জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে মাসব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে সরকার। এই কর্মসূচিতে ছিল এক মিনিটের জন্য প্রতীকী ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউটও। কিন্তু ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট নিয়ে শুরু হয় সমালোচনা, দেখা দেয় নীতি আর আইনি জটিলতাও। শেষে এই কর্মসূচি থেকে সরে আসার ঘোষণা দিয়েছে সরকার।
রাতুল আল আহমেদ
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ৩৬ দিনব্যাপী কর্মসূচি হাতে নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১৮ জুলাই এক মিনিটের জন্য প্রতীকী ইন্টারনেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র সমালোচনার মুখে তা শেষ পর্যন্ত বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে তারা।
সরকারের পক্ষ থেকে এই প্রস্তাবটিকে একটি প্রতীকী পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হয়েছিল। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়ার মুখে পড়ে সরকার। অনেকেই এই সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এবং উদ্বেগ জানান যে এটি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, ডিজিটাল অধিকার এবং মানুষের দৈনন্দিন জীবিকার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী তার ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডি থেকে আজ সকালে এক পোস্টে বলেন, ‘জুলাই কোমেমোরেশন প্রোগ্রামের একটি কর্মসূচি নিয়ে আমাদের শুরু থেকেই কিছুটা দ্বিধা ছিল। একটি মাত্র কর্মসূচি আমরা একাধিকবার বাদ দিয়েছি, আবার যুক্ত করেছি। আমাদের অনেকেই মনে করছিলেন, “এক মিনিট ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট” সম্ভবত তেমন একটা ভালো আইডিয়া নয়।’
জুলাই কোমেমোরেশন প্রোগ্রামের একটি কর্মসূচি নিয়ে আমাদের শুরু থেকেই কিছুটা দ্বিধা ছিল। একটি মাত্র কর্মসূচি আমরা একাধিকবার বাদ দিয়েছি, আবার যুক্ত করেছি। আমাদের অনেকেই মনে করছিলেন, “এক মিনিট ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট” সম্ভবত তেমন একটা ভালো আইডিয়া নয়। মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, উপদেষ্টা, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়
ফারুকী আরও বলেন, ‘যা-ই হোক, আমরা কৃতজ্ঞ আপনাদের কাছে, সেই কর্মসূচি নিয়ে আপনাদের মতামত জানানোর জন্য। আপনাদের অবগতির জন্য জানাচ্ছি, আমরা নিজেদের মধ্যে দ্রুত সভা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি–এক মিনিট প্রতীকী ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট কর্মসূচি থাকছে না। সংশোধিত স্লাইড শেয়ার করে হচ্ছে।’
সরকারের নীতিতে বৈপরীত্য ও দ্বৈততা
এক মিনিট ব্ল্যাকআউটের এ সিদ্ধান্ত সরকারের সাম্প্রতিক ডিজিটাল নীতিমালার সঙ্গে সুস্পষ্ট সাংঘর্ষিক।
চলতি বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলম তাঁর ফেসবুক পোস্টে বলেন, ‘স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকার ১৬ বছরের শাসনকালে অনেকবার ইন্টারনেট বন্ধ করেছেন। বিক্ষোভ দমন করতে বা বিরোধী কোনো বড় আন্দোলন দমন করার ক্ষেত্রে স্বৈরশাসক ও একনায়কদের প্রিয় একটি হাতিয়ার হচ্ছে ইন্টারনেট শাটডাউন। কিন্তু এই প্রক্রিয়ায় লাখো ফ্রিল্যান্সার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন। কেউ কেউ তাঁদের চুক্তি এবং চাকরি চিরতরে হারান।’
শফিকুল আলমের মতে, বাংলাদেশের বাজারে স্টারলিংকের আসার মানেই হলো ভবিষ্যতে কোনো সরকারই ইন্টারনেট পুরোপুরি বন্ধ করতে পারবে না।
গত ৬ মে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ঘোষণা দেন, নতুন সাইবার সিকিউরিটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহারকে মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
এর মধ্যে, প্রতীকী হলেও এই ব্ল্যাকআউটের সিদ্ধান্ত সরকারের ঘোষিত অবস্থানগুলোর সঙ্গে সাংঘর্ষিক ছিল। এতে সরকারের নীতির স্বচ্ছতা, সামঞ্জস্য ও প্রতিশ্রুতি নিয়ে জনমনে প্রশ্ন ওঠে ।
ব্ল্যাকআউটের এ সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিজিটিং ফেলো ও টেক গ্লোবাল ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক সাবহানাজ রশিদ দিয়া।
সাবহানাজ রশিদ দিয়া বলেন, ইন্টারনেট ব্যবহারের অবাধ অধিকার আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন, জাতিসংঘের বিভিন্ন প্রস্তাব এবং বাংলাদেশের নিজস্ব সংবিধান ও আইন দ্বারা সুরক্ষিত।
বাংলাদেশ সংবিধানের ৩৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা শুধু তখনই সীমাবদ্ধ করা যায়, যখন তা জনশৃঙ্খলা বা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়। এ ছাড়া, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন (ধারা ৬৭ ও ৯৭) এবং ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৪ ধারা আইনগত সুরক্ষা প্রদান করে।
সাম্প্রতিক সাইবার সিকিউরিটি অধ্যাদেশও অবাধ ইন্টারনেট প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করে।
সাবহানাজ আরও বলেন, প্রস্তাবিত ব্ল্যাকআউট এই আইনি শর্তগুলোর কোনোটির সঙ্গেই সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল না। এমনকি এক মিনিটের জন্য হলেও ইন্টারনেট বন্ধ করা মানবাধিকার লঙ্ঘন, যেটি বর্তমানে বিশ্বজুড়ে আইনি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে।
‘এই সিদ্ধান্ত শুধু আইনি ও মানবাধিকারের লঙ্ঘন নয়, এটি জুলাই বিপ্লবের চেতনাকেও অসম্মান করে। এটি ভয়াবহ দৃষ্টান্ত হতো, যেখানে ভবিষ্যতে কোনো সরকার যেকোনো মুহূর্তে ইন্টারনেট বন্ধ করতে পারার ক্ষমতা পেত,’ বলেন সাবনাহাজ।
২০২৪ সালের জুলাই অভ্যুত্থানে বাংলাদেশ একাধিকবার দেশব্যাপী ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউটের মুখোমুখি হয়। সরকারি চাকরির কোটাব্যবস্থার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সহিংস দমনপীড়নের সময় ১৮ জুলাই থেকে ২৮ জুলাই পর্যন্ত ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয় তৎকালীন হাসিনা সরকার।
এই সময় বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া মানবাধিকার লঙ্ঘন সম্পর্কে বাইরের বিশ্ব অনেক কিছুই জানতে পারেনি। দ্বিতীয়বার ৫ আগস্ট আরেকবার অল্প সময়ের জন্য ব্ল্যাকআউট ঘটে। যা শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর তুলে নেওয়া হয়।
এসব ঘটনার স্মৃতি এখনও তাজা। তাই নতুন করে এমন কোনো সিদ্ধান্ত জনগণ সহজভাবে নেয়নি।
সরকার হয়তো ১৮ জুলাই স্মরণকে বিশেষভাবে ফুটিয়ে তুলতে এমন প্রতীকী পদক্ষেপ নিতে চেয়েছিল। তবে ডিজিটাল যুগের বাস্তবতায় এমন সিদ্ধান্ত জনজীবন, অর্থনীতি ও অধিকারকে কীভাবে প্রভাবিত করতে পারে, স্পষ্টতই বিবেচনায় আনা হয়নি।
এই ঘটনাটি প্রমাণ হয়, সরকারের বার্তা ও ডিজিটাল অধিকারের মধ্যে একটি স্পষ্ট টানাপোড়েন রয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া ও জনমত এখন সরকারের ভুল সিদ্ধান্ত বদলাতে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।
এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসা নিঃসন্দেহে একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। তবে এটি একই সঙ্গে সরকারের নীতির অসঙ্গতি, ডিজিটাল অধিকার বিষয়ে স্পষ্ট অবস্থানের অভাব এবং প্রতীকী রাজনীতির ঝুঁকি সম্পর্কেও ইঙ্গিত দেয়।
জনগণের স্বাধীনতা, অর্থনীতি এবং অধিকার নিশ্চিত করতে শুধু আইনি ভাষ্য নয়, বাস্তব প্রয়োগও জরুরি। আর তাই ইন্টারনেট ব্যবহারের অধিকার যেন কখনো রাজনৈতিক খেলার হাতিয়ার না হয়, এ বিষয়ে সবার সজাগ থাকা জরুরি।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ৩৬ দিনব্যাপী কর্মসূচি হাতে নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১৮ জুলাই এক মিনিটের জন্য প্রতীকী ইন্টারনেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র সমালোচনার মুখে তা শেষ পর্যন্ত বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে তারা।
সরকারের পক্ষ থেকে এই প্রস্তাবটিকে একটি প্রতীকী পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হয়েছিল। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়ার মুখে পড়ে সরকার। অনেকেই এই সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এবং উদ্বেগ জানান যে এটি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, ডিজিটাল অধিকার এবং মানুষের দৈনন্দিন জীবিকার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী তার ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডি থেকে আজ সকালে এক পোস্টে বলেন, ‘জুলাই কোমেমোরেশন প্রোগ্রামের একটি কর্মসূচি নিয়ে আমাদের শুরু থেকেই কিছুটা দ্বিধা ছিল। একটি মাত্র কর্মসূচি আমরা একাধিকবার বাদ দিয়েছি, আবার যুক্ত করেছি। আমাদের অনেকেই মনে করছিলেন, “এক মিনিট ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট” সম্ভবত তেমন একটা ভালো আইডিয়া নয়।’
জুলাই কোমেমোরেশন প্রোগ্রামের একটি কর্মসূচি নিয়ে আমাদের শুরু থেকেই কিছুটা দ্বিধা ছিল। একটি মাত্র কর্মসূচি আমরা একাধিকবার বাদ দিয়েছি, আবার যুক্ত করেছি। আমাদের অনেকেই মনে করছিলেন, “এক মিনিট ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট” সম্ভবত তেমন একটা ভালো আইডিয়া নয়। মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, উপদেষ্টা, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়
ফারুকী আরও বলেন, ‘যা-ই হোক, আমরা কৃতজ্ঞ আপনাদের কাছে, সেই কর্মসূচি নিয়ে আপনাদের মতামত জানানোর জন্য। আপনাদের অবগতির জন্য জানাচ্ছি, আমরা নিজেদের মধ্যে দ্রুত সভা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি–এক মিনিট প্রতীকী ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট কর্মসূচি থাকছে না। সংশোধিত স্লাইড শেয়ার করে হচ্ছে।’
সরকারের নীতিতে বৈপরীত্য ও দ্বৈততা
এক মিনিট ব্ল্যাকআউটের এ সিদ্ধান্ত সরকারের সাম্প্রতিক ডিজিটাল নীতিমালার সঙ্গে সুস্পষ্ট সাংঘর্ষিক।
চলতি বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলম তাঁর ফেসবুক পোস্টে বলেন, ‘স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকার ১৬ বছরের শাসনকালে অনেকবার ইন্টারনেট বন্ধ করেছেন। বিক্ষোভ দমন করতে বা বিরোধী কোনো বড় আন্দোলন দমন করার ক্ষেত্রে স্বৈরশাসক ও একনায়কদের প্রিয় একটি হাতিয়ার হচ্ছে ইন্টারনেট শাটডাউন। কিন্তু এই প্রক্রিয়ায় লাখো ফ্রিল্যান্সার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন। কেউ কেউ তাঁদের চুক্তি এবং চাকরি চিরতরে হারান।’
শফিকুল আলমের মতে, বাংলাদেশের বাজারে স্টারলিংকের আসার মানেই হলো ভবিষ্যতে কোনো সরকারই ইন্টারনেট পুরোপুরি বন্ধ করতে পারবে না।
গত ৬ মে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ঘোষণা দেন, নতুন সাইবার সিকিউরিটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহারকে মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
এর মধ্যে, প্রতীকী হলেও এই ব্ল্যাকআউটের সিদ্ধান্ত সরকারের ঘোষিত অবস্থানগুলোর সঙ্গে সাংঘর্ষিক ছিল। এতে সরকারের নীতির স্বচ্ছতা, সামঞ্জস্য ও প্রতিশ্রুতি নিয়ে জনমনে প্রশ্ন ওঠে ।
ব্ল্যাকআউটের এ সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিজিটিং ফেলো ও টেক গ্লোবাল ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক সাবহানাজ রশিদ দিয়া।
সাবহানাজ রশিদ দিয়া বলেন, ইন্টারনেট ব্যবহারের অবাধ অধিকার আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন, জাতিসংঘের বিভিন্ন প্রস্তাব এবং বাংলাদেশের নিজস্ব সংবিধান ও আইন দ্বারা সুরক্ষিত।
বাংলাদেশ সংবিধানের ৩৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা শুধু তখনই সীমাবদ্ধ করা যায়, যখন তা জনশৃঙ্খলা বা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়। এ ছাড়া, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন (ধারা ৬৭ ও ৯৭) এবং ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৪ ধারা আইনগত সুরক্ষা প্রদান করে।
সাম্প্রতিক সাইবার সিকিউরিটি অধ্যাদেশও অবাধ ইন্টারনেট প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করে।
সাবহানাজ আরও বলেন, প্রস্তাবিত ব্ল্যাকআউট এই আইনি শর্তগুলোর কোনোটির সঙ্গেই সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল না। এমনকি এক মিনিটের জন্য হলেও ইন্টারনেট বন্ধ করা মানবাধিকার লঙ্ঘন, যেটি বর্তমানে বিশ্বজুড়ে আইনি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে।
‘এই সিদ্ধান্ত শুধু আইনি ও মানবাধিকারের লঙ্ঘন নয়, এটি জুলাই বিপ্লবের চেতনাকেও অসম্মান করে। এটি ভয়াবহ দৃষ্টান্ত হতো, যেখানে ভবিষ্যতে কোনো সরকার যেকোনো মুহূর্তে ইন্টারনেট বন্ধ করতে পারার ক্ষমতা পেত,’ বলেন সাবনাহাজ।
২০২৪ সালের জুলাই অভ্যুত্থানে বাংলাদেশ একাধিকবার দেশব্যাপী ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউটের মুখোমুখি হয়। সরকারি চাকরির কোটাব্যবস্থার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সহিংস দমনপীড়নের সময় ১৮ জুলাই থেকে ২৮ জুলাই পর্যন্ত ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয় তৎকালীন হাসিনা সরকার।
এই সময় বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া মানবাধিকার লঙ্ঘন সম্পর্কে বাইরের বিশ্ব অনেক কিছুই জানতে পারেনি। দ্বিতীয়বার ৫ আগস্ট আরেকবার অল্প সময়ের জন্য ব্ল্যাকআউট ঘটে। যা শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর তুলে নেওয়া হয়।
এসব ঘটনার স্মৃতি এখনও তাজা। তাই নতুন করে এমন কোনো সিদ্ধান্ত জনগণ সহজভাবে নেয়নি।
সরকার হয়তো ১৮ জুলাই স্মরণকে বিশেষভাবে ফুটিয়ে তুলতে এমন প্রতীকী পদক্ষেপ নিতে চেয়েছিল। তবে ডিজিটাল যুগের বাস্তবতায় এমন সিদ্ধান্ত জনজীবন, অর্থনীতি ও অধিকারকে কীভাবে প্রভাবিত করতে পারে, স্পষ্টতই বিবেচনায় আনা হয়নি।
এই ঘটনাটি প্রমাণ হয়, সরকারের বার্তা ও ডিজিটাল অধিকারের মধ্যে একটি স্পষ্ট টানাপোড়েন রয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া ও জনমত এখন সরকারের ভুল সিদ্ধান্ত বদলাতে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।
এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসা নিঃসন্দেহে একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। তবে এটি একই সঙ্গে সরকারের নীতির অসঙ্গতি, ডিজিটাল অধিকার বিষয়ে স্পষ্ট অবস্থানের অভাব এবং প্রতীকী রাজনীতির ঝুঁকি সম্পর্কেও ইঙ্গিত দেয়।
জনগণের স্বাধীনতা, অর্থনীতি এবং অধিকার নিশ্চিত করতে শুধু আইনি ভাষ্য নয়, বাস্তব প্রয়োগও জরুরি। আর তাই ইন্টারনেট ব্যবহারের অধিকার যেন কখনো রাজনৈতিক খেলার হাতিয়ার না হয়, এ বিষয়ে সবার সজাগ থাকা জরুরি।
‘আমরা দৃঢ়ভাবে চাই ৫ই অগাস্ট তথা ৩৬শে জুলাইয়ের মধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্র ও জুলাই সনদ রচিত হোক। সকল পক্ষ সকল ধরনের ছাড় দিয়ে সরকারকে সহযোগিতা করুক।’
৩ দিন আগেনাহিদ ইসলাম আজ সিদ্ধান্ত জানালেন, আগামী ৩ আগস্ট তারা নিজেরাই জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশ করবেন।
৪ দিন আগেএনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী দাবি করেন, আগামী নির্বাচনে ৪০০ আসনের মধ্যে ৩০০ আসনে জয়ী হয়ে জাতীয় সরকার গঠন করবে এনসিপি।
১১ দিন আগেলন্ডনে বিএনপি নেতা তারেক রহমান ও প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠকের পর প্রকাশিত যৌথ বিবৃতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে জামায়াত ১৮ জুনের আলোচনায় অনুপস্থিত ছিল। তবে পরে প্রধান উপদেষ্টার ফোনে আশ্বস্ত হয়ে তারা সংলাপে ফিরে আসে। এদিন জামায়াতের প্রতিনিধিদের বেশি সময় বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে ওয়াকআউট করে বা
১৪ দিন আগে