকে জিএস পদে লড়ছেন। তাঁর সঙ্গে ভিপি হিসেবে আছেন স্বাধীন বাংলাদেশ ছাত্র সংসদের নেতা জামালুদ্দীন মুহাম্মদ খালিদ। প্রার্থিতা ঘোষণার পর মাহিন সরকারকে এনসিপি থেকে বহিষ্কার করা হয়।
এদিকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিরাপত্তা মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা ও নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের সাবেক নেতা জুলিয়াস সিজারও ভিপি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বিতা নানা বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
ঢাবি ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী শামীম হোসাইনও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভিপি পদে লড়বেন। তিনি শিক্ষার্থীদের শিক্ষাগত অধিকারের বিষয়টিকে সামনে রেখেছেন।
এক নজরে ঘোষিত বিভিন্ন প্যানেল ও গুরুত্বপূর্ণ পদপ্রার্থী—
প্রতিরোধ পর্ষদ
ভিপি- তাসনিম আফরোজ ইমি
জিএস- মেঘমল্লার বসু
এজিএস- জাবির আহমেদ জুবেল
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল
ভিপি- আবিদুল ইসলাম খান
জিএস- তানভীর বারী হামিম
এজিএস- তানভীর আল হাদী মায়েদ
সম্মিলিত ছাত্র ঐক্য
ভিপি- জান্নাতি বুলবুল
জিএস- মাহমুদুল হাসান
ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট
ভিপি- সাদিক কায়েম
জিএস- এস এম ফরহাদ
এজিএস- মহিউদ্দিন খান
সমন্বিত শিক্ষার্থী সংসদ
ভিপি- জামালুদ্দীন মুহাম্মাদ খালিদ
জিএস- মাহিন সরকার
এজিএস- ফাতেহা শরমিন এ্যানি
বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ
ভিপি- আব্দুল কাদের
জিএস- আবু বাকের মজুমদার
এজিএস- আশরেফা খাতুন
অপরাজেয় ৭১, অদম্য ২৪
ভিপি- মো. নাইম হাসান হৃদয়
জিএস- এনামুল হাসান অনয়
এজিএস- অদিতি ইসলাম
ডাকসু ফর চেঞ্জ
ভিপি- বিন ইয়ামিন মোল্লা
জিএস- সাবিনা ইয়াসমিন
এজিএস- রাকিবুল ইসলাম
সচেতন শিক্ষার্থী সংসদ
ভিপি- ইয়াসির আরাফাত
জিএস- খায়রুল আহসান মারজান
এজিএস- সাইফ মোহাম্মদ আলাউদ্দিন
এদিকে উমামা ফাতেমার নেতৃত্বে স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য নামে আরো একটি প্যানেল বৃহস্পতিবার ঘোষণা করা হবে।
ছয় বছর পর আগামী ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতায় এই নির্বাচন ‘প্রতিযোগিতামূলক ও স্বচ্ছ’ হবে বলে প্রত্যাশা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীদের।
সবশেষ ডাকসু নির্বাচন হয়েছিল ২০১৯ সালে। সেই নির্বাচনে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে বিরোধীদের ওপর হামলা ছাড়াও ব্যাপক অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ উঠেছিল। ছাত্রনেতারা বলছেন, এখন একক কোনো ছাত্র সংগঠনের আধিপত্য নেই। আর এটিই সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রত্যাশাকে বাড়িয়ে তুলেছে।
এদিকে, মনোনয়নের শেষদিন ১৯ আগস্ট পর্যন্ত ডাকসুর কেন্দ্রীয় সংসদের ২৮ পদে লড়তে ৬৫৮ জন প্রার্থী মনোয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। এ ছাড়া হল সংসদ নির্বাচনের জন্য ১৮টি হলে বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৪২৭টি মনোনয়নপত্র। আজ মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন।
চূড়ান্ত ভোটার তালিকা অনুযায়ী, ডাকসুতে নিবন্ধিত ভোটার সংখ্যা ৩৯ হাজার ৭৭৫ জন। এর মধ্যে ছাত্র ভোটার ২০ হাজার ৮৭৩ জন এবং ছাত্রী ভোটার ১৮ হাজার ৯০২ জন। যাচাই-বাছাইয়ের পর আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে।
২০১৯ সালের পর থেকে ঢাবি প্রশাসন ডাকসু নির্বাচন আয়োজনের কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। অভিযোগ রয়েছে, বর্তমানে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কারণে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অন্যান্য ছাত্র সংগঠনের কার্যক্রম স্থবির ছিল।
ছাত্র সংগঠনগুলোর প্যানেল
গত ৭ আগস্ট ‘ইসলামী ছাত্র আন্দোলন, বাংলাদেশ’ প্রথম পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করে। এই প্যানেল থেকে সংগঠনটির সাবেক সভাপতি ইয়াসির আরাফাত ভিপি, আহসান মারজান জিএস এবং সাইফ মোহাম্মদ আলাউদ্দিন এজিএস পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
তাসনিম আফরোজ ইমি ও মেঘমল্লার বসুর নেতৃত্বে ‘প্রতিরোধ পর্ষদ’ নামে আরেকটি প্যানেল ঘোষণা করা হয়েছে। প্যানেল ঘোষণার সময় তাঁরা বলছেন, কেবল প্রতীকী নয়, প্রকৃতই তাঁরা অন্তর্ভুক্তিকে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লার নেতৃত্বে একটি প্যানেল দেওয়া হয়েছে। এতে আরও রয়েছেন সাবিনা ইয়াসমিন ও রাকিবুল ইসলাম। প্রচারণায় তাদের স্লোগান ‘পরিবর্তনের জন্য ডাকসু, পরিবর্তনের জন্য ভোট’।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলও পূর্ণাঙ্গ প্যানেল দিয়েছে। এই প্যানেল থেকে ভিপি পদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবিদুল ইসলাম খান এবং জিএস পদে কবি জসীমউদ্দীন হল ছাত্রদলের আহ্বায়ক তানভীর বারী হামিম লড়বেন। এছাড়া এজিএস পদে লড়বেন তানভীর আল হাদী মায়েদ।
পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করলেও গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে কাউকে মনোনয়ন দেয়নি ছাত্রদল। সংগঠনটি জানিয়েছেন, ১৫ জুলাইয়ে আহত সানজিদা আহমেদ তন্বির প্রতি সম্মান জানিয়ে প্রার্থী মনোনয়নের পরিবর্তে এই পদটি ‘খালি’ রাখার সিদ্ধান্ত হয়। অবশ্য এর আগে একইরকম সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস)। তারাও তন্বির সম্মানে একটি পদ খালি রাখার ঘোষণা দিয়েছেন।
আজ একই ঘোষণা দিয়েছে তাসনিম আফরোজ ইমি ও মেঘমল্লার বসুর নেতৃত্বাধীন প্রতিরোধ পর্ষদও।
নাগরিক ছাত্র ঐক্যের তরফ থেকে ‘সম্মিলিত ছাত্র ঐক্য’ প্যানেল দেওয়া হয়েছে। এই প্যানেলের স্লোগান, ‘ডাকসু ফর রিফর্ম- টুগেদার উই ক্যান’।
গত ১৮ আগস্ট বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতারা তাঁদের ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেল ঘোষণা করেন। যদিও এই প্যানেলে অন্য ছাত্রসংগঠন ও সাধারণ শিক্ষার্থীরাও মনোনয়ন পেয়েছেন। এই প্যানেলে অবাঙালি জাতিগোষ্ঠী এবং নারীদেরও রাখা হয়েছে।
আব্দুল কাদের, আবু বাকের মজুমদার ও আশরেফা খাতুনের নেতৃত্বে প্যানেল দিয়েছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস)। প্যানেলের নাম দেওয়া হয়েছে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সংসদ’।
বাগছাসের মুখ্য সংগঠক তাহমিদ আল মুদ্দাসসির চৌধুরী অবশ্য এজিএস পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়াইয়ে নামছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ফেডারেশনের আহ্বায়ক আরমানুল হক স্ট্রিমকে জানিয়েছেন, তাঁদের প্যানেলে ভিপি ও জিএস পদ থাকছে না। এর বাইরে এজিএসসহ অন্য পদগুলোয় তাঁরা লড়বেন।
আরমানুল হক এজিএস পদে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন। পরিবহন, খাদ্য নিরাপত্তা, শিক্ষক মূল্যায়ন, যৌন হয়রানি আইন, বুলিং, আইনি প্রতিনিধিত্ব এবং বিজ্ঞান অনুষদের তহবিল বৃদ্ধির মতো বিষয়গুলোতে তাঁরা জোর দিচ্ছেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা মাহিন সরকার সমন্বিত শিক্ষার্থী সংসদ থেকে জিএস পদে লড়ছেন। তাঁর সঙ্গে ভিপি হিসেবে আছেন স্বাধীন বাংলাদেশ ছাত্র সংসদের নেতা জামালুদ্দীন মুহাম্মদ খালিদ। প্রার্থিতা ঘোষণার পর মাহিন সরকারকে এনসিপি থেকে বহিষ্কার করা হয়।
এদিকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিরাপত্তা মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা ও নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের সাবেক নেতা জুলিয়াস সিজারও ভিপি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বিতা নানা বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
ঢাবি ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী শামীম হোসাইনও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভিপি পদে লড়বেন। তিনি শিক্ষার্থীদের শিক্ষাগত অধিকারের বিষয়টিকে সামনে রেখেছেন।
এক নজরে ঘোষিত বিভিন্ন প্যানেল ও গুরুত্বপূর্ণ পদপ্রার্থী—
প্রতিরোধ পর্ষদ
ভিপি- তাসনিম আফরোজ ইমি
জিএস- মেঘমল্লার বসু
এজিএস- জাবির আহমেদ জুবেল
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল
ভিপি- আবিদুল ইসলাম খান
জিএস- তানভীর বারী হামিম
এজিএস- তানভীর আল হাদী মায়েদ
সম্মিলিত ছাত্র ঐক্য
ভিপি- জান্নাতি বুলবুল
জিএস- মাহমুদুল হাসান
ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট
ভিপি- সাদিক কায়েম
জিএস- এস এম ফরহাদ
এজিএস- মহিউদ্দিন খান
সমন্বিত শিক্ষার্থী সংসদ
ভিপি- জামালুদ্দীন মুহাম্মাদ খালিদ
জিএস- মাহিন সরকার
এজিএস- ফাতেহা শরমিন এ্যানি
বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ
ভিপি- আব্দুল কাদের
জিএস- আবু বাকের মজুমদার
এজিএস- আশরেফা খাতুন
অপরাজেয় ৭১, অদম্য ২৪
ভিপি- মো. নাইম হাসান হৃদয়
জিএস- এনামুল হাসান অনয়
এজিএস- অদিতি ইসলাম
ডাকসু ফর চেঞ্জ
ভিপি- বিন ইয়ামিন মোল্লা
জিএস- সাবিনা ইয়াসমিন
এজিএস- রাকিবুল ইসলাম
সচেতন শিক্ষার্থী সংসদ
ভিপি- ইয়াসির আরাফাত
জিএস- খায়রুল আহসান মারজান
এজিএস- সাইফ মোহাম্মদ আলাউদ্দিন
এদিকে উমামা ফাতেমার নেতৃত্বে স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য নামে আরো একটি প্যানেল বৃহস্পতিবার ঘোষণা করা হবে।
‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য’ নামের এ প্যানেল থেকে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে লড়বেন উমামা ফাতেমা। আর সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে লড়বেন নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আল সাদী ভূঁইয়া।
৬ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকার এখন পর্যন্ত দেশের প্রায় প্রতিটি সমস্যার দায় গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারানো আওয়ামী লীগের ঘাড়ে চাপিয়ে পার পেতে চেয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগেআসন্ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ (বাগছাস)। তাঁদের প্যানেলের নাম ‘বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ’।
১১ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন আগামী ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। ভোটগ্রহণ চলবে সকাল ৮টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত।
২৩ দিন আগে